ব্যাংক
ছাত্র আন্দোলনে হুমকিদাতা এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান অর্থ দিলেন সমন্বয়কদের!

আওয়ামী সরকারের পতনে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমালের পল্টি। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল। আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে ব্যাংকের অর্থ লুটপাটসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর নিজের অবস্থান টিকিয়ে রাখতে শিক্ষার্থীদের পক্ষে থাকার সুর করে আচরণের ভোল পাল্টেছেন তিনি। এনআরবিসি ব্যাংকের কোন কর্মকর্তা তৎকালীন কোটা সংস্কার আন্দোলনে শামিল হলে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়ে সতর্ক করেছিলেন। একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ সংক্রান্ত কোন পোস্ট শেয়ার ও মন্তব্য করলে, তাকে প্রশাসনিক হয়রানির হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। অথচ তৎকালীন সরকার পতনের পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অর্থ সহায়তা দিয়ে অতীত অপকর্মের ইতি টানতে মরিয়া পারভেজ তমাল। অর্থসংবাদের এক অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র বলছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার হয়ে কাজ করেছেন পারভেজ তমাল। এমনকি এনআরবিসি ব্যাংকের কোন কর্মকর্তা তৎকালীন কোটা সংস্কার আন্দোলনে শামিল হলে এবং এ সংক্রান্ত কোন মন্তব্য করলে তাকে প্রশাসনিক হয়রানির হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া কেউ যাতে আন্দোলনে শামিল হয়ে দেরি করে ব্যাংকে না ঢুকতে পারে এজন্য তদারকিও করা শুরু করেছিলেন। আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে তার নির্দেশে গত ১৭ জুলাই রাতে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা এনআরবিসি ব্যাংকের প্রত্যেক শাখা প্রধান বরাবর পাঠানো হয়। যার তথ্য প্রমাণ অর্থসংবাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।
ব্যাংকের ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ব্যাংকে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কোন সমাবেশে শামিল হওয়া বা সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোটা সংস্কার সংক্রান্ত কোন ধরনের কোন মন্তব্য, এই সংক্রান্ত কোন তথ্য শেয়ার করা বা পোস্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এই ব্যাপারে মানব সম্পদ বিভাগ হতে প্রেরিত সূত্রপত্র ‘চ’ ই-মেইলে উল্লেখিত নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হলো। এই আদেশের ব্যত্যয় হলে তার বিরুদ্ধে মানব সম্পদ বিভাগের নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ব্যাংক এবং ব্যাংকের আশেপাশে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যথাসময়ের মধ্যে কর্তব্য স্থানে যোগদান করার নির্দেশনাও দেওয়া হয় সেই চিঠিতে।
সূত্র জানায়, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল নিজের অবস্থান টিকিয়ে রাখতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ম্যানেজ করার পাঁয়তারার গুঞ্জন উঠেছে। যার প্রমাণ হিসেবে সম্প্রতি ৫০ লক্ষ টাকা অনুদানের চেক হস্তান্তরের অনুষ্ঠানের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে ছাত্রদের পক্ষে সুর তুলেন পারভেজ তমাল। পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের জন্য ব্যাংকের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) তহবিল থেকে ৫০ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। যার চেক হস্তান্তর করা হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসানত আবদুল্লাহর নিকট। সেই অনুদানের ছবি ঢালাওভাবে প্রচারের জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। ফলে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে পারভেজ তমাল আসলে কোন পক্ষের লোক? শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর কোন উদ্দেশ্য হাসিলে তিনি ভোল পাল্টাচ্ছেন? এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠাভাজন হয়েও হঠাৎ ছাত্রদের পক্ষে সুর তোলার কারণে সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ছাত্র-জনতার জন্য অনুদান দেওয়া অনুষ্ঠানে ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে যারা স্বপ্ন দেখেছে, তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এনআরবিসি ব্যাংক পাশে থাকবে। আহতদের চিকিৎসা ও অনুদানের পাশাপাশি ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে এনআরবিসি ব্যাংক। এছাড়া, আহত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ব্যবস্থা করবে। শহীদ পরিবারে কর্মক্ষম সদস্যদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা হবে। অথচ কিছুদিন আগেও শেখ হাসিনার সমর্থনে কথা বলছিলেন আওয়ামী ঘনিষ্ঠ ব্যাংক চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসানাত আবদুল্লাহর মুঠোফোনে অর্থসংবাদের অফিস থেকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। একাধিকবার তাঁর মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। একইসঙ্গে অপর সমন্বয়ক সারজিস আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পরিচিত মুখ সাইয়েদ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে লিখেন, ঝোঁপ বুঝে কোপ মেরে ছাত্রদের কাছে ইমেজ প্রতিষ্ঠিত করে ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসাবে টিকে থাকার রাস্তা ক্লিয়ার করার মিশনে আছে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং ব্যাংকে তার ঘনিষ্ঠজনরা। এসময় পারভেজ তমাল এবং তার ঘনিষ্ঠজনদের বিরুদ্ধে দুদক এবং সাংবাদিকদের জরুরি তদন্ত শুরু করতে অনুরোধ করেন তিনি।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সূত্র বলছে, হাসিনা সরকারের সাফাই গাইতে গিয়ে ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে বিভিন্ন অনুদান প্রদান করেছেন এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান। এসবের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর নামে শিক্ষাবৃত্তি, শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, কর্ম নিয়ে ‘প্ল্যানেট’ ম্যাগাজিনের বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ, বঙ্গবন্ধু যুবমেলায় এনআরবিসির অনুদান, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে ব্যাংক থেকে কোটি টাকা প্রদান, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ঘিরে ব্যাংক থেকে বই ও ইফতার বিতরণ করেছেন। এছাড়া শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ব্যাংক থেকে কোটি টাকার অনুদানও দিয়েছিলেন তিনি।
জানা যায়, নিজেকে রাশিয়ান অলিগার্ক পরিচয় দেওয়া পারভেজ তমাল রাশিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ছিলেন। নিজের নাম আর পদবী ব্যবহার করে দেশ ছেড়ে পালানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সহায়তায় ঋণ জালিয়াতি, কমিশন বানিজ্য, নিয়োগ বানিজ্য, শেয়ার কারসাজি, মানিলন্ডারিং, বিদেশে অর্থ পাচার, গ্রাহকের কোম্পানী দখলসহ বিবিধ আর্থিক দুর্নীতিতে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে পারভেজ তমালের বিরুদ্ধে।
এর আগে নিয়মবহির্ভূতভাবে ঘনিষ্ট কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাংলাদেশ ব্যাংকে তমালের বিরুদ্ধে ব্যাংকটির এক স্পন্সর শেয়ারহোল্ডারের অভিযোগের সূত্র ধরে এ তদন্ত করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্টের সার্কুলারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তমাল পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়া ৩৮০০ কর্মকর্তা কর্মচারীকে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট না দিয়ে শুধু ২৭ জন কর্মকর্তাকে ৫ থেকে ১৩টি পর্যন্ত ইনক্রিমেন্ট দিয়েছেন। যা নিয়মবহির্ভূত ও দেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে বিরল। এছাড়া তমাল ও তার পিএস আসিফ ইকবাল পরিচালকদের সভায় প্রতি বৈঠকে উপস্থিতি ফি ৭ হাজার ২০০ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত হলেও তারা প্রতি বৈঠকে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত অন্যায়ভাবে গ্রহণ করছেন, যা ব্যাংক কোম্পানি আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। একইসঙ্গে তমাল পারভেজ বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মতিঝিল ও গুলশানে ২টি অফিস ব্যবহার করছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ব্যতিরেকে এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট নামক একটি বিধিবহির্ভূত প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। তবে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহারে নিজের বিরুদ্ধে করা এ তদন্ত শুরুর কয়েকদিনের মধ্যে ইতি টানান প্রভাবশালী পারভেজ তমাল।
এর আগে ২০২৩ সালের ১১ জুলাই দুদকের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে অর্থপাচার ও নিয়মবহির্ভূত ঋণ প্রদানের অভিযোগে এনআরবিসি ব্যাংকের ১১ জন কর্মকর্তাসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজহারে বলা হয়, আসামিগণ পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার অভিপ্রায়ে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ ও অসদাচরণের মাধ্যমে পর্যাপ্ত জামানত ছাড়াই উত্তরোত্তর ঋণ বৃদ্ধিপূর্বক ৭৪ কোটি ৬০ লাখ ৩৩ হাজার ৮০৪ টাকা (সুদসহ ৭৮ কোটি ৫৭ লাখ ০২ হাজার ২৭৩ টাকা) পরিশোধ ও আদায় না করে আত্মসাৎ করেন। এছাড়া ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫ টাকা সমমূল্যের পণ্যের রপ্তানীমূল্য বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন না করে পাচার করা হয়। এতে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমালের যোগসাজশ রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে নিজের সংশ্লিষ্টতা থাকায় উচ্চ মহলের সহযোগিতায় দুদকের এ তদন্ত ধামাচাপা দেওয়া হয়। যা পরবর্তী প্রতিবেদনে প্রকাশ করবে অর্থসংবাদ।
এমআই

ব্যাংক
ঈদের আগে রাত ১০টা পর্যন্ত যেসব জায়গায় খোলা থাকবে ব্যাংক

ঈদের আগে চার দিন রাত ১০টা পর্যন্ত কিছু কিছু জায়গায় ব্যাংকের শাখা ও উপশাখা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছ।
এতে বলা হয়, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনায় যথাক্রমে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশুর হাট পরিচালিত হবে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন হাট হলো- উত্তরা দিয়াবাড়ি ১৬ ও ১৮ নং সেক্টর-সংলগ্ন বউ বাজার এলাকার খালি জায়গা, ভাটারা সুতিভোলা খাল সংলগ্ন খালি জায়গা (ভাটারা সুতিভোলা), ভাটুলিয়া সাহেব আলী মাদ্রাসা থেকে ১০নং সেক্টর রানাভোলা স্লুইসগেট পর্যন্ত এলাকা, খিলক্ষেত থানাধীন ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের মস্তুল চেকপোস্ট সংলগ্ন পশ্চিম পাড়া এলাকা, মোহাম্মদপুর বছিলাস্থিত ৪০ ফুট রাস্তা সংলগ্ন খালি জায়গা, মিরপুর গাবতলী গবাদি পশুর হাট, মিরপুর সেকশন-৬, ওয়ার্ড নং-৬ (ইস্টার্ন হাউজিং) এর খালি জায়গা, খিলক্ষেত বনরূপা আবাসিক এলাকা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন খালি জায়গা।
এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন হাটগুলো হলো- ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজের পূর্ব পাশ এলাকা, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের এলাকা, পোস্তগোলা শ্মশানঘাটের পশ্চিম পার্শ্বে নদীর পাড় এলাকা, দনিয়া কলেজের পূর্ব পার্শ্বে ও সনটেক মহিলা মাদ্রাসার পূর্ব পশ্চিম এলাকা, সাদেক হোসেন খোকা মাঠের দক্ষিণ পার্শ্বের খালি জায়গা ও ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল, রহমতগঞ্জ ক্লাবসংলগ্ন এলাকা, শ্যামপুর কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ডসংলগ্ন এলাকা, কমলাপুর সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারের পূর্ব পাশ এলাকা ও আমুলিয়া আলীগড় মডেল কলেজের উত্তর পূর্ব পাশ এলাকা। আর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন হাট হলো সাগরিকা।
এ সব হাটে অধিক সংখ্যক ক্রেতা ও ব্যবসায়ীর সমাগম এবং বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের লেনদেন সংঘটিত হওয়ায় ক্রেতা ও ব্যবসায়ী উভয়ের আর্থিক লেনদেনের নিরাপত্তা বিধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোরবানির পশুর হাট সংলগ্ন বা নিকটবর্তী ব্যাংক শাখা বা উপশাখা এবং সংশ্লিষ্ট পশুর হাটে স্থাপিত অস্থায়ী বুথ ব্যবহার করে কোরবানির পশুর ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা যেন তাদের পশু ক্রয়-বিক্রির অর্থ সহজে লেনদেন করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে ব্যাংকিং সহায়তা প্রদান জরুরি।
এ পরিস্থিতিতে আগামী ৩ জুন থেকে ঈদুল আজহার আগের দিন পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কোরবানির পশুর হাটের কাছাকাছি ব্যাংক শাখা বা উপশাখা স্বীয় বিবেচনায় নির্বাচন করে বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা রাখতে হবে। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখতে হবে।
পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কোরবানির পশুর হাটে স্বীয় বিবেচনায় অস্থায়ী বুথ স্থাপনের মাধ্যমে অর্থ জমা নেওয়া, উত্তোলন ও নতুন হিসাব খোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখা, উপশাখা ও বুথগুলোতে অতিরিক্ত সময়ে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে বিশেষ ভাতা দিতে হবে।
ব্যাংক
অনলাইন জুয়া রোধে ব্যাংকগুলোকে ‘এআই’ ব্যবহারের নির্দেশ

দেশে অনলাইন জুয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় সমাজে অবক্ষয় এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আশঙ্কাজনক চিত্র দেখা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এসব কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বুধবার (২৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট একটি নির্দেশনা জারি করে জানায়, দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে অনলাইন জুয়া সংক্রান্ত লেনদেনের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। কোনও মার্চেন্ট বা গ্রাহক অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত কি না, তা নিয়মিতভাবে তদারকি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়ার কথা জানিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
এছাড়া, যদি কোনো গ্রাহক বা মার্চেন্ট অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ হয়, তাহলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বলেছে, অনলাইন জুয়ার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে গ্রাহকদের সচেতন করতে হবে। একইসঙ্গে যে-সব মার্চেন্ট নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় ব্যবসার তথ্য দিয়ে ব্যাংকে নিবন্ধন করেছেন, তারা সেই এলাকাতেই ব্যবসা পরিচালনা করছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সম্প্রতি প্রণীত ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুসরণ করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনাটি অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংক
ব্র্যাক ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত এমডি তারেক রেফাত উল্লাহ

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসেন পদত্যাগ করেছেন। এমতাবস্থায় ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও হেড অব করপোরেট অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং তারেক রেফাত উল্লাহ খানকে ভারপ্রাপ্ত এমডি ও সিইওর দায়িত্ব দিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ।
মঙ্গলবার (২৭ মে) তিনি পরিচালনা পর্ষদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন, যা গ্রহণ করেছে পর্ষদ। তার পদত্যাগপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। ব্যাংকটির জনসংযোগ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, ব্যবস্থাপনা পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও হেড অব করপোরেট অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং তারেক রেফাত উল্লাহ খানকে ভারপ্রাপ্ত এমডি ও সিইওর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সেলিম আর এফ হোসেন প্রায় একদশক ধরে ব্র্যাক ব্যাংকের নেতৃত্বে ছিলেন। তার সময়ে ব্যাংকটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করে। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত তারেক রেফাত উল্লাহ খান ব্যাংকটির দীর্ঘদিনের কর্মকর্তা এবং করপোরেট ব্যাংকিং খাতে অভিজ্ঞ।
এসএম
ব্যাংক
ঈদের ছুটিতে বিশেষ এলাকায় ব্যাংক খোলা ৩ দিন

ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে আগামী ৫ জুন থেকে ১৪ জুন টানা ১০ দিন ছুটি থাকবে। এসময় বন্ধ থাকবে ব্যাংকও। তবে তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন-বোনাসসহ অন্যান্য ভাতা পরিশোধ ও রপ্তানি বিল বিক্রয়ের সুবিধার্থে পোশাকশিল্প এলাকায় ৫, ১১ ও ১২ জুন সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা রাখতে বলা হয়েছে। ওই তিন দিন সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোতে লেনদেন চলবে নির্ধারিত সময়ে।
রবিবার ( ২৫ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অব সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিল্পে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধের সুবিধার্থে আগামী ৫ জুন (বৃহস্পতিবার) সীমিত পরিসরে ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে। শিল্পঘন ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাক শিল্পের লেনদেনে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখাগুলোতে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এবং ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। বাকি সময় ব্যাংকের লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এছাড়া ওষুধ শিল্প খাতসহ আমদানি ও রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান বা গ্রাহকদের গুরুত্বপূর্ণ ও বৈদেশিক লেনদেন সম্পাদনের লক্ষ্যে ১১ জুন ও ১২ জুন বুধবার এবং বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটির দিন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকার অথরাইজড ডিলার (এডি) শাখা সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। এ দু’দিন বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখাগুলোতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লেনদেন হবে এবং লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালিত ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নির্দেশনায় বলা হয়, ছুটির দিনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিধি মোতাবেক ভাতাদি প্রাপ্য হবেন।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনস্বার্থে এ নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক
বিদেশে ভাষা শিক্ষা কোর্সে টাকা পাঠানো সহজ করল বাংলাদেশ ব্যাংক

বিদেশে ভাষা শিক্ষা কোর্সে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য অর্থ পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে ভাষা কোর্সের জন্য বৈদেশিক শিক্ষা ফি পাঠাতে আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে না।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, স্বীকৃত বিদেশি প্রতিষ্ঠানে ভাষা শিক্ষা কোর্সে ভর্তি হলে শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত নথিপত্র উপস্থাপন সাপেক্ষে অনুমোদিত ব্যাংকের মাধ্যমেই সরাসরি প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠাতে পারবেন। আগে শুধু ব্যাচেলর বা উচ্চতর ডিগ্রির ক্ষেত্রে এই সুবিধা থাকলেও এখন ভাষা শিক্ষাকেও এই কাঠামোর আওতায় আনা হলো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউরোপের কিছু দেশে ভাষা দক্ষতা থাকলে শিক্ষার্থীরা সহজে চাকরি ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায়। এই নীতির ফলে রিক্রুটিং এজেন্সির ওপর নির্ভরতা কমে সরাসরি বিদেশে যাওয়ার পথ খুলবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ পদক্ষেপকে সময়োপযোগী উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈধ উপায়ে অর্থ পাঠানোর সুযোগ সহজ হওয়ায় এখন আরও বেশি শিক্ষার্থী স্বল্প খরচে বিদেশে নিজ উদ্যোগে পড়তে যেতে পারবেন, যা দেশের রেমিট্যান্স আয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
কাফি