অর্থনীতি
আইএমএফের হিসাবে ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে রিজার্ভ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতিতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়ন বা ২ হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রিজার্ভ কমে ১ হাজার ৯৪৪ কোটি মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পর আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে আকুর পাওনা বাবদ ১৩৭ কোটি ডলার বা ১ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়। তাতে রিজার্ভ কিছুটা কমে যায়। তবে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি থাকায় দ্রুতই রিজার্ভ বেড়ে আবার ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকু হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যকার একটি আন্ত–আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তিব্যবস্থা। এর মাধ্যমে এশিয়ার নয়টি দেশের মধ্যে যেসব আমদানি-রপ্তানি হয়, তা প্রতি দুই মাস পরপর নিষ্পত্তি হয়। আকুর সদস্যদেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ভুটান ও মালদ্বীপ। দেনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার কারণে সম্প্রতি এ তালিকা থেকে বাদ পড়েছে শ্রীলঙ্কা।
আইএমএফ স্বীকৃত বিপিএম ৬ হিসাব মান অনুযায়ী রিজার্ভ কমার পাশাপাশি মোট রিজার্ভের পরিমাণ কমে ২৫ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে এসেছে। গতকাল মোট রিজার্ভের পরিমাণ কমে হয়েছে ২ হাজার ৪৫০ কোটি ডলার, যা গত সপ্তাহের শেষে ছিল ২ হাজার ৫৬২ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৫ সেপ্টেম্বর বিপিএম ৬ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৬ কোটি বা ২০ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। আকুর দায় পরিশোধের পর তা কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। এর আগে সর্বশেষ গত ২৭ জুন বিপিএম ৬ হিসাবপদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে ছিল। ওই দিন আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯৪৭ কোটি ডলার বা ১৯ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে প্রায় আড়াই মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামল।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বকেয়া বেতনের দাবিতে বেক্সিমকোর শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা। আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুর নগরের সারাবো এলাকায় তাদের কারখানার সামনে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে কারখানার সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে চক্রবর্তী এলাকায় চন্দ্রা–নবীনগর সড়ক অবরোধ করেন।
কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্র জানায়, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে প্রায় ২০–২২ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। আশপাশের বেশির ভাগ কারখানায় গত মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। তবে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা এখনো গত মাসের বেতন পাননি। বকেয়া বেতনসহ আরও বেশ কিছু দাবিতে আজ দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে দেন। কারখানার প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। শ্রমিকেরা মিছিল করে কারখানার সামনে চন্দ্রা–নবীনগর সড়কে আসেন এবং অবরোধ করেন।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় বেলা সোয়া দুইটায় শ্রমিকেরা সড়কে ছিলেন। এ কারণে সড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।
বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিক কুরবান আলী বলেন, আগের মাসেও অনেক আন্দোলন করে বেতন নিতে হয়েছে। এ মাসের ১২ দিন হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বেতন পাননি। বেতন চাইতে গেলে কর্তৃপক্ষ নানা টালবাহানা করছে। বাধ্য হয়ে তাঁদের রাস্তায় নামতে হয়েছে।
আরেক শ্রমিক আবদুল মমিন বলেন, ‘বেতন চাইতে গিয়েছিলাম। তখন এখানকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাদের জানান, মালিকের ব্যাংক হিসাব সরকার বন্ধ করে রেখেছে। এ কারণে বেতন দিতে পারছেন না। তাঁরা নাকি সরকারের সঙ্গে কথা বলছেন। সমাধান হলে বেতন দেবেন। এসব কথা শুনে তো আর আমাদের সংসার চলবে না। আমরা কাজ করেছি। এখন বেতন দিতে হবে। এ ছাড়া আমাদের অন্য কোনো পথ নেই।’
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক সফিকুল ইসলাম বলেন, বকেয়া বেতনসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে শ্রমিকেরা দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তাঁরা চক্রবর্তী এলাকায় চন্দ্রা–নবীনগর সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কারখানার মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২২ দিনের শিকার নিষেধাজ্ঞায় চাঁদপুরে রেকর্ড দামে ইলিশ
ইলিশ মাছ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের মধ্যে চাঁদপুরে আকাশছোঁয়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত ১২টার পর থেকে প্রশাসনের জারি করা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
পদ্মা-মেঘনার মিঠাপানিতে ইলিশের ডিম ছাড়াকে নির্বিঘ্ন করতে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন। প্রতিবছর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণেই দেশের অন্যতম বৃহৎ চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র- ‘বড় স্টেশন মাছ ঘাটে’ ইলিশ কিনতে শুক্রবার ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। তবে দাম মধ্যবিত্ত ও গরীবের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজও রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। ১ কেজি বা ১১০০-১২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকায়।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ইলিশের বড় পাইকারি এই মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতায় সরগরম আড়তগুলো। বিশেষ করে, খুচরা ক্রেতাদের ভিড়। তারা দূর দুরান্ত থেকে এসেছেন।
কিছু সময় ঘাটে অপেক্ষা করে দেখা গেল, স্থানীয় জেলেরা বরফ ছাড়া তাজা ইলিশ নিয়ে আসছেন আড়তগুলোতে। আবার কিছু ইলিশ নোয়াখালীর হাতিয়া এলাকা থেকে মিনি ট্রাকে সড়ক পথে আসছে ঘাটে।
আড়তগুলো ঘুরে একাধিক খুচরা ইলিশ বিক্রেতার সঙ্গে দাম নিয়ে কথা হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিকেজি খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকা। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ থেকে থেকে ২ হাজার টাকা। ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০টাকায়। আর ছোট সাইজের অর্থাৎ ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকা কেজি।
শহরতলীর আশিকাটি থেকে আসা সোলাইমান বলেন, গত এক সপ্তাহ আগেও ইলিশের দাম আরও কম ছিল। ইলিশ ধরা বন্ধ হওয়ার কারণে ছোট-বড় প্রতিকেজি ইলিশের দামে বেড়েছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। কেনার ইচ্ছা থাকলেও দাম বেশি হওয়ার কারণে কিনতে পারছি না।
ঢাকা থেকে বেড়াতে এসে ঘাটে ইলিশ মাছ কিনতে এসেছেন কলেজ শিক্ষিকা নাজনীন। তিনি বলেন, “আড়তগুলো ঘুরে দেখছি। দাম অনেক চড়া।”
জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলা থেকে ইলিশ কিনতে আসা মানিক, মন্টু ও সোহরাব জানান, বরফ দেওয়া ইলিশের দামও রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এক কেজি ওজনের ইলিশের খুচরা দাম ৩ হাজার টাকা। এক সপ্তাহ আগেও এই ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায়। একদম জাটকা সাইজের ইলিশ প্রতিকেজি ৮০০ থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অসম্ভব দাম বেড়েছে ইলিশের।
মেসার্স কালু ভুঁইয়া আড়তের ম্যানেজার ওমর ফারুক বলেন, “ইলিশের দাম এখন সর্বোচ্চ। এর কারণ হচ্ছে সামনে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। মাছঘাটে সরবরাহের চাইতে খুচরা ক্রেতার সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খুচরা বিক্রেতার ভিড় থাকে। তাছাড়া আজ ছুটির দিনে অনেক ট্রুরিস্টও মাছঘাট সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু ট্যুরিস্ট পার্কে এসেছেন।”
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সম্পাদক শবেবরাত সরকার বলেন, “১২ অক্টোবর দিবাগত মধ্যরাত থেকেই ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা। ২২ দিন ইলিশ বিক্রি বন্ধ থাকবে। শেষ মুহূর্তে ইলিশ কিনতে লোকজন ঘাটে আসছেন। দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা থেকে চাঁদপুরের এ ঘাটে ইলিশের সরবরাহ কম হওয়ায় ইলিশ এখন সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে- যা আগে কেউ দেখেনি।”
ঘাটের প্রবীণ ব্যবসায়ী আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম, মোস্তফা খান, দীদার খানসহ সবাই জানান, ইলিশ মাছের এত দাম গত ৫০ বছরেও কখনো দেখিনি।
বিকালে শহরের ব্যস্ততম বাজার- বিপনীবাগ বাজার, ওয়ারলেস বাজার, প্রসিদ্ধ পালের বাজার, নতুনবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে। বাজারে মাছের সরবরাহ প্রচুর থাকলেও দাম সাধারণের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারি সারওয়ার হোসেনসহ অনেককে অসহায়ভাবে ইলিশের দিকে তাকিয়ে দাম বেশি হওয়ায় ফিরে যেতে দেখা গেছে। তার বলছেন, ইলিশ মাছ টুকরা করে বিক্রি করলেও কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে। এক ইলিশের টাকা দিয়ে ৪ কেজি গরুর গোশত কেনা যায়।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, “ইলিশ সামুদ্রিক মাছ। ডিম ছাড়ার জন্য এই সময়টাতে পদ্মা–মেঘনার মিঠাপানিতে ছুটে আসে ইলিশ। যে কারণে সরকার আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা, বহন ও বিক্রি বা স্টক করা নিষিদ্ধ করেছে। মা ইলিশ রক্ষায় ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।”
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
লাগামহীন হয়ে উঠেছে মুরগির বাজার
লাগামহীন হয়ে উঠেছে মুরগির বাজার। একদিনের ব্যবধানে জাত ভেদে কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে মুরগির দাম। তবে চড়া দামে বিক্রি হওয়া ইলিশের কেজিতে কমেছে ৩০০-৪০০ টাকা। আর কেজিতে ১০-২০ টাকা কমেছে সবজির দাম।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এমনটা জানা গেছে।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২১০ টাকা। দাম বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।
মাছের বাজারে গেলে দেখা যায়, ইলিশ কেজিতে ৩০০-৪০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ টাকায়। গতকাল যা বিক্রি হয়েছে ২০০০-২১০০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ বাড়ায় মাছের দাম কিছুটা কমেছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, গতকাল বরবটির কেজি ছিল ১৪০ টাকা, যা আজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। ৮০ টাকার পটল ৭০ টাকা, ১২০ টাকার করোলা ১২০ টাকা নেয়া হচ্ছে।
এদিকে, ২৬০ থেকে ২০টাকা কমে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। ১০০ টাকার শসা পাওয়া যাচ্ছে ৮০ টাকায়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
কর অব্যাহতি পেলো গ্রামীণ ব্যাংক ও আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন
আয়কর রিটার্ন দাখিলের শর্তে প্রায় চার বছর পর ফের কর অব্যাহতি সুবিধা ফিরে পেয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক। একই সুবিধা পেয়েছে অলাভজনক ধর্মীয় দাতব্য সংস্থা আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। উভয় প্রতিষ্ঠান ২০২৯ পর্যন্ত এ সুবিধা গ্রহণ করবে।
গত বৃহস্পতিবার গ্রামীণ ব্যাংককে কর অব্যাহতি সুবিধা দিয়ে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এটি ২০২৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতি বছর দিতে হবে আয়কর রিটার্ন। প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
গেজেট আকারে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২৩ সালের আয়কর আইনের ৭৬-এর উপধারা (৫) এবং (৬)-এর বিধানাবলি পরিপালন সাপেক্ষে গ্রামীণ ব্যাংকের অর্জিত সব আয়কে আয়কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে।
জানা যায়, ১৯৮৩ সালে সামরিক অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সব সময়ই কর অব্যাহতি সুবিধা পেয়ে আসছিল গ্রামীণ ব্যাংক। সুযোগটি প্রতিষ্ঠানটি পেয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশের ৩৩ ধারার আওতায়। ২০১৩ সালে অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করা হলেও ওই ধারা অব্যাহত রয়েছে। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই সুবিধা বন্ধ করে দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
অন্যদিকে, ২০২৯ সালের জুন পর্যন্ত দানকৃত আয় থেকে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে অলাভজনক ধর্মীয় দাতব্য সংস্থা আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আলাদা গেজেট প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। সেখানে বলা হয়েছে, কর দিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিলসহ যাবতীয় নিয়ম পরিপালন করে তবেই এ সুবিধা পাওয়া যাবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাখরাবাদ পাইপলাইন প্রকল্প পরিদর্শনে জ্বালানি উপদেষ্টা
বাখরাবাদ-মেঘনাঘাট-হরিপুর ৪২ প্রকল্পের মেঘনাঘাট এলাকায় গ্যাস পাইপলাইন স্থাপন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে পরিদর্শন করেন তিনি।
এদিকে জিটিসিএলের (গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড) সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের জুনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩০৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া হবে ৫১২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। বাকি ৭৯২ কোটি ৩ লাখ টাকার জোগান দেওয়া হবে সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে।
মূলত দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাট এবং হরিপুর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও আড়াইহাজার এলাকার বিদ্যুৎকেন্দ্র, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহে এ সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এমআই