অন্যান্য
ভারতীয় ঋণে সব প্রকল্প চলমান রাখবে বাংলাদেশ
ভারতীয় ঋণে নির্মিত দেশের সব প্রকল্প চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রকল্পগুলো উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ভারত আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশ। তাদের সঙ্গে আমাদের অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং প্রযুক্তিগত বিভিন্ন সম্পর্ক রয়েছে। আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বিষয়ে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
পরে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, কয়েকটি প্রকল্পের কাজ সাময়িক বন্ধ ছিল। কিছু প্রকল্পের ঠিকাদার ভারতে চলে গেলেও দ্রুত ফিরে আসবে এবং কাজ শুরু হবে। দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে
মধ্যপ্রাচ্যের সরবরাহ সংকটে জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে এক শতাংশের বেশি বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড়ের পর তেলের চাহিদা বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড়ের পর তেলের চাহিদা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিন ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি এক দশমিক শূন্য এক ডলার বা এক দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৭৭ দশমিক ৫৯ ডলার হয়েছে। অন্যদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম এক ডলার বা এক দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৭৪ দশমিক ২৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মিলটন। সেখানের এক-চতুর্থাংশ জ্বালানি স্টেশনে পেট্রোল শেষ হয়ে গেছে।
তাছাড়া ইরান থেকে ইসরায়েলে ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকে। কারণ যেকোনো সময় ইরানের তেল স্থাপনায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলার আশঙ্কায় উদ্বেগ রয়েছে বিনিয়োগকরাীদের মধ্যে।
এর আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্ট ইরানে কঠোর হামলার হুমিক দিয়েছেন।
গত ১ নভেম্বর ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান। এরপর তেল আবিবও পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে আসছে। তবে ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা যেকোনো হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
সাকিবের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিয়ে যা বললেন তামিম ইকবাল
বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়ের একটি ছিল সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তামিম ইকবালের দ্বন্দ্ব। ভারতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বপকাপের আগে এই দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। দুই তারকা ক্রিকেটারের দ্বন্দ্ব দেশের ক্রিকেটে ঠিক কতটা প্রভাব ফেলেছে, সেটা দেখা গেছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফলাফলেই।
দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ ক্রিকেটকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন সাকিব এবং তামিম। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা দুই তারকা এই দুজন। বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকে একসঙ্গে খেলে আসার সুবাদে সাকিব-তামিমের বন্ধুত্বের বিষয়টি এখন আর কারো অজানা নয়। তবে সেই বন্ধুত্ব একসময় এসে রূপ নেয় দ্বন্দ্বে।
সাকিব-তামিমের দ্বন্দ্বের কারণে ভক্তদের মধ্যেও একটি বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। তবে অনেকের আবার আক্ষেপ, দুই তারকা ক্রিকেটারের সম্পর্কটা ঠিকঠাক থাকলে লাভবান হতো দেশের ক্রিকেটই। এবার তামিমও তেমন আক্ষেপের কথাই শোনালেন। সম্প্রতি ভারতীয় ক্রীড়া সাময়িকী স্পোর্টস-স্টারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিবের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিয়ে কথা বলেছেন তামিম।
সাকিবের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি না হলে দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো হতো কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তামিম বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই, নিঃসন্দেহে। আমি বিশ্বাস করি, যদি আমাদের সুসম্পর্কটা দীর্ঘস্থায়ী হতো, তাহলে সেটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য গেম-চেঞ্জার হিসেবে কাজ করত। আমরা দেশের জন্য অনেক দারুণ কিছু করেছি। দুজনেরই ইতিবাচক মানসিকতা ছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সেরাটাই করতে চেয়েছি।’
তবে সম্পর্কের ওঠানামা থাকলেও সাকিব এখনও বেশ সম্মান করেন তামিম। সাক্ষাৎকারে সাকিবকে দেশের সেরা তারকা হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি। তামিম বলেন, ‘সম্পর্ক ওঠানামার মধ্য দিয়ে যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। শেষ পর্যন্ত আপনারা তো দেশের জন্যই খেলছেন। আমি কোনো গণমাধ্যমে বা সরাসরি তাকে (সাকিব) কিছু বলিনি। কারও সম্পর্কেই বলিনি। যা হোক, অবশ্যই বিশ্বাস করি, সাকিব বাংলাদেশের জন্য যা করেছে, অসাধারণ। সম্পর্ক যেমনই থাকুক, ওটা অস্বীকার করা যাবে না। সে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তারকা।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ঋণের ৩৩ শতাংশই খেলাপি
দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণও লাফিয়ে বাড়ছে। চলতি বছরের তিন মাসে (এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত) আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণ ৮২২ কোটি টাকা বেড়েছে। গত জুন শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। যা বিতরণ করা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রায় দেড় ডজন প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ উচ্চমাত্রায় রয়েছে। পাশাপাশি তারল্য সংকটে ভুগছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকগুলোর সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে তীব্র প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। নানা অনিয়মের কারণে ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ায় আমানত পেতে সমস্যা হচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকির অভাবেও এ খাতের খেলাপি ঋণ বাড়ছে বলে জানান তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুন প্রান্তিক শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের স্থিতি ছিল ৭৪ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকার। এসব ঋণের মধ্যে ২৪ হাজার ৭১১ কোটি টাকা খেলাপি বা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ১৫ শতাংশ খেলাপি। গত মার্চ প্রান্তিক শেষে ঋণ স্থিতি ছিল ৭৪ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা। সে সময়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৩২ শতাংশ। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৮২২ কোটি টাকা বা ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
গত বছরের সবশেষ প্রান্তিক ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ২১ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ২৯ দশমিক ২৭ শতাংশ খেলাপি। সে হিসাবে ছয় মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা বা ১৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
আলোচিত জুন প্রান্তিক শেষে আদায় অযোগ্য (মন্দ ঋণ) ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৩৩ কোটি টাকা বা মোট বিতরণকৃত ঋণের ২৮ দশমিক ২২ শতাংশ। মার্চে ছিল ২০ হাজার কোটি টাকা বা মোট বিতরণকৃত ঋণের ২৬ দশমিক ৯১ শতাংশ।
বলা হচ্ছে, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দুরবস্থার পেছনে অনেকাংশেই দায়ী বহুল আলোচিত ব্যক্তি প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার। তিনি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যে অনিয়ম করেছেন, পুরো খাত এখন তার জের টানছে।
পি কে হালদার সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পিপলস লিজিংয়ের খেলাপি ঋণের হার ৯৯ শতাংশ বা ১ হাজার ৯৬ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) খেলাপির হার ৯৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ বা ৭৪৩ কোটি টাকা, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের খেলাপি ঋণ ৯৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ বা ৩ হাজার ৯১২ কোটি টাকা। আর পি কে হালদার সংশ্লিষ্ট এফএএস ফাইন্যান্সের খেলাপি ঋণ ৮৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ বা ১ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা ও আভিভা ফাইন্যান্সের খেলাপি ঋণ ৭১ দশমিক ৭২ শতাংশ বা ১ হাজার ৯০২ কোটি টাকা।
এর বাইরে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের খেলাপি ঋণ এখন ৯৪ দশমিক ৪১ শতাংশ, জিএসপি ফাইন্যান্সের ৯২ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ফার্স্ট ফাইন্যান্সের ৮৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের ৬৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ, সিভিসি ফাইন্যান্সের ৫৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ, মেরিডিয়ান ফাইন্যান্সের ৫৯ দশমিক ১৭ শতাংশ, আইআইডিএফসির ৫৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ, হজ ফাইন্যান্সের ৫৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ, ফিনিক্স ফাইন্যান্সের ৫৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ, ন্যাশনাল ফাইন্যান্সের ৫৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ, বে লিজিংয়ের ৫২ দশমিক ৮২ শতাংশ ও উত্তরা ফাইন্যান্সের ৫০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এরপরই খেলাপি ঋণে শীর্ষে আছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, মাইডাস ফাইন্যান্স, ইসলামিক ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, ইডকল এবং লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।
আলোচিত এপ্রিল-জুন প্রান্তিক শেষে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ১১৬ কোটি টাকা। আগের প্রান্তিকে যা ছিল ৪৪ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা। তবে আলোচিত তিন মাসেই আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছেড়েছেন সাড়ে ৪৮ হাজারের বেশি ব্যক্তি আমানতকারী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
৫৭ বছর পর বিয়ের ভিডিও হাতে পেলেন দম্পতি
বিয়ে হয়েছিল ১৯৬৭ সালে। আর এই ২০২৪ সালে এসে তাদের বিয়ের সেই ভিডিও হাতে পেলেন দম্পতি। সেটাও পেলেন কাকতালীয়ভাবে। সেই দম্পতির নাম আইলিন ও বিল টার্নবুল।
১৯৬৭ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তারপর যৌবন পাড়ি দিয়ে এখন বার্ধক্যে পৌঁছে গেছেন তারা। যখন তাদের বিয়ে হয়েছিল তারা তখন থাকতেন স্কটল্যান্ডে। সেখানেই তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় একটি ভিডিও করা হয়েছিল। যেখানে তাদের বিয়ের নানা মুহূর্ত ধরা পড়েছিল।
সাধারণত বিয়ের ভিডিও বিয়ের পর এডিট হতে মাত্র কয়েকদিন লাগে। নবদম্পতিসহ পরিবার বন্ধু সবাই মিলে সে ভিডিও দেখার রেওয়াজ নতুন নয়। এ এক মন ভালো করা অভিজ্ঞতা।
ওই দম্পতিও সে সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই সময় প্রজেক্টর ভাড়া করে বিয়ের ভিডিও দেখতে হতো। তারাও সেটাই করেছিলেন। যেটা ভুল হয়েছিল সেটা একবার দেখার পর ভিডিওটি নিজেদের কাছে রেখে দেওয়ার বদলে ভুল করে প্রজেক্টরের সঙ্গে তা প্রোজেক্টর যার কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল তার কাছে থেকে যায়। আর দম্পতিও বিয়ের পর চলে আসেন অস্ট্রেলিয়ায়। কারণ তারা অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা। স্কটল্যান্ডের নন।
সে ভিডিও হাতে না পাওয়ার দুঃখ একটা সময় পর্যন্ত ছিল। তারপর তা আর পাওয়ার কোনো উপায় নেই বুঝে আস্তে আস্তে সময়ের সঙ্গে সেকথা ভুলেও যান তারা।
অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের বাসিন্দা সেই কনে এখন ৭৭-এর বৃদ্ধা। তিনি একটি ফেসবুক গ্রুপে তাদের বিয়ের ছবি দেখে চমকে যান। বিষয়টি তার স্বামীকেও জানান।
তার স্বামী বিষয়টি দেখার পর তারা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন সামাজিকমাধ্যমে। এদিকে যিনি সেই ভিডিও তুলেছিলেন, তিনি এখন বৃদ্ধ। থাকেন স্কটল্যান্ডে।
তিনি তার যত ভিডিও তুলেছিলেন সব কটিকে ডিভিডি করতে শুরু করেছিলেন। তখনই তার সংগ্রহে থাকা এই বিয়ের ভিডিওটি তিনি দেখতে পান।
কার ভিডিও তা জানতে সেটি সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন। সেই ছবি অস্ট্রেলিয়ায় বসে দেখতে পান দম্পতি। যোগাযোগের পর এই ভিডিওটির একটি ডিজিটাল ভার্সন তৈরি করে ওই দম্পতির কাছে পাঠিয়ে দেন বৃদ্ধ ফটোগ্রাফার।
বিয়ের ৫৭ বছর পর অবশেষে নিজেদের বিয়ের ছবি হাতে পেলেন ওই অস্ট্রেলীয় দম্পতি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকা: সিপিডি
দেশে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
রবিবার (৬ অক্টোবর) ধানমণ্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যায় যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জিডিপির দশমিক ২৬ শতাংশ।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, সবচেয়ে বেশি ৫ হাজার ১৬৯ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কৃষি ও বন খাতে। এ ছাড়া অবকাঠামো খাতে ৪ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা এবং ঘরবাড়িতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, জেলা হিসাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নোয়াখালীতে। সেখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। এরপর কুমিল্লায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, নোয়াখালীতে ১৬ লাখ ৪৩ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ক্ষতির পরিমাণ ৪ হাজার ১৯২ কোটি টাকা হলেও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অথচ সিলেটে সাড়ে ৯ হাজার মানুষ বন্যা আক্রান্ত হয়েছে। সেখানে ক্ষতির পরিমাণ ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকা হলেও ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এ ছাড়া ফেনীতে সর্বোচ্চ ১৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা, কুমিল্লায় ১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা, হবিগঞ্জে ১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা, মৌলভীবাজারে ১৩ কোটি টাকা এবং চট্টগ্রামে ১১ কোটি ৮০ লাখ টাকার ত্রাণ গেছে।