জাতীয়
নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আহতদের খোঁজখবর নিলেন প্রধান উপদেষ্টা
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের খোঁজ নিতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার সকালে আগারগাঁওয়ের হাসপাতালটিতে পরিদর্শনে যান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জুলাই-আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের আট শিক্ষার্থীসহ গুরুতর আহত অন্তত ১১ জন হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতালের পরিচালক কাজী দীন মোহাম্মদ বলেন, হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন চার শিক্ষার্থীর অবস্থা তিনি (ইউনূস) দেখেছেন।
তিনি বলেন, চিকিৎসাধীন চারজনেরই মাথায় গুলি লেগেছে। তাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
এ সময় ইনস্টিটিউটের যুগ্ম পরিচালক বদরুল আলমসহ হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় সতর্ক সেনাবাহিনী
দেশের গুরুত্বপূর্ণ বা কেপিআইভুক্ত স্থাপনার সার্বিক নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে বলে জানিয়েছেন সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের বনানী অফিসার্স মেসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, এসব স্থানের নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমরা একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।
‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের’ আওতায় মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে সচিবালয়ে আগুনের ঘটনার বিষয়ে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত করা হবে, সেখানে আগুন লাগার প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ লক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চাপ নেওয়ার জন্যই সেনাবাহিনী প্রশিক্ষণ নিয়েছে। তবে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিতভাবে সেনাবাহিনী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।
কর্নেল ইন্তেখাব বলেন, আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে অনেক ঘটনা ঘটছে তবে অবনতি হয়নি। এক্ষেত্রে পুলিশসহ অন্যান্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহনশীল রাখতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কক্সবাজারে সেনাবাহিনী সর্তক অবস্থানে আছে। ফলে সেখানে সার্বভৌমত্বের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেই। এছাড়া রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো কাজ করছে।
বান্দরবানে ত্রিপুরাদের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঘটেছে বলেও জানান কর্নেল ইন্তেখাব।
এ সেনা কর্মকর্তা জানান, সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে দায়িত্ব পালন করবে, এটা সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়। দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশের জনগণের জানমাল এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা প্রদানসহ সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চট্টগ্রামে বিমানের বোয়িং উড়োজাহাজ জব্দ
চোরাচালানের স্বর্ণ বহনের অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিমানটি জব্দ করা হয়।
এর আগে সকালে বিমানটি দুবাই থেকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে একটি আসনের নিচ থেকে দুই কেজির বেশি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এ সময় রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা এলাকার আতিয়া সামিয়া নামের এক যাত্রীকে আটক করা হয়। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি স্বর্ণ দোকানের বিক্রয়কর্মী বলে জানিয়েছেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
এর আগে স্বর্ণ চোরাচালানের ঘটনায় শাহজালালে বিমান জব্দ করা হলেও শাহ আমানতে এবারই প্রথম।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটটি দুবাই থেকে এসে সকালে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফ্লাইটে তল্লাশি চালায় জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসআই), শুল্ক গোয়েন্দা ও বিমানবন্দর নিরাপত্তা শাখার সদস্যরা। তল্লাশির সময় ৯-জে নম্বর যাত্রী আসনের নিচে টেপ দিয়ে মুড়িয়ে বিশেষ কৌশলে রাখা ২০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। জব্দ করা ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণের বারগুলোর ওজন দুই কেজি ৩৩০ গ্রাম। যেগুলোর বাজার দর প্রায় দুই কোটি ৬০ লাখ টাকা।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, বিমানের আসনের নিচে যেভাবে স্বর্ণের বারগুলো রাখা হয়েছিল, সেগুলো বিমানের কারও সহায়তা ছাড়া রাখা সম্ভব না। তাই তদন্তের স্বার্থে কাস্টমস আইন অনুযায়ী, বিমানটি জব্দ করা হয়েছে। বিমানটি জব্দ করা হলেও সেটি বৃহস্পতিবার সকালে শাহ আমানত বিমানবন্দরে যাত্রী নামিয়ে বেলা ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, স্বর্ণ উদ্ধার করা বিমানটি জব্দ করা হয়েছে, যেন বাংলাদেশ বিমানকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায়। তারা মনে করছেন, বিমানের আসনের নিচে স্বর্ণ লুকিয়ে রাখা যাত্রীর পক্ষে সম্ভব না। এটাতে বিমানে কেউ জড়িত কি-না, বিমানের ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহসহ তল্লাশি বা নিরাপত্তায় কোনো গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে কাগজ-কলমে বিমানটি জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু যাত্রী পরিবহন চলবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড: তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে তদন্ত কমিটি
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি আগামী তিনদিন অর্থাৎ রবিবারের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রকৃত কারণ নিরূপণে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান বলেন, সচিবালয়ের মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকারের সিদ্ধান্ত জানাতে এসেছি। এ ব্যাপারে আজ প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তিন দিনের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দেবে।
একমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের প্রধান। এছাড়া রয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, সশস্ত্র বাহিনীর একজন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বুয়েটের ড. কাদরী মনসুর ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ড. ইয়াসির আরাফাত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভোটার এলাকা হিসেবে থাকছে না বর্তমান ঠিকানা
জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) আলাদা করা হচ্ছে ভোটার এলাকা ও বর্তমান ঠিকানা। নাগরিকদের ভোট দেওয়ার অধিকার এক জায়গায় রাখতে এ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কারণ কোনো কারণে একজন নাগরিক ভোটার এনআইডিতে ঠিকানা পরিবর্তন করার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার এলাকাও পরিবর্তন হয়ে যায়। এ জন্যই ভোটার এলাকা আলাদা করার উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, এনআইডির বর্তমান ঠিকানাই ভোটার এলাকা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে কোনো কারণে বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন হলে ভোটার এলাকাও পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। আর ভোটার এলাকা পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার ফলে অনেকেই নিজের এলাকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সম্প্রতি ভোটার এলাকা পরিবর্তন বা স্থানান্তর এবং এনআইডি সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করে ইসি। সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন সমস্যা পর্যালোচনা করে ওই কমিটি একটি সুপারিশ করেছে। কমিটি প্রধান ও ইসির উপসচিব এম মাজহারুল ইসলামের সই করা সুপারিশ অনুমোদনের জন্য তোলা হয়েছে। কমিশনের অনুমোদন পেলেই তা বাস্তবায়ন করা হবে এ সিদ্ধান্ত।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত ভোটার স্থানান্তর কার্যক্রম বন্ধ থাকে। ওই সময়ে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যতিত স্থানান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয় না।
এছাড়া বর্তমানে প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাসেই নিবন্ধন করা হচ্ছে। তাদের বর্তমান ঠিকানা বসবাসরত দেশে হলেও কার্ডের পেছনে বাংলাদেশে যে এলাকার ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত আছেন, সে এলাকার ঠিকানা উল্লেখ থাকে। অথচ তাদের নিবন্ধন ফরম পূরণের সময় প্রবাসের ঠিকানার তথ্যও সংগ্রহ করা হয়। এ ক্ষেত্রে বর্তমান ঠিকানা ও ভোটার এলাকা নিয়ে একটি জটিলতা তৈরি হয়।
কর্মকর্তারা আরও বলেন, নাগরিকদের বিভিন্ন দাপ্তরিক প্রয়োজন ও বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রে ঠিকানা পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে তা সম্ভব হয় না। কারণ ভোটার স্থানান্তরের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তনও ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
এক্ষেত্রে কেস টু কেস নথিতে উপস্থাপন করে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনক্রমে স্থানান্তর কার্যক্রমে অনেক সময় প্রয়োজন হয় এবং নাগরিকরা ক্ষতির সম্মুখীন হন। এই বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সেবা সহজীকরণ কমিটি ওই সুপারিশ করেছে। কমিটির সুপারিশে এনআইডি নেওয়ার সময় বা নতুন ভোটার হওয়ার সময় নির্ধারিত ফরমে স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার পাশাপাশি ভোটার এলাকা লিপিবদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটারের তথ্য সংগ্রহের সময় ভোটারের তিনটি ঠিকানা থাকবে, যথা বর্তমান বা যোগাযোগ, স্থায়ী ও ভোটার ঠিকানা। একজন নাগরিকের তিনটি ঠিকানা একই হতে পারে অথবা একাধিক স্থান হতে পারে। জাতীয় পরিচয়পত্রের পেছনে বর্তমান বা যোগাযোগের ঠিকানা উল্লেখ থাকবে। এটা দেশে বা প্রবাসের ঠিকানা হতে পারে। ভোটার ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা ডাটাবেজে থাকবে। তবে ভোটার ঠিকানা মুদ্রিত ভোটার তালিকায় উল্লেখ থাকবে। এতে করে তিন ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে।
প্রথমত, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য ভোটার মাইগ্রেশন প্রয়োজন হবে না। বর্তমান বা যোগাযোগের ঠিকানা সংশোধন করলেই হবে। তাতে ভোটার তালিকায় কোনো প্রভাব পড়বে না।
দ্বিতীয়ত, বর্তমানে একই ব্যক্তি একাধিকবার ভোটার স্থানান্তর করে থাকে। ডাটাবেজে বর্তমান ঠিকানা ও ভোটার ঠিকানা ফিল্ড একটাই হওয়ার কারণে কোনো ব্যক্তির দাপ্তরিক প্রয়োজনে ঠিকানা পরিবর্তন করতে হলে বাধ্য হয়ে তাকে ভোটার স্থানান্তরও করতে হয়। আবার নির্বাচনের আগে আগে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় স্থানান্তরে চাপ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে তিনি নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে স্থানান্তর করছেন, নাকি দাপ্তরিক প্রয়োজনে স্থানান্তর করছেন, তা বোঝার উপায় থাকে না। ডাটাবেজে তিনটি ঠিকানা থাকার ফলে আবেদনের উদ্দেশ্য বোঝা যাবে এবং বিভিন্ন নির্বাচনের আগে বারবার স্থানান্তর রোধ করা সম্ভব হবে। এমনকি ভোটার স্থানান্তর কতবার করা যাবে, তা নির্দিষ্ট করা সম্ভব হবে।
তৃতীয়ত, তিনটি ঠিকানা থাকার ফলে প্রবাসী নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের পেছনে বর্তমান বা যোগাযোগের ঠিকানা হিসেবে প্রবাসের ঠিকানা উল্লেখ থাকবে। এতে করে প্রবাসীদের সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে এবং তারা সরকার ঘোষিত বিভিন্ন সেবা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রাপ্ত হবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি
চাচা-চাচিকে পিতা-মাতা সাজিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি গ্রহণের অভিযোগে কামাল হোসেন নামে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
কামাল হোসেন বর্তমানে নওগাঁ জেলার আত্রাইয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং চাকরি লাভসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগের উদ্দেশ্যে জন্মদাতা পিতা মো. আবুল কাশেম ও গর্ভধারিণী মা মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে আপন চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব এবং চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে চরম প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণপূর্বক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি গ্রহণ করেছেন। আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে আরও বলা হয়, মো. কামাল হোসেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের সিরাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণি এবং ফিলিপনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়নকালীন বাবার নাম হিসেবে তার প্রকৃত জন্মদাতা পিতা মো. আবুল কাশেমের নাম ব্যবহার করলেও পরবর্তীতে একই স্কুলে ৯ম শ্রেণিতে তিনি তার আপন চাচা মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব এবং চাচী মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে বাবা-মা সাজিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে এসএসসি, এইচএসসিসহ বিভিন্ন উচ্চতর ডিগ্রি পরীক্ষায় চাচা-চাচির নামই বাবা-মার নাম হিসেবে ব্যবহার করেন। এ ছাড়া প্রতারণার মাধ্যমে মো. কামাল হোসেন তার জন্মসনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রকৃত বাবা-মায়ের পরিবর্তে চাচা-চাচির নামই ব্যবহার করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, মো. কামাল হোসেনের জন্মসনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদে বাবা-মায়ের নামের স্থলে চাচা-চাচির নামই উল্লেখ রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং চাকরি লাভসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগের উদ্দেশ্যে তিনি আপন চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে চরম প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি গ্রহণ করেছেন।