রাজধানী
রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ সোমবার
সোমবার ছুটির দিন না হলেও রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকার মার্কেট ও দোকানপাটের কর্মীদের সাপ্তাহিক ছুটি। এ কারণে সেসব মার্কেট-দোকান বন্ধ থাকবে। কিছু কিছু এলাকার দোকানপাট আবার বন্ধ থাকবে অর্ধদিবসের জন্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন মার্কেট ও দোকানপাট সোমবার বন্ধ রয়েছে।
যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ
আগারগাঁও, তালতলা, শেরেবাংলা নগর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, পল্লবী, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, মিরপুর-১২, মিরপুর-১৩, মিরপুর-১৪, ইব্রাহীমপুর, কচুক্ষেত, কাফরুল, মহাখালী, নিউ ডিওএইচএস, ওল্ড ডিওএইচএস, কাকলী, তেজগাঁও ওল্ড এয়ারপোর্ট এরিয়া, তেজগাঁও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া, ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান-১, ২, বনানী, মহাখালী কমার্শিয়াল এরিয়া, নাখালপাড়া, মহাখালী ইন্টারসিটি বাস টার্মিনাল এরিয়া, রামপুরা, বনশ্রী, খিলগাঁও, গোড়ান, মালিবাগের একাংশ, বাসাবো, ধলপুর, সায়েদাবাদ, মাদারটেক, মুগদা, কমলাপুরের একাংশ, যাত্রাবাড়ীর একাংশ, শনির আখড়া, দনিয়া, রায়েরবাগ ও সানারপাড়।
অর্ধদিবস বন্ধ যেসব মার্কেট
পল্লবী সুপার মার্কেট, মিরপুর বেনারসি পল্লী, ইব্রাহীমপুর বাজার, ইউএই মৈত্রী কমপ্লেক্স, বনানী সুপার মার্কেট, ডিসিসি মার্কেট গুলশান-১ ও ২, গুলশান পিংক সিটি, মোল্লা টাওয়ার, আল-আমিন সুপার মার্কেট, রামপুরা সুপার মার্কেট, মালিবাগ সুপার মার্কেট, তালতলা সিটি করপোরেশন মার্কেট, কমলাপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, গোরান বাজার, আবেদিন টাওয়ার, ঢাকা শপিং সেন্টার, আয়েশা মোশারফ শপিং কমপ্লেক্স, মিতালী অ্যান্ড ফ্রেন্ড সুপার মার্কেট।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে শনিবার
প্রতিদিনই কেনাকাটা করতে আমরা কোথাও না কোথাও গিয়ে থাকি। অনেক ভোগান্তি শেষে কোথাও গিয়ে দেখলেন, সেখানকার কার্যক্রম বন্ধ, তখন কাজ তো হলোই না বরং সময় নষ্ট। তাই বাইরে বের হওয়ার আগে দেখে নিন শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কোন কোন এলাকার মার্কেট, দোকান ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ।
বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট
নয়াবাজার, ইসলামপুর কাপড়ের দোকান, ফরাশগঞ্জ টিম্বার মার্কেট, শ্যামবাজার পাইকারি দোকান, আজিমপুর সুপার মার্কেট, কাপ্তান বাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ সিটি করপোরেশন মার্কেট, ছোট কাটরা, বড় কাটরা হোলসেল মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, সামাদ সুপার মার্কেট, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, ধূপখোলা মাঠবাজার, চকবাজার, ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সান্দ্রা সুপার মার্কেট, বাবুবাজার, শরিফ ম্যানসন।
বন্ধ থাকবে যেসব এলাকার দোকানপাট
শ্যামবাজার, বাংলাবাজার, চানখাঁরপুল, গুলিস্তানের দক্ষিণ অংশ, জুরাইন, করিমউল্লাহবাগ, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, মীরহাজারীবাগ, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, জয়কালী মন্দির, যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, টিপু সুলতান রোড, ধূপখোলা, গেণ্ডারিয়া, নবাবপুর, সদরঘাট, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, দয়াগঞ্জ, ওয়ারী, স্বামীবাগ, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ, কোতোয়ালি থানা, বংশাল, পাটুয়াটুলী, ফরাশগঞ্জ, শাঁখারী বাজার।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
বায়ুদূষণের শীর্ষে কিনশাসা, ঢাকার অবস্থান কত?
বায়ুদূষণের তালিকায় আজ শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। তবে এ তালিকায় ঢাকার অবস্থান ২২তম।
আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
তালিকার শীর্ষে থাকা কিনশাসার স্কোর ১৯৩ অর্থাৎ সেখানকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। এরপর দুবাইয়ের দূষণ স্কোর ১৫৩ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।
তালিকায় ২২ নম্বরে থাকা রাজধানী ঢাকার দূষণ স্কোর ৭৬ অর্থাৎ এখানকার বাতাস মাঝারি বা ভালো মানের।
স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ শুক্রবার
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে কেনাকাটার জন্য ঘুরতে বের হন। কিন্তু গিয়ে যদি দেখেন মার্কেট বন্ধ, তাহলে মনটাই খারাপ হয়ে যায়। তাই বাসা থেকে বের হওয়ার আগে জেনে নিন শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কোন কোন এলাকায় দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে।
বন্ধ থাকবে যেসব এলাকার দোকানপাট
বাংলাবাজার, পাটুয়াটুলী, ফরাশগঞ্জ, শ্যামবাজার, জুরাইন, করিমউল্লাহবাগ, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, মীরহাজীরবাগ, দোলাইপাড়, টিপু সুলতান রোড, ধূপখোলা, গেণ্ডারিয়া, দয়াগঞ্জ, স্বামীবাগ, ধোলাইখাল, জয়কালী মন্দির, যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, ওয়ারী, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ, কোতোয়ালি থানা, বংশাল, নবাবপুর, সদরঘাট, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, শাঁখারী বাজার, চাঁনখারপুল, গুলিস্তানের দক্ষিণ অংশ।
বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট
আজিমপুর সুপার মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, ফরাশগঞ্জ টিম্বার মার্কেট, শ্যামবাজার পাইকারি দোকান, সামাদ সুপার মার্কেট, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, ধূপখোলা মাঠ বাজার, চকবাজার, বাবুবাজার, নয়াবাজার, কাপ্তানবাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ সিটি করপোরেশন মার্কেট, ইসলামপুর কাপড়ের দোকান, ছোট কাঁটারা, বড় কাঁটারা হোলসেল মার্কেট, শারিফ ম্যানসন, ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সান্দ্রা সুপার মার্কেট।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ বৃহস্পতিবার
প্রতিদিনই মানুষের কিছু না কিছু কেনাকাটার প্রয়োজন হয়। এছাড়া মানুষ ঘুরতেও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে থাকেন। প্রয়োজনীয় কেনাকাটা কিংবা ঘুরতে গিয়ে যদি দেখেন ওই এলাকার মার্কেট বন্ধ, তাহলে মনটাই খারাপ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে নষ্ট হয় সময়ও। তাইতো বাসা থেকে বের হওয়ার আগে জেনে নিন বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কোন কোন এলাকার দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে।
বন্ধ থাকবে যেসব এলাকার দোকানপাট
মোহাম্মাদপুর, আদাবর, শ্যামলী, গাবতলী, মিরপুর-১, মিরপুর স্টেডিয়াম, চিড়িয়াখানা এলাকার দোকানপাট, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, আসাদগেট, ইস্কাটন, মগবাজার, বেইলি রোড, সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগের একাংশ, শাজাহানপুর, শান্তিনগর, শহীদবাগ, শান্তিবাগ, ফকিরারপুল, পল্টন, মতিঝিল, টিকাটুলি, আরামবাগ, কাকরাইল, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা, হাইকোর্ট ভবন এলাকা, রমনা শিশু পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।
বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট
মোহাম্মাদপুর টাউন হল মার্কেট, কৃষি মার্কেট, আড়ং, বিআরটিসি মার্কেট, শ্যামলী হল মার্কেট, মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, মাজার ক-অপরারেটিভ মার্কেট, মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্স, শাহ্ আলী সুপার মার্কেট, মিরপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, আনারকলি মার্কেট, আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স, কর্নফুলি গার্ডেন সিটি, কনকর্ড টুইন টাওয়ার, ইস্টার্ন প্লাস, সিটি হার্ট, জোনাকি সুপার মার্কেট, গাজী ভবন, পল্টন সুপার মার্কেট, স্টেডিয়াম মার্কেট-১ ও ২, গুলিস্থান কমপ্লেক্স, রমনা ভবন, খদ্দর মার্কেট, পীর ইয়ামেনি মার্কেট, বাইতুল মোকাররম মার্কেট, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট, সাকুরা মার্কেট।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জালিয়াতি-অনিয়মের আঁতুরঘর সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজ
সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও জাল জালিয়াতির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা সংক্রান্ত নীতিমালা পরিপন্থি অর্থনৈতিক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট নানান অনিয়মের অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে চার দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের ডাক দিলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মালিবাগে দুপুর ১টার দিকে কলেজের সামনের ফটকে এ আন্দোলন চলমান রেখেছে শিক্ষার্থীরা। এই ডেন্টাল কলেজটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ঐক্যবন্ধভাবে আন্দোলন ও প্রতিবাদের ডাক দেয়। এসময় বিভিন্ন স্লোগান ও প্লেকার্ড হাতে নিয়ে অনিয়মের বিষয়গুলো তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা।
সূত্র মতে, ডেন্টাল কলেজের একই ভবনে কলেজ ও হাসপাতাল থাকার কথা থাকলেও সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজে রয়েছে রড-সিমেন্টের দোকান। যা বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২২ (২০২২ সালের ১৬নং আইন) এর ধারা ৩৯ এবং স্থাপন ও পরিচালন বিধিমালা, ২০২৩ এর পরিপস্থি। এভাবেই একের পর এক অনিয়ম ও জালিয়াতি করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে ২০১৭ সালে পরিচালনার শর্ত পূরণ না করায় সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় তদন্ত (ইন্সপেকসন) হলেও অর্থের বিনিময়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ ধামাচাপা দেয়। ফলে কখনোই শিক্ষার মান উন্নয়ন ও জালিয়াতি বন্ধ হয়নি প্রতিষ্ঠানটির। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ একটি ডেন্টাল কলেজে যে ধরনের ল্যাব, কমন লাইব্রেরিসহ যেসব সুযোগ সুবিধা থাকার প্রয়োজন তার বিন্দু মাত্র নেই এই প্রতিষ্ঠানটিতে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত পরিমানের অতিরিক্ত ফি কমানো, কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষাগত ও ক্লিনিক্যাল অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা প্রদান এবং বিভিন্ন অনৈতিক ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বহিস্কার করা। একই সঙ্গে অসৎ ও অশালীন আচরণকারী ব্যক্তিদের অনতিবিলম্বে কলেজ থেকে অপসারণ করা।
জানা গেছে, গত ১৬ আগস্ট থেকে ২১ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ১৮ আগস্ট কলেজের কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এরপর ২৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও কোনো দাবি মানেনি কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার (৩১ আগস্ট) কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ৭ ঘণ্টা মিটিংয়ের পর কোন ধরণের সমাধান না পেয়ে কলেজে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। ওইদিন শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলে একদিন সময় চেয়ে চলে যায় কর্তৃপক্ষ। পরদিন হাসপাতালের সকল রোগী বের করে দিয়ে হাসপাতালে তালা লাগিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এসময় কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ড. সিফাতী রহমান বলেন, গত ১৫ বছর ধরে প্রতিটি শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। আজকের আন্দোলন প্রতারণার বিরুদ্ধে।
আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ধরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জালিয়াতি করে আসছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তির শুরুতে টিউশন, ভর্তি এবং ইন্টার্ন ফি নেওয়া হলেও তাদের কাগজপত্রে কেনো ধরনের সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই, থাকে না কলেজের নাম কিংবা লোগো। কোনো মানি রিসিট দেওয়া হয় না। সেমিস্টার শেষে ৫ বছর পর আবারও ইন্টার্ন ফি চাওয়া হয়।
তারা আরও বলেন, এছাড়া হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য নির্দিষ্ট রুমের ব্যবস্থা নেই। গ্রুপ স্টাডি করার মতো কেনো জায়গা নেই। কোনো বিষয়ে শিক্ষক ও অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। সময় মতো কখনোই কর্তৃপক্ষকে খুঁজে পাওয়া যায় না। এধরনের সমস্যা নিয়ে আমাদের রাস্তায় নেমে আসতে হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানকে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ফেলেছে। আমাদের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নকে পুঁজি করে আপনারা ব্যবসা কেন করবেন?
এছাড়াও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ইন্টার্ন ফি থেকে শুরু করে লাগামহীন শর্ত রয়েছে আমাদের ভর্তি ফর্মে। যেকোনো সময় শর্ত পরিবর্তন করে ফি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। অথচ আমাদের টাকা হসপাতালের কাজে ব্যবহার করা হয়। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কোনো ধরনের বেতন-ভাতা প্রদান করা হয় না। কলেজের বেতন পরিশোধ করা না হলে অনলাইন ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া ও পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয় না।
শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনাকালীন সময় শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হয়নি। ওইসময় শিক্ষার্থীরা আর্থিক সমস্যায় থাকলেও তাদের থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করা হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগেও রয়েছে ত্রুটি। অগ্রিম টাকা দিয়ে পেতে হয় নিয়োগ। এ নিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে (বিএমডিসি) অভিযোগ করা হলে কলেজ থেকে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়া এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছি কিন্তু আমরা কোনো বাস্তবায়ন দেখতে পাইনি।
কলেজ বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জনতে সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী জিয়াউল ইসলামের মুঠোফোনের মাধ্যমে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি। ফলে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবী অর্থসংবাদকে বলেন, সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজের লোকজন আমার কাছে আসছিলো, কলেজ বন্ধ রাখার জন্য আমার কাছে পরামর্শ চেয়েছে। কিন্তু আমি বলেছি কলেজ বন্ধ করে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না। এ কলেজটির অনিয়মের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তদন্ত করেছে। তদন্ত রিপোর্টটি এখনো আমি পাইনি। কলেজের বিষয়ে এর আগেও অভিযোগ পেয়ে আমরা তদন্ত করেছি এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্য নিজস্ব ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচলনার জন্য ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে সরকারিভাবে বেতন দেওয়া হয়। কিন্তু বেসরকারি মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজে ভর্তির সময় যে টাকা রাখা হয় তা থেকে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হতো। অতিরিক্ত ফি নেওয়ার মতো ক্ষমতা কোনো ডেন্টাল কলেজের নাই।
কাফি