প্রবাস
ইউনূস স্যার না থাকলে এত দ্রুত মুক্তি পেতাম না: আটক প্রবাসী
সংযুক্ত আরব আমিরাতের কারাগারে আটক প্রবাসী ফরিদ আহমদ শাহিন বলেছেন, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে ইউনূস স্যারের (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) প্রচেষ্টায় আমরা জেল থেকে মুক্ত হয়ে বর্তমানে দেশে আছি। ইউনূস স্যার না থাকলে এত কম সময়ে মুক্তি পেতাম না। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা জানা নেই।
তিনি বলেন, কারাগারে যাওয়ার পর স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের চিন্তায় ঘুম আসতো না। বিদেশের কারাগার জীবনের বিভীষিকাময় দিনগুলোর স্মৃতি এখনও তাড়া করছে আমায়। ভাবতাম আইনি প্রক্রিয়ায় কে, কখন বের করবে। কখন পরিবারের কাছে দেশে ফিরব।
শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের কথাগুলো বলছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে আসা ফরিদ আহমদ শাহিন। তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চৌদ্দগ্রাম পৌর সদরের লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলী আহমেদের ছেলে। গত ৭ সেপ্টেম্বর আমিরাতে দণ্ডিত হওয়ার পর ক্ষমাপ্রাপ্ত ৫৭ বাংলাদেশির মধ্যে ১৪ জন দেশে ফিরেছেন। তাদের একজন শাহিন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে শাহীন বলেন, গত ২০ বছর ধরে আরব আমিরাতের আইন মেনে বেশ সুনামের সঙ্গে দুবাই শহরে ব্যবসা করেছি। বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করে গত ১৮ জুলাই দুবাইতে থাকা প্রবাসীরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ওই মিছিলে অংশ নিয়েছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম স্বৈরাচার হাসিনা আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের বুকে আর একটাও যেন গুলি না চালায়। আমরা জানতাম প্রতিবাদ করলে রাজতন্ত্র আইনে আমাদের শাস্তি হবে। সেই শাস্তির শঙ্কা উপেক্ষা করেই আমরা আন্দোলনে নেমেছিলাম।
তিনি বলেন, পরদিন ওই দেশের পুলিশ আন্দোলনরত বাঙালিদের গ্রেপ্তার করে। পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। আমরা খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার পর কোনো উপায় দেখছিলাম না। সারাক্ষণ পরিবারের দুশ্চিন্তায় সময় কেটেছে। কারাগারে অবিরত চোখের পানি ফেলেছি।
শাহিন আরও বলেন, ৪৫ দিন আমার কাছে কয়েকশ’ বছরের মতো লেগেছিল। সময় যেন ফুরাচ্ছিল না। জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় হঠাৎ একদিন শুনলাম আমাদের মুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশের সরকার আমিরাতের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। বিশ্বাস করুন- সঙ্গে সঙ্গে সিজদায় পড়ে গেছি। তার কয়েকদিন পর শুনলাম আমিরাতের রাষ্ট্রপতি আমাদের সাধারণ ক্ষমা করে মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। জীবনে বড় আনন্দের খবর আমার কাছে সেটিই ছিল। ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেষ করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ৫৭ জনকে সাজা দেওয়ার খবর প্রকাশিত হলেও সাজাপ্রাপ্তদের প্রকৃত সংখ্যা ১১৪। সরকারের কাছে আমার অনুরোধ- বাকি যে ৫৭ জন বাঙালি বন্দি আছেন, তাদের মুক্ত জন্য যেন উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
মালদ্বীপে অবৈধ বাংলাদেশিদের বৈধ হওয়ার বড় সুযোগ
মালদ্বীপে আসা বেশিরভাগ বাংলাদেশির প্রবাস জীবন শুরু হয় চরম দুর্ভোগের মধ্যদিয়ে। এদের অনেকেই বৈধভাবে দেশটিতে এলেও দালাল চক্র আর দেশটির নিয়োগকর্তাদের অবহেলার কারণে নির্দিষ্ট কর্মস্থল থেকে পালিয়ে বা অবৈধভাবে অন্য মালিকানায় কাজ করেন। এসব প্রবাসীদের নিখোঁজ হিসেবে চিহ্নিত করে কর্মসংস্থান অধিদফতরে অভিযোগ করা হয়।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিয়োগকর্তারা নিখোঁজের অভিযোগ তুলে নিলে এই প্রবাসীরা চাইলে মালিকানা পরিবর্তন করে বৈধতা নিতে পারবেন। এই সুযোগকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
মালদ্বীপের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরিবর্তিত নতুন নিয়মে, পালিয়ে কাজ করা প্রবাসীদের বিরুদ্ধে আনা মালিক পক্ষের অভিযোগ এক্সপ্যাট সিস্টেমের মাধ্যমে প্রত্যাহার করে নিলেই মিলবে বৈধ হওয়ার সুযোগ। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে কোনো নিয়োগকর্তা চাইলে নিখোঁজের অভিযোগ তুলে নিতে পারবেন বিনা পয়সায়। যেই কাজটি এতদিন করা সম্ভব ছিল না।
দেশটির নতুন এই নীতিকে স্বাগত জানিয়েছেন মালদ্বীপে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এদিকে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে পালিয়ে কাজ করা বাংলাদেশিদের দ্রুতই সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে বৈধ হওয়ার আহ্বান জানান মালদ্বীপের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. সোহেল পারভেজ বলেন, ‘মালদ্বীপে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি যারা এই মিসিং রিপোর্টের অধীনে রয়েছেন তাদেরকে অনুরোধ করবো আপনারা যে কোম্পানি থেকে চলে এসেছিলেন তাদেরকে অনুরোধ করে তাদের মাধ্যমে যে মিসিং কমপ্লেইন ছিল সেটি উইথড্র করে আপনি বর্তমানে যেখানে কাজ করছেন সেখানে নতুন ভিসা সংগ্রহ করুন।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৬০২ অভিবাসী আটক
মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন অভিবাসন অপরাধের অভিযোগে ২১৪ বাংলাদেশিসহ ৬০২ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেশটির সেলাঙ্গর রাজ্যের শাহ আলম জেলার তামান শ্রী মুদা সেকশন ২৫ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে ২১৪ জন বাংলাদেশি, নেপালের ১১৫, মিয়ানমারের ৮৬, ৮১ জন ইন্দোনেশিয়ার, ৬০ জন ভারতের, ৩৪ জন পাকিস্তানের, শ্রীলঙ্কান ১০ জন এবং একজন করে আলজেরিয়া ও ফিলিপিনের নাগরিক রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৯ থেকে ৫৩ বছর বয়সী ৫০৫ জন পুরুষ এবং ৯৭ জন নারী রয়েছেন।
সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট, ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল, সেলাঙ্গর কন্টিনজেন্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টসহ বিভিন্ন সংস্থার ৪৪৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মী এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
চিহ্নিত অপরাধগুলোর মধ্যে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ লঙ্ঘন, বিশেষ করে ওয়ার্ক পারমিট বা পাসপোর্টের মতো বৈধ ভ্রমণ নথি দেখাতে ব্যর্থ হওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধ রয়েছে।
আটককৃতদের পরবর্তী তদন্তের জন্য সেমেনিয়েহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
মালদ্বীপে বাংলাদেশি পর্যটক ২৯ শতাংশ বেড়েছে
ভিসা ছাড়াই বিশ্বের ৪২টি দেশ ভ্রমণ করতে পারেন বাংলাদেশি পর্যটকেরা। তার মধ্যে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ অন্যতম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই দেশটিতে অন অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা থাকায় তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ করা খুব সহজ। অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মালদ্বীপে চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশি পর্যটক বেড়েছে ২৯ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির মার্কেটিং অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইব্রাহিম শিউরি একথা জানান।
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর মধ্যে মালদ্বীপ একটি। যার উচ্চতা মাত্র সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দুই দশমিক তিন মিটার। যেন এক সমুদ্র জলে দাঁড়িয়ে থাকা নীল জলরাশির একটি দেশ।
১২০০টি দ্বীপ এবং ২৬টি প্রবালদ্বীপের এই অপরূপ দেশটি পর্যটকদের অপার্থিব সব বিলাসিতার কেন্দ্রবিন্দু। যার জন্যই বিশ্বের নামকরা তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই মালদ্বীপ ভ্রমণে ভিড় করেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশি পর্যটকদেরও স্বপ্নের সেরা গন্তব্য হয়ে উঠেছে এই দেশটি।
মালদ্বীপের বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিদেশি পর্যটকদের আগমন বাড়ানোর জন্য সমুদ্র সৈকত এবং রসালো ল্যান্ডস্কেপে এনেছেন বড় পরিবর্তন। যা বিশ্ব পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। যার ফলে অন্যান্য দেশের ভ্রমণ পিপাসুদের সাথে পাল্লা দিয়ে মালদ্বীপে প্রতিদিনই বাংলাদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটন স্পষ্টগুলো।
চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ২০ হাজার ৮৪০ জন বাংলাদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছেন দেশটিতে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির মার্কেটিং অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইব্রাহিম শিউরি।
এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন, নতুন করে মালদ্বীপের পর্যটন শিল্পে পরিবর্তন আনায় প্রতিদিনই দেশটিতে ভিড় করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভ্রমণ পিপাসুরা। তবে দেশটির নতুন এই পরিবর্তিত পর্যটন বাজারের সবচেয়ে বেশি চমক হচ্ছে বাংলাদেশি পর্যটক বৃদ্ধি পাওয়া। মালদ্বীপের এই ঊর্ধ্বমুখী পর্যটকদের প্রবণতা বজায় রাখার জন্য তাদের বিপণন প্রচেষ্টা আরও প্রসারিত করবে বলেও জানান তিনি।
বর্তমানে মালদ্বীপে পর্যটক আগমনের শীর্ষ ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশি পর্যটকের অবস্থান ১৬তম স্থানে বলেও জানিয়েছেন দেশটির পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিতে সম্মত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ঐকমত্য হয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম। সেইসঙ্গে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সুখবর দিয়েছেন তিনি।
বৈঠক শেষে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
তিনি বলেন, ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে আমার। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং সর্বাত্মক সহযোগী থাকবে। দেশটির শ্রমবাজার নিয়ে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, ‘মালোয়েশিয়ার শ্রমবাজারে প্রথম পর্যায়ে ১৮ হাজার বাঙালি নেয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমার পুরনো বন্ধু এবং বাংলাদেশের পুরনো বন্ধু আসায় আমি খুবই খুশি। এরওপর আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর এটা প্রথম কোনো সরকার প্রধানের বাংলাদেশ সফর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছি। যেখানে তারুণ্যের শক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি। সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।’
চতুর্থ ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিষয় এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন, জনশক্তি রফতানি, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কথা বলেছি। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি এবং ভিসা সহজীকরণের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’
আসিয়ান জোটে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে মালয়েশিয়ার সক্রিয় সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
আমিরাতে ৬৫ কোটি টাকার লটারি জিতলেন বাংলাদেশি প্রবাসী
সংযুক্ত আরব আমিরাতে লটারি জিতে দুই কোটি দিরহাম পেয়েছেন এক বাংলাদেশি কর্মী। ‘বিগ টিকিট’ নামে ওই লটারি জিতে এ পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশি রাইডার আবুল মনসুর আব্দুল সবুর । বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
৫০ বছর বয়সী আবুল মনসুর আব্দুল সবুর ২০০৭ সাল থেকেই লটারির টিকেট কিনে চলেছেন, তবে এবার ভাগ্য ফিরল তার। ‘আবুধাবি বিগ টিকেট’ নামে লটারি প্রতিযোগিতায় পুরস্কার হিসেবে তাকে ২ কোটি দিরহাম দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৬৫ কোটি ১০ লাখ টাকার সমান।
এবারের লটারির ড্র এর আগে তিনি ও তার বন্ধুরা মিলে পাঁচটি টিকেট কিনেছিলেন, এর মধ্যে পুরস্কার জিতেছে কেবল তার কেনা টিকেট।
সুসংবাদ জানিয়ে লটারির আয়োজকদের থেকে ফোনকল পাবার পর নিজের ভাগ্যকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না আবদুল সবুর।
লটারির অর্থ দিয়ে কী করবেনএমন প্রশ্নে সবুর জানিয়েছেন, ওই অর্থ তিনি পরিবারের পেছনে খরচ করবেন এবং একটি ব্যবসা শুরুর মধ্য দিয়ে তিনি তার স্বপ্ন পূরণ করবেন।
সবুর বলেন, সৌভাগ্যের টিকিটটি বন্ধুরা মিলে গত ২৭ সেপ্টেম্বর কিনেছিলেন। লটারির জয়ের মুহূর্তটি বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি অনুষ্ঠানটি লাইভ দেখছিলাম। এর মধ্যে আমাদের নম্বরটি ঘোষণা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এই টিকিট কেনার জন্য আমরা টাকা জমিয়েছি। এবার আমরা এক হাজার দিরহামের টিকিট কিনেছি। আমরা সব সময় বিশ্বাস করতাম, সৌভাগ্য একদিন আমাদের দিকে চেয়েও আসবে। আমরা সবাই এখন কোটিপতি হয়ে গেছি।
এমআই