জাতীয়
বাজার কারসাজি নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
বাজার কারসাজি নিয়ন্ত্রণে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বাজারে কেউ চাঁদাবাজি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বলেছি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স ম্যানেজমেন্টের সভা শেষে (বিআইজিএম) তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আস্তে আস্তে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে। বাজারে পণ্যের দাম একেবারে যে কমেনি তা কিন্তু নয়। আমরা চেষ্টা করছি কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্যটা পায়। এজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ভোক্তার ডিজেকে বাজার মনিটর করতে বলেছি, যাতে করে বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা যায় । যদিও সে এখন নেই। খুব শিগগিরই ভালো লোক আসবে এখানে। বাজারে চাঁদাবাজি করলে ডিসিরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে।
দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনা হবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এ নিয়ে কাজ করছে। দুর্নীতিবাজদের বিষয়ে তারা বিভিন্ন ইনভেস্টিগেশন করবে। এরপর কোর্টে যাবে, সেখান থেকে একটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে দুর্নীতিবাজ সবাইকে ধরা হবে। দুর্নীতি করে যারা অর্থ পাচার করেছে এবং যারা দুর্নীতি করে অর্থ বানিয়েছে তাদের বিষয়ে এনবিআর ব্যবস্থা নেবে। বাকিগুলো মানিলন্ডারিং আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভিন্ন সিন্ডিকেট কেন ভাঙতে পারছেন না— এমন প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, শর্ট করে নৌকা একেবারে নাড়ায় দিয়েন না তাহলে আপনারাও পড়ে যাবেন আমরাও পড়ে যাব। আস্তে আস্তে করে আমরা নির্দেশ দিচ্ছি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। এ ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা লাগবে।
তিনি আরও বলেন, শিল্পখাতে অস্তিত্ব শিগগিরই কমে যাবে। আমার মালিকদের সহযোগিতা করছি। এ অস্থিরতার মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সহযোগিতা করছে। এটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবে। এ ব্যাপারে ট্রেডবডি এবং কমার্স মিনিস্ট্রির সঙ্গে আমার আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে শিগগিরই ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভারতের অপতথ্য প্রচার নিয়ে সাখাওয়াত হোসেনের মন্তব্য
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ভারতের অপতথ্য প্রচারে আমাদের কোনো ক্ষতি নেই’। আজ শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে যশোরের বেনাপোল কার্গো ইয়ার্ড ও ইমিগ্রেশন পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. সাখাওয়াত হোসেন জানান, ভারতের অপতথ্য প্রচারে আমাদের দেশের ক্ষতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং বাজার যথেষ্ট শক্তিশালী এবং আমাদের কাছে সবকিছুই আছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতে ভ্রমণকারীর মধ্যে বাংলাদেশিরা দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রুপ, এবং এ খাত থেকে ভারত অনেক অর্থনৈতিক লাভবান হয়। তাই ভারত যদি বাংলাদেশিদের ভারতে যেতে নিষেধ করে, তবেও বাংলাদেশিরা সেখানে যাবে না।
দেশের চলমান ইসু নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের মধ্যে কোনো মেজরিটি বা মাইনরিটি বিভাজন নেই। আমরা সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বাস করি। তিনি সবাইকে আহ্বান জানান, যাতে কোনো ধরনের উসকানিতে কান না দেন।
বেনাপোল বন্দরের বিষয়ে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পূর্বে আমি কার্গো ভেহিকল টার্মিনাল উদ্বোধন করেছিলাম, কিন্তু সেখানে কিছু সমস্যা ছিল, যেমন স্ক্যানারের মেরামত এবং অন্যান্য কাজ। আজ আমি সেগুলোর অবস্থা পর্যালোচনা করেছি এবং বন্দরের সার্বিক প্রস্তুতি নিশ্চিত করেছি।
এ সময় বেনাপোল চেকপোস্টের পরিবহন ব্যবসায়ীরা পুরানো বাস টার্মিনাল চালুর বিষয়টি উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরলে তিনি আশ্বাস দেন যে, ১৯টি পরিবহনের কার্যক্রম চালু করা হবে। পরবর্তীতে, তিনি বন্দরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়াও, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আব্দুল্লাহর পরিবারের খোঁজ-খবর নিতে তার বাড়িতে যান এবং তার কবর জিয়ারত করেন।
এ পরিদর্শনে যশোর জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতীয়দের জন্য ভিসা সীমিত করল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে উত্তেজনার মধ্যেই কলকাতা ডেপুটি হাইকমিশনে ভারতীয়দের জন্য বাংলাদেশের ভিসা সীমিত করেছে ঢাকা। দুই দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন শক্ত পদক্ষেপ নিলো বাংলাদেশ। আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দেয়া না হলেও বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) গোপন এক দাপ্তরিক চিঠির মাধ্যমে কলকাতা ডেপুটি হাইকমিশনকে বাংলাদেশ সরকারের তরফে ভারতীয়দের ঢালাও ভিসা দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে সেই নির্দেশ কার্যকরও শুরু করেছে করেছে কলকাতা দূতাবাস।
এর আগে ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে দুবৃত্তদের হামলা ও ভাঙচুরের পর সেখানে সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করে বাংলাদেশ সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয় ভারতীয়দের ভিসা দেওয়ার সব ধরনের প্রক্রিয়া।
তবে দিল্লি বা আসাম মিশনের ক্ষেত্রে এমন কোন নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, কলকাতা ও ত্রিপুরার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দিল্লি ও আসামের ক্ষেত্রেও একই রকমের নির্দেশনা আসতে পারে।
এর আগে গত বুধবার এক সংক্ষিপ্ত নোটিশে ত্রিপুরার সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ ও কলকাতার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি হাইকমিশনার সিকদার মো. আশরাফুল রহমানকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং তার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পর্ক হিমশীতল অবস্থায় পৌঁছেছে। এখন নতুন করে সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেও টানাপোড়ন দেখা দিয়েছে।
ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তারের পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। তাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ভারতের একাধিক স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। এ ছাড়া গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) ত্রিপুরার আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনায় শক্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। শুধু প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাংলাদেশ থেমে যায়নি। ঘটনার একদিন পর ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে ক্ষোভ জানায় ঢাকা।
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ভারতও গভীরভাবে দুঃখপ্রকাশ করেছে। এ ছাড়া হামলার ঘটনায় জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারত এবং তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ঢাকায় চালু হচ্ছে রয়্যাল জর্ডানিয়ান এয়ারলাইন্সের কার্যক্রম
জর্ডানের পতাকাবাহী উড়োজাহাজ সংস্থা রয়্যাল জর্ডানিয়ান এয়ারলাইন্স (আরজে) বাংলাদেশে তার জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) হিসেবে নিয়োগ করেছে সায়মন এয়ার ট্র্যাভেলস লিমিটেডকে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে এয়ারলাইন্সটি।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সায়মন এয়ার ট্র্যাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফসিয়া জান্নাত সালেহ এ তথ্য জানান।
এখন থেকে সায়মন এয়ার ট্র্যাভেলস মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিমান সংস্থা রয়্যাল জর্ডানিয়ান এয়ারলাইন্স এর টিকিট বিক্রি ও বিপণন পরিষেবা প্রদানের পাশাপাশি সম্পূর্ণ গ্রাহক এবং এজেন্ট সহায়তা প্রদান করবে। ৮ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশে অফলাইন টিকিট বিক্রি শুরু করবে রয়্যাল জর্ডানিয়ান এয়ারলাইন্স।
আফসিয়া জান্নাত জানান, প্রাথমিক অবস্থায় অফলাইনে টিকিট বিক্রি দিয়ে বাংলাদেশে জর্ডানিয়ান এয়ারলাইন্স কার্যক্রম শুরু করলেও তা খুব দ্রুত অনলাইনে চলে আসবে। এয়ারলাইন্সটি জর্ডানের রাজধানী আম্মান থেকে ৪৫ টিরও বেশি গন্তব্যে এবং ৫০ টিরও বেশি সংযোগকারী পয়েন্টে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। যে কোন যাত্রী রয়্যাল জর্ডানিয়ান এয়ারলাইন্সের টিকিট পেতে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন : সায়মন সেন্টার (৬ তলা), হাউজ -৪এ , রোড -২২, গুলশান -১, ঢাকা। হটলাইন: +৮৮ ০২ ২২২২৮২২৭৩-৭৪, +৮৮ ০১৪০৪০৩৩১১০। এ ছাড়া ভিজিট করতে পারেন www .rj.com এই ঠিকানায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট চালু শিগগিরই
শিগগির বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু হতে যাচ্ছে। পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার এস এম মাহবুবুল আলম এই তথ্য জানিয়েছেন। তার ভাষ্য, সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে উভয় দেশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হবে।
ডেপুটি হাইকমিশনার জানান, পাকিস্তানের ব্যবসায়ী সংগঠন হায়দরাবাদ চেম্বার অব স্মল ট্রেডার্স অ্যান্ড স্মল ইন্ডাস্ট্রির (এইচসিএসটিএসআই) সহযোগিতায় একটি প্রদর্শনীর আয়েজন করা হবে। সেখানে দুই দেশের আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকরা অংশ নেবে।
এছাড়া মাহবুবুল আলম ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় হতে যাওয়া বার্ষিক বাণিজ্য প্রদর্শনী অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এই প্রদর্শনীতে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হবে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, সম্প্রতি হায়দরাবাদ চেম্বার পরিদর্শনকালে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আগ্রহী।
এসময় তিনি পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলাদেশকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় বাজার হিসেবে বর্ণনা করেন ও এইচসিএসটিএসআইকে ঢাকায় তাদের একটি প্রতিনিধি দল পাঠাতে বলেন। তিনি ব্যবসায়ীদের ভিসা প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ ও ত্বরান্বিত করারও প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে এইচসিএসটিএসআই-এর সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম মেমন উভয় বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তাছাড়া ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গত ১১ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে সরাসরি কার্গো জাহাজ পৌঁছানোর বিষয়টিকে তিনি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন।
সেলিম মেনন বলেন, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এই উদ্যোগ উভয় দেশের বৃহত্তর বাণিজ্য সহযোগিতার পথ আরও প্রশস্ত করবে।
মেমন এসময় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের পাকিস্তানের প্রদর্শনীতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান, বিপরীতে বাংলাদেশের বাণিজ্য মেলায় যোগদানের জন্য পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের যথাযথ সুবিধা নিশ্চিতেরও আহ্বান জানান। এছাড়া মেনন ঢাকায় শুল্ক ছাড়পত্র পেতে পাকিস্তানি পণ্য রপ্তানিকারকরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে থাকেন, সেগুলো দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ভারতে শেখ হাসিনার ১২০ দিন
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৫ ডিসেম্বর তার পালানোর চার মাস পূর্তি হলো।
তবে এই সময়ে তিনি কোথায় গা ঢাকা দিয়ে আছেন, কী করে তার দিন কাটছে, তা নিয়ে কৌতূহল কম নেই। কৌতূহল থাকলেও তার অবস্থান সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যাচ্ছে না। কারণ, কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে তাকে রেখেছে ভারত সরকার।
শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পাঁচদিন পর একটি ভিডিও বক্তব্য সামনে আসে। এরপর তার কয়েকটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়। আবার যুক্তরাষ্ট্র ও নেদারল্যান্ডসে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তার ভিডিও কনফারেন্সে অংশও নেওয়ার খবরও শোনা যায়।
ঢাকা ছাড়ার পর শেখ হাসিনা দিল্লিতে ছিলেন। তখন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নয়াদিল্লির লোদি গার্ডেনের লুটেনস বাংলো জোনে একটি সুরক্ষিত বাড়িতে ছিলেন তিনি। ভারত সরকারই থাকার জন্য বাড়িটির ব্যবস্থা করে দেয়।
দুই মাস পর দিল্লি থেকে উত্তর প্রদেশের মিরাটের ক্যান্টনমেন্ট এলাকার একটি বাড়িতে তাকে রাখা হয় বলে জানা যায়। সেখানেই একটি বাড়িতে তিনি রয়েছেন। নিরাপত্তার জন্য দিল্লি থেকে ৮৩ কিলোমিটার দূরে তাকে সরিয়ে নেয়া হয়। সেখানেই এখনো তার সর্বশেষ অবস্থানের খবর গণমাধ্যম বিভিন্ন সূত্র দিয়ে প্রকাশ করেছে।
শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যেই তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যায়। তারপর থেকে তিনি ভারতে কোন স্ট্যাটাসে আছে, সেটিও প্রকাশ করেনি ভারত। এ ছাড়া ভারতে শেখ হাসিনা কোথায় এবং কীভাবে দিন কাটাচ্ছেন, সেটিও ভারত সরকারের পক্ষ থেকে গোপন রাখা হয়েছে।
শেখ হাসিনাকে ভারতের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে সেদেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিজেপি সরকারের একটি সমঝোতা হয়েছে। সব রাজনৈতিক দলই শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যে কারণে তাকে আশ্রয় দেওয়াটা বিজেপি সরকারের জন্য খুব সহজ হয়েছে।
শেখ হাসিনাকে কেন এত গোপনীয়তার মধ্যে রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ভারতীয় কূটনীতিকেরা। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বলেন, নিরাপত্তার জন্যই শেখ হাসিনাকে গোপনীয়তার সঙ্গে রাখা হয়েছে। অন্য কোনো কারণে নয়।
শেখ হাসিনা ভারতের আশ্রয়ের নেওয়ার আট দিন পর ১৪ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা প্রথম বৈঠক করেন। প্রথম বৈঠকেই পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হাইকমিশনারকে সতর্ক করেন, শেখ হাসিনা ভারত থেকে যেন কোনো বক্তব্য না দেন।
তিনি ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানান, যদি ভারত থেকে শেখ হাসিনা বক্তব্য দিতে থাকেন, তবে সেটি দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। ধারণা করা হচ্ছে, সে অনুযায়ী মিডিয়ায় শেখ হাসিনার বক্তব্য তেমন আসেনি।
অবশ্য শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিলেও দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, একজন (শেখ হাসিনা) যদি কোনো এক দেশে গিয়ে থাকে, তাহলে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে কেন? তার তো কোনো কারণ নেই। দ্বিপক্ষীয় বিষয় অনেক বড়। এটি স্বার্থের সম্পর্ক।
এদিকে ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে বলে সরকারের নীতি নির্ধারকেরা জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হলে তাকে ফেরত চাওয়া হবে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও বলেছেন, জুলাই-অগাস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব।