জাতীয়
১৩৭ বাস কেনা নিয়ে কারসাজি, নেপথ্যে সাবেক মন্ত্রী-সচিব
চার হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশে বিশেষায়িত লেন গড়ে তোলার কাজ চলছে প্রায় সাত বছর ধরে। আলোচিত এ প্রকল্পের (বিআরটি) কাজ শেষ পর্যায়ে। বিদেশি ঋণের কিস্তি শোধের সময়ও শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু এই রাস্তায় চলাচলের ১৩৭টি বাস কেনার প্রক্রিয়া দেড় বছরেও শেষ হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী পছন্দের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ১৩৭টি বাস কিনতে চেয়েছিলেন; কিন্তু সেটা করতে না পেরে পুরো প্রক্রিয়াকে ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
জানা গেছে, দরপত্রে কারসাজি ধরা পড়ায় তাঁদের পছন্দের প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ে যায়। বাকিদের মধ্যে নিয়মানুযায়ী যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে কাজ না দিয়ে ‘কার্যকর প্রতিযোগিতা’ হচ্ছে না কারণ দেখিয়ে দরপত্র বাতিল করা হয়। পরবর্তী সময়ে নতুন করে দরপত্র ডাকা হয়। দুই মাস পার হলেও দরপত্রে কারা বা কতটা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে, সেটা আর প্রকাশ করছে না।
এ বিষয়ে তথ্য চেয়ে গত ২৫ জুলাই তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছিলেন গাজীপুরের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী জান্নাতুল বাকি। তবে তথ্য দিতে অপারগতা জানায় বিআরটি কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, প্রথম দরপত্রে ছয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিলেও দ্বিতীয় দরপত্রে অংশ নিয়েছে মাত্র দুটি। প্রথম সর্বনিম্ন দর ছিল প্রায় ১ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার (১৮৮ কোটি টাকা) এবং দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দর ছিল প্রায় ১ কোটি ৯১ লাখ ডলার (২০৩ কোটি টাকা)। তখন ডলারের বিনিময়মূল্য ছিল ১০৬ টাকা।
আর নতুন দরপত্রে সর্বনিম্ন দর পড়েছে প্রায় ৩ কোটি ডলার (৩৬০ কোটি টাকা)। অপরটির দর প্রায় ৯ কোটি ৯৮ লাখ ডলার (প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা)। যদিও প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০৫ কোটি টাকা।
প্রথম দরপত্রে ছয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিলেও বলা হয়, কার্যকর প্রতিযোগিতা হয়নি। পরেরটায় মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেওয়ায় এটা কীভাবে কার্যকর প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অপর দিকে খরচও বাড়ছে অনেক বেশি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী পছন্দের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ১৩৭টি বাস কিনতে চেয়েছিলেন; কিন্তু সেটা করতে না পেরে পুরো প্রক্রিয়াকে ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আত্মগোপনে রয়েছেন। তাই এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সাবেক সচিব আমিন উল্লাহ নূরীর সঙ্গেও ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পরে যোগাযোগ করা হয় বিআরটি কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে। প্রথমবার ছয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েও প্রতিযোগিতা হয়নি আর এবার দুটি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়ে কীভাবে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত হচ্ছে?
এমন প্রশ্নের জবাবে মো. মহিউদ্দিন বলেন, আগেরবার অংশ নেওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠানই ছিল একই দেশের (চীন)। এবার যে দুটি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে, তারা ভিন্ন ভিন্ন দেশের। বৈচিত্র্য আনতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, দুটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক মূল্যায়নের কাজ চলছে। এটি চূড়ান্ত হওয়ার পর সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (এনওএ) দেওয়া হবে।
কিন্তু এখন যে খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে, সেটা কেন? এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটি কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন বলেন, বাসের ধরন পরিবর্তন করা হয়েছে বলে খরচও বাড়ছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আত্মগোপনে রয়েছেন। তাই এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সাবেক সচিব আমিন উল্লাহ নূরীর সঙ্গেও ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিআরটি কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা এএফডি ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিবিআরটিসিএল)। বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি পথে বিশেষায়িত এই বাস সেবা পরিচালিত হবে ‘ঢাকা লাইন’ নামে।
এর মধ্যে ঢাকা লাইনের জন্য ১৩৭টি বাস কেনার ঋণসহায়তা দিচ্ছে ফ্রান্স। এ জন্য প্রথম দরপত্র ডাকা হয় গত বছরের ১৪ জানুয়ারি। দরপত্র দাখিল করে ছয়টি প্রতিষ্ঠান। গত বছরের ১৮ এপ্রিল মূল্যায়ন কমিটি চারটি প্রতিষ্ঠানকে কারিগরিভাবে যোগ্য (রেসপনসিভ) ঘোষণা করে। তাতে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে চীনের হাইগার বাস কোম্পানি লিমিটেডকে সুপারিশ করা হয়। কিন্তু একই ব্যবসায়ী গ্রুপের আরও একটি প্রতিষ্ঠানও একই দরপত্রে অংশ নেয়; যা বেআইনি। বিষয়টি ধরা পড়ার পর ওই দুই প্রতিষ্ঠানকেই অযোগ্য ঘোষণা করে।
পরে কর্তৃপক্ষ দরপত্র বাতিল করে দিলে, অবশিষ্ট যোগ্য দরদাতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ক্রয়সংক্রান্ত কারিগরি ইউনিটের (সিপিটিইউ) রিভিউ প্যানেল দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয়। আইনেও তা–ই আছে। বিআরটি পরে উচ্চ আদালতে যায়। কার্যকর প্রতিযোগিতার ঘাটতির কথা তুলে ধরে নতুন দরপত্র ডাকার আবেদন করে। সেভাবে আদেশও পায়। যোগ্য দরদাতা দাবিদার প্রতিষ্ঠান এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা বর্তমানে বিচারাধীন।
এরপর গত ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। যাতে মাত্র দুটি কোম্পানি অংশ নেয়। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে রাখঢাক করে চলছে বিআরটি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রথমত, বিআরটি প্রকল্পটি নেওয়া কতটা যৌক্তিক ছিল, অন্তর্বর্তী সরকারের তা খতিয়ে দেখা উচিত। দ্বিতীয়ত, উন্নয়নের নামে প্রকল্প নিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যেভাবে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছেন, অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন, তা খুঁজে বের করতে হবে। তৃতীয়ত, প্রথমবার কেন দরপত্র বাতিল করা হলো, সেটিও অনুসন্ধান করতে হবে। দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে না পারলে প্রকল্পে অনিয়ম–দুর্নীতি বন্ধ হবে না বলে মনে করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পটির কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ২০১২ সালে কাজ শুরু করে ২০১৬ সালে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু কাজ শুরু ২০১৭ সালে। এর মধ্যে তিন দফা সময় বাড়িয়েও প্রকল্পের কাজ শেষ করা যায়নি। প্রকল্পের ব্যয় ২ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকায় ঠেকেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে গাফিলতির কারণে ১০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী কাজ শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশ। এখন এতে চলাচলের জন্য বাস কেনা নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম প্রতিনিধিদল
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিষয়ক একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসেছে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) প্রতিনিধি দল ঢাকায় পৌঁছেছে। মার্কিন প্রতিনিধিদল ২২-২৫ নভেম্বর ঢাকা সফর করবে। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্তর্জাতিক শ্রম বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম ফে রদ্রিগেজ। এছাড়া রয়েছেন শ্রম বিভাগের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি।
ঢাকা সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশের শ্রমিক সংগঠন সলিডারিটি সেন্টারের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, সফরকালে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকর্তা, বেসরকারি খাতের পোশাক শ্রমিক এবং শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন।
প্রতিনিধি দলটি তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগ করা আমেরিকান কোম্পানির প্রতিনিধি এবং বৈশ্বিক শ্রম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র এবং শ্রমিকদের কীভাবে সর্বোত্তমভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করবে।
এ সফর অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রমের মান, সে সঙ্গে টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং ব্যাপকভাবে ভাগাভাগি করা সমৃদ্ধির উন্নতি-অগ্রগতির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ফ্যাসিবাদ নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে: উপদেষ্টা আদিলুর
ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি মিলনায়তনে আয়োজিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ফ্যাসিবাদ শেষ হলেও আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়নি। ফ্যাসিবাদের অনুসঙ্গগুলো থেকে যায়, এখনও রয়েছে। এগুলো উপড়ে ফেলতে হবে। কারণ, ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এ সময় হতাশ না হয়ে লক্ষ্যে স্থির থাকতে শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
এ সময় তিনি বলেন, সংস্কারের জন্য ১১টি কমিশন করা হয়েছে। এসব কমিশনের সঙ্গে তরুণ শিক্ষার্থীদের কীভাবে সম্পৃক্ত করা যায়, তা চিন্তা করতে হবে।
অ্যাকশন এইড এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘টুওয়ার্ডস বাংলাদেশ টু পয়েন্ট জিরো’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের আয়োজন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
মুক্ত খালেদা জিয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অর্জন: নাহিদ
মুক্ত খালেদা জিয়া ও সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অন্যতম অর্জন বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া একটি পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম তার ফেসবুক আইডিতে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবির বর্ণনায় তিনি লিখেছেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আন্তরিক কুশল বিনিময়।’
পোস্টটি শেয়ার করে নাহিদ ইসলাম লেখেন, ‘মুক্ত খালেদা জিয়া ও সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অন্যতম অর্জন।’
জানা যায়, দীর্ঘ এক যুগ পর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেখানে বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম।
এর আগে বেগম জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সিলেট সফর করেন খালেদা জিয়া। আর ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান। তারপর ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের মধ্যে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেলেও জনসম্মুখে কোনো অনুষ্ঠানে যাননি তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
নতুন নির্বাচন কমিশনারদের শপথ ২৪ নভেম্বর
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চার নির্বাচন কমিশনার শপথ নেবেন রোববার। এদিন বেলা দেড়টায় নতুন ইসিকে শপথ পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে গতকাল নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে নিয়োগ দেন। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আরও চার কমিশনারকেও নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এর মধ্য দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম-সচিব তহমিদা আহমদ এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
নতুন সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন ২০০৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ৮২ বাংলাদেশি। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে বেসরকারি একটি ফ্লাইটে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, লেবানন এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত আসতে ইচ্ছুক আটকে পড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের মাধ্যমে ৮২ জনকে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে ৭৬ জন সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে ও ছয়জন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার অর্থায়নে দেশে ফিরেন। এ নিয়ে ১১টি ফ্লাইটে এখন পর্যন্ত ৬৯৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন।
প্রত্যাবাসন করা অসহায় এসব বাংলাদেশি নাগরিককে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম।
এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ-খবর নেন। এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এমআই