পুঁজিবাজার
তিন কোম্পানির লভ্যাংশ বিতরণ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন প্রতিষ্ঠান ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হলো- ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেড এবং ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড।
সূত্র মতে, কোম্পানিগুলো সমাপ্ত হিসাববছরের নগদ লভ্যাংশ বিইএফটিএন সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের পাঠিয়েছে।
ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। এছাড়া ইসলামী ইন্স্যুরেন্স গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং ম্যারিকো বাংলাদেশ গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিএসইসির চিঠির প্রতিবাদ বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের
পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে অর্থ মন্ত্রনালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে (এফআইডি) চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত ০৬ অক্টোবর বিএসইসির পাঠানো এই চিঠির প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ প্রসঙ্গে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএসইসি যে চিঠি দিয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। এতে যে সব বিষয়বস্তু উল্লেখ করে আমাদের সংগঠনকে দোষারোপ করা হয়েছে, তাতে আমরা (বাপুবিসপ) যারপরনাই ক্ষুব্দ ও চরমভাবে ব্যথিত হয়েছি। অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিএসইসির প্রেরিত চিঠির ভাষা প্রয়োগ থেকেই প্রতীয়মান হয় যে, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপপ্রয়াস মাত্র। কারসাজিকারক ও অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে চলমান আইনি ব্যবস্থা ও সংস্কার কার্যক্রমকে আমাদের সংগঠন জোর সমর্থন জানায়। তার আগে বিনিয়োগকারী ও স্টেক হোল্ডারদের আস্থায় আনা ও প্রয়োজনীয় আর্থিক প্রস্তুতি থাকা অত্যাবশ্যকীয় ছিল। সেটা না থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম মাত্রায় অনাস্থা কাজ করায় বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উদ্ভব।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এইরুপ পরিস্থিতিতে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং তারিখে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ, বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজার উন্নয়ন/সংস্কারের স্বার্থে করণীয় প্রসঙ্গে ১২ দফা দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেসব সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীরা এর সুফল পাবেন বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। অথচ আমাদের দাবী সমূহের গভীরতা অনুধাবন না করে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর প্রয়াস লক্ষণীয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখিত ‘সাম্প্রতিক সময়ে বিএসইসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি’ প্রসঙ্গে বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের বক্তব্য হলো, ২৮ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত ১২ দফার কোথাও বিক্ষোভ কর্মসূচি দেওয়া হয়নি। সুতরাং এর দায়ভার বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ বহন করে না। কমিশন বলেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন কর্মসূচি পেছনে থাকা ব্যাক্তিরা স্পষ্টভাবে পুঁজিবাজারের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত স্বার্থান্বেষী মহলের। আশীর্বাদপুষ্ট। অথচ ২০১০ সালে ভয়াবহ দরপতনে বিগত ফ্যাসিবাদের দোসর, কারসাজিকারক, অনিয়মে জড়িত ও শেয়ারবাজার লুন্ঠনকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ। কোন প্রকার রক্ত চক্ষুকে পরোয়া এবং কারো সাথে আপোষ করেনি, যার স্বাক্ষী সর্বস্তরের বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট মহল। এর জন্য ফ্যাসিবাদের রোষানলে পড়ে হামলা/মামলার শিকার হতে হয়েছে। ডিএসই কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বছরের পর বছর চালিয়ে এবং পুঁজিবাজারে পুঁজি হারিয়ে আর্থিকভাবে দেউলিয়া হওয়ার পথে বিনিয়োগকারীরা। অথচ সেই বিনিয়োগকারীদেরকেই ভিক্টিম বানানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। কোন প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়া ঢালাওভাবে দোষারোপ করার সংস্কৃতি বিগত ফ্যাসিবাদী আমলকে স্মরন করিয়ে দেয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ব্যাক্তিরা শত সহস্র শহীদ ও হাজার হাজার পঙ্গু, চোখ হারা, হাত-পা হারা, অঙ্গ-প্রতঙ্গ হারা আহত বীর ভাইদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত, আমাদের ছাত্র-জনতার সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে প্রকৃত বিনিয়োগকারীদেরকে শত্রু চিহ্নিত করে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র কিনা, তা খতিয়ে দেখতে এবং নিজেদের ব্যর্থতার দায়ভার বিনিয়োগকারীদের উপর চাপিয়ে কার স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিকট জোর দাবি জানাই। অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত বিএসইসির চিঠি ইস্যুকারী সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখারও জোর দাবী জন্যই। পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিএসইসি কর্তৃক প্রেরিত চিঠির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে হবে। অন্যথায় এর দায়ভার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশনকে বহন করতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাউথইস্ট ব্যাংকের উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির ৭ লাখ শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন হয়েছে। কোম্পানিটির এক উদ্যোক্তা আলোচ্য পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করেছেন।
ঢাকা স্টক একচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সাউথইস্ট ব্যাংকের উদ্যোক্তা রেহানা কাশেম ৭ লাখ শেয়ার ডিএসইর বিদ্যমান বাজার দরে বিক্রি সম্পন্ন করেছেন। এর আগে গত ০৬ অক্টোবর ডিএসই ওয়েবসাইটে শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পর্ষদ সভা করবে আরএন স্পিনিং
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আর. এন. স্পিনিং মিলস লিমিটেড প্রান্তিক সংক্রান্ত পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২১ অক্টোবর বিকাল ৪টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পর্ষদ সভার তারিখ জানালো আনোয়ার গ্যালভানাইজিং
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড প্রান্তিক সংক্রান্ত পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৮ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
কর্পোরেট গভর্নেন্স যথাযথ পালনের নির্দেশ বিএসইসির
পুঁজিবাজার ও তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে কর্পোরেট গভর্নেন্স কোডের যথাযথ পরিপালনের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশের (আইসিএসবি) শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কর্পোরেট গভর্নেন্স কোডের যথাযথ পরিপালন পুঁজিবাজার ও তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। এছাড়া তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে কোম্পানি সচিবদের পেশাদার ও দায়িত্বশীল ভূমিকার মাধ্যমে কর্পোরেট গভর্নেন্স কোডের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিতের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও কল্যাণের স্বার্থে এবং সমৃদ্ধ বাজার গড়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন তথা অংশীজনদের প্রত্যেককে যার যার দায়িত্ব ও কর্তব্য অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় ও যথাযথ ভূমিকা রাখা অত্যন্ত জরুরি। পুঁজিবাজারের টেকসই ও যথাযথ সংস্কারের জন্য বিএসইসি টাস্কফোর্স গঠন করেছে এবং টাস্কফোর্স পুঁজিবাজারের সর্বাঙ্গীণ সংস্কারের বিষয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
সভায় আইসিএসবির শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দ দেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়ন ও সংস্কার সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মতামত ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এসময় দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিকাশের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে নিয়োজিত চার্টার্ড সেক্রেটারিজবৃন্দের ভূমিকা এবং দায়িত্বের বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে কর্পোরেট গভর্নেন্স নিশ্চিত, কোম্পানিগুলোতে স্বাধীন পরিচালকের নিয়োগ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংস্কার, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে কোম্পানিগুলোতে কর্মরত চার্টার্ড সেক্রেটারিজ বা কোম্পানি সেক্রেটারিদের দক্ষতা ও সক্ষমতার উন্নয়ন, কোম্পানির অভ্যন্তরীণ সুশাসন নিশ্চিতে কোম্পানি সেক্রেটারিদের অধিকতর দায়িত্বশীল করা, কোম্পানির লভ্যাংশ বিতরণসহ নানা ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান নিশ্চিতে কোম্পানি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে যোগাযোগ ও সমন্বয় বৃদ্ধি ইত্যাদি বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
সভায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং সুশাসন নিশ্চিতের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ভালো বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে আইসিএসবির প্রতিনিধিবৃন্দ দেশের পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়ন ও সংস্কারে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ সময় বিএসইসির কমিশনার মোহসিন চৌধুরী, আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ, বিএসইসির কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আইসিএসবির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতিসহ শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এমআই