আইন-আদালত
সুপ্রিম কোর্টে অবকাশকালীন নতুন সূচি রবিবার থেকে
আগামীকাল রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন সূচি অনুযায়ী বিচারকাজ পরিচালনা করা হবে। বিশেষ ব্যবস্থায় এই বিচারকাজ চলবে আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত।
সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ, সরকার ঘোষিত ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি সব মিলিয়ে ৪২ দিন পর আগামী ২০ অক্টোবর থেকে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রমে ফিরবে সুপ্রিম কোর্ট।
এ সময়ের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এই সময়ের মধ্যে জরুরি মামলা সংক্রান্ত বিষয়াদি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্ট বিভাগে সুনির্দিষ্ট বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে বেশ কয়েকটি বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ভেকেশন জজ মনোনীত করার কথাও জানানো হয়।
এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘প্রধান বিচারপতি আগামীকাল ৮ সেপ্টেম্বর থেকে চলমান অবকাশকালে আপিল বিভাগের মামলা সংক্রান্ত জরুরি বিষয়াদি নিষ্পত্তির জন্য ভেকেশন জজ হিসেবে বিচারপতি মো. রেজাউল হককে মনোনীত করেছেন।’
বিচারপতি মো. রেজাউল হক সেপ্টেম্বর মাসে ৯, ১১, ১২, ১৮, ১৯, ২৩, ২৪ ও ৩০ তারিখ এবং অক্টোবর মাসে ২, ৭, ৮, ১৬ ও ১৭ তারিখ সকাল ১১ টা থেকে শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে শুনানি গ্রহণ করবেন।
প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের দীর্ঘ অবকাশকালে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত আপিল বিভাগের অফিসের সময়সূচি রোববার হতে বৃহস্পতিবার (সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি ছাড়া) নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
রবিবার হতে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকছে। এরইমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
বিচার বিভাগের কাজের মাধ্যমেই নিরপেক্ষতা বোঝা যাবে: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বিচার বিভাগের কাজ ও কর্মের মধ্যে দিয়েই জনগণ আমাদের পদক্ষেপ, নিরপেক্ষতা আর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সম্পর্কে বুঝতে পারবে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের প্রয়াত দানবীর রনদাপ্রসাদ সাহার বাড়ির পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, এই পরিবারের সঙ্গে আমাদের অনেক পুরনো সম্পর্ক। এখন উৎসবের সময় যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে সামিল হতে পারাই আমাদের সৌভাগ্য।
এর আগে, তিনি কুমুদিনী কমপ্লেক্সে পৌঁছালে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে রনদা সাহার বাড়ির পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধান বিচারপতি।
এ সময় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ নাজিমুদ্দৌলা, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার খান, জেলা প্রশাসক শরীফা হক, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
রিমান্ড শেষে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও দুই সচিব কারাগারে
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মুজুমদার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব মো. আমিনুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে কারাগারে আটকে রাখার আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৩ অক্টোবর রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র। গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ৪ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। বৈষম্যবিরোরধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় শিক্ষার্থী রমিজ উদ্দিন রূপকে (২১) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাধন চন্দ্রর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
অন্যদিকে, গত ৬ অক্টোবর রাতে গুলশান থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। একইদিন বিকেলে বনানী থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খানকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ৭ অক্টোবর যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় দুজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের জামিন
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হেমায়েত উদ্দিন জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুল হামিদ বলেন, অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় আদালত এম এ মান্নানের জামিন দিয়েছেন। আদালতের রায়ে আমরা খুশি।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এক শিক্ষার্থীর ভাই হাফিজ আলী বাদী হয়ে ৯৯ জনকে আসামি করে সুনামগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতে মামলা করেন। মূলত এই মামলায় কারাগারে ছিলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে দায়ের হওয়া রাজধানীর পল্টন থানার দুই মামলা এবং খিলগাঁও থানার চার মামলায় মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) জামিন পেয়ে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আলাদা দুই আদালত এসব মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে আদালতের হাজতখানা থেকে মুক্তি পান তিনি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
রেনু হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, চার জনের যাবজ্জীবন
ছেলে ধরা সন্দেহে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড আর ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুরশিদ আহম্মেদের আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
২০১৯ সালের ২০ জুলাই উত্তর বাড্ডায় ছেলে ধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে আহত করে বিক্ষুব্ধ জনতা। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওইদিন বাড্ডা থানায় ৪০০-৫০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন রেনুর ভাগ্নে নাসির উদ্দিন।
২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক। ২০২১ সালের ১ এপ্রিল ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতিমা ইমরোজ ক্ষনিকা ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় ৩৬ সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ও মহিন উদ্দিন।
এছাড়া আসামি জাফর হোসেন পাটোয়ারী ও ওয়াসিম আহমেদ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেওয়া হয়েছে। তাদের বিচার শিশু আদালতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
শপথ নিলেন হাইকোর্টের নতুন ২৩ বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৩ বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল আজিজ আহমেদ।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ২৩ জনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আইন সচিব মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান-এর ৯৮ অনুচ্ছেদ- এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিম্নবর্ণিত (ক)-(ব) ক্রমিকে উল্লেখকৃত ২৩ জন ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগদান করেছেন। তারা হলেন– মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন,মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন, শিকদার মাহমুদুর রাজী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী।