আবহাওয়া
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ, তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এতে সাগর বিক্ষুব্ধ থাকায় সকল সমুদ্রবন্দরে তোলা হয়েছে তিন নম্বর সংকেত। রোববার (০৯ সেপ্টেম্বর) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০৫ কি. মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৮৫ কি. মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কি. মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৫০ কি. মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পুরীর নিকট দিয়ে ওড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে দমকা-ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. যা দমকা-ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এমআই

আবহাওয়া
পাঁচ বিভাগে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

সারাদেশে কম-বেশি বৃষ্টির আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে দেশের পাঁচটি বিভাগের কোথাও কোথাও অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
রোববার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক এসব কথা জানান।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আরও বলা হয়, সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকার বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৭৩ শতাংশ। বর্তমানে ঢাকায় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার, যা দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে বইছে। আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ১৬ মিনিটে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে এবং সর্বনিম্ন ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে। এ ছাড়া, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
কাফি
আবহাওয়া
১২ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপের আশঙ্কা, বৃষ্টির পূর্বাভাস

মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
রবিবার (৬ জুলাই) সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
এ অবস্থায় রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বষ্টি হতে পারে। সেইসাথে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া
দুপুরের মধ্যে ৭ অঞ্চলে ঝড় হতে পারে

দেশের ৭ অঞ্চলে দুপুরের মধ্যে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। যে কারণে ওইসব এলাকার নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৬ জুলাই) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের সাতটি অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, আবহাওয়ার অপর এক সতর্কবর্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরের উপর দিয়ে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া
দুপুরের মধ্যে ৭ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

দুপুর ১টার মধ্যে দেশের ৭ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শনিবার (৫ জুলাই) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া আজ শনিবার থেকে দেশজুড়ে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে। এতে করে ভ্যাপসা গরম কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া
দুপুরের মধ্যে দেশের ৭ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

দেশের সাতটি অঞ্চলে দুপুর ১টার মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর এলাকায় বজ্রমেঘ তৈরি হচ্ছে এবং বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। সতর্কবার্তায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
একই দিন আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত পূর্বাভাসে জানানো হয়, সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে আগামী শনিবার (৫ জুলাই) থেকে দেশের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। যা টানা চারদিন মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের মাস হলো জুন। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় জুলাই মাসে। কিন্তু সেই হিসাবে এবার জুন মাসে তেমন বৃষ্টি হয়নি দেশে। তবে এ বছর মে মাসে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সাধারণত জুন মাসে রাজধানীতে গড়ে ৩২১.৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। কিন্তু এ বছরের জুন মাসে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ১৮০ মিলিমিটার। স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টি কম হয়েছে প্রায় ৪৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।