পুঁজিবাজার
বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজিতে জড়িত ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে বেক্সিমকোর শেয়ারে কারসাজির মাধ্যমে চার ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠান মিলে গড়ে ওঠা একটি চক্র হাতিয়ে নিয়েছে ৩১৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। একই সময়ে চক্রটি ৫২৬ কোটি টাকা ‘আনরিয়ালাইজড গেইন’ করেছে। বিষয়টি উঠে এসেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একটি তদন্ত প্রতিবেদনে। তবে ২০২২ সালে এ তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হলেও এতদিন তা ধামাচাপা দিয়ে রাখা ছিল। অভিযোগ রয়েছে, পুজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এবং শেখ হাসিনা সরকারের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কারণে প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি বিএসইসি সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
ডিএসইর তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেয়ার কারসাজিকারী চক্রটির চার ব্যক্তি হলেন আব্দুর রউফ, মোসফেকুর রহমান, মারজানা রহমান ও মমতাজুর রহমান এবং প্রতিষ্ঠানটি চারটি হল জুপিটার বিজনেস, অ্যাপোলো ট্রেডিং লিমিটেড, ক্রিসেন্ট লিমিটেড ও ট্রেডনেক্সট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত বেক্সিমকোর শেয়ারের লেনদেন মূল্য ছিল ৪ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা। বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসে ভিন্ন ভিন্ন ক্লায়েন্ট কোডের মাধ্যমে এর ৭০ শতাংশের বেশি লেনদেন করেছে এই আট বিনিয়োগকারী। এর মাধ্যমে চক্রটি মুনাফা তুলে নিয়েছে ৩১৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আর এ সময় তাদের আনরিয়ালাইজড গেইন (অবিক্রীত শেয়ার কেনা দামের চেয়ে মূল্য বেশি ছিল) ৫২৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
জানা গেছে, ২০২২ সালে জুপিটার বিজনেস ও ট্রেডেনেক্সট ইন্টারন্যাশনাল বিমান প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার অধিগ্রহণের পর পরিচালনা পর্ষদে ঢোকে। দুটি কোম্পানি ফারইস্টের বোর্ডে তাদের প্রতিনিধিত্বের জন্য বেক্সিমকো গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভদের মনোনীত করে। ট্রেডেনেক্সট ইন্টারন্যাশনাল বেক্সিমকো গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা জামানুল বাহারকে মনোনীত করে। অন্যদিকে জুপিটার বিজনেস বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা আলী নওয়াজ ও বেক্সিমকো টেক্সটাইলের জেনারেল ম্যানেজার মাসুম মিয়ার নাম সুপারিশ করে।
ডিএসইর অনুসন্ধান অনুসারে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯-এর ধারা ১৭-এর বেশ কয়েকটি উপধারা লঙ্ঘন করে চক্রটি শেয়ার কারসাজি করেছে। ধারা ১৭ লঙ্ঘন একটি ফৌজদারি অপরাধ। সুবিধাভোগী বিনিয়োগকারী আব্দুর রউফ ছিলেন ইউনাইটেড সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী। অন্যদিকে ক্রিসেন্ট লিমিটেড প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সঙ্গে যুক্ত ছিল। মোসফেকুর রহমান, মমতাজুর রহমান অ্যান্ড দেওয়ার অ্যাসোসিয়েটস জুপিটার বিজনেস, অ্যাপোলো ট্রেডিং, মারজানা রহমান এবং ট্রেডনেক্সট ইন্টারন্যাশনাল জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের বিনিয়োগকারী ছিলেন। এই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কেউ কেউ গ্রিন ডেল্টা সিকিউরিটিজ, বেক্সিমকো সিকিউরিটিজ, শেলটেক ব্রোকারেজ এবং আইসিবি সিকিউরিটিজের সঙ্গে আলাদা বিও অ্যাকাউন্টও রেখেছিলেন। তারা বেক্সিমকো শেয়ারে সার্কুলার লেনদেন করেছিল, যেখানে কিছু বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করেছে এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যরা ভুয়া সক্রিয় ট্রেডিং দেখাতে একাধিক লেনদেনে এসব শেয়ার কিনেছে।
ডিএসইর অনুসন্ধানে আরও দেখা গেছে, ক্রিসেন্ট লিমিটেড বেক্সিমকো শেয়ারের শীর্ষ ক্রেতা ছিল। ক্রিসেন্ট লিমিটেডের পরিচালক ও যুগ্ম অপারেটর আব্দুর রউফ চারটি বিও অ্যাকাউন্ট দিয়ে শেয়ার লেনদেনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। এই ৪টি বিও অ্যাকাউন্টের মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৩.২৫ শতাংশ। জুপিটার বিজনেস লিমিটেড দ্বিতীয় শীর্ষ ক্রেতা ছিল। মোসফেকুর রহমান সক্রিয়ভাবে সাতটি বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ব্যবসায় অংশ নেন। আট বিনিয়োগকারীর গ্রুপ যৌথভাবে বেক্সিমকো শেয়ারের ২৪.৬১ শতাংশ লেনদেন করেছে।
একই ব্যক্তিরাই শীর্ষ বিক্রেতাদের মধ্যেও ছিলেন। একদিকে তারা শেয়ার কিনেছেন, অন্যদিকে সেগুলো বিক্রিও করেছেন। এসব কিছু করা হয়েছে স্রেফ স্টকটিকে সক্রিয় দেখানোর জন্য।
এদিকে সিকিউরিটিজ বিধি লঙ্ঘন ও কারসাজির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ থাকা আব্দুর রউফ নিজেকে বেক্সিমকো গ্রুপের একজন কর্মচারী এবং গ্রুপের ইনস্যুরেন্স কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন বলে দাবি করেন। শেয়ার কারচুপির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। শুধু কম্পানির লোকেরাই এ বিষয়ে আরো তথ্য দিতে পারবে।’
কোম্পানির নামে খোলা বিও হিসাব অনুযায়ী আব্দুর রউফকে ক্রিসেন্ট লিমিটেডের যুগ্ম পরিচালক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় কিছু নথিতে আমার স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে, তবে আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।
ডিএসইর তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বেক্সিমকো শেয়ার কারসাজি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯-এর ধারা ১৭-এর বেশ কয়েকটি উপধারা লঙ্ঘন করেছে। ধারা ১৭ লঙ্ঘন অনুযায়ী এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ।
এসএম

পুঁজিবাজার
বিদায়ী সপ্তাহে ব্লকে লেনদেনের শীর্ষে লাভেলো আইসক্রিম

বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ জুন-০৩ জুলাই) পর্যন্ত দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে সপ্তাহ শেষে ব্লকে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি। সমাপ্ত সপ্তাহে ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা মিডল্যান্ড ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এবং ৫ কোটি ৫২ লাখ ৪০ হাজার টাকা লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক।
সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড, ব্র্যাক ব্যাংক, ন্যাশনাল টিউবস, ফাইন ফুডস, এবি ব্যাংক, রেনেটা পিএলসি এবং আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে বার্জার পেইন্টস

বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ জুন-০৩ জুলাই) শেয়ারবাজারে চার দিন লেনদেন হয়েছে। এসময় দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর পতনের শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর কমেছে বার্জার পেইন্টসের।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহজুড়ে বার্জার পেইন্টসের দর কমেছে ১১.৩৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১ হজার ৭৩৪ টাকা ৬০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৩৯ টাকা ৬০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ১৯৫ টাকা।
সপ্তাহের পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৬ টাকা ৫০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৯০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ৬০ পয়সা বা ৯.২৩ শতাংশ।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ৮.৭৩ শতাংশ পতন নিয়ে অবস্থান করছে লাভেলো আইসক্রীম। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১০৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৯৬ টাকা ২০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৩০ পয়সা।
এছাড়া, সাপ্তাহিক পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রহিমা ফুডের দর কমেছে ৭.৯৩ শতাংশ, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫.৫৬ শতাংশ, সমতা লেদারের ৫.২৩ শতাংশ, সোনারগাঁ ৫.০৭ শতাংশ, দুলামিয়া কটনের ৪.৮৭ শতাংশ, ইস্টার্ন কেবলসের ৪.১৮ শতাংশ এবং মুন্নু এগ্রোর ৪.১৮ শতাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক

বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ জুন-০৩ জুলাই) ব্যাংক হলিডের কারণে শেয়ারবাজারে চার দিন লেনদেন হয়েছে। এসময় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ইসলামী ব্যাংকের।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ইসলামী ব্যাংকের দর বেড়েছে ৩১.২৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৩৩ টাকা ৬০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ১০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১০ টাকা ৫০ পয়সা।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এসএমইএলএলইসি মিউচুয়াল ফান্ড। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ১১ টাকা ১০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর বেড়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ২০.৭২ শতাংশ।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ২০ শতাংশ দর বৃদ্ধি নিয়ে অবস্থান করছে রূপালী ব্যাংক। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৭ টাকা ৫০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ২১ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩ টাকা ৫০ পয়সা।
এছাড়া, সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ইউনিয়ন ক্যাপিটালের দর বেড়েছে ১৯.০৫ শতাংশ, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ১৫.৩২ শতাংশ, মেঘনা পেটের ১৪.৯৩ শতাংশ, ড়েশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১৪.৪২ শতাংশ, ন্যাশনাল ফিড মিলের ১২.৮৭ শতাংশ, মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের ১২.৫০ শতাংশ এবং ইন্দো-বাংলা ফার্মার ১২.১০ শতাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ব্র্যাক ব্যাংক

বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ জুন-০৩ জুলাই) একদিন হলিডে থাকার কারণে পুঁজিবাজারে চার দিন লেনদেন হয়েছে। এসময় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ২৯ লাখ টাকার। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে লাভেলো আইসক্রীম। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.৮৩ শতাংশ।
লেনদেনের তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বিচ হ্যাচারি। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির ১৬ কোটি ০৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.৩০ শতাংশ।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে অগ্নি সিস্টেমের ১৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ১৩ কোটি ১২ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মার ১২ কোটি ৯২ লাখ টাকা, সী পার্ল রিসোর্টের ১০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, ফাইন ফুডের ৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা এবং আলিফ ইন্ডাষ্ট্রিজের ৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারের মাঠ খেলার জন্য প্রস্তুত: বিএসইসি কমিশনার

বর্তমানে পুঁজিবাজারের মাঠ তো খেলার জন্য পুরো প্রস্তুত। যারা বিনিয়োগ করতে চান, তাদের জন্য ভালো ফল পাওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার এম. আলী আকবর।
শুক্রবার (৪ জুলাই) ও শনিবার (৫ জুলাই) দুই দিনব্যাপী আশুলিয়ার ব্র্যাক সিডিএমে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) যৌথ উদ্যোগে আবাসিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালার শুরুতে ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানান বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএসইসির কমিশনার ফারজানা লালারুখ, সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মীর মোশাররফ হোসেন, ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিষ্টস ফোরামের (সিএমজেএম) সভাপতি এসএম গোলাম সামদানী ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কমিশনের সহকারী পরিচালক শহীদুল ইসলাম।
বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা কি ফাউল খেলতে চাচ্ছেন, এমন মাঠ নেই তাই আস্থা পাচ্ছেন না? নাকি শৃঙ্খলভাবে খেলার মাঠে আস্থা পাচ্ছেন না, যেখানে প্লেয়িং ফিল্ডে সুন্দরভাবে খেলা যায়? আমি বুঝতে পারছি না বিনিয়োগকারীরা কোন ধরনের মার্কেটের জন্য আস্থার সংকট দেখছে। আমরা চাই বিনিয়োগকারীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন। আর পুঁজিবাজারও যেন উন্নতি করে।
তিনি আরো বলেন, শেয়ারবাজারে আস্থা সংকট নিয়ে কথা হচ্ছে। আমি নিজেও জানি না আস্থা কখন কিভাবে, কার ওপর হয় এবং তা কতক্ষণ থাকে।তবে আমি বুকে হাত রেখে বলতে পারব এই বাজারে আমার কোনো নেতিবাচক ভূমিকা নেই। এই কমিশন ব্যক্তিগত স্বার্থে কাজ করে না। বিশ্বাস বা কনফিডেন্স কখন কোন বিষয়ে কার ওপর হয়, সেটা কেউ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারেন না। এই মাকেটের ব্যাপারে কোনো ধরনের নেতিবাচক ভূমিকা বিএসইসির নেই। আমরা চাই মার্কেট ভালো হোক।
আলী আকবর বলেন, সাধারণভাবে প্রশ্ন জাগে বিএসইসি এত জরিমানা কেন করে? যখন কেউ আইন বা বিধি লঙ্ঘন করে তখনই পেনাল্টি করা হয়। যে বা যারা পুঁজিবাজারকে ধ্বংস করবে বা করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তবে এটা আগেও করা হয়েছে, কৌশলে। অথবা করা হয়নি।
তিনি বলেন, সত্য সুন্দরের সাথে অসত্যকে মিশ্রণ করা যাবে না। যিনি জরিমানা পরিশোধে রাজি, তার কোনো সমস্যা নেই। আর যিনি আপিল করবেন, সেটিও তার অধিকার। কমিশনের পক্ষে এই প্রক্রিয়া বন্ধ করা সম্ভব নয়। পুঁজিবাজার ধ্বংসে যেসব চক্র সক্রিয়, বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএসইসি কমিশনার বলেন, আমরা বিশ্বাস করি অ্যানফোর্সমেন্টের প্রয়োজন রয়েছে। এটা না করলে বাজারকে সঠিকপথে রাখা যাবে না। পেনাল্টির ব্যাপারে দুটো অপশন, একটি আমাদের পেনাল্টির টাকা আপনি দিয়ে দেবেন। অপরটি হলো টাকা না দিয়ে আপনি আদালতে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। তবে পেনাল্টির টাকা একদিন না এক সময় আদায় হবেই।
বিএসইসি কমিশনার ফারজানা লালারুখ বলেন, পুঁজিবাজার উন্নয়নে বিএসইসি ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মীর মোশাররফ হোসেন বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধানে সাংবাদিকদের রিপোর্ট আমাদের বড় সহায়তা করে। অনেক সময় সাংবাদিকরা ব্যক্তিগতভাবেও তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন। আজকের এই প্রশিক্ষণ তাদের আরও কার্যকর রিপোর্টিংয়ে সহায়তা করবে বলে মনে করি।
সিএমজেএফ সভাপতি এস এম গোলাম সামদানী ভূঁইয়া বিএসইসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাজার উন্নয়নে সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এ ধরনের প্রশিক্ষণ অত্যন্ত সময়োপযোগী।