অর্থনীতি
ছুটির দিনেও গাজীপুরে চালু ৩০ শতাংশ কারখানা

গাজীপুরের প্রায় ৩০ শতাংশ কারখানা শুক্রবার ছুটির দিনেও চালু রাখা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে চলা শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিকপক্ষ।
পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় আজ সকাল থেকেই শুরু হয় কারখানাগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম। বিকেল সাড়ে ৫টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোথাও কোনো শ্রমিক বিক্ষোভ বা বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।
বিভিন্ন দাবিতে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলছে শ্রমিক অসন্তোষ। এতে একধরনের অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হয় শিল্পনগর গাজীপুরে। দাবি আদায়ে কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। ঝামেলা এড়াতে কোনো কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা, আবার কোনো কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে কারখানাগুলোর উৎপাদন কমে দাঁড়ায় শূন্যের কোঠায়। দেখা দিয়েছে আর্থিক সংকট। সেই সংকট কাটিয়ে নিতে আজ খোলা রাখা হয়েছে অনেক কারখানা।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারওয়ার আলম বলেন, মূলত আজ পোশাকশ্রমিকদের ছুটির দিন। কিন্তু গত কয়েক দিনের বিক্ষোভে যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতেই মালিকপক্ষের লোকজন কারখানা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ পুরো জেলায় মোট কারখানার প্রায় ৩০ ভাগ চালু রয়েছে। তবে যে আটটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল, সেগুলো আজও বন্ধই আছে।
এমআই

অর্থনীতি
জুনে প্রবাসী আয় ৩৩ হাজার কোটি টাকা, একক মাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ

চলতি বছরের জুন মাসে প্রবাসীরা ২৭০ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা দরে) প্রায় ৩৩ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ২ লাখ ডলার।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এই তথ্য জানিয়েছেন।
গত বছরের একই সময়ের (জুন ২০২৪) ২৩৭ কোটি ২০ লাখ ডলারের তুলনায় চলতি বছরের জুনে রেমিট্যান্স প্রবাহ ১৪.১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসীরা ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা দেশের ইতিহাসে কোনো নির্দিষ্ট অর্থবছরে বা এক বছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড।
চলতি বছরের মাসওয়ারি রেমিট্যান্স প্রবাহ নিম্নরূপ:
- জানুয়ারি: ২১৯ কোটি ডলার
- ফেব্রুয়ারি: ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার
- মার্চ: ৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার (দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ)
- এপ্রিল: ২৭৫ কোটি ডলার
- মে: ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার
- জুন: ২৭০ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার (একক মাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ)
অর্থনীতি
সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমেছে, আজ থেকে কার্যকর

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত পাঁচটি সঞ্চয় কর্মসূচির মুনাফার হার কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)। স্কিমের ধরন অনুযায়ী নতুন মুনাফার হার সর্বোচ্চ হার ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) থেকে এই মুনাফার হার কার্যকর হবে।
এর আগে গত ১ জানুয়ারি সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়। সে সময় স্কিমের ধরন অনুযায়ী মুনাফার হার সর্বোচ্চ হার নির্ধারণ করা হয় ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত।
রাষ্ট্রপতির আদেশে সোমবার (৩০) সঞ্চয়পত্রের নতুন হার নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে সই করেছেন সহকারী সচিব মো. মোবারক হোসেন।
মুনাফার হার কমানো পাঁচ স্কিমের মধ্যে রয়েছে- পরিবার সঞ্চয়পত্র, ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিট বা ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক মেয়াদি হিসাব।
আগের মতো সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারীদের দুটি ধাপ রাখা হয়েছে। প্রথম ধাপ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচের বিনিয়োগকারী। আর দ্বিতীয় ধাপটি হলো ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপরের বিনিয়োগকারী।
জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক সাধারণ হিসাব এই চারটি স্কিমের মুনাফার হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র
নতুন হার অনুযায়ী, প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৫ বছর বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ২১ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন বিনিয়োগকারীরা।
৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৫ বছর বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র
প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৩ মাস অন্তর মুনাফা সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ২২ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। ৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৩ মাস অন্তর মুনাফা সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। ৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
পেনশনার সঞ্চয়পত্র
প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা পেনশনার সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৩২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা পেনশনার সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
পরিবার সঞ্চয়পত্র
প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা পরিবার সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা পেনশনার সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক মেয়াদি হিসাব
প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক মেয়াদি হিসাবে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ২২ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। ৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। ৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
অর্থনীতি
গভর্নররা সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন: অর্থ উপদেষ্টা

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নররা সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন বলে মন্তব্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমার পরে যারা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হয়েছেন তারা সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক চলতো সরকারি নির্দেশে আদেশে। যারা গভর্নর ছিলেন তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন না। এখন কিন্তু সেটা নাই।
সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে, আগের সরকারের আমলেও প্রশ্ন উঠেছে দুদক রাষ্ট্রের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবসার হচ্ছে কি না? এনবিআরে যারা আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের মধ্যে ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্রথমত আমি দুদক সম্পর্কে কোনো উত্তর দেব না। সেটা তাদের আলাদাভাবে জিজ্ঞেস করবেন। এখন সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ইন্টারফেয়ার করে না, সেটা আপনারা লক্ষ্য করবেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, দুদক দেখবে, যদি কোনো ইস্যু থাকে। আপনারা ভাবতে পারেন এ সময় শুরু করল কেন? শুধু এনবিআর না, আমার কাছে দুনিয়ার লোক আসছে, আমার একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে, কতো কিছু।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে আপনি দেখেছেন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে… করতে। আমার সময়ে পারে নাই, কারণ আমি তখন বাংলাদেশ ব্যাংকে ছিলাম। তারপর বাংলাদেশ ব্যাংক চলতো সরকারি নির্দেশে আদেশে। একই সাথে যারা গভর্নর ছিলেন তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন না। সরি টু সে, তারা সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। এখন কিন্তু সেটা নাই।
কাফি
অর্থনীতি
কাল থেকে আমদানি-রপ্তানির সব সনদ অনলাইনে দাখিল বাধ্যতামূলক

আগামীকাল ১ জুলাই থেকে এনবিআরের সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেমের আওতায় আমদানি ও রপ্তানি পণ্যচালানের শুল্কায়নে ১৯টি সংস্থার ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট (সিএলপি) অনলাইনের মাধ্যমে দাখিল করতে হবে।
সোমবার (৩০ জুন) এক সংবাদ বিবৃতিতে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে এনবিআর জানায়, বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকরা প্রয়োজনীয় সিএরপির জন্য আবেদন ও সংগ্রহ করতে পারবেন। এই সিস্টেম ব্যবহারের জন্য প্রথমে বিজনেস সনাক্তকরণ নম্বর বা বিন ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে।
এই সিস্টেম ব্যবহারের ফলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে যে সব সুবিধা পাওয়া যাবে সেগুলো হলো-
১. একটি কমন প্লাটফর্মে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের জন্য প্রযোজ্য সার্টিফিকেট, লাইসেন্স এবং পারমিট সংক্রান্ত সব কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক যুগপৎভাবে অনলাইনে সম্পন্ন করা হবে।
২. সরকারি কাজে ব্যক্তিগত যোগাযোগ না থাকায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
৩. পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সময় ও ব্যয় হ্রাস পাবে।
৪. দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টির মধ্যমে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
এনবিআর আরও জানায়, সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম থেকে ইতোমধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট সংখ্যা অদ্য ৩ লাখ ৮৯ হাজার ১৫টি অতিক্রম করেছে। সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিটের ৮৫.৯৭ শতাংশ একঘণ্টার কম সময়ে এবং ৯৪.৬৩ শতাংশ একদিনের সময়ে স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় ইস্যু করা হয়। ইতোমধ্যে সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট ইস্যুকারী ১৯টি সংস্থার (DGDA, EPB, DOEX, BNACWC, BEZA, BEPZA, DOE, BSTI, BAERA, BAEC, CAAB, BTRC, DOF, DLS, PQW, BIDA, BGMEA, ΒΚΜΕΑ, CCI&E) ক্ষেত্রে ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট সিস্টেমের মাধ্যমে দাখিল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ অবস্থায় আগামীকাল ১ জুলাই থেকে আমদানি ও রপ্তানি পণ্যচালান শুল্কায়নের ক্ষেত্রে উক্ত ১৬টি সংস্থা কর্তৃক ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট সিস্টেমের মাধ্যমে দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রয়োজনে হটলাইন ১৬১৩৯ এ যোগাযোগ কিংবা www.bswnbr.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে সহায়তা নেওয়া যাবে।
অর্থনীতি
আন্দোলনের মধ্যেও এনবিআরের রাজস্ব আদায় ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান।
সোমবার (৩০ জুন) সকালে আন্দোলন স্থগিতের পর প্রথম কার্যদিবসে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই তথ্য জানান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “সবকিছু ভুলে দেশের জন্য একযোগে কাজ করতে হবে। রাজস্ব কর্মকর্তাদের দেশপ্রেম নিয়ে কাজে ফিরতে হবে।” তিনি আরও জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৩০ জুন সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, গত অর্থবছর ২০২৩-২৪-এ জাতীয় রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ আয় আরও বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
এর আগে টানা দেড় মাস ধরে চলা ‘মার্চ টু এনবিআর’ এবং ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহারের মাধ্যমে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরেছেন এনবিআরের আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সকালে এনবিআর কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, রাজস্ব ভবনের বিভিন্ন বিভাগে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগ দিয়েছেন। জমে থাকা ফাইল ও সেবাগ্রহীতাদের ভিড়ে ফিরে এসেছে চেনা কর্মচাঞ্চল্য। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ভবনের আশপাশে এখনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
এর আগে রোববার রাতে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, “দেশের আমদানি-রফতানি, সরবরাহব্যবস্থা ও অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে এবং সাধারণ জনগণের ভোগান্তি দূর করতে আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি।”
প্রসঙ্গত, এনবিআরে সংস্কার ও কাঠামোগত পরিবর্তনের দাবিতে গত ১২ মে থেকে আন্দোলনে নামে এনবিআরের কর্মকর্তারা। এতে প্রায় দেড় মাস ধরে রাজস্ব আদায় ও সেবা কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। তবে আন্দোলন প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে ফের সচল হয়েছে রাজস্ব আদায়ের অন্যতম এই প্রতিষ্ঠান।
কাফি