ব্যাংক
নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা তুলে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক হিসাব থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের উপর বাংলাদেশ ব্যাংক এতদিন যে সীমা আরোপ করেছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে গ্রাহকরা যে কোনো পরিমাণ অর্থ নগদ উত্তোলন করতে পারবেন।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এক ক্ষুদে বার্তায় তিনি জানান, আগামী রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে ব্যাংক হিসাবের নগদ টাকা উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা আর প্রযোজ্য হবে না। ফলে যে কেউ যে কোনো অঙ্কের টাকা নিজ নিজ হিসাব থেকে তুলতে পারবেন। এর আগে, দেশে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পরিস্থিতিতে কয়েক সপ্তাহ ধরেই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এ রকম নির্দেশনা জারি করে।
গত সপ্তাহে ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত তুলতে পেরেছেন গ্রাহকরা।
এর আগের সপ্তাহে চার লাখ টাকা পর্যন্ত তোলা যেত। তার আগের সপ্তাহে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা উত্তোলনের সুযোগ ছিল। একইভাবে তার আগের দুই সপ্তাহে যথাক্রমে সর্বোচ্চ দুই লাখ এক লাখ টাকা করে উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ চার সপ্তাহ ধরে টাকা তোলার সীমা এক লাখ করে বাড়ানো হচ্ছে।
৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরু হলেও এখনো নগদ টাকা পরিবহনে নিরাপত্তা শঙ্কা আছে। এ ছাড়া অনেকেই ব্যাংক থেকে বেশি নগদ টাকা তুলে ব্যাংক খাতকে অস্থিতিশীল করতে পারেন, এমন আশঙ্কাও করা হয়েছে। সে জন্য ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের সীমা আরোপ করা হয়।
গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের সীমা আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ধীরে ধীরে নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা বাড়ানো হচ্ছিলো। এবার তা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হলো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এস আলমমুক্ত ৬ ব্যাংকের এলসি খোলার শর্ত শিথিল
এস আলমের গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত হওয়ায় শরিয়াভিত্তিক ছয়টি ব্যাংকের এলসি খোলায় শতভাগ মার্জিনের বাধ্যবাধকতা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে অন্য সব ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ বহাল থাকবে এস আলম মুক্ত হওয়া এসব ব্যাংকে।
বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ইসলামী ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক।
এতদিনে এসব ব্যাংক পতিত সরকারের বিশেষ আনুকূল্যে এস আলম গ্রুপ মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণে ছিল। গত ৬ আগস্টের পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করে। পরে ছয় ব্যাংকের ঋণ বিতরণসহ বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ওই সময়ে ব্যাংকগুলোয় পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, কৃষি, চলতি মূলধন, সিএমএসএমই, প্রণোদনা প্যাকেজ এবং নিজ ব্যাংকে রক্ষিত এফডিআরের বিপরীতে এসওডি ও শতভাগ নগদ মার্জিনের বিপরীতে বিনিয়োগপত্র ও অন্যান্য পরোক্ষ বিনিয়োগ সুবিধা ছাড়া অন্য কোনো বিনিয়োগ করা যাবে না।
এসব খাতেও ৫ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ কিংবা সীমাতিরিক্ত বকেয়া স্থিতির নগদ আদায় ছাড়া বিদ্যমান বিনিয়োগ সুবিধা নবায়ন করা যাবে না।
অন্য কোনো ব্যাংক বা ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো বিনিয়োগ অধিগ্রহণ করা যাবে না। ব্যাংকের শীর্ষ ২০ ঋণগ্রহীতা থেকে আদায়ের তথ্য মাসিক ভিত্তিতে জানাতে হবে। এসব ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ও আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এ নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
গরুর মাংস পুরোপুরি নিষিদ্ধ করছে আসাম
রাজ্যের সব হোটেল-রেস্তোরাঁ ও জনসমাগমপূর্ণ স্থানে গোমাংস পরিবেশন ও ভক্ষণ নিষিদ্ধ করছে আসাম। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) আসামের রাজ্য সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সভাপতিত্বে হয়েছে বৈঠক। এ বিষয়ক প্রস্তাব উত্থাপনের পর মুখ্যমন্ত্রী নিজে দৃঢ়ভাবে তাতে সমর্থন দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে ২০২১ সালে একটি আইন পাস করেছিল আসামের বিধানসভা। সেই আইন অনুসারে, হিন্দু-জৈন এবং শিখ ধর্মাবলম্বী কমিউনিটি বসবাস করে- এমন এলাকাগুলোতে তো বটেই, উপরন্তু এসব এলাকার ৫ কিলোমিটারের মধ্যে গো হত্যা বা গরুর মাংস কেনা-বেচা করা যাবে না।
বুধবারের বৈঠকে হিমন্ত বিশ্বশর্মা সেই আইনটি উদ্বৃত করে বলেন, আমরা এর আগে আইন প্রণয়নের মধ্যে গো-হত্যা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। হোটেল-রেস্তোরাঁ এবং জনসমক্ষে গোমাংস পরিবেশন ও ভক্ষণে নিষেধাজ্ঞা মূলত সেই আইনেরই বর্ধিত অংশ। আমরা আশা করছি, পূর্বের মতো এবারও আমরা সফল হবো।
আসামের বিধানসভার বিরোধী দল অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ) অবশ্য ইতোমধ্যেই প্রস্তাবিত এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়েছে। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিজেপি দলীয় রাজ্য সরকার রাজ্যের উন্নতির বিষয়ক যেসব প্রতিশ্রুতি বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিয়েছিল, সেসব পূরণে শোচনীয়ভাবে ব্যার্থ হয়েছে। সেসব ব্যর্থতা ঢাকার জন্য তারা তাদের পুরোনো সাম্প্রদায়িতকতা ও বিভেদের খেলা শুরু করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত
চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে দেশটির চিকিৎসকদের কেন্দ্রীয় সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএম)। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) কলকাতায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটির পশ্চিমবঙ্গ শাখা।
আইএমএর পশ্চিমবঙ্গ শাখার সদস্য ও চিকিৎসক এন কাঞ্জিলাল এবং কৌশিক চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন। এ সময় তারা বলেন, চিকিৎসা পরিষেবা নিতে পশ্চিমবঙ্গে আসা রোগীদের দেশের জাতীয় পতাকা প্রণাম করে ঢোকা এবং রোগী না দেখা চিকিৎসা নিয়মের পরিপন্থী। চিকিৎসকদের কাছে সকল রোগী রোগীই। চিকিৎসকদের কাছে রোগীদের কোনও জাত, ধর্ম ও দেশ হয় না।
ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের ওই দুই সদস্য বলেন, ভারতে আসা বাংলাদেশি রোগীদের কোনোভাবেই চিকিৎসা বন্ধ কিংবা হয়রানি করা যাবে না। বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা দিতেই হবে।
তারা বলেন, দুই দেশের মধ্যে চলমান অস্থিরতায় রোগীদের যেমন ক্ষতি হচ্ছে; তেমনি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে মেডিকেল ব্যবসাও। এই অস্থিরতা অচিরেই কাটবে এবং তারা যেকোনও পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে যাবেন বলে আশাপ্রকাশ করেছেন।
শিগগিরই বাংলাদেশি রোগীদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হবে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসক এন কাঞ্জিলাল এবং কৌশিক চৌধুরী। ওই নম্বরে কল করে বাংলাদেশি রোগীরা চিকিৎসা সংক্রান্ত সব ধরনের সহায়তা পাবেন।
বাংলাদেশ-ভারতের চলমান কূটনৈতিক টানাপোড়েনের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের রাজধানী কলকাতায়। সম্প্রতি সেখানকার কিছু হাসপাতাল ও হোটেলের দরজা বাংলাদেশিদের বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যদিও হোটেল ও হাসপাতাল খাতের অনেক ব্যবসায়ী এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তারা বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ ছাড়েরও ঘোষণা দিয়েছেন।
কলকাতার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের সদস্য অনির্বাণ গুপ্ত বলেছেন, চলমান ইস্যুতে দুই দেশের ব্যবসায় কোনও প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, আমি মনে করি, দুই দেশে একটা সুষ্ঠু সম্পর্কে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। রাজনৈতিক উত্তাপ ব্যবসায় যেন না পড়ে। একটা সুষ্ঠু সম্পর্কের মধ্য দিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। দুই দেশেরই উচিত দুই দেশকেই সম্মান করা। আমি মনে করি, সবকিছু ভুলে আমাদের মধ্যে যে হৃদ্রতা ছিল, সেই সম্পর্কেই আগামীতে আরও মজবুত হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে ডাচ-বাংলা ব্যাংক
ডাচ-বাংলা ব্যাংক পিএলসির কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার আপগ্রেডেশন কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ব্যাংকের সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম ১ জানুয়ারি থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচদিন বন্ধ থাকবে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ অনুমোদন দিয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অব-সাইট সুপারভিশন বিভাগ এ অনুমোদন দেয়।
এসময় ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন, এটিএম বুথ, ডেবিট কার্ড সেবা, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং (মাইক্যাশ) ও এজেন্ট ব্যাংকিংসহ ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সব সেবা ও কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
তবে ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন বা কেনাকাটা করতে পারবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার আপগ্রেডেশন কার্যক্রম সম্পাদন করতে ১ জানুয়ারি থেতে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ডাচ-বাংলা ব্যাংক পিএলসির সব ব্যাংকিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বিরত থাকবে বলে এ বিষয়ে উক্ত ব্যাংকের আবেদনে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে এ সম্মতি দেয়া হয়েছে বলে নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনল বাংলাদেশ
পাকিস্তানের কাছ থেকে উচ্চ মানসম্পন্ন ২৫ হাজার টন চিনি কিনেছে বাংলাদেশ। আগামী মাসেই বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে এই চিনি। কয়েক দশক পর এই দেশটির কাছ থেকে এতো বিপুল পরিমাণে চিনি কিনল ঢাকা। এর আগে ভারতের কাছ থেকে চিনি কিনতো বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন উচ্চমানের চিনি কিনেছে বাংলাদেশ, যা আগামী মাসে করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। কর্মকর্তাদের মতে, বহু দশক পর ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ বাংলাদেশে এত বিপুল পরিমাণে নিজেদের উৎপাচিত পণ্য পাঠাচ্ছে পাকিস্তানি চিনি শিল্প।
গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম প্রতি টনে ৫৩০ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, এর আগে ভারত থেকে চিনি আমদানি করে আসছিল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের অনুমোদনের পর এই বছর কমবেশি ৬ লাখ টন চিনি রপ্তানির চুক্তি করেছে পাকিস্তানের চিনি শিল্প।
এর মধ্যে ৭০ হাজার টন চিনি পাকিস্তান থেকে পাঠানো হবে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে। থাইল্যান্ড পাকিস্তানের চিনি শিল্প থেকে ৫০ হাজার টন চিনি কিনেছে। পাকিস্তানের চিনি ব্যবসায়ীদের কর্মকর্তা মজিদ মালিকের মতে, উপসাগরীয় রাষ্ট্র, আরব দেশ এবং আফ্রিকান দেশগুলোও পাকিস্তান থেকে চিনি কেনার চুক্তি করেছে।
চিনি রপ্তানি থেকে পাকিস্তান ৪০০-৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবে। মূলত পাকিস্তানের চিনি শিল্প দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির জন্য একটি প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী শিল্প হয়ে উঠেছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম বলছে, দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের যৌথ প্রচেষ্টায় দেশের চিনি শিল্পও সফলভাবে বিপুল পরিমাণ চিনি রপ্তানি করে চলেছে। এর আগে এসব চিনি আফগানিস্তানের মধ্য দিয়ে উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, কাজাখস্তান এবং আজারবাইজানে পাচার হয়ে যেত।
কাফি