অর্থনীতি
ভারতীয় ঋণে সব প্রকল্প চলমান রাখবে বাংলাদেশ
ভারতীয় ঋণে নির্মিত দেশের সব প্রকল্প চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রকল্পগুলো উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ভারত আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশ। তাদের সঙ্গে আমাদের অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং প্রযুক্তিগত বিভিন্ন সম্পর্ক রয়েছে। আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বিষয়ে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
পরে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, কয়েকটি প্রকল্পের কাজ সাময়িক বন্ধ ছিল। কিছু প্রকল্পের ঠিকাদার ভারতে চলে গেলেও দ্রুত ফিরে আসবে এবং কাজ শুরু হবে। দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
ডলারের দাম বাড়ায় বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। একইসঙ্গে যোগ হয়েছে দাতা সংস্থার ঋণ ও অনুদান। সব মিলিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২৬ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিদেশি অনুদান যোগ হয়েছে। এ ছাড়া রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো, এসব কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।
অবশ্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নিয়ম মেনে বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ-এর পরিমাণ এখন ২১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। এই হিসাবেও আগের চেয়ে বেড়েছে রিজার্ভ।
নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের ‘বিপিএম-৬’ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।
তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, তা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুব একটা প্রকাশ করে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলার। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়।
চলতি মাসের প্রথম ২৮ দিনে দেশে বৈধ পথে ২৪২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৯ হাজার ৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ কোটি ৬৪ লাখ ডলার।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২০ টাকায় ছিল দীর্ঘদিন ধরে। তবে গত সপ্তাহে ডলারের চাহিদা বাড়ায় দাম কিছুটা বেড়ে যায়। যার কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহও বেড়েছে। যা রিজার্ভ বাড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বায়োমেট্রিক সিম না থাকলেও অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সুযোগ
আঙুলের ছাপ না থাকার কারণে বায়োমেট্রিক সিমবিহীন করদাতাদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের বিশেষ সুযোগ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেক্ষেত্রে এনবিআরের কর তথ্যসেবা কেন্দ্রে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত আবেদন করতে হবে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) এনবিআরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনলাইন রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া সহজীকরণের অংশ হিসেবে যে সকল করদাতা জাতীয় পরিচয় পত্র থাকার পরও আঙ্গুলের ছাপ না থাকার কারণে বায়োমেট্রিক মোবাইল সিম নিতে পারেননি এবং সে কারণে ই-রিটার্ন সিস্টেমসে রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন না, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এনবিআর।
এতে করদাতাগণ দ্বিতীয় সচিব (কর তথ্য ব্যবস্থাপনা ও মূল্যায়ন), জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ৭১৭নং কক্ষে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত আবেদন দাখিলপূর্বক সাপ্তাহিক অফিস চলাকালীন ই-রিটার্ন সিস্টেমসে এ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন।
ইতোমধ্যে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলকারী প্রায় ১০ লক্ষ করদাতাসহ সকল সম্মানিত করদাতাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছে।
এরইমধ্যে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সব করদাতাকে সহজে ও নির্বিঘ্নে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করার আহ্বান জানিয়েছে এনবিআর।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ফের কমলো সোনার দাম
দেশের বাজারে নতুন করে সোনার দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে এবার ১ হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম কমানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ৩৮ হাজার ২৮৮ টাকা।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকে নতুন এই দর কার্যকর হবে।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর সোনার দাম ভরিতে কমানো হয় ১ হাজার ২৪৮ টাকা।
দাম কমানোর ফলে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা এক লাখ ৩৮ হাজার ২৮৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা এক লাখ ৩২ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা এক লাখ ১৩ হাজার ১৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৯২ হাজার ৮৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ২১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৪২ কোটি ডলার
চলতি ডিসেম্বর মাসের ২৮ দিনে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধপথে দেশে পাঠালেন ২৪২ কোটি মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৯ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে)।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ডিসেম্বরের ২৮ দিনের প্রতিদিন আগের মাস নভেম্বরের ও আগের বছরের ডিসেম্বর তুলনায় বেশি প্রবাসী আয় এসেছে।
ডিসেম্বর মাসের ২৮ দিনে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছে ৮ কোটি ৬৪ লাখ ৪৮ হাজার ২১৪ ডলার। আগের মাস নভেম্বরে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ডলার। আর আগের বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছে ৬ কোটি ৬৩ লাখ ৯২ হাজার ২০০ ডলার।
অর্থাৎ, বছরের শেষ মাসে প্রবাসী আয়ের ভালো একটি বার্তা দিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৬৮ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার। বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬৩ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার। আর দেশে ব্যবসারত বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৯ লাখ ২০ হাজার ডলার।
একক ব্যাংক হিসাবে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৩৩ কোটি ৪২ লাখ ৯ হাজার ডলার। যা মোট প্রবাসী আয় ১৪ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাণিজ্য মেলার পর্দা উঠছে বুধবার, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা
‘২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৫’ উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে আগামী বুধবার (১ জানুয়ারি) ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৫ শুরু হচ্ছে।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় পূর্বাচল নতুন শহরের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিসিএফসি) বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।