ব্যাংক
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৫১ বিভাগের দায়িত্ব পেলেন চার ডেপুটি গভর্নর
ছাত্রজনতার বৈষম্যবিরোধেী আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কয়েকটি পদেও রদবদল হয়েছে। এর ফলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক পেয়েছে নতুন দুই ডেপুটি গভর্নর। এমন পরিস্থিতির মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চার ডেপুটি গভর্নরের কাজের পরিধি ভাগ করে দিয়েছে আর্থিক খাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের অনুমতিতে ডেপুটি গভর্নরদের এসব বিভাগের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ১ পদে রয়েছেন নূরুন নাহার। তিনি দায়িত্ব পেয়েছেন- হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট ১, হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট ২, ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ, এসএমই এন্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট, ক্রেডিট গ্যারান্টি ডিপার্টমেন্ট, কৃষি ঋণ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমি, এক্সপেন্ডিচার ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট ১, এক্সপেন্ডিচার ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট ২, ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়, ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সী ম্যানেজমেন্ট, টাকা জাদুঘর বিভাগ, সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা বিভাগের।
ডেপুটি গভর্নর ২ পদে রয়েছেন ড. মো. হাবিবুর রহমান। তিনি দায়িত্ব পেয়েছেন- চিফ ইকোনমিস্টস ইউনিট, পরিসংখ্যান বিভাগ, মনিটারি পলিসি ডিপার্টমেন্ট, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ডিপার্টমেন্ট, একাউন্টস এন্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্ট, গবেষনা বিভাগ, ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর সাপোর্ট এন্ড স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্ট, ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স ডিপার্টমেন্ট, ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন্স এন্ড পাবলিকেশন্স, ন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন স্ট্র্যাটেজি (এনএফআইএস) এডমিনিস্ট্রেটিভ ইউনিট, ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টন্ট, ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো এবং ভেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের।
বাংলাদেশ ব্যাংকে ডেপুটি গভর্নর ৩ হিসেবে সদ্য নিয়োগ পেয়েছেন মো. জাকির হোসেন চৌধুরী। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ডেপুটি গভর্নর ৩’ পদে দায়িত্ব পালন করা খুরশিদ আলম পদত্যাগ করেন। এরপর সার্চ কমিটির মাধ্যমে বাছাই করে জাকির হোসেনকে একই পদে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী যেসব বিভাগের দায়িত্ব পেলেন- বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ, ফরেন এক্সচেঞ্জ অপারেশন ডিপার্টমেন্ট, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগ, ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ, পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট, কমন সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট-১, কমন সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট-২, আইন বিভাগ, স্পেশাল স্টাডিজ সেল, ইন্টিগ্রেটেড সুপারভিশন ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এবং ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি এন্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট।
অপরদিকে ডেপুটি গভর্নর-৪ হিসেবে সম্প্রতি নিয়োগ পেয়েছেন ড. মো. কবির আহাম্মদ। তিনি যেসব বিভাগের দায়িত্ব পেলেন- ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-১, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-২, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৩, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৪, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৫, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৬, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৭, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৮, বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগ,আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগ,ফরেক্স রিজার্ভ এন্ড ট্রেজারী ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এবং ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি ডিপার্টমেন্ট।
এর আগে ছাত্র- জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ তার পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরের দিন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বস্তরের কর্মকর্তারা ‘দুর্নীতিবাজ’ শীর্ষ কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার সহ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। অন্য যারা পদত্যাগ করেন- ডেপুটি গভর্নর-১ কাজী ছাইদুর রহমান, ডেপুটি গভর্নর-৩ খুরশিদ আলম, বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি উপদেষ্টা আবু ফারাহ মো. নাসের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকে প্রশাসক নিয়োগ করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বেসরকারি খাতের আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকে প্রশাসক বসিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মজিবুর রহমানকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে ২০০৬ সালেও একবার প্রশাসক নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেডের যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত ও আমানতকারীর আস্থা অক্ষুণ্ন রাখার লক্ষ্যে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাইীর ক্ষমতা প্রয়াগে ও দায়িত্ব সাময়িকভাবে পালনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মা. মজিবুর রহমানকে নিযুক্ত করা হলো। তিনি প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের নিমিত্তে বৃহস্পতিবার কর্মদিবস শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিমুক্ত বলে গণ্য হবেন।
ওরিয়ান গ্রুপের ব্যাপক ঋণ জালিয়াতির কারণে ব্যাংকটি ধুঁকছিল। যে কারণে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেউদ্দীন আহমেদ তৎকালীন গভর্নর থাকা অবস্থায় ২০০৬ সালেও ব্যাংকটিতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকে কোনো পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
গত বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শফিক বিন আবদুল্লাহকে অবরুদ্ধ করে বহিষ্কৃত ঘোষণা করেন ব্যাংকটির কর্মকর্তারা। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে তাকে কারওয়ান বাজারের প্রধান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন ব্যাংকের ৩৩ শাখার ম্যানেজাররা।
আন্দোলনরত ব্যাংকটির ম্যানেজাররা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে (এমডি শফিক বিন আবদুল্লাহ) পুনর্নিয়োগ না দিলেও তিনি জোর করে অফিস করছিলেন। আমরা তার বহিষ্কার চাই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
যে কারণে ন্যাশনাল ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ থাকবে পাঁচ দিন
৩১ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে ন্যাশনাল ব্যাংক। কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার হালনাগাদ করার উদ্দেশ্যে ন্যাশনাল ব্যাংক বন্ধ রাখা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানানো হয়, ওই পাঁচ দিন ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ, আগামী বছরের শুরুতে পাঁচ দিন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লেনদেনও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। এ সময়ে ব্যাংকের শাখা ও এটিএম বুথ থেকে কোনো সেবা পাবেন না ব্যাংকটির গ্রাহকরা। তবে ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের লেনদেন চালু থাকবে।
বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি বুধবার ব্যাংক হলিডে। ৩ ও ৪ জানুয়ারি শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। ফলে মূলত ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ও ৫ জানুয়ারি রোববার ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ থাকবে। কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার হালনাগাদ করতে ব্যাংক বন্ধ রাখার বিষয়ে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করা হয়। তার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে সম্মতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ব্যাংক ডাকাতদের আত্মসমর্পণ, জিম্মিরা অক্ষত
ঢাকার কেরাণীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে হানা দেওয়া ডাকাতরা সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর আত্মসমর্পণ করেছে; জিম্মিদশা থেকে অক্ষত অবস্থায় মুক্ত হয়েছেন গ্রাহক-কর্মীদের সবাই।
র্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বলেন, “রূপালী ব্যাংকে ঢুকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা তিন ডাকাত ৩টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তাদেরকে কেরাণীগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, রাত ৮টায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরবেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে কেরাণীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখায় হানা দেয় একদল সশস্ত্র ডাকাত। তাতে ব্যাংকের গ্রাহক ও কর্মী মিলে ১৬ জন ভেতরে জিম্মি দশায় পড়েন।
বিকাল সাড়ে ৫টায় তিন ডাকাত আত্মসমর্পণ করে জানিয়ে র্যাব কর্মকর্তা তাপস কর্মকার বলেন, “ভেতরে ১৬ জন জিম্মি ছিলেন, যাদের মধ্যে চারজন ব্যাংক কর্মকর্তা, আর বাকি ১২ জন গ্রাহক। প্রত্যেকেই অক্ষত রয়েছেন। বিনা রক্তপাতে তিন ডাকাতকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।”
ডাকাতদের আত্মসমর্পণের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “প্রথমে আমরা তাদের সঙ্গে আত্মসমর্পণের জন্য প্রস্তাব দিই। নেগোসিয়েশনের একপর্যায়ে তারা আমাদের কাছে আত্মসমর্পণের জন্য রাজি হন।
“তবে বিক্ষুব্ধ জনতার কাছ থেকে নিরাপদে তাদেরকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। সেই অনুযায়ী, তাদেরকে হেফাজতে নিয়ে কেরাণীগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আমাদের আলোকচিত্র সাংবাদিক মাহামুদ জামান অভি সন্ধ্যা ৬টা জানান, ব্যাংক থেকে তিনজন ডাকাতকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ব্যাপক পাহারার মধ্যে গাড়িটি চলে যায়। সেনা সদস্যরা এখনও ব্যাংক ঘিরে রেখেছেন। যাদের জিম্মি করা হয়েছিল, তারা এখনো ভেতরে আছেন। সেনা কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।
কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার ওসি সোহরাব আল হোসাইন বলেন, “তিন ডাকাত আমাদের হেফাজতে রয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।”
পুলিশের কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডাকাত পড়ার খবর পেয়ে প্রথমে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে ব্যাংকের গেইটে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে ব্যাংকের ওই শাখার চারপাশে অবস্থান নেয়। তারা আলোচনার মাধ্যমে ডাকাতদের আত্মসমর্পণ করানোর চেষ্টা চালান।
ব্যাংকে ডাকাত দলের হানা দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে উৎসুক জনতা ভিড় করে। ব্যাংকের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ, র্যাব ও সেনা সদস্যরা তাদের বার বার দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
পাশের একটি মসজিদের মাইক থেকে ডাকাত দলকে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানানো হয়। প্রয়োজনে যাতে ব্যাংকের ভেতরে অভিযান চালানো যায়, সেই প্রস্তুতিও নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে তার আর প্রয়োজন হয়নি।
রূপালী ব্যাংকের চিফ সিকিউরিটি অফিসার মেজর শওকত তারেক বলেন, “তিনজন ডাকাতকে আটক করে সোর্পদ করে দেওয়া হয়েছে। তিনজনের কাছে খেলনা পিস্তল ছিল। আর দুটি ছুরি ছিল। সেগুলো জব্দ করা হয়েছে।
“ভয় ভীতি দেখানোর চেষ্টা করেছিল তারা। ডাকাতরা নিজেদের কাছে টাকা নিয়েছিল। সেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।”
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
রূপালী ব্যাংকে ঢুকে পড়া তিন ডাকাতের আত্মসমর্পণ
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া পাকাপোল এলাকায় রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখা ঢুকে পড়া তিন ডাকাত আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে ডাকাত দল ব্যাংকটিতে ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান।
র্যাব–১০ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জানানো হয়, চুনকুটিয়া এলাকায় রূপালী ব্যাংকে ঢুকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন তিন ডাকাত। সেই তিনজন আগ্নেয়াস্ত্রসহ যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
ঘটনাস্থলে একজন র্যাব কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ভেতরে তিনজন ডাকাত ছিলেন। তাঁরা আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। আলোচনার মাধ্যমে এই নাটকের অবসান ঘটেছে। তিনি বলেন, ভেতরে তিনজন ছিলেন। বাইরেও তাদের লোক ছিল।
এর আগে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের ভেতরে দুই থেকে তিনজন ডাকাত অবস্থান করছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ডাকাতদল ব্যাংকের ভেতরে ঢুকে সেখানে থাকা সবাইকে জিম্মি করে ডাকাতি করার চেষ্টা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা দুইটার দিকে ব্যাংকে ডাকাত দলের ঢুকে পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। তখন এলাকাবাসী ওই এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে ব্যাংকে ডাকাত দলের প্রবেশের বিষয়টি স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জানানো হয়। এ সময় এলাকাবাসী ব্যাংকটির চারপাশ ঘেরাও করে প্রবেশের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। খবর পেয়ে প্রথমে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। বিকেল চারটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
পদ্মা ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী খান
সোনালী ব্যাংক পিএলসি’র সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. শওকত আলী খান পদ্মা ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) পদ্মা ব্যাংকের হেড অফিসে ১২০তম বোর্ড সভায় মো. শওকত আলী খান সভাপতিত্ব করেন।
মো. শওকত আলী খান সোনালী ব্যাংকে যোগদানের পূর্বে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারও আগে রূপালী ব্যাংক পিএলসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মো. শওকত আলী খান ১৯৯৮ সালে বিআরসির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে রূপালী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার পদে যোগদান করেন। দীর্ঘ ২৬ বছরের কর্মজীবনে অভিজ্ঞ এই ব্যাংকার রূপালী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা, স্থানীয় কার্যালয় ও প্রধান কার্যালয়ের এইচআর, শিল্প ঋণ, এসএমই, আইটি, ট্রেজারি, সংস্থাপন, আইন, কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণ এবং আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি রূপালী ব্যাংকের প্রধান রিস্ক অফিসার, ক্যামেলকো ও ক্রীড়া পরিষদের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।
তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। সরকারি কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণ ঋণ নীতিমালা প্রণয়ণের জন্য তাঁকে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয় পুরস্কৃত করেছে।
মো. শওকত আলী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পদ্মা ব্যাংকের বোর্ড সভায় অন্যান্য পরিচালকদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হোসেন, তামিম মারজান হুদা, শাহনুল হাসান খান, স্বতন্ত্র পরিচালক এইচএম আরিফুল ইসলাম এবং মো. রোকনুজ্জামান, ব্যারিস্টার-এট-‘ল। সভা পরিচালনা করেন পদ্মা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. তালহা (চলতি দায়িত্বে)।