পুঁজিবাজার
আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের চাঁদা গ্রহণের সময় বাড়ছে না

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ২০০ কোটি টাকার মূলধন বাড়াতে চাঁদা উত্তোলনের সময় বৃদ্ধি চেয়ে করা আবেদন নাকোচ করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির ৯২০তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকগণের নিকট থেকে ২০০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহে সাবস্ক্রিপশনের সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়। যেখান প্রতি শেয়ারের মূল্য ছিল ২২ টাকা। তবে কোম্পানি কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আলোচ্য মূলধন উত্তোলন করতে ব্যর্থ হওয়ায় সময় বৃদ্ধির আবেদন নাকোচ করেছে বিএসইসি। একইসঙ্গে কমিশন কর্তৃক ইস্যুকৃত আগের সম্মতিপত্রটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজকে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের নামে ২০০ কোটি টাকার শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেয় বিএসইসি। সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলের ঋণ কমিয়ে উৎপাদনে ফেরাতে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোক্তাকে শেয়ার ছেড়ে টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে কোম্পানটির তৎকালীন শেয়ার মূল্য ছিল ৪৩ টাকা ৪০ পয়সা। এই শেয়ার থেকে ৪০ শতাংশ ছাড়ে উদ্যোক্তারা ২২ টাকা দরে নতুন শেয়ার ইস্যু করে বাজার থেকে ২০০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন পায়। ছয় মাসের ওয়েটেড এভারেজের ভিত্তিতে শেয়ারের এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগের একই ইস্যুতে বিএসইসি আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজকে রূপান্তরযোগ্য বন্ড ছেড়ে বাজার থেকে ৩০০ কোটি টাকার উত্তোলনের অনুমতি দেয়। কিন্তু বন্ডের সাবস্ক্রিপশনের আলোর মুখ দেখেনি বিনিয়োগকারীরা।
এমআই

পুঁজিবাজার
ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ১ শতাংশ

বিদায়ী সপ্তাহে (০৭ সেপ্টেম্বর -১১ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ১ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.৭৩ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১০.৬১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০.১২ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ কমেছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স

বিদায়ী সপ্তাহে (০৭ সেপ্টেম্বর-১১ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। সপ্তাহজুড়ে ট্রাস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ১৮ টাকা ৪০ পয়সা বা ২০.৬৩ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহের পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইউনিয়ন ব্যাংক। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ৩০ পয়সা বা ১৩.০৪ শতাংশ। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে ১২.৫৮ শতাংশ পতন নিয়ে অবস্থান করছে ইনটেক অনলাইন। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা।
এছাড়া, সাপ্তাহিক পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১০.৯৭ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১০.৮৮ শতাংশ, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৯.৮৮ শতাংশ, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৯.৮৫ শতাংশ, সোনালী পেপারের ৯.৩১ শতাংশ, বিডিকম অনলাইনের ৯.০১ শতাংশ এবং চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৮.৯৫ শতাংশ দর কমেছে।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড

বিদায়ী সপ্তাহে (০৭ সেপ্টেম্বর-১১ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড। সপ্তাহের ব্যবধানে সিএপিএমবিডিবিএল মিচুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে ২৪.০৪ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর বেড়েছে ৪০ পয়সা বা ২০.৮৩ শতাংশ। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে ২০.৫৬ শতাংশ দর বৃদ্ধি নিয়ে অবস্থান করছে এসআলম কোল্ড রোল্ড। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩ টাকা ৭০ পয়সা।
এছাড়া, সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে অলটেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজের ১৮.৮০ শতাংশ, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের ১৬.৬৮ শতাংশ, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৫.৭৭ শতাংশ, সিএপিএমআইবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের ১৪.১২ শতাংশ, ফনিক্স ফাইন্যান্সের ১২.৯০ শতাংশ, বিডি ফাইন্যান্সের ১২.৬৩ শতাংশ এবং প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১২.২২ শতাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে রবি আজিয়াটা

বিদায়ী সপ্তাহে (০৭ সেপ্টেম্বর-১১ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকার শীর্ষে উঠেছে রবি আজিয়াটা। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ৫১ লাখ টাকার। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩.৮৭ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ব্যাগ ইন্ডাষ্ট্রিজ। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ৩৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.১৬ শতাংশ।
লেনদেনের তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির ৩৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৯২ শতাংশ।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের ২২ কোটি ২১ লাখ টাকা, ট্রাস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, সিটি ব্যাাংকের ১৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, ইজেনারেশনের ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা, ডমিনেজ স্টিলের ১৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা, লাভেলো আইমক্রীমের ১৬ কোটি ০৬ লাখ টাকা এবং রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেনেন্সের ১৬ কোটি ১৩ লাখ টাকার।
পুঁজিবাজার
ডিএসইর বাজার মূলধন কমলো ৩ হাজার ১৮০ কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (০৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার ১৮০ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সমাপ্ত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৪ হাজার ৬১২ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার ১৮০ কোটি টাকা বা ০ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
বিদায়ী সপ্তাহে কমেছে ডিএসইর সব কয়টি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯০ দশমিক ৫০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬১ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৩১ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ৩৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৭৪৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৬ হাজার ৪৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৭৪৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৪৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বা ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৪৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৯৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৪৩টি কোম্পানির, কমেছে ১২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম