পুঁজিবাজার
তদন্তের জেরে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের তোপের মুখে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসির এক তদন্তে গিয়ে শাস্তির মুখে পড়েন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ন-পরিচালক কামাল হাসান শিশির। তদন্তে ব্যাংকটির বর্তমান চেয়ারম্যান পারভেজ তমালসহ ব্যাংকিং ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজনের আর্থিক অনিয়ম, ভুয়া ঋণ, অর্থের বিনিময়ে শতাধিক নিয়োগের অবিশ্বাস্য সব নজির উঠে আসে তদন্তে। তবে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের তোপের মুখে সাবেক ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানের পছন্দসই প্রতিবেদন করিয়ে নিতে দিনের পর দিন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তা শিশিরসহ তার তদন্ত দল। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ন-পরিচালক এসব বিষয়ে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলেন। গত ৬ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দুটি স্ট্যাটাসে এসব তথ্য শেয়ার করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এ কর্মকর্তা।
ব্যাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা শিশির ও তার দুই সহকর্মীর তদন্তে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের আর্থিক অনিয়ম, ভুয়া ঋণ, অর্থের বিনিময়ে শতাধিক নিয়োগ, চেয়ারম্যানের নিজের প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যাংকের ব্যবসাসহ অবিশ্বাস্য সব নজির উঠে আসে। তদন্তে এমন বিষ্ময়কর সব দূর্নীতির তথ্য উদঘাটনের পরেও প্রতিবেদন নিজেদের পক্ষে নিতে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখান। তদন্ত রিপোর্ট পারভেজ তমালের পক্ষে না করায় সাবেক ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান অকথ্য ভাষায় বাবা-মা তুলে গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে টিমের দুজন তার পছন্দের রিপোর্টে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা শিশির সম্মত না হওয়ায় তার ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়।
এবিষয়ে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ন-পরিচালক কামাল হাসান শিশির অর্থসংবাদকে বলেন, এনআরবিসি ব্যাংকের তদন্তে বিষ্ময়কর সব দূর্নীতির তথ্য উঠে এসেছিলো। তদন্ত প্রতিবেদন সুপারিশসহ বিআরপিডিতে পাঠিয়ে ছিলাম, তবে দুঃখের বিষয় সেই তদন্ত রিপোর্ট আর আলোর মুখ দেখেনি। রিপোর্টটাতে আমাদের অনেক পর্যবেক্ষণ-অনুসন্ধানে ভয়াবহ তথ্য পাওয়া যায়। এটাকে পুরোপুরি নখদন্তহীন ভাবে অনুমোদন করা হয়েছে। এটা পরবর্তীতে দুদক, বিআরপিডিতে গিয়েছে তবে কোনো দিক থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত ব্যাংকটিতে দুর্নীতিগ্রস্ত পর্ষদ এখনোও বহাল রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে অনেকেই বাণিজ্য করেছে। তৎকালীন ইডি-১ হুমায়ুন কবির এখন এনআরবিসি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে চাকরি বাগিয়ে নেয়। তিনি এই রিপোর্ট বিক্রি করে এনআরবিসি ব্যাংকে চাকরি নিয়েছেন, এমনকি ওনার মেয়েকেও চাকরি দিয়েছেন। তবে এটার কারণে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তা শিশির অর্থসংবাদকে বলেন, এনআরবিসি ব্যাংকের এ তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে অনেকের বাণিজ্য সফল হয়েও আমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের তোপের মুখে সাবেক ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানের পছন্দসই প্রতিবেদন করিয়ে নিতে ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছি। ২০২১ সালে বেস্ট এমপ্লয়িজ অ্যাওয়ার্ডের জন্য বিভাগের মনোনয়ন পাওয়া সত্ত্বেও কাজী ছাইদুর রহমানকে তুষ্ট না করার অপরাধে প্রথমবারের মতো শাস্তিমূলক বার্ষিক মূল্যায়ন রিপোর্ট পাই। আমার ১৩ বছরের ব্যাংকিং জীবনে সবচেয়ে খারাপ রিপোর্ট পাই ঐ বছরেই।
এবিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হককে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে জানতে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমালের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে মন্তব্য জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। ফলে কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তা শিশির প্রথম স্ট্যাটাসে লেখেন, এনআরবিসি ব্যাংকে একটা ইন্সপেকশনের সূত্রে ব্যাংক লুটেরাদের বিশাল সিন্ডিকেটের বিরাগভাজন হয়েছি আমিসহ আমার টিম মেটরা। রিজার্ভ খেকো ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদূর রহমান তার পছন্দসই রিপোর্ট করিয়ে নিতে দিনের পর দিন নির্যাতন করেছেন আমাকে। রুমে ডেকে নিয়ে সাবেক ইডি হাবিবুর রহমান স্যার এবং আমার টিমমেটদের উপস্থিতিতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন কয়েকবার। আমার পরিবার এবং বাবা মা তুলে নোংরা কথা বলেছেন। এক পর্যায়ে আমার বাকি দুজন টিমমেট তার পছন্দের রিপোর্টে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হলেও আমি সম্মত না হওয়ায় তার ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছি।
‘আমার কাছ থেকে পছন্দসই রিপোর্ট করিয়ে নিতে না পারায় ২ জন ইডি এবং ২ জন জিএমকে ডিপার্টমেন্ট থেকে বদলি করিয়েছেন। আমাদের টিমের কাছ থেকে সকল নথিপত্র জোর পূর্বক সিজ করিয়েছেন একজন দূর্নীতিবাজ ডিজিএম একেএম নুরুন্নবীকে দিয়ে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন ইন্সপেকশন টিমের কাছ থেকে গায়ের জোরে নথি জব্দ করার অতীতের কোন নজির না থাকলেও কাজী ছাইদুর রহমান এন্ড কোং স্বৈরাচারী স্ট্যাইলে সব অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। নথি জব্দের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে ইমেইল করে অবহিত করা হলেও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে কেউ সাহস করেনি কোন কথা বলার।’
আমার বক্তব্যের সমর্থনে সকল রেকর্ড সংরক্ষিত আছে বলেও জানান শিশির। তিনি আরও লেখেন, শুধু আমার কিংবা আমাদের সাথে নয়, অসংখ্য কর্মকর্তার কাজকে ন্যাক্কারজনকভাবে প্রভাবিত করেছেন দিনের পর দিন। আমি মুখ খুলেছি, অন্যরা হয়তো ভয়ে কথা বলছেন না।
ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানের ব্যাপারে তিনি আরও লেখেন, কাজী ছাইদুর রহমান সরাসরি এস আলমের ব্যাংকিং এজেন্ট হিসেবে সকল কুকীর্তির পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন দিনের পর দিন। তার ভয়ে তটস্থ হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা কেউ স্বাধীনভাবে কাজ করার সাহস পাননি বিধায় এস আলম গ্রুপ দূর্নীতির ক্লিনশীট পেয়ে এসেছেন।
এদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিটে আরেকটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেন তিনি। সেখানে এনআরবিসি ব্যাংকের লুটপাটের তথ্য, তার ও তার তদন্ত কমিটির দুই সদস্যের কয়েক দফায় নাস্তানাবুদ হওয়ার তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি লেখেন, চারদিকে জাদরেল সব সেনা কর্মকর্তাদের দিয়ে সাজানো এই ব্যাংকটি লুটপাটের দিক থেকে অসাধারণ সব অভিনবত্ব আবিস্কার করেছে। বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মাফিয়াদের কাছে ব্যাংকটা সম্পূর্ণ জিম্মি। সেনা কর্মকর্তাদের চোখে চোখ রেখে, মাফিয়াদেরকে ঠান্ডা মাথায় হ্যান্ডেল করে আমরা একের পর এক বিষ্ময়কর সব দূর্নীতির তথ্য উদঘাটন করি। কত ধরনের তথ্য যে পেয়েছিলাম তার মূল্যায়ন হলে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ কমপক্ষে ৫ বার ডিজলভ করা সম্ভব ছিল। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, পারভেজ তমাল এবং বিসেক চেয়ারম্যানের আর্থিক অনিয়ম, ভুয়া ঋণ, অর্থের বিনিময়ে শতাধিক নিয়োগ, চেয়ারম্যানের নিজের প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যাংকের ব্যবসাসহ অবিশ্বাস্য সব নজির পেয়েছি আমরা।
তিনি লেখেন, পারভেজ তমাল তৎকালীন গভর্নর ফজলে কবিরের রুমে বসে তাকে বাধ্য করেন আমাদের ইন্সপেকশন বন্ধ করে দিতে। ফ্রন্টলাইনে সেই একই ব্যক্তি, ছাইদুর রহমান। কেন আমরা এতকিছু ঘাটাঘাটি করছি তার জন্য আমাকেসহ পুরো টিমকে নাস্তানাবুদ করেন কয়েক দফায়। কাজী ছাইদুর রহমানের ব্যাচমেট তৎকালীন ইডি জনাব হাবিবুর রহমান স্যার সবকিছু জানেন। এই তদন্তকালে হঠাৎ এক সন্ধ্যায় কোন প্রকার কারণ দর্শানো ছাড়াই বিভাগের তৎকালীন ডিজিএম একেএম নুরুন্নবী আমার চেম্বারে রক্ষিত তদন্ত সংশ্লিষ্ট সকল নথি সিজ করেন। তিনি আমাকে জানান উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তিনি সকল নথিপত্র জোরপূর্বক দখল করেছেন কারন আমার কাছে নাকি তথ্যের নিরাপত্তা নেই। ডিবি হারুনের মতো নিরাপত্তা দেয়ার অজুহাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের চিন্হিত দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা জনাব নুরুন্নবী সিজকৃত ডকুমেন্টস আর কখনো ফেরত দেননি। তার কারনে সাকিব আল হাসানের দূর্নীতির তথ্যসহ অন্যান্য তথ্যগুলো আর আলোর মুখ দেখেনি।
ডকুমেন্টস দখল করার ঘটনাটা আমি আমার টিমসহ লাইনের সকল উর্ধতন কর্মকর্তাকে ইমেইল করে অবহিত করি। এই বিষয়ে করা আমাদের ইমেইল অভিযোগটি এখনও ডিপার্টমেন্টে পেন্ডিং আছে। নুরুন্নবী বহুবারই বিষয়টা সলভ করার চেষ্টা করলেও তার পাপ মোচনের সুযোগ তাকে দেয়া হয়নি।
‘উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনে আমাদের প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত কেটেকুটে নখদন্তহীন একটা রিপোর্ট করিয়ে নিতে কাজী ছাইদুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ব্যাপক তৎপরতা দেখান। আমাদের রিপোর্টের সারবস্তু এতটাই ব্রিলিয়ান্ট ছিল যে এই রিপোর্ট বিক্রি করে তৎকালীন ইডি -১ হুমায়ুন কবির তার পিআরএল সমাপ্তির আগেই এনআরবিসিতে চাকরি বাগিয়ে নেন। পরবর্তীতে আমাদের তদন্তদলের বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের লিখিত অভিযোগ আসে। আমরাও শুনেছি এনআরবিসি চেয়ারম্যান ২ কোটি টাকায় বিষয়গুলো সেটেল করেছেন। ফিগার ঠিকঠাক মিলে গেলেও কর্তৃপক্ষকে বারংবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও আমাদের বিরুদ্ধে আনা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগটি নিয়ে তদন্ত করা হয়নি। আমরা এতবার অনুরোধ করেও আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কর্তৃপক্ষকে রাজি করাতে না পারাটা রহস্যময়। কে পেল তাহলে এই দুই কোটি টাকা?’
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা শিশির আরও লেখেন, ২০২১ সালে বেস্ট এমপ্লয়িজ অ্যাওয়ার্ডের জন্য বিভাগের মনোনয়ন পাওয়া সত্ত্বেও ছাইদুর রহমানকে তুষ্ট না করার অপরাধে আমার ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো শাস্তিমূলক বার্ষিক মূল্যায়ন রিপোর্ট পাই। একই বছর একই বিভাগের বেস্ট এমপ্লয়ি নমিনেশন এবং ভেরি গুড পিএমএস পাওয়া কি একটু ইন্টারেস্টিং না? জ্বি, কাজী সাহেবের মনোরঞ্জন না করার রিওয়ার্ড একটু ইন্টারেস্টিং ই বটে!
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ২.০৩ শতাংশ
বিদায়ী সপ্তাহে (১৭ থেকে ২১ নভেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে ২ দশমিক ০৩ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে। ফলে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০ দশমিক ২০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ০৩ শতাংশ কমেছে।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৩ দশমিক ১৮ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৫ দশমিক ২৩ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৬ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ১০ দশমিক ১৩ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১০ দশমিক ৭০ পয়েন্টে, টেক্সটাইল খাতে ১০ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১ দশমিক ২৫ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১২ দশমিক ৫১ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১৩ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ১৩ দশমিক ৯১ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৪ দশমিক ২৮ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৬ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৮ দশমিক ২৭ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২৪ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ২৫ দশমিক ৮২ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ৩৪ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৬০ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে, পাট খাতে ৭৯ দশমিক ০৭ পয়েন্টে এবং সিরামিক খাতে ৮১ দশমিক ১৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে আইবিবিএল পারপেচুয়াল বন্ডের সর্বোচ্চ দরপতন
বিদায়ী সপ্তাহে (১৭ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৮৩ কোম্পানির মধ্যে ২৮৭টির শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ শেয়ার দর পতন হয়েছে আইবিবিএল সেকেন্ড পারপেচুয়াল মুদারাবা বন্ড।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে ফান্ডটির ইউনিটদর কমেছে ২৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। বন্ডটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩ হাজার ২৫০ টাকা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা অগ্নি সিস্টেমসের শেয়ার দর কমেছে ২১ দশমিক ১০ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ২৫ টাকা ৮০ পয়সা।
আর তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা মতিন স্পিনিংয়ের শেয়ার দর কমেছে ১৯ দশমিক ০৬ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৪৬ টাকা ৩০ পয়সা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এসিআই, শাইনপুকুর সিরামিকস, ওরিয়ন ফার্মা, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ফারইস্ট নিটিং, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল এবং বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এক সপ্তাহে জুট স্পিনার্সের শেয়ারদর বেড়েছে সাড়ে ২৭ শতাংশ
বিদায়ী সপ্তাহে (১৭ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৮২ কোম্পানির মধ্যে ৭২টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। এর মধ্যে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে জুট স্পিনার্স লিমিটেড। এক সপ্তাহে শেয়ারটির দর বেড়েছে সাড়ে ২৭ শতাংশের বেশি।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানির দর বেড়েছে ২৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ২৪৩ টাকা ৬০ পয়সা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফাইন ফুডসের শেয়ার দর বেড়েছে ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ২১৪ টাকা ২০ পয়সা।
আর তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩৬ টাকা ৪০ পয়সা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে– রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ, মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের ১৩ দশমিক ০১ শতাংশ, সমতা লেদারের ১২ দশমিক ৯৭ শতাংশ, ফার কেমিক্যালের ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ, নিটল ইন্স্যুরেন্সের ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে অগ্নি সিস্টেমস
বিদায়ী সপ্তাহে (১৭ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৮২ কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানিটির গড়ে ১৪ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ অবদান অগ্নি সিস্টেমসের।
লেনদেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনালী আঁশের সপ্তাহজুড়ে গড়ে ১২ কোটি ০৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে আসা মিডল্যান্ড ব্যাংকের বিদায়ী সপ্তাহে শেয়ার হাতবদল হয়েছে গড়ে ১১ কোটি ৩৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
এছাড়া, প্রতিদিন গড় লেনদেনে সাপ্তাহিক শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- বিচ হ্যাচারি, লাভেলো আইসক্রিম, ইসলামী ব্যাংক, বিএসসি, বেক্সিমকো ফার্মা, ফাইন ফুডস এবং ফার ইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ভারতের শেয়ারবাজারে একদিনে সূচক বাড়লো ২ হাজার পয়েন্ট
সপ্তাহের শেষ দিনে ভারতের শেয়ারবাজারের সেনসেক্স সূচক প্রায় দুই হাজার পয়েন্ট বেড়েছে। নিফটি সূচকটিও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে সাড়ে ৫০০ পয়েন্ট। আদানির ঘুষ কাণ্ডের জেরে বৃহস্পতিবার খাদে নেমেছিল সূচক।
শুক্রবার ৭৯ হাজার ১১৭ দশমিক ১১ পয়েন্টে বন্ধ হয় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ। এদিন সূচক সেনসেক্স ১ হাজার ৯৬১ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। যা প্রায় ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। সকালে লেনদেন শুরুর দিকে সেনসেক্স সূচকটি ছিল ৭৭ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে। এদিনের সূচকটি সর্বোচ্চ ৭৯ হাজার ২১৮ দশমিক ১৯ পয়েন্টে ওঠেছিল।
অন্যদিকে এদিন ২৩ হাজার ৪১১ দশমিক ৮০ পয়েন্টে খুলেছিল ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই)। দিন শেষে এর সূচক নিফটি ২৩ হাজার ৯০৭ দশমিক ২৫ পয়েন্টে এসে থেমেছে। এই বাজারে ৫৫৭ দশমিক ৩৫ পয়েন্টের বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। গত পাঁচ মাসের মধ্যে আজ সূচকটি সর্বোচ্চ বেড়েছে।
শনিবার ভারতের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে যার এক্সিট পোল। সেখানে অধিকাংশ সমীক্ষক সংস্থাই বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটকে এগিয়ে রেখেছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভোটের ফল ঘোষণার আগের দিন আদানির ঘুষকাণ্ডের চেয়ে এক্সিট পোলকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। যার জেরে অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে সেনসেক্স ও নিফটি।
এসএম