শিল্প-বাণিজ্য
অর্ধেক দামে পণ্য কেনা যাবে যেসব দোকানে
অনেক সময় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাক কিনতে না পারার আক্ষেপ থেকে যায় অনেকেরই। কারণ শখ থাকলেও তা পূরণের সাধ্য থাকে না। তবে বছরে দুই-তিনবার বিভিন্ন ব্র্যান্ড মূল্যছাড় দেয়, যেমনটা এখন চলছে। এখনই সুযোগ, দেরি না করে পছন্দের ব্র্যান্ড ঘুরে জিনিস কিনতে পারেন। থাকল সেসবেরই খোঁজখবর।
রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত স্কয়ার, বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সসহ নানা শপিং মল ঘুরে দেশীয় ব্র্যান্ডের নানা পণ্যে বিশাল ছাড় দেখা গেছে। বহুজাতিক কিছু ব্র্যান্ডেও চলছে মূল্যছাড়। ফ্যাশন হাউসগুলোয় ব্র্যান্ডভেদে পোশাকে ১০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় চলছে। পোশাক ছাড়া গয়না, ব্যাগ, জুতা, প্রসাধনসামগ্রীর ওপরও রয়েছে মূল্যছাড়। যদিও এ ধরনের সামগ্রীর সংখ্যা সীমিত। মূল্যছাড় দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বেশির ভাগ দোকান থেকে জানানো হয়, গ্রীষ্মকালীন পোশাকের সম্ভার খালি করতেই নির্বাচিত পণ্যের ওপর মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে। রাজধানীর বনানীতে দেশীয় পোশাকের দোকান কুমুদিনী হ্যান্ডিক্র্যাফটসে চলছে গ্রীষ্মকালীন ছাড়।
নির্বাচিত বিশেষ কিছু শাড়ি, কুর্তা, সালোয়ার-কামিজ, ব্যাগ, ছেলে ও শিশুদের পাঞ্জাবি, ফতুয়াভেদে চলছে ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ মূল্যছাড়। শারদীয় দুর্গাপূজা পর্যন্ত থাকবে এ সুযোগ। সুতি ও হাফ সিল্ক শাড়ি ২৫ ও ৫০ শতাংশ কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। এই তালিকায় সুতি ও অ্যান্ডি সুতির পাঞ্জাবিও আছে। তিন থেকে চার হাজার টাকার শাড়ি আপনি অর্ধেক দামেই কিনে নিতে পারবেন। তবে এখানে অনলাইন কেনাকাটায় ছাড়ের সুযোগ নেই। আরেক ফ্যাশন হাউস দেশালেও দেওয়া হচ্ছে ছাড়। যেকোনো পাঞ্জাবি, শার্ট, শিশুদের পোশাক, জামদানি, মেয়েদের জুতায় চলছে ৩০ শতাংশ মূল্যছাড়। অন্যদিকে মেয়েদের থ্রি–পিস, কামিজ, টপ, কুর্তা, শাড়ি, টি-শার্ট, চামড়ার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ ছাড়ের সুযোগ থাকছে। আবার ছেলেদের টি-শার্ট, কো-অর্ড সেট ও ওড়না পাওয়া যাচ্ছে ২০ শতাংশ কম দামে। চলতি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ছাড়ে কেনাকাটা করা যাবে।
ধানমন্ডির অরণ্যতে সব ধরনের পোশাকের ওপর চলছে ২০ শতাংশ বর্ষাকালীন ছাড়। চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দোকানের পাশাপাশি অনলাইন কেনাকাটায়ও পাওয়া যাবে ছাড়। ঘুরতে ঘুরতে নজর কাড়ল দুই দেশীয় ব্র্যান্ড রঙ বাংলাদেশ ও অঞ্জন’সের ছাড়। যমুনা ফিউচার পার্কের দোকানগুলোয় পছন্দের পোশাকটি লুফে নিতে মানুষের ভিড়ও ছিল বেশি। নারী-পুরুষ ও শিশুদের নির্বাচিত পোশাক ছাড়া ব্যাগ, ঘরের টুকটাক জিনিসপত্র, কুশন কভার ইত্যাদির ওপর চলছে আকর্ষণীয় মূল্যছাড়।
রঙ বাংলাদেশের পাঞ্জাবি, শার্টের মূল্যের ওপর ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় চলছে। খুঁজতে গিয়ে দেখলাম, বেশ চড়া মূল্যের পাঞ্জাবি অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে। ৭ হাজার টাকার একটি পাঞ্জাবি ৩ হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তা ছাড়া ৯০০ থেকে ২ হাজার টাকার পাঞ্জাবিতেও চলছে ৫০ শতাংশ ছাড়। শাড়িতেও আছে ছাড়। ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড়ে এসব পোশাক মানুষের সাধ্যের মধ্যে চলে আসবে। অনলাইনেও তাদের কার্যক্রম চলে, তবে সবচেয়ে লাভবান হবেন সশরীর দোকানে এসে পণ্য বেছে কিনলে। অন্যদিকে অঞ্জন’সে বিভিন্ন পোশাকে চলছে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়। বাছাইকৃত সালোয়ার–কামিজ, শাড়ি, ব্লাউজের ওপর ৫০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাচ্ছে। কুর্তা, বাচ্চাদের পোশাক, ব্লেজারের মধ্যেও আছে ২০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাড়। মানভেদে পাঞ্জাবিতে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় দিচ্ছে অঞ্জন’স। চলতি মাসের ২১ তারিখে শেষ হবে সুযোগটি। দোকান ঘুরে মনে হলো, এবারের ছাড়ে পাঞ্জাবিপ্রেমীরাই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন।
নবরূপা, টুয়েলভ, ইনফিনিটি, রেড অরিজিন, ফ্রিল্যান্ড, জেন্টল পার্ক, কিউরিয়াস, রাইজ, যাত্রা, র-নেশন, ফিওনা, মাইক্লো, আমব্রেলা, টেক্সমার্ট, অকাল্টসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসের শাখায়ও আছে মূল্যছাড়। কোনো নির্দিষ্ট পোশাকে সীমাবদ্ধ নয় সুযোগটি। শাড়ি, পাঞ্জাবি, শিশুদের পোশাক, শার্ট, প্যান্ট, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তা, ফতুয়া—সবকিছুতেই শতকরা হারে ছাড় রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ। কত দিন এই মূল্যছাড় বহাল থাকবে, জিজ্ঞেস করলে গুটিকয় ফ্যাশন হাউস ছাড়া বেশির ভাগ দোকানই উল্লেখ করে, যত দিন পর্যন্ত গচ্ছিত পণ্য শেষ না হবে, তত দিন চলবে এই ছাড়। পোশাকের পাশাপাশি ফ্যাশন হাউস রাইজে দুল, মাস্ক, ব্যাগ, জুতা, ছেলেদের বেল্ট, টাই, ব্যাগ, জুতা, স্যান্ডেলের ওপরও ছাড় পাওয়া যাচ্ছে।
ছাড়ে বেশ ভালো কেনাকাটার সুযোগ রয়েছে ছেলে ও শিশুদের পোশাকে। বাহারি ব্র্যান্ড যেমন আর্টিসান, রাইজ, ফিওনা, জেন্টল পার্ক, টুয়েলভ, আমব্রেলা যেন স্টক শেষ করতেই পোশাকের ভান্ডার খুলে বসেছে। আর্টিসানেও কেনাকাটা করতে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। ছেলেদের প্রায় সব ধরনের পোশাকের ওপর ১০ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড় চলছে। একই দৃশ্য দেখা গেল রাইজের শাখায়ও। আমব্রেলায় বেশির ভাগ পোশাক ৬০ শতাংশ মূল্যছাড়ে নেওয়া যাচ্ছে। মেয়েদের পোশাকে রয়েছে ৩০ শতাংশ ছাড়। নাগালের দামে শিশুদের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। ১ হাজার ৯০০ টাকার একটি ঘাগড়া দেখলাম ৬০ শতাংশ কমে ৮৪০ টাকার মধ্যে পেয়ে গেলেন এক ক্রেতা। অন্যদিকে ফিওনায় যেকোনো পাঞ্জাবির ওপর ৫০ শতাংশ ছাড়। অনলাইনেও এই সুবিধা দিচ্ছে তারা। বসুন্ধরা শপিং মলের বেবি শপে দেখা গেল, যেকোনো পোশাকের ওপর ৫০ শতাংশ ছাড়।
তবে মূল্যছাড়ে শখের পোশাকটি কিন্তু বেশ খুঁটিয়ে দেখেশুনে নিতে হবে। কারণ, কোনো ব্র্যান্ডই সেটা আর ফেরত কিংবা বদলি করবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিটকয়েনের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ
একটি বিটকয়েনের দাম ১ লাখ ছুইছুই করছে। আজ শুক্রবার বিটকয়েনের দাম ৯৯ হাজার ৩৮০ ডলারে ছাড়িয়েছে। এই দাম বিটকয়েনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিটকয়েনের দাম বাড়তে থাকে। আর্থিক বাজারের প্রত্যাশা, ট্রাম্প প্রশাসন ক্রিপ্টোবান্ধব হবে। খবর রয়টার্সের
এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থাটি বলছে, চলতি বছর বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম দিগুণের বেশি হয়েছে। গত ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর বিটকয়েনের দাম ২৫ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি বেড়েছে ৪৫ শতাংশের বেশি। আজ শুক্রবার একটি বিটকয়েন বিক্রি হয়েছে ৯৯ হাজার ৩৮০ ডলারে।
মূল্যবৃদ্ধির দৌড়ে বিটকয়েন পাল্লা দিচ্ছে ইলন মাস্কের টেসলার সঙ্গে। ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে টেসলার শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ। বিনিয়োগকারীরা মনে করেছেন, ট্রাম্পের বন্ধুরা এবং যেসব বিষয়ে তার আগ্রহ আছে, সেসব বিষয় তিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ভালো করবে।
সিডনির এটিএফএক্স গ্লোবালের প্রধান বাজার বিশ্লেষক নিক টুইডেল বলেন, ‘বিটকয়েনের দাম বাড়ছে ট্রাম্পের জন্যই। কারণ, তিনি এই শিল্পের খুবই সমর্থনকারী। এর মানে হলো, ক্রিপ্টোর মজুত ও মুদ্রা উভয়েইর চাহিদা আরও বাড়বে। নির্বাচনের ফল আসার পর বিটকয়েনের দাম প্রায় রেকর্ড পর্যায়ে ওঠার মানে হলো, এই মুদ্রার ওপরে কেবল খোলা আকাশ রয়েছে।’
গত ১০ নভেম্বর আগের সব রেকর্ড ভেঙ্গে ৮০,০০০ ডলারে পৌঁছে যায়। বিশেষজ্ঞরা রুশ বার্তা সংস্থা তাসকে বলেছেন, বর্তমান বৃদ্ধির পর্যায়ে থাকলে বিটকয়েনের দাম ৩ লাখ ডলারে পৌঁছানোও অবাক করার মতো কিছু হবে না।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার মাধ্যমে এর দাম ওঠা-নামা করে। ২০০৮ সালের নভেম্বরে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামে বিটকয়েন কারেন্সি মার্কেটে প্রকাশ করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আদানির সঙ্গে ২৫০ কোটি ডলারের চুক্তি বাতিল!
ঘুষ দেয়া ও প্রতারণার মাধ্যমে কয়েকশ’ কোটি ডলারের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাগিয়ে নেয়ায় অভিযুক্ত ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে সম্প্রতি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে নিউইয়র্কের একটি আদালত। এ নিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছেন তিনি। তবে এর মধ্যেই আরও এক দুঃসংবাদ পেলো আদানি গ্রুপ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে আলজাজিরা জানিয়েছে, আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থের চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দেশটির পার্লামেন্টে দেয়া এক ভাষণে, আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে হওয়া দুটি চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেন।
এর মধ্যে একটি চুক্তির অর্থমূল্য প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। এই চুক্তির আওতায় দেশটির জোমো কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দ্বিতীয় রানওয়ে করার কথা ছিল আদানি গোষ্ঠীর। এছাড়া ৩০ বছর মেয়াদি ইজারার (লিজ) আওতায় বিমানবন্দরের যাত্রী টার্মিনাল উন্নত করার কথা ছিল।
এছাড়া আদানির সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি ৭৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের সরকারি-বেসরকারি খাতের একটি অংশীদারত্ব (পিপিপি) চুক্তিও বাতিল করার কথা জানান রুটো।
কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি পরিবহন এবং জ্বালানি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে অবিলম্বে চুক্তি বাতিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
তদন্তকারী সংস্থা ও অংশীদার দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া নতুন তথ্যের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসবে ৯১ হাজার টন চাল
দেশের বাজারে চালের দাম স্বাভাবিক রাখতে চাল আমদানির অনুমতির পাশাপাশি আমদানিতে পুরোপুরি শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার। এরপর থেকে আমদানি প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। এরইমধ্যে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। আমদানিকৃত চাল ডিসেম্বরের ১২ তারিখের মধ্যে বাজারজাত করতে হবে বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৩ আমদানিকারক ৯১ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। এসব চাল আগামী সপ্তাহে বাজারে আসতে পারে বলে জানান আমদানিকারকরা।
শুক্রবার হিলি বাজারে গেলে জানা যায়, আটাশ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা কেজি দরে, যা ছিল ৫৬ টাকা। অন্যদিকে সম্পা কাটারি চাল কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে ৬৮ এবং ২ টাকা বেড়ে স্বর্ণা-৫ জাতের চাল ৪৮ টাকা আর জিরাশাইল ৬৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি শুরু হলে দামে কিছুটা প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, সরকার অনুমতি দেওয়ার পর ব্যবসায়ীরা চাল আমদানির প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। তবে চাল আমদানিতে যে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে তা খুবই কম। কারণ ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে বাজারজাত করতে হবে। এছাড়া এবার আরও কিছু নির্দেশনা দেওয়া আছে, যে প্যাকেটে চাল আমদানি করা হবে সেই প্যাকেটেই বাজারে বিক্রি করতে হবে এবং প্রতিদিনের আমদানি, বিক্রি ও মজুতের তথ্য স্থানীয় খাদ্য অফিসে জমা দিতে হবে।
হিলি স্থলবন্দরের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধে কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, চাল আমদানির জন্য ইমপোর্ট পারমিট এখনো কেউ পাননি। ইমপোর্ট পারমিট পেলে আমদানিকারকরা চাল আমদানি করতে পারবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
একদিনে হিলি দিয়ে এলো ১৮শ মেট্রিক টন আলু, কমেছে দাম
দেশের বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বেড়েছে আলু আমদানি। প্রতিদিন ৩০-৩৫ ট্রাক আলু আমদানি হলেও বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) একদিনেই ৭১ ট্রাকে এক হাজার আটশ ১৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে।
এদিকে আমদানি বাড়ায় হিলির বাজারে কেজিতে দুই থেকে তিনি টাকা দাম কমেছে।
হিলি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাটিনাল ৫০, সাটল আলু ৫৫, বিলেতি ৬৫, গ্যানোলা ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যা গত দুদিন আগের চেয়ে কিছুটা কম।
হিলি বন্দর সূত্র জানায়, আলুর দাম সহনীয় পর্যায়ে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আলু আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও নিয়ন্ত্রণ শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। বন্দর দিয়ে ডায়মন্ড ও কাটিনাল আলু আমদানি হচ্ছে।
আলু ব্যবসায়ী আলম হোসেন বলেন, গেল সপ্তাহের সোমবার বন্দরে প্রতিকেজি আলু ৪৮-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। হঠাৎ করে মঙ্গল ও বুধবার সেই আলু বন্দরে বিক্রি হয় ৫৭-৫৮ টাকায়। তবে বৃহস্পতিবার রেকর্ড পরিমাণ আলু আমদানি হওয়ায় শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।
হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি ব্যবসায়ী রাসেল বলেন, আলু আমদানি যেভাবে হচ্ছে দাম সেভাবে কমছে না। হুটহাট করে দাম উঠানামা করায় আলু কিনতে সমস্যা হচ্ছে। আমরা এ বন্দর থেকে আলু কিনে দেশের বিভিন্ন মোকামে পাঠায়। দাম যত কম হবে তত ভালো।
হিলি বন্দরের আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে দাম স্বাভাবিক রাখতে আমদানিকারকরা ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ আলু আমদানি করছে। যাতে দেশে আলুর দাম কমছে। শুক্রবার বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে তাই বাজারে সরবরাহ ঠিক রাখতে গতকাল বৃহস্পতিবার রেকর্ড পরিমাণ আলু আমদানি হয়েছে। আলু আমদানি বাড়লে দাম আরও কমবে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম বলেন, আমদানিকারকরা যাতে আলু আমদানি করে দ্রুত বাজারজাত করতে পারে সেজন্য কাস্টমসের সব প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে ব্যবসায়ীদের সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির জন্য প্রতিশ্রুতিশীল বাজার
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, অষ্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল বাজার। বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা সম্প্রসারিত করার এবং অংশীদারিত্ব জোরদার করার বিশাল সুযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হেড অব মিশন ক্লিনটন পবকের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ এবং বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বিরাজমান বাণিজ্যের সুযোগগুলো কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ার বাজারে পোশাক রপ্তানি বাড়াতেও সম্ভাব্য সহযোগিতার কথা বলা হয়।
এ সময় আনোয়ার হোসেন বলেন, এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জন্য অস্ট্রেলিয়ার শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার অব্যাহত রয়েছে। সেজন্য আমরা অস্ট্রেলিয়ার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। পোশাক শিল্পে সার্কুলারিটি গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এগিয়ে থাকার সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পে বর্জ্য রিসাইক্লিং ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।
বৈঠকে বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হেড অব মিশন ক্লিনটন পবকে বলেন, আগামী বছরের মাঝামাঝিতে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ‘অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম’ শীর্ষক একটি ইভেন্ট আয়োজিত হচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারকরা নিজ নিজ পণ্য উপস্থাপন করা সুযোগ পাবেন। অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশন এই ইভেন্ট আয়োজনে বিজিএমইএ থেকে সহযোগিতা চান।
পরে বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন এ ব্যাপারে বিজিএমইএ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।