জাতীয়
সংবিধান সংস্কারসহ ৬ কমিশন গঠনের ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার

সংবিধান সংস্কারসহ ছয়টি ক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ছয়টি কমিশন গঠনের কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এসব কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে শেষ করবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে সাংবিধানিক এ সংস্কারের কথা বলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন তিনি।
সাংবিধানিক সংস্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ছয়টি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এসব কমিশনের কাজ পরিচালনার জন্য বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিককে এই কমিশন পরিচালিনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এরপর আরও বিভিন্ন বিষয়ে কমিশন গঠন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হবে।
সুষ্ঠু নির্বাচনে সাংবিধানিক সংস্কারের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা মনে করি নির্বাচনের নামে সংখ্যাগরিষ্ঠতার একাধিপত্য ও দুঃশাসন মানুষের ওপর চাপিয়ে দেয়া বা এর মাধ্যমে এক ব্যক্তি বা পরিবার বা কোনো গোষ্ঠীর কাছে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। এসব আশঙ্কা রোধ করার জন্য নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত নির্বাচন কমিশনসহ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের কথা আমরা ভাবছি। নির্বাচনব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রশাসন, বিচার প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন এই চারটি প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য। এসব প্রতিষ্ঠানের সংস্কার জনমালিকানা-ভিত্তিক, জবাবদিহিমূলক ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায়ও অবদান রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
ছয়টি কমিশনের প্রধানদের নাম উল্লেখ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে কাজ করবেন সরফরাজ চৌধুরী, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিক দায়িত্ব পালন করবেন।
এসব কমিশনের অন্য সদস্যদের নাম কমিশন প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কমিশনগুলোর আলোচনা ও পরামর্শসভায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ছাত্র, শ্রমিক, জনতা আন্দোলনের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন।
পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হওয়ার পর কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী ১ অক্টোবর কাজ শুরু করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এটি পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আমরা ধারণা করছি। কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকার পরবর্তী পর্যায়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শসভার আয়োজন করবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে ছাত্র সমাজ, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে ব্যাপকভিত্তিক তিন থেকে সাত দিনব্যাপী একটি পরামর্শসভার ভিত্তিতে সংস্কার ভাবনার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে। এতে এই রূপরেখা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তার একটি ধারণাও দেয়া হবে।’
এই আয়োজন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বার্তা বাস্তবায়ন এবং রাষ্ট্র পুনর্নির্মাণ তাগিদের ঐক্যবন্ধনে গোটা জাতিকে শক্তিশালী ও আশাবাদী করে তুলবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
এমআই

জাতীয়
নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
১৩ সেপ্টেম্বর (শনিবার) এক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা এ অভিনন্দন জানান বলে তার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছেন।
আবুল কালাম বলেন, অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা নেপালের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন হিসেবে সুশীলা কার্কির দায়িত্ব নেওয়ার প্রশংসা করেন। মুহাম্মদ ইউনূস আশা প্রকাশ করেন, নতুন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নেপাল শান্তি, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার পথে অগ্রসর হবে।
প্রধান উপদেষ্টা তার বার্তায় দুই দেশের গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রত্যাশা জানান। পাশাপাশি সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রাণহানির ঘটনায় নেপালের জনগণের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
চিঠির শেষে প্রধান উপদেষ্টা নেপালের জনগণের শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও সফলতা কামনা করেন।
জাতীয়
পুলিশের সাবেক ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম গ্রেপ্তার

পুলিশের সাবেক ডিআইজি ও মেহেরপুরের সাবেক পুলিশ সুপার এ কে এম নাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি প্রধান ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তীতে নাহিদুল ইসলামকে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে, গত ২৮ জুলাই একেএম নাহিদুল ইসলামকে বাধ্যতামূলত অবসরে পাঠানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, জনস্বার্থে তাকে সরকারি চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো। বিধি অনুযায়ী তিনি অবসর সুবিধা পাবেন।
এ কে এম নাহিদুল ইসলাম ২০২৩ সালের ১১ জুলাইয়ে পদোন্নতি পেয়ে ডিআইজি হন। তখন তিনি সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ছিলেন। পদোন্নতির পর তাকে সিআইডিতে রাখা হয়। গত ১লা সেপ্টেম্বর নাহিদুল ইসলামকে সিআইডি থেকে সরিয়ে পুলিশ টেলিকমে সংযুক্ত করা হয়। তিনি একসময় খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন অ্যান্ড ক্রাইম) ছিলেন।
জাতীয়
বছরের প্রথম ৭ মাসে হামলার শিকার ৩৬৮ পুলিশ

২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য, প্রকাশ্যে বীভৎস হত্যাকাণ্ড বেড়েছে। এ ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় মূল ভূমিকায় থাকা পুলিশ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৩৬৮টি।
পুলিশের হিসাব মতে, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে বিভিন্ন অপরাধে সারা দেশে মামলা হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৭৮৩টি। এ ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় মূল ভূমিকায় থাকা পুলিশ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৩৬৮টি। আগস্ট মাসে অন্তত ৩৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। জুলাই মাসে এর সংখ্যা ছিল ৫১টি। গণপিটুনিতে আগস্টে ২৩ জন নিহত ও ৪৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। জুলাই মাসে এমন ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ১৬ জন। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরাধ মোকাবেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পুরোপুরি কঠোর ও আরো সক্রিয়তা জরুরি। এদিকে উদ্ধার না হওয়া অস্ত্রগুলো বড় ধরনের নিরাপত্তাঝুঁকি তৈরি করছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের সাত মাসে সারা দেশে খুনের মামলা হয়েছে ২ হাজার ২৯৩টি। নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা হয়েছে ১৩ হাজার ১৩০টি, অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ৬২৫টি, ছিনতাই-চুরির ঘটনা ঘটেছে ৫ হাজার ৩৮৭টি। এ ছাড়া সারা দেশে ডাকাতি, দস্যুতা, দাঙ্গা, সিঁধেল চুরিসহ অন্যান্য ঘটনায় অসংখ্য মামলা হয়েছে। ২০২৪ সালে সারা দেশে বিভিন্ন অপরাধে মামলা হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫টি। খুনের মামলা ৩ হাজার ৪৩২টি, নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা ১৭ হাজার ৫৭১টি, অপহরণ ৬৪২টি, পুলিশ হামলা ও লাঞ্ছিতের মামলা ৬৪৩টি, চুরি ৮ হাজার ৬৫৫টি।
মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) তথ্য মতে, দেশে গণপিটুনিতে হত্যার সংখ্যা বেড়েছে।
আগস্ট মাসে অন্তত ৩৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। জুলাই মাসে এর সংখ্যা ছিল ৫১টি। গণপিটুনিতে আগস্টে ২৩ জন নিহত ও ৪৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। জুলাই মাসে এমন ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ১৬ জন। গণপিটুনিতে নিহতের মধ্যে ১০ জনকে চুরির অভিযোগে, ৪ জনকে সন্দেহজনক চুরির অভিযোগে, ৩ জনকে ডাকাতির অভিযোগে, ১ নারীসহ ২ জনকে পূর্বশত্রুতার জেরে, ১ জন মাদক মামলার অভিযুক্ত, ২ জনকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে ও ১ জনকে চাঁদাবাজির অভিযোগে হত্যা করা হয়।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে ৩৪৯টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এ মাসে ধর্ষণের ঘটনা ৪৭টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৯টি, ধর্ষণ ও হত্যা ৪টি। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৯ জন প্রতিবন্ধী কিশোর ও নারী। ধর্ষণের শিকার ৪৭ জনের মধ্যে ১১ জন শিশু, ১৭ জন কিশোরী রয়েছে। অন্যদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬ জন কিশোরী ও ৯ জন নারী এবং ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছেন ২ জন শিশু ও ১ জন কিশোরী। ধর্ষণের চেষ্টা ২৪টি, যৌন হয়রানি ২১টি, শারীরিক নির্যাতনের ৯৪টি ঘটনা ঘটেছে। আগস্ট মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার ৪৯টি ঘটনায় শিকার হয়েছেন ৫৪৯ জন। তাদের মধ্যে দুজন নিহত এবং ৫৪৭ জন আহত হয়েছেন।
সহিংসতার ৪৯টি ঘটনার মধ্যে ১১টি ঘটনায় রাজনৈতিক বিরোধ এবং সহিংসতাকে কেন্দ্র করে পার্টি অফিস, বসতবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও অগ্নিকাণ্ড এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এমএসএফ আরো জানায়, সহিংসতার ৩৮টি ঘটনার মধ্যে বিএনপি’র অন্তর্দ্বন্দ্বে ২৩টি, বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে ৫টি, এনসিপি-আওয়ামী লীগ দ্বন্দ্বে ২টি, বিএনপি-এনসিপি দ্বন্দ্বে ১টি, বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে ২টি, আওয়ামী লীগ-জামায়াত সংঘর্ষে ১টি, আওয়ামী লীগ-গণপরিষদ ১টি, জাতীয় পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদের সংঘর্ষের ২টি, গণ অধিকার পরিষদ-পুলিশের ১টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এসব বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘বর্তমান সময়ে সব ধরনের অপরাধগুলো অনেক বেড়েছে। দেশে একটি চক্রই তৈরি হয়েছে যারা অপরাধটি তার আয়-উপার্জনের উৎস মনে করছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে অপরাধ দমাতে আরো কঠোর হতে হবে।’
জাতীয়
আজ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

বিতরণ লাইন মেরামত ও ট্রান্সফরমারের জরুরি সংস্কারকাজের জন্য সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় আজ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ ও বিভাগ-২ কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা সিলেট নগরীর ৩৩/১১ কেভি শেখঘাট উপকেন্দ্রের বিকল্প সোর্স লাইনের নির্মাণকাজ চলবে। ফলে এ সময়ে ৩৩/১১ কেভি লাক্কাতুরা ও আম্বরখানা উপকেন্দ্রের সব ১১ কেভি ফিডারের আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এই সময়ে লাক্কাতুরা উপকেন্দ্রের আওতাধীন এয়ারপোর্ট থানা, কাকুয়ারপাড়, বঙ্গবাজার, লাক্কাতুরা বাজার, বাইশটিলা, ওসমানী বিমানবন্দর এক্সপ্রেস, ধোপাগুল, বনশ্রী, বাদামবাগিচা (আংশিক), মুসলিমপাড়া, মালনীছড়া, বাঁশবাড়ি গলির মুখ, আঙ্গুরমিয়ার গলির মুখ, রূপসা আবাসিক এলাকা, খাসদবীর প্রাইমারি স্কুল, ইসরাইল মিয়া গলি, আবাদানি, বড়শালা বাজার মসজিদের পাশে আংশিক এলাকা, দারুস সালাম মাদরাসা রোড, পর্যটন, ফরিদাবাদ, সিলভার সিটি, কেওয়াছড়া, হিলুয়াছড়া চা-বাগান, মহালদিক, উমদারপাঙা, সাহেবের বাজার, কালাগুল, লালবাগ, পীরেরগাঁও, আলাইবহর, লিলাপাঙা, দাপনাটিলা, ছালিয়া, রঙ্গিটিলা, সালুটিকর ঘাট ও সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এছাড়াও উল্লেখিত সময়ে আম্বরখানা উপকেন্দ্রের আওতাধীন রায়হোসেন গলি, ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোড, মজুমদারী, সৈয়দমুগনী, চৌকিদেখী (উত্তর পাশ), বাদামবাগিচা, লেচুবাগান, পীরমহল্লা (পূর্ব ও পশ্চিম), হাউজিং এস্টেট, জালালাবাদ আবাসিক এলাকা, আম্বরখানা, ঘূর্ণি আবাসিক এলাকা, দরগামহল্লা, গৌর গোবিন্দ টিলা, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, পুরানলেন, জল্লারপাড়, স্টেডিয়াম মার্কেট, মিয়া ফাজিলচিন্ত, সুবিদবাজার, বনকলাপাড়া, কলবাখানী, চাষনীপীর মাজার রোড, গোয়াইপাড়া, কাহের মিয়ার গলি, মক্তবগলি, শাহী ঈদগাহ, হাজারীবাগ, টিবিগেট, উচাসড়ক, কাজিটুলা, মিরবক্সটুলা, তাতিপাঙা ও সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে।
অন্যদিকে শনিবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নিয়ন্ত্রণাধীন ফিডারের আওতাধীন নগরীর কাজিটুলা, মানিকপীর মাজার রোড, নয়াসড়ক, বারুদখানা, জেলরোড, হাওয়াপাড়া, চারাদিঘীরপাড় ও আশপাশ এলাকা ছাড়াও ওসমানি যাদুঘর, ধোপাদিঘীর উত্তরপার, কাজী জালাল উদ্দিন স্কুল, নাইওরপুল পয়েন্ট, অনাবিল, হোটেল অনুরাগ, শাহী ঈদগাহ, বালুচর, ঝরনারপাড়, কুমারপাড়া পয়েন্ট, শান্তিবাগ আবাসিক এলাকা, সোনার বাংলা আবাসিক এলাকা, নতুনবাজার, আল-ইসলাহ, আরামবাগ, বালুচর ছড়ারপাড়, ফোকাস ও সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। দীর্ঘ এই সময়ে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন মেরামত, ট্রান্সফরমার রক্ষণাবেক্ষণ ও রাইট অব ওয়ে বরাবর গাছপালা কর্তনের কাজ করা হবে।
সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে কাজ চলাকালে বিদ্যুৎ লাইনকে চালু অবস্থায় ধরা হবে এবং নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ শেষ হলে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে। গ্রাহকদের সাময়িক এ অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
জাতীয়
পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার আরও ১ হাজার ৮০৯

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত এক হাজার ২৮১ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ৫২৮ জন।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এএইচএম শাহাদাত হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত এক হাজার ২৮১ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ৫২৮ জন। সবমিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক হাজার ৮০৯ জনকে।
অভিযানিক কার্যক্রমে উদ্ধার করা হয় দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক একটি, ওয়ান শুটারগান একটি, দেশীয় পিস্তল একটি, গুলি ৪ রাউন্ড, বার্মিজ চাকু ৪টি এবং রাবার কার্তুজ একটি।