অর্থনীতি
পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে মাঠে নেমেছে দুদক
শেখ হাসিনা সরকারের ১৭ বছরে পাচার হওয়া প্রায় এক লাখ কোটি টাকার খোঁজে পূর্নাঙ্গ শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই কাজে সংস্থাটিকে সাহায্য করছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একটি দল।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এফবিআইয়ের লিগ্যাল অ্যাটাচে রবার্ট ক্যামেরুন ও সুপারভাইজার স্পেশাল এজেন্টের সমন্বয়ে একটি দল দুদকের মানিলন্ডারিং এবং লিগ্যাল শাখার মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক মহাপরিচালক বলেন, ‘মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছে দুদক। এছাড়া পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারে আমাদের সফলতা আছে। মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত কার্যক্রম, আইন ও আমাদের সক্ষমতা এফবিআইকে জানাবো।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে সংস্থাটির কোনো সাহায্য নেওয়া যায় কি না সে বিষয়ে আমাদের কথা হবে। এছাড়া যৌথ টাস্কফোর্স নিয়েও আলোচনা হতে পারে। দুদকের সঙ্গে এফবিআইসহ একাধিক বিদেশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হয়।’
এদিকে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সভা শেষে অন্তবর্তীকালীন সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘টাস্কফোর্সের কর্মপদ্ধতি কী হবে, কারা থাকবে, এর প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ চলছে। কিছুদিনের মধ্যে এই টাস্কফোর্স দৃশ্যমান হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ব্যাংক খাতের সংস্কারে আলাদা টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।’
সরকারের বিশেষ টাস্কফোর্সে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন, অর্থ বিভাগ, এনবিআর, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ইত্যাদি সংস্থার প্রতিনিধিরা থাকছেন বলে জানা গেছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার। এ লক্ষ্যমাত্রা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রপ্তানির চেয়ে প্রায় ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি। গত অথর্বছরে পণ্য ও সেবা থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৫১ দশমিক ১০ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ১১০ কোটি ডলার।
রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিচালনা পর্ষদের সভায় লক্ষ্যমাত্রার এ সিদ্ধান্ত হয়। অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ সভায় বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিমউদ্দিন, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুলাইয়ে প্রকৃত পণ্য রপ্তানির ভিত্তিতে লেনদেনের ভারসাম্যের তথ্য প্রকাশ করে। এতে পণ্য রপ্তানির হিসাবে বড় ধরনের গরমিলের তথ্য উঠে আসে। তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছিল, ইপিবি দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানির হিসাব প্রকাশ করলেও সে অনুযায়ী দেশে আয় আসছিল না। এ নিয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা থেকেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে, যে তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা হয়েছে, প্রকৃত অর্থে সে পরিমাণ রপ্তানি হয়নি।
এর পর থেকে ইপিবি পণ্য রপ্তানির হিসাব প্রকাশ করা বন্ধ রেখেছে। তবে এনবিআরের তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুন পর্যন্ত রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪০ দশমিক ৮১ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৮১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ কম। এ ছাড়া এ সময় সেবা রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৬ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার। এ ক্ষেত্রেও আয় কমেছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
অবশ্য এর আগে গত এপ্রিল পর্যন্ত ইপিবি রপ্তানির যে তথ্য প্রকাশ করে আসছিল, তাতে বেশ ভালোই প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যালোচনায় উঠে আসে, ইপিবি যে তথ্য প্রকাশ করে, তাতে বেশকিছু ক্ষেত্রে একই রপ্তানি দুবার এন্ট্রি করা হয়। এরপর থেকে ইপিবি রপ্তানির তথ্য প্রকাশ বন্ধ রেখেছে। এনবিআরের পণ্য জাহাজীকরণের তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করলে, তাতে প্রবৃদ্ধি কমে যায়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বেপজায় ৭৪ লাখ ডলার বিনিয়োগ করবে চীনা কোম্পানি
দেশে জুতার উপকরণ তৈরির কারখানা স্থাপন করবে চীনা প্রতিষ্ঠান ইজিন বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে রপ্তানিমুখী এ কারখানা গড়ে তোলা হবে।
কারখানাটি স্থাপনে ইজিন বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড ৭৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বা ৮৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) বিনিয়োগ করবে। আর এখানে কর্মসংস্থান হবে ১ হাজার ৫০৯ বাংলাদেশি নাগরিকের। প্রতিষ্ঠানটি বছরে ১ কোটি জোড়া জুতা তৈরির বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করবে।
এ লক্ষ্যে আজ রোববার রাজধানীর গ্রিন রোডে অবস্থিত বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) সঙ্গে চীনা কোম্পানিটি চুক্তি করেছে। বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. আশরাফুল কবীর ও ইজিন বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জিয়েন জাইয়ি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, সদস্য মোহাম্মদ ফারুক আলম ও আ ন ম ফয়জুল হক, নির্বাহী পরিচালক মো. তানভীর হোসেন, বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক ও নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) এ এস এম আনোয়ার পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।
বেপজা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩২টি প্রতিষ্ঠান বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প স্থাপনের জন্য চুক্তি করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ৭১ কোটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এডিবি থেকে ৪০ কোটি ডলার পাওয়ার আভাস অর্থ উপদেষ্টার
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট সহায়তা হিসেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে ৪০ কোটি মার্কিন ডলার পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই অর্থ পাওয়া যাবে বলে আশা করছে সরকার।
রবিবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে এডিবি ও জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) প্রতিনিধি দল এবং ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনারের (ভারপ্রাপ্ত) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ওই সময় সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তহবিল দেওয়ার বিষয়ে তিন পক্ষই (এডিবি, জাইকা ও অস্ট্রেলিয়া) ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে। এডিবির কাছ থেকে বাজেট সহায়তা পাওয়া যাবে। আশা করছি, সংস্থার কাছ থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ৪০০ মিলিয়ন ডলার বা ৪০ কোটি ডলার পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তির আওতায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে আমরা নতুন করে আরও ৩০০ কোটি ডলারের বাজেটে সহায়তা চেয়েছি।
এ ছাড়া এডিবির অনেকগুলো প্রকল্প রয়েছে। সেগুলো এডিবি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে আরও বেশি সহযোগিতা করে সেটা তাদের বলা হয়েছে। আমরা ভবিষ্যতে কি কি করব সেসব বিষয়ে সংস্থাটিকে বলা হয়েছে। সেখানেও তারা প্রয়োজন মতো সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, জাইকা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। দেশের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টে তাদের অর্থায়ন রয়েছে। ভৌত অবকাঠামো ঋণগুলো আমরা কন্টিনিউ করতে বলেছি, সেটা ওরা করবে। এ ছাড়া আরও দুটি বিষয়ে কথা বলেছি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও টেকনিক্যাল বিষয়ও রয়েছে। বৈদেশিক ঋণের ফ্লো কমে গেছে কিনা, সাংবাদিকদের প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক ঋণের ফ্লো ঠিক ছিল। ফ্লো একেবারে কম আসেনি। কিন্তু এগুলোর ব্যবহার নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যারা এসেছিলেন তারা সবাই আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। আমরা সবার সঙ্গে আলাপ করেছি। তাদের যেসব সহায়তা চলমান সেসব আরও জোরদার করতে বলা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল শুরু ৯ সেপ্টেম্বর
ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের ২০২৪-২৫ কর বছরের অনলাইন রিটার্ন দাখিলের জন্য অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেম আপডেট করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকে অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেমটি করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বলছে, করদাতাবান্ধব, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক কর ব্যবস্থাপনা গড়তে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে আয়কর আইন, ২০২৩ এবং অর্থ আইন, ২০২৪-এর আলোকে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের ২০২৪-২০২৫ কর বছরের অনলাইন রিটার্ন দাখিলের জন্য ই-রিটার্ন সিস্টেম আপগ্রেডেশনের কাজ শেষ হয়েছে।
আগামীকাল থেকে অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেমটি করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। ই-রিটার্ন সিস্টেম আপগ্রেডেশন ব্যবহার করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা নিজে রিটার্ন তৈরি, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল অথবা অফলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য প্রিন্ট নিতে পারবেন।
এছাড়াও অনলাইন ব্যাংকিং, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (নগদ, বিকাশ, রকেট ইত্যাদি) মাধ্যমে কর পরিশোধ, রিটার্ন দাখিলের তাৎক্ষণিক প্রমাণ প্রাপ্তি, আয়কর পরিশোধ সনদ ও টিআইএন সনদপ্রাপ্তি, পূর্ববর্তী কর বছরের দাখিল করা ই-রিটার্নের কপি, রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ প্রিন্ট বা ডাউনলোডের সুবিধা পাওয়া যাবে। এ সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করতে টিআইএন ও করদাতার নিজ নামে বায়োমেট্রিক ভেরিফাইড মোবাইল নম্বর প্রয়োজন হবে।
ই-রিটার্ন সিস্টেম ব্যবহার করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা নিজের রিটার্ন তৈরি, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল অথবা অফলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য প্রিন্ট নিতে পারবেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দেউলিয়া অবস্থায় আছে দেশের ১০ ব্যাংক: গভর্নর মনসুর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দেশের ১০টি ব্যাংক ইতোমধ্যে দেউলিয়া অবস্থায় আছে, আমরা চাই না কোনও ব্যাংক বন্ধ হোক। গ্রাহকদের স্বার্থকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিব।
আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গভর্নর এসব কথা বলেন।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে দেউলিয়া পর্যায়ে থাকা ব্যাংকগুলো যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে, আমরা সেই চেষ্টা করব। ব্যাংকগুলোকে টেকনিক্যাল, অ্যাডভাইজারি ও লিকিউডিটি সুবিধা দিব।’
গভর্নর বলেন, ব্যাংক যে অবস্থাতেই থাকুক গ্রাহকদের কোনো ক্ষতি হবে না। এজন্য আমানতের সুরক্ষা বীমার পরিমাণ ১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হয়েছে। দেশের ব্যাংক খাতের ৯৫ শতাংশ গ্রাহকদের স্বার্থ নিশ্চিত হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একাউন্ট ফ্রিজ করা হয়নি। যেকোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হোক- তাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থানে চলবে। তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা দিবে। কেউ কেউ এই বিষয়গুলো নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে, হতে পা্রে কোন ব্যাংক নিজ থেকে অতি-উৎসাহিত হয়ে করেছে।’
গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ২৫ হাজার কোটি টাকার ফান্ড রয়েছে, যা বিতরণ হচ্ছে না। ব্যাংকের সমস্যাগুলো লিখিত আকারে দিতে বলা হয়েছে। নমনীয় ভাবে এসএমই খাতে এসব ফান্ড বিতরণ করা হবে।
এমআই