সারাদেশ
পিকআপ-ইজিবাইক সংঘর্ষে ৪ জন নিহত

বাগেরহাটে পিকআপ-ইজিবাইকের সংঘর্ষে ইজিবাইকের ৪ জনা যাত্রী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের টাউন নওয়াপাড়া এলাকায় খুলনাগামী একটি পিকআপের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন – শওকত (৪০), মাসুম (৩০) ও নিপা (২৮)। এদের মধ্যে নিপার বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলায়, তিনি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। অন্যদের ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তানভির ইসলাম অনিক বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজনকে মৃত এবং দুইজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আহত দুজনের মধ্যে একজনের নাম হিরণ শেখ (৩৫) এবং একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি। আমরা খুলনা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে তাদের পাঠাই। এদের মধ্যে একজন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছেন।
কাটাখালি হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল হক জানান, সংঘর্ষের পরই পিকআপভ্যানটি পালিয়েছে। ঘটনাস্থলে ইজিবাইকের ৩ জন মারা গেছেন। আহত দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। শুনেছি তাদের মধ্যেও একজন মারা গেছে। নিহত তিনজনের মরদেহ কাটাখালি হাইওয়ে থানায় রয়েছে।
পিকআপটিকে শনাক্তের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
কাফি

সারাদেশ
সিনিয়র সাংবাদিক কামরুজ্জামান হিরুর পিতার জানাজায় ড. হেলাল

দৈনিক সংগ্রামের সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক ও বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) সদস্য একেএম কামরুজ্জামান হিরুর বাবা বিশিষ্ঠ সমাজসেবক একেএম শামসুল হকের নামাজে জানাজায় উপস্থিত থেকে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে শান্তনা এবং দোয়া করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমীর, বাংলাদেশ পাবলিকেশন্স লিমিটেড পরিচালক এবং ঢাকা ৮ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। আজ রবিবার (২৯ জুন) এশার নামাজের পর রাত সোয়া ৯টায় ফকিরাপুল বড় মসজিদে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত।
রবিবার বিকেলে রাজধানীর ফকিরাপুলের কোমরগলির নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। শামসুল হক ৩ ছেলে ২ মেয়ে এবং স্ত্রীসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
বাদ মাগরিব দৈনিক সংগ্রাম কার্যালয়ে কামরুজ্জামান হিরুর বাবার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেছেন সহকর্মীরা। দোয়া অনুষ্ঠানে সংগ্রামের সম্পাদক আযম মীর শাহিদুল আহসান, বার্তা সম্পাদক সা’দাত হোসাইন, চিফ রিপোর্টার সামছুল আরেফীনসহ সংগ্রাম পরিবারের অংশগ্রহণ করেন।
জানাজার পূর্বে বক্তব্য রাখেন মরহুমের ছেলে একেএম কামরুজ্জামান হিরু। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, দৈনিক সংগ্রামের চিফ রিপোর্টার সামছুল আরেফীন, বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) সভাপতি রেজওয়ানুজ্জামান রাজিব, সাবেক সভাপতি সারোয়ার হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। জানাজা শেষে আজিমপুর গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে কামরুজ্জামান হিরুর বাবার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) ও জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন (জেডব্লিউএফ)।
সারাদেশ
কবর খোঁড়া সেই মনু মিয়া মারা গেছেন

বিনা পারিশ্রমিকে ৩ হাজারের বেশি কবর খনন করা সেই মনু মিয়া মারা গেছেন। কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার জয়সিদ্দি ইউনিয়নের আলগা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এর আগে দীর্ঘদিন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মনু মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়সিদ্দি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম।
কবর খুঁড়ে তিনি পার করে দিয়েছেন তার ৬৭ বছরের জীবনের সুদীর্ঘ ৪৯টি বছর। কোনো ধরনের পারিশ্রমিক কিংবা বখশিস না নিয়ে এ পর্যন্ত খনন করেছেন ৩ হাজার ৫৭টি কবর।
দূরের যাত্রায় দ্রুত পৌঁছাতে নিজের ধানী জমি বিক্রি করে বেশ কয়েক বছর আগে কিনেছেন একটি ঘোড়া। এই ঘোড়ার পিঠে তিনি তুলে নেন তার যাবতীয় হাতিয়ার-যন্ত্র। সেই ঘোড়ায় সওয়ার হয়েই শেষ ঠিকানা সাজাতে মনু মিয়া ছুটে চলতেন গ্রাম থেকে গ্রামে। তবে সে ঘোড়াটিও মারা যায় এ বছর ১৬ মে।
সারাদেশ
পশুর নদীতে ডুবে গেলো কার্গো জাহাজ

বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের পশুর নদীর চরে ডুবে গেছে ফ্লাইঅ্যাশ (সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল) বোঝাই কার্গো জাহাজ। শুক্রবার (২৭ জুন) ভোর ৬টার দিকে মোংলা নদী ও পশু নদীর ত্রিমোহনা সংলগ্ন চরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজ এমভি মিজান-০১ এর ড্রাইভার শওকত শেখ জানান, তাদের জাহাজটি পশুর চ্যানেলে নোঙর করা অবস্থায় ছিল। শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে এমভি কে আলম গুলশান-০২ নামক লাইটার কার্গো জাহাজ অ্যাংকর করে থাকা এমভি মিজান-০১ কার্গো জাহাজের ওপর উঠিয়ে দেয়। এ সময় লাইটার কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ওই কার্গো জাহাজটি ডুবে যায়। এতে ৯১৪ মেট্টিক টন ফ্লাইঅ্যাশ ছিল। ভারতের কলকাতার ভেন্ডেল এলাকা থেকে এ ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই করেছিল মিজান-১। ঢাকার নারায়ণগঞ্জের বসুন্ধরার ঘাটে যাওয়ার পথিমধ্যে যাত্রাবিরতিকালে মোংলা বন্দরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ড্রাইভার শওকত আরও বলেন, লাইটার জাহাজের ধাক্কায় তাদের কার্গো জাহাজের পাশ ও তলা ফেটে নদীতে ডুবে গেছে। ওই জাহাজে থাকা ১০জন স্টাফই সাঁতরিয়ে কুলে উঠে এখন নিরাপদ রয়েছেন।
এদিকে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের চরে এ নৌযান দুর্ঘটনা ঘটলেও বন্দর চ্যানেল পুরোপুরি নিরাপদ রয়েছ বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ মোঃ মাকরুজ্জামান বলেন, কার্গো জাহাজ এমভি মিজান-১ অপর একটি লাইটার জাহাজ এমভি কে আলম গুলশান-০২ এর ধাক্কায় পশুর নদীর চরে ডুবে গেছে। তবে বন্দর চ্যানেল সুরক্ষিত রয়েছে। বন্দর চ্যানেল দিয়ে সব ধরনের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
ধর্ম ও জীবন
সৌদি আরবে কক্সবাজারের ওয়াহিদুর রহমানের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন

কক্সবাজারের কৃতী সন্তান আ.ফ.ম.ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী সৌদি আরবের মক্কা উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন।
তিনি কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলাধীন গর্জনীয়া পূর্ব বোমাংখিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল ছিলেন, গর্জনীয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হেড মাওলানা। তার দাদা মাওলানা ওবায়দুল হক চট্টগ্রামের বিখ্যাত দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন।
অ.ফ.ম ওয়াহীদুর রহমান বর্তমানে পবিত্র হারামাইন শরীফাইন সৌদি আরবের অনুবাদ প্রকল্পে বাংলা বিভাগে অনুবাদক, ভাষ্যকার ও তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কর্মরত।
তিনি সৌদি আরবের মক্কা উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২৫ সালে পিএইচডি অর্জন করেন। তার গবেষণা অভিসন্দর্ভের শিরোনাম ছিল- ‘ইমাম আল-বায়হাকী আস-সুনান আল-কুবরায় যা বর্ণনা করেছেন তার মাধ্যমে আল্লাহর দিকে ডাকার আইনশাস্ত্র’।
তিনি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের প্রখ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকার তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা থেকে হাদিস বিভাগে কামিল ও ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা-ই- আলিয়া, ঢাকা থেকে কামিল তাফসির বিভাগে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন।
এর আগে কক্সবাজারের টেকনাফের রঙ্গিখালী দারুল উলুম মাদ্রাসা থেকে দাখিল এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের উম্মুল মাদারিস খ্যাত চুনতী হাকিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে যথাক্রমে আলিম ও ফাজিল পরীক্ষায় সম্মানের সাথে উত্তীর্ণ হন।
তিনি ১৯৯৯-২০০৪ ইংরেজি সাল পর্যন্ত ঢাকা মোহাম্মদপুরে অবস্থিত গাউছিয়া ইসলামীয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আ.ফ.ম.ওয়াহীদুর রহমান মাক্কী সৌদি সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ পৃথিবীর ২০টি ভাষায় খুতবাতুল আরাফার তথা হজের খুতবাহ সম্প্রচার প্রকল্পে বাংলা ভাষ্যকার হিসেবে ২০২০, ২০২১ ও ২০২৩ সালে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া ও তিনি মক্কায় ইসলামিক সেন্টার এর একজন দায়ী হিসেবে বাংলা ভাষাভাষীদের মাঝে দাওয়াতী কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
কাফি
সারাদেশ
পাবনায় ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে সাড়ে ১২ লাখ টাকা লুট

পাবনা সদর উপজেলার টেবুনিয়ায় ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় জানালার গ্রিল কেটে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। এসময় দুটি কম্পিউটার ভাঙচুর ও হার্ডডিস্ক লুট করা হয়। প্রমাণ ধ্বংস করতে এসময় ভাঙচুর করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
বুধবার (১৮ জুন) দিনগত রাতে উপজেলার টেবুনিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে ব্যাংক খোলার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
স্থানীয়, পুলিশ ও ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার স্বাভাবিক কার্যক্রম শেষে ব্যাংক বন্ধ করে চলে যান শাখা সংশ্লিষ্টরা। পরদিন ব্যাংকের অফিস সহকারী (মেসেঞ্জার) রাসেল এসে ব্যাংক খুলে দেখেন জানালার গ্রিল কাটা এবং পুরো ব্যাংক তছনছ অবস্থায় রয়েছে। পরে সংশ্লিষ্টদের খবর দিলে দেখা যায়, ভল্টে থাকা টাকা, কম্পিউটার ও হার্ডডিস্ক লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এবিষয়ে ব্যাংকের অফিস সহকারী রাসেল প্রামাণিক বলেন, রাতের কোনো একটি সময় এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। সকালে অফিসে ঢুকে দেখি জানালার গ্রিল কাটা, কম্পিউটার ভাঙা ও চেয়ার ছড়ানো। এরপর আমি স্যারদের জানাই।
এজেন্ট শাখার ইনচার্জ নাঈম হাসান বলেন, খবর পেয়ে অফিসে এসে দেখি ভল্ট ভাঙা ও তাতে থাকা ১২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা নেই। অফিসের দুটি কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক এবং সিসিটিভি সিস্টেমও ভাঙচুর করা হয়েছে। এসময় চেয়ারে ঘটনায় জড়িতদের পায়ের ছাপ লক্ষ্য করা গেছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভল্ট ভেঙে টাকা ও কম্পিউটার চুরি হয়েছে বলে দাবি শাখা সংশ্লিষ্টদের। তবে ভল্ট ভাঙা হয়েছে বলে মনে হয়নি। ব্যাংক সংশ্লিষ্টদের দ্বন্দ্বেও এমনটি হতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।