রাজনীতি
৫৫ সদস্যের ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’র আত্মপ্রকাশ
ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের চলমান লড়াই সফল করার লক্ষ্যে ৫৫ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঘোষিত কমিটিতে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের ৩ জনকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। কমিটিতে আহ্বায়ক হলেন নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী, সদস্য সচিব ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, মুখপাত্র, শামান্তা শারমিন।
কমিটি গঠন বিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে কাজ শুরু করছে। অচিরেই সকল মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করবো। তৃণমূল পর্যন্ত এ কমিটির বিস্তৃতি ঘটানোর মাধ্যমে আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাব।
জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যারা আছেন
১। আহ্বায়ক : মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ২। সদস্য সচিব : আখতার হোসেন ৩। মুখপাত্র : সামান্তা শারমিন
সদস্যরা : ৪। আরিফুল ইসলাম আদীব ৫। সাইফ মোস্তাফিজ ৬। মনিরা শারমিন ৭। নাহিদা সারোয়ার চৌধুরি ৮। সারোয়ার তুষার ৯। মুতাসিম বিল্লাহ ১০। আশরাফ উদ্দিন মাহদি ১১। আলাউদ্দিন মোহাম্মদ ১২। অনিক রায় ১৩। জাবেদ রাসিন ১৪। মো. নিজাম উদ্দিন ১৫। সাবহানাজ রশীদ দিয়া ১৬। প্রাঞ্জল কস্তা ১৭। মঈনুল ইসলাম তুহিন ১৮। আব্দুল্লাহ আল আমিন ১৯। হুযাইফা ইবনে ওমর ২০। শ্রবণা শফিক দীপ্তি ২১। সায়ক চাকমা ২২। সানজিদা রহমান তুলি ২৩। আবু রায়হান খান ২৪। মাহমুদা আলম মিতু ২৫। অলিক মৃ ২৬। সাগুফতা বুশরা মিশমা ২৭। সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ ২৮। তাসনিম জারা ২৯। মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া ৩০। মো. আজহার উদ্দিন অনিক ৩১। মো. মেসবাহ কামাল ৩২। আতাউল্লাহ ৩৩। এসএম শাহরিয়ার ৩৪। মানজুর-আল-মতিন ৩৫। প্রীতম দাশ ৩৬। তাজনুভা জাবীন ৩৭। অর্পিতা শ্যামা দেব ৩৮। মাজহারুল ইসলাম ফকির ৩৯। সালেহ উদ্দিন সিফাত ৪০। মুশফিক উস সালেহীন ৪১। তাহসীন রিয়াজ ৪২। হাসান আলী খান ৪৩। মো. আব্দুল আহাদ ৪৪। ফয়সাল মাহমুদ শান্ত ৪৫। মশিউর রহমান ৪৬। আতিক মুজাহিদ ৪৭। তানজিল মাহমুদ ৪৮। আবদুল্লাহ আল মামুন ফয়সাল ৪৯। মো. ফারহাদ আলম ভূঁইয়া ৫০। এসএম সুজা ৫১। মো. আরিফুর রাহমান ৫১। কানেতা ইয়া লাম লাম ৫২। সৈয়দা আক্তার ৫৩। স্বর্ণা আক্তার ৫৪। সালমান মুহাম্মাদ মুক্তাদির ৫৫। আকরাম হুসেইন।
আহ্বায়ক কমিটির প্রাথমিক কাজ হিসেবে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়- ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হওয়া সামষ্টিক অভিপ্রায় ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখা। ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত নির্মম হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ। রাষ্ট্রের জরুরি সংস্কার ও পুনর্গঠন করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা ও তাদের জবাবদিহিতার পরিসর তৈরি করা। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগের সঙ্গে আলোচনা, মত বিনিময় ও গণমুখী কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বস্তরের জনতাকে সংহত করার লক্ষ্যে কাজ করা।
এছাড়া দেশের সর্বস্তরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্বকে সংহত করে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত করে রাখার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখা। জনস্বার্থের পক্ষে নীতি নির্ধারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক সংলাপের আয়োজন করা। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি নির্ধারণী প্রস্তাবনা তৈরি ও সেটা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক পদক্ষপে গ্রহণ করা।
পাশাপাশি গণপরিষদ গঠন করে গণভোটের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির জন্য গণআলোচনার আয়োজন করতে আহ্বায়ক কমিটি কাজ করবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা তারেক রহমানের
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমীর আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানিয়ে তাদের সুখ-শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ শনিবার বিজয়া দশমী উপলক্ষে এক বাণীতে এ শুভেচ্ছা জানান তারেক রহমান। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে এ বাণী প্রেরণ করেন।
বাণীতে তারেক রহমান বলেন, আবহমানকাল ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্য দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। শরতে বাংলাদেশের চারদিকে কাশফুল ও শীতের আভাস জানান দেয় এই উৎসবের বার্তা। কয়েক শতাব্দী ধরে উৎসবটি সাড়ম্বরে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও দুর্গাপূজা সবসময় উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়। উৎসব হচ্ছে অন্ধকারে গহন থেকে আলোকের উদ্ভাসন।
তিনি বলেন, উৎসব যে ধর্মেরই হোক, উৎসবের প্রাঙ্গণ সব মানুষের জন্য উন্মুক্ত। উৎসবের প্রাঙ্গণের দরজা কখনোই বন্ধ থাকে না। যে কোনো ধর্মীয় উৎসবই মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচনা করে, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়। সব ধর্মের মর্মবাণী দেশপ্রেম, শান্তি ও মানবকল্যাণ। এক বর্বর হিংসাযুদ্ধের বিপরীতে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হওয়া আমাদের সবার কর্তব্য।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দুর্গাপূজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে—হিংসা, লোভ ও ক্রোধরূপী অসুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে মানবিক সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। উৎপীড়ন ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্যদিয়ে যারা সমাজকে, মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় কুশাসন, তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মানবকল্যাণ প্রতিষ্ঠাই এই উপাসনার অন্তর্নিহিত তাগিদ। সেই বাণীকে আত্মস্থ করেই দুর্গাপূজার উৎসবের আনন্দকে সবাই মিলে ভাগ করে নিতে হবে। উৎসবের পরিসর সংকীর্ণ নয়, বরং এটি উন্মুক্ত ও সর্বজনীন।
তারেক রহমান বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি—হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নির্বিশেষে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের সমঅধিকার ও সুরক্ষার সমান সুযোগের অলঙ্ঘনীয় বিধান থাকতে হবে। আমাদের দেশ একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে জনগোষ্ঠীর সব সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করে। আমরা সবাই মিলে এমন একটি যৌথ সম্প্রদায় গঠন করি, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি এই আনন্দময় দুর্গাপূজার উৎসবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই উৎসব প্রতিটি গৃহে সমৃদ্ধি, সম্প্রীতি ও শান্তিতে ভরে তুলে এবং সব সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক শুভেচ্ছা ও সংহতি প্রসারিত করুক।
‘এ দেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই বাংলাদেশি—এটাই হোক আমাদের বড় পরিচয়। আমি এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।’ যোগ করেন তারেক রহমান।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
দ্বীনের বিজয়ের জন্য আলেমদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: জামায়াত
দ্বীনের বিজয়ের জন্য ওলামায়ে কেরামদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প পথ নেই। তাদেরকে জাতির মিনার হিসেবে দাঁড়াতে হবে। আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য আল্লাহর নবী ও সাহাবায়ে কেরামদের মতো পাগলপারা হয়ে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম।
শনিবার (১২ অক্টোবর) চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের ওলামা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর এদেশে আলেম ওলামাদের ওপর চরম জুলুম নির্যাতন চালানো হয়েছে। দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার কারণে অতীতে অনেক নবীকে বিনা অপরাধে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশেও জামায়াতের নেতাকর্মীসহ অসংখ্য আলেম-ওলামাদের দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করার অপরাধে হত্যা বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে। দেশের শতকরা ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে আল্লাহর দ্বীন কায়েম হবেই হবে, ইনশাআল্লাহ।
চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা মমতাজুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় ওলামা কমিটির সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম মহানগর আমির আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আলেম-ওলামার মাঝে কোনো ভেদাভেদ থাকা যাবে না। কওমি-আলিয়ার মাঝে যে প্রাচীর রয়েছে তা উঠিয়ে দিতে হবে। ইমাম-খতীব, আলেম-ওলামা, কওমি-আলিয়া সবাই মিলে সর্বসাধারণের মাঝে দ্বীনের দাওয়াত এবং ঐক্যের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়োত্তর আমাদের এই প্রিয় দেশকে সকল ধরনের ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত করে দ্বীন কায়েমে সচেষ্ট হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এবার জামায়াতকে বাংলার মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায়। নেতৃত্বের জন্য ওলামায়ে-কেরামদের প্রস্তুতি নিতে হবে। ইসলামের পূর্ণাঙ্গ দাওয়াত সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ছোটখাটো বিষয়ে বিতর্কে জড়িত হওয়া যাবে না। জামায়াতকে দেশ গড়ার সুযোগ দেওয়া হলে তারা সন্ত্রাস, দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একমাত্র মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান: দুদু
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একমাত্র মাস্টারমাইন্ড হচ্ছেন তারেক রহমান। কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যা করা দরকার সবই করেছেন তিনি। এটা যদি কাউকে ব্যাখ্যা করে বোঝাতে হয় তাহলে একটু অসুবিধা আছে।
১৬ বছর ধরে শেখ হাসিনা বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। আর তারেক রহমান বিচক্ষণতার সঙ্গে বিএনপিকে রক্ষা করেছে বলে মন্তব্য করেন শামসুজ্জামান দুদু।
শনিবার (১২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত প্রতীকী প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। অবিলম্বে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
দুদু বলেন, এক মাসে কিছু হয় না। একটা সন্তান জন্ম দিতেও নয় মাস লাগে। এক মাসে যদি কোনো সন্তান আনতে হয় সেটা হয় মৃত। ১৬টি বছর এদেশের মানুষ রক্ত দিয়েছে। ১৬টি বছর এদেশের ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক গুম ও নিখোঁজ হয়েছে। ১৬টি বছর জেল খেটেছে। এক মাসের আন্দোলনের কথা সব বিবেচনায় যদি এনে থাকেন সেটা ঠিক হয়নি। এজন্য যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন করা সম্ভব হবে তত তাড়াতাড়ি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
তিনি বলেন, যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন করা সম্ভব হবে, তত তাড়াতাড়ি নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনায় তার উপযুক্ততা প্রমাণ করতে পারবে। এটাই আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সেদিকেই আমি সরকারকে আহ্বান করি। কারণ এই সরকার আমাদের সরকার। এই সরকার ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা গণতন্ত্র বিপন্ন হবে। সেজন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
নির্বাচন যত পিছিয়ে যাবে সংকট তত তীব্র হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা বর্তমান সরকারের কাছে খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা করি না। ছোট্ট একটি প্রত্যাশা আছে। দীর্ঘ ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারে না। ড. মুহাম্মদ ইউনুস জ্ঞান গরিমা এবং কর্মের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন ব্যক্তি। তিনি নির্বাচন কবে হবে এই কথাটা যতদিন জাতিকে জানাতে না পারবেন ততদিন নানান বিতর্ক তৈরি হবে। এই বিতর্ক সৃষ্টিতে সরকারের ভূমিকা থাক এটা আমরা প্রত্যাশা এবং পছন্দ করি না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
এবার প্রকাশ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার প্রকাশ্যে এসেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি, সেক্রেটারি ও প্রচার সম্পাদক।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে ছাত্রশিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নামে এক ফেসবুক পেজে প্রচার সম্পাদক মো. ইব্রাহীম আলীর সই করা একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে ইকবাল হোসেনকে সভাপতি, আসাদুল ইসলামকে সেক্রেটারি এবং মো. ইব্রাহীম আলীকে প্রচার সম্পাদক বলে উদ্ধৃত করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫ -১৬ শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল হোসেন ও সেক্রেটারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসাদুল ইসলাম।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এক প্রতিবাদলিপি দেওয়া হয়। সেখানে সভাপতি হিসেবে ইকবাল হোসেন ও সেক্রেটারি হিসেবে আসাদুল ইসলামের নাম উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, একটি জাতীয় দৈনিকে ছাত্রশিবিরকে নিয়ে মনগড়া সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ওই সংবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহকে অপব্যাখ্যা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। সাধারণ ছাত্রদের শিবির ট্যাগ দেওয়ার যে অভিযোগ আনা হয়েছিল সেটি ছিল চরম মিথ্যাচার। আওয়ামী শাসনামলে ছাত্রশিবির ছাত্রলীগ কর্তৃক ক্যাম্পাসে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে। বিভিন্ন সময় ভয়-ভীতি দেখিয়ে ছাত্রশিবিরের ভাইদের কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, মামলা হামলা দিয়ে শিবিরের জনশক্তিদের হয়রানি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অনেক দায়িত্বশীল ভাইয়ের অবৈধভাবে ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে এবং অনেক ভাই ছাত্রলীগের রোষানলে পড়ে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করতে পারেননি। সুতরাং সাধারণ ছাত্রদের শিবিরের কর্মীদের দ্বারা শিবির ট্যাগ দেওয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং প্রকাশ্য মিথ্যাচার ছিল।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
দল-মত-ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার: তারেক রহমান
দল-মত-ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার এবং নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকারও সবার আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। ধর্ম-বর্ণ, কিংবা ভৌগোলিক-আদর্শিক অবস্থান নির্বিশেষে, প্রত্যেক নাগরিক যেন তার ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অধিকার বিনা বাধায় উপভোগ করতে পারে—এই লক্ষ্যেই মুক্তিযোদ্ধারা লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় কে মুসলমান, কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, কে খ্রিস্টান—এমন প্রশ্ন ছিল না।
তিনি আরো বলেন, তাই স্বাধীন বাংলাদেশেও তথাকথিত সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু নিয়ে চিন্তার কোনো অবকাশ নেই। দেশের প্রতিটি নাগরিক সমান অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগ করবে—এটিই বিএনপির নীতি, এটিই বিএনপির রাজনীতি। আমরা বিশ্বাস করি, দল-মত-ধর্ম যার যার; কিন্তু রাষ্ট্র সবার, নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার। বাঙালি-অবাঙালি, বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী, কিংবা সংস্কারবাদী প্রত্যেক নাগরিকের একমাত্র পরিচয়—আমরা বাংলাদেশি। এই বাংলাদেশ আপনার, আমার, আমাদের সবার।