জাতীয়
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ ৮ সেপ্টেম্বর (রবিবার)। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে দিবসটি। এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘প্রমোটিং মাল্টিলিঙ্গুয়াল এডুকেশন: লিটারেসি ফর মিউচুয়াল আন্ডারস্টান্ডিং অ্যান্ড সি।’ যা বাংলায়, ‘বহু ভাষায় শিক্ষার প্রসার: পারস্পরিক সমঝোতা ও শান্তির জন্য সাক্ষরতা।’
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যুরো রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং সচিব বাণী দিয়েছেন।
১৯৬৭ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী এবং ১৯৭২ সাল থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্তির অন্যতম উপায় হলো সাক্ষরতা অর্জন করা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই সাক্ষরতার সংজ্ঞায় ভিন্নতা থাকলেও ১৯৬৭ সালে ইউনেস্কো সর্বজনীন একটা সংজ্ঞা নির্ধারণ করে। তখন শুধু কেউ নাম লিখতে পারলেই তাকে সাক্ষর বলা হতো। পরবর্তীতে প্রায় প্রতি দশকেই এই সংজ্ঞায় পরিবর্তন এসেছে এবং ১৯৯৩ সালের একটি সংজ্ঞায় ব্যক্তিকে সাক্ষর হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। যথা: ব্যক্তি নিজ ভাষায় সহজ ও ছোট বাক্য পড়তে পারবে, নিজ ভাষায় সহজ ও ছোট বাক্য লিখতে পারবে, দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ হিসাব-নিকাশ করতে পারবে।
স্বাধীন বাংলাদেশে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য জাতিকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদে অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার সন্নিবেশিত হয়েছে। সাক্ষরতা এবং উন্নয়ন একই সূত্রে গাঁথা। নিরক্ষরতা উন্নয়নের অন্তরায়। টেকসই সমাজ গঠনের জন্য যে জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োজন তা সাক্ষরতার মাধ্যমেই অর্জন সম্ভব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
পুলিশ রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হতে পারবে না: আইজিপি
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে, পুলিশ সংস্কার কমিশন এর মধ্যে অন্যতম। পুলিশ যাতে রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার না হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে সংস্কার কমিশন কাজ করছে। বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কল্যাণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের আশ্বস্ত করে আইজিপি বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে যেসব পুলিশ সদস্য কোনো অন্যায় করেনি তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যদের সব প্রকার ভয়কে জয় করে সৎ সাহস নিয়ে দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। গণঅভ্যুত্থানে যেসব পুলিশ সদস্য কোনো অন্যায় করেনি তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না
আইজিপি আরও বলেন, এরই মধ্যে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য বিভিন্ন ইউনিটে বদলি হয়েছে। ইউনিট প্রধানদের নিশ্চিত করতে হবে নতুন ও পুরাতনদের মধ্যে যেন বিভাজন তৈরি করা না হয়। সবাই মিলেমিশে একত্রে একটি টিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করে ডিএমপির গৌরব সমুন্নত রাখতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের সবচেয়ে বড় ইউনিট। এই ইউনিটের কার্যক্রমের ওপর বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি অনেকাংশেই নির্ভর করে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি গৌরবময় স্থান। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল রাজারবাগ থেকেই। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের একটি বিষয়। ডিএমপি আয়োজিত কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য তিনি আইজিপিকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
গণঅভ্যুত্থানে যেসব পুলিশ সদস্য কোনো অন্যায় করেনি তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না
কল্যাণ সভায় ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্য তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু সমস্যা ও চাহিদার কথা আইজিপির কাছে তুলে ধরেন। আইজিপি সবার বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সমস্যা সমাধানের বিষয়ে সবাইকে আশ্বস্ত করেন।
কল্যাণ সভার শুরুতে গত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এ কল্যাণ সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. ইসরাইল হাওলাদার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম; যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এবং উপ-পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
কলকাতা-আগরতলা মিশনের প্রধানদের ঢাকায় ফেরানোর সিদ্ধান্ত
সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার উপ-হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ এবং আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের পর দুই মিশনের প্রধানকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, কলকাতায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত উপ-হাইকমিশনার শিকদার মো. আশরাফুর রহমান এবং ত্রিপুরার সহকারী হাইকমিশনার আরিফুর রহমানকে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। গত মঙ্গলবারে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে ঢাকায় ফিরেছেন কলকাতায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত উপ-হাইকমিশনার শিকদার মো. আশরাফুর রহমান। ত্রিপুরার সহকারী হাইকমিশনারও আজ ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
গত ২ ডিসেম্বর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পরদিন সহকারী হাইকমিশনে সব ধরনের কনস্যুলার ও ভিসা সেবা বন্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। নিরাপত্তাহীনতার কারণে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সেখানকার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
২৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ২৬ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট-১) খন্দকার শামীমা ইয়াছমিনের নামে জারিকৃত আদেশে তাদের বদলি করা হয়েছে।
বদলিকৃত ২৬ কর্মকর্তার মধ্যে ১৯ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ৭ জন সহকারী পুলিশ সুপার রয়েছেন।
বদলিকৃত কর্মকর্তাদের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাক্ষাৎ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজের এক প্রতিনিধিদল।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ৩০ জনের এক প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দুবাই, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া ও গ্রিসে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিনিধিরা ছিলেন।
তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি প্রবাসীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন দাবির বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করেন। লিখিতভাবে তাদের বক্তব্য ও দাবিগুলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করেন তারা।
প্রতিনিধিদলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনাদের সঙ্গে আলোচনার সূত্রপাত হলো। সময়ের স্বল্পতায় অনেক কথা বলা হলো না, ছোট করে শুনলাম। লিখিত পত্র থেকে বিস্তারিত জানবো। এগুলো নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা হবে।
যুক্তরাজ্যসহ আন্তজার্তিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ সম্পর্কে সত্য তথ্য তুলে ধরতে প্রতিনিধিদলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা
দেশে চলমান বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিনিময় করতে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক শুরু হয়।
গতকাল বুধবার একই স্থানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি(এনপিপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অধ্যাপক ইউনূস।
তার আগের দিন মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
ভারতীয় মিডিয়ায় অপপ্রচার এবং উসকানির বিরুদ্ধে ধর্ম, দল-মত নির্বিশেষ জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে ধারাবাহিক এ বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা।