জাতীয়
এবার আছাদুজ্জামান মিয়ার সম্পদের খোঁজে দুদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান টিম ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের ১০ জনের নামে-বেনামে হাজার-হাজার কোটি টাকার সম্পদের খোঁজে ৩০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
চিঠিতে মো. অছাদুজ্জামান মিয়া, তার স্ত্রী আফরোজা আমান, ছেলে আসিফ শাহাদাৎ, মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা ও আসিফ মাহদিন, শ্যালক হারিচুর রহমান, আত্মীয় শাহা ইসলাম, মো. নূরুল ইসলাম লিটন, মো. ইব্রাহীম শেখ ও তাসনীম আল হকের নামে যাবতীয় হিসাবের নথিপত্র তলব করা হয়েছে।
দুদক থেকে যেসব নথিপত্র চাওয়া হয়েছে তা হলো- তাদের মালিকানা প্রতিষ্ঠানের নামে এফডিআর, ঋণ, বিনিয়োগ, ডিপিএস কিংবা কোনো প্রকার লেনদেন থাকে তাহলে তার হিসাব, হিসাব খোলার ফর্ম, কে ওয়াই সি ফর্ম, টি পি. এবং হিসাব খোলার শুরু হতে অদ্যাবধি সময়ের হিসাব বিবরণী এবং জমা ও উত্তোলন সংক্রান্ত যাবতীয় ইনস্ট্রুমেন্ট যেমন- চেক, পে-অর্ডার, জমা স্লিপ, ক্লিয়ারিং ইত্যাদি।
ঋণ হিসাব সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য যেমন- জামানত এবং ঋণ পরিশোধের তথ্য এবং হিসাব বিবরণী এবং বিনিয়োগ কিংবা যেকোনো প্রকার লেনদেন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যাদিসহ অন্যান্য রেকর্ডপত্র।
দুদক জানায়, গত ২৭ জুন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের দাবি জানিয়ে দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। ওই আবেদনসহ আরও বেশকিছু অভিযোগ জমা হয় দুদকে। যা যাচাই-বাছাই করে গত ১৮ আগস্ট অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরই উপপরিচালক হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে একটি টিমকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকা থেকে সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আছাদুজ্জামান নিজ নামে, স্ত্রী আফরোজা জামান ও তিন সন্তান আসিফ শাহাদাত, আয়েশা সিদ্দিকা, আসিফ মাহাদীন এবং শ্যালক-শ্যালিকা, ভাগনেসহ আরও অনেকের নামে-বেনামে হাজার-হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন।
সাবেক এ পুলিশ কর্মকর্তা পরিবারের অঢেল সম্পদের মধ্যে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ভাঙ্গা হাইওয়ের পাশে এবং রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকাসহ আফতাবনগর, মোহাম্মদপুর, জোয়ার সাহারা, সাভার ও পূর্বাচলে জমি, প্লট ও বাড়ির ছড়াছড়ি।
সম্পদের মধ্যে আছাদুজ্জামান মিয়ার নামে সাড়ে ৭ কাঠা, আফতাবনগরে ৬ কাঠা, পুলিশ হাউজিংয়ে ৬ দশমিক ৯ কাঠা, পূর্বাচল ১৪ নম্বর সেক্টরে ৩ কাঠা, পূর্বাচল ৮ নম্বর সেক্টরের ১০৮ নম্বর রোডে ৫ কাঠা ও সাভারে ২ হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে।
এছাড়া আছাদুজ্জামানের নামে রয়েছে ৩২২ শতাংশ জমি, ৬৮ ও ২১৫ শতাংশ জমি, ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ৮ শতাংশ জমি আছে। এছাড়া ফরিদপুরের গ্রামে আছে বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি।
তার বড় ছেলে আসিফ শাহাদাতের বয়স ৩৫ বছর। যিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকার বয়স ৩১ বছর। ২১ বছর বয়সী ছোট ছেলে আসিফ মাহাদীন আমেরিকায় পড়াশুনা করেন। এই তিন ভাই-বোন এই অল্প বয়সেই শতকোটি টাকার সম্পদ-সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।
স্ত্রী আফরোজা জামানের নামে রয়েছে আবাসিক এলাকায় ১০ কাঠা জমির ওপর ছয়তলা বিশিষ্ট আলিশান বিশাল বাড়ি, যার বাজার মূল্য ৫০ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া তার নামে রাজধানীর ১৩/এ, ইস্কাটন গার্ডেন ও ধানমন্ডির ১২/এ সড়কের ৬৯ নম্বর বাড়িতে (বি/২/৫) ফ্ল্যাট আছে।
অভিজাত ধানমন্ডি-১২/এ-তে, ইস্কাটনে আছাদুজ্জামানের স্ত্রী আফরোজা জামানের নামে ফ্ল্যাট রয়েছে। পূর্বাচলে ১০ কাঠা প্লট, মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় প্লট রয়েছে তার।
আছাদুজ্জামানের স্ত্রী আফরোজা জামান পুরোদস্তুর গৃহিনী। তার নিজস্ব কোনো আয়ের সংস্থান নেই। তবে সম্পদে পিছিয়ে নেই। রাজধানীর অভিজাত এলাকায় একাধিক দামি ফ্ল্যাট, প্লট, ৫০ কোটি টাকা দামের আলিশান বাড়ি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জে ও নারায়ণগঞ্জে কোটি-কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে তার নামে।
আফেরোজার নামে রাজধানীর ধানমন্ডির ১২/এ-তে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট আছে। আরেক দামি এলাকা ইস্কাটনেও ফ্ল্যাট আছে তার। অপর একটি আবাসিক এলাকায় ১০ কাঠা জমির ওপর ৬ তলাবিশিষ্ট বিশাল বাড়িও রয়েছে।
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার চাঁদখোলা মৌজায় আফরোজা জামানের নামে ৪১ শতাংশ জমি রয়েছে। একই মৌজায় তার নামে রয়েছে আরও ২৬ শতাংশ জমি। একই মৌজায় তার নামে ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কেনা হয় আরও ৩৯ শতাংশ জমি। এছাড়া জোয়ার সাহারা মৌজায় ৫ কাঠা জমি, একই মৌজায় আরও ১০ কাঠা জমি, একই মৌজায় আরও ৩৯ শতক জমি রয়েছে তার। এছাড়াও আফরোজা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কৈয়ামসাইর-কায়েতপাড়া মৌজায় দশমিক ২৮ একর, একই মৌজায় আরও ৩২ শতক জমির মালিক।
ঢাকার বাইরে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে আফরোজা জামানের যে বিপুল পরিমাণ জমি কেবল সেগুলোর বর্তমান বাজারমূল্যই শত-শত কোটি টাকা। অথচ, তার মতো একজন গৃহিনীর পক্ষে এত জমি কেনা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
এছাড়া শেপিয়ার্ড কনসোর্টিয়াম লিমিটেড নামের আরেকটি কোম্পানির চেয়ারম্যান আফরোজা জামান। অথচ তিনি একজন আগাগোড়া গৃহবধূ, যার কোনো নিজস্ব পেশা ছিল না। এই কোম্পানির পরিচালক আছাদুজ্জামানের বড় ছেলে আসিফ শাহাদাত।
মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকার নামে রাজধানীর ৫৬/৫৭, সিদ্ধেশ্বরী রোডে রূপায়ণ স্বপ্ন নিলয় ৩ নম্বর বিল্ডিংয়ে ৪ হাজার বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাট আছে। এছাড়া তার নামে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় প্লট আছে। ২০২১ সালে বিপুল পরিমাণ কালোটাকা সাদাও করেছেন তিনি, যখন তার বয়স ছিল মাত্র ২৮ বছর।
ছোট ছেলে আসিফ মাহাদিনের নামে নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার ৮/এ রোডের ৬ নম্বর ট্রিপ্লেক্স বৈশিষ্ট্যের বাড়িটি তার নামে। এটির বাজারমূল্য ১০ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া আফতাবনগরেও তার নামে ৫ কাঠা প্লট আছে।
এছাড়া আছাদুজ্জামান মিয়া গাজীপুরের শ্রীপুরে দেড় একর জমির মালিক। ভাগ্নে ইব্রাহিম শেখ ওরফে কলম ও শ্যালক নূর আলম ওরফে মিলনের নামে কেনা হলেও তারা কার্যত বেকার অর্থাৎ তাদের কোনো আয় নেই।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, আছাদুজ্জামানের শ্যালক-শ্যালিকার নামেও সম্পত্তির ছড়াছড়ি। তাদের নামেও কোটি কোটি টাকার জমি রয়েছে। শ্যালিকা ফাতেমাতুজ্জোহরার নামে ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট, খুলনায় বাড়ি এবং মোহাম্মদপুরে একাধিক জমি রয়েছে। পরিবহন ব্যবসাও রয়েছে তার।
এমআই

জাতীয়
চার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাত ৯টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে উপস্থিত আছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী; বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ; জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম মেম্বার অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান।
বৈঠকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সোমবার রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে, আহত হয়েছেন ১৬৫ জন। আহতদের অনেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাকে কেন্দ্র মঙ্গলবার দিনভর বিক্ষোভ করে মাইলস্টোন ও আশপাশের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার এবং প্রেস সচিব শফিকুল আলম। প্রায় ৯ ঘণ্টা সেখানে তারা অবরুদ্ধ থাকেন।
অন্যদিকে মাইলস্টোন এবং এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে সচিবালয়ে। সেখানে শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ে গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের সচিবালয় থেকে বের করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র গুলিস্তান ও সচিবালয় এলাকায় আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্য অনেককে এই সংঘাতে অংশ নিতে দেখা যায়।
কাফি
জাতীয়
বিমান বিধ্বস্ত নিয়ে গোপন করার মতো কিছু নেই: বিমানবাহিনী প্রধান

মাইলস্টোন কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন গুজবে কান না দিতে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। তিনি বলেন, তথ্য লুকানোর বা গোপন করার মতো কিছুই নেই। কার কাছে গোপন করব? কী গোপন করব?
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুর্ঘটনায় নিহত পাইলটের জানাজার পর সংবাদকর্মীদের সঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
বিমান বাহিনী প্রধান বলেন, একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তদন্ত করে বের করবে কী ঘটেছিল। তার ভিত্তিতে কোনো ভুলত্রুটি থাকলে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।
হাসান মাহমুদ খাঁন বলেন, পাইলট সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন বিমানটিকে একটি খালি জায়গায় নামানোর জন্য এবং তিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছেন।
বিমান প্রধান বলেন, দয়া করে দেশের এই বিপদের সময় সামাজিক মাধ্যমের গুজবে কান দেবেন না। একটি শক্তিশালী বিমানবাহিনী স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য অপরিহার্য। দয়া করে গুজব ছড়িয়ে দেশের সার্বভৌমত্বের এই স্তম্ভকে দুর্বল করে দেবেন না।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে অশান্তি বিরাজ করছে, এটা দুঃখজনক। এখানে লুকানোর বা গোপন করার কিছুই নেই। কার কাছে গোপন করব। কী গোপন করব। দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনাই।
এক প্রশ্নের জবাবে বিমান প্রধান বলেন, বিমান রক্ষণাবেক্ষণে বিমানবাহিনী কোনো আপস করে না।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আমরা দৈনন্দিন ব্যবস্থা নিই। তবে আমরা অবশ্যই এই দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নেব। বিমান সাধারণত সহজে পুরোনো হয় না। প্রতিটি বিমানের একটি লাইফ টাইম আছে। এক যুগ, দুই যুগ ব্যাপার না। বিষয় হলো রক্ষণাবেক্ষণ। আমাদের রক্ষণাবেক্ষণ সব সময় ভালো হয়। এগুলো আমরা ভালোভাবেই মেরামত করি।
হাসান মাহমুদ খাঁন আরও বলেন, প্রযুক্তি হয়তো পুরোনো হতে পারে, কিন্তু এই বিমানগুলো পুরোনো নয়।
কাফি
জাতীয়
সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ, আহত ৯১

এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি রাত ৩টায় পরিবর্তনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সচিবালয়ের সামনে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৯১ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনকে ভর্তি করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তারা হলেন, নাফিসা (১৬) ও সামির (১৯)।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেল পৌনে ৫টার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়।
আহতরা হলেন— হাসান (১৮), সেরাতুল (২২), সাকিব (১৯), তানভীর (১৯), রিফাত (১৯), রিজন (২০), সামিয়া (১৮), তামিম (১৯), ইমন (২০), সিয়াম (১৮), সাকিল (২০), মেহেদী (২০), সাদমান (১৮), মারুফ (২২), মাহিন (১৯), রোহান (২০), মুগ্ধ (১৯), মাহিম (২০), সায়েম (১৮), জিদান (২০), নিহার (২০), রায়হান (২০), রোমান (১৮), প্রান্ত (১৯), নাহিদ (২০), অন্তু (২০), বিশাল (২০), ইমরান (২০), আহনাদ (১৮), মাহি (২০), নাঈম (১৮), সামি (১৮), স্বাধীন (২০), তাসিন (১৮), ধ্রুব (১৯), শান্ত (২০), তানিম (২০), আজহারুল (২০), তন্ময় (১৯), জিসান (১৯), রাসেকুন (২০), পারভেজ (২০), বিজয় (১৭), আসাদ (২০), নাফিজ (১৮), সাহিন (২০), কিশোর (১৮), ফারদিন (১৯), শাহরিয়ার (২০), সাঞ্জু (১৯), রাইয়ান (১৯), কনা (২১), আব্দুল খালেক (৬৫), সিনান (১৮), তাসফি (২২), মামুন (২০), আসাদ (২১), আতিক (১৮), হাবিব হাসান (সাংবাদিক মানবজমিন), রাশেদ (১৮), আরাফাত (২০), আলামিন (২০), ফয়সাল (১৭), ফাহাদ (১৮), ইয়াসিন আরাফাত শান্ত (২০), শাকিল (২০) এবং বেশ কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় শিক্ষার্থী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক। তিনি জানান, আজ বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষে আহত হয়ে আনুমানিক ৯০ জন শিক্ষার্থী এবং একজন সাংবাদিককে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনকে ভর্তি করা হয়েছে।
কাফি
জাতীয়
ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৪৪

সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এসময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১২৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫১ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৬৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৪০ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৮১ জন, খুলনা বিভাগে ৩৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৯ জন, রংপুর বিভাগে ৫ জন ও সিলেট বিভাগে ২ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪০২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৬ হাজার ৬২৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ১৮ হাজার ২৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মারো গেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় ও হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
কাফি
জাতীয়
সচিবালয়ে ঢুকে গাড়ি ভাঙচুর, লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ শিক্ষার্থীরা

বিভিন্ন দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়া শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসময় তাদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
তারা অন্তত ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের এক নম্বর গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা গাড়ি ভাঙচুর চালালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ঘটে।
শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ে ঢুকে ১০টির মতো গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপর পুলিশ ও সেনাবাহিনী শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু হাজার হাজার শিক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে পড়ে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
কাফি