সারাদেশ
গাজীপুরে চালু বেশিরভাগ পোশাক কারখানা
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করায় গাজীপুরের বেশিরভাগ তৈরি পোশাক কারখানায় চলছে উৎপাদন কাজ। কারখানা খোলা থাকায় সকাল থেকে দলে দলে কারখানায় আসেন শ্রমিকরা। ওইসব এলাকায় নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল।
শিল্প মালিক ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, টানা কয়েকদিন শ্রমিক অসন্তোষ, বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় অশান্ত হয়ে পড়ে গাজীপুর শিল্পাঞ্চল। পরে বিজিএমইএ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ও সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে বৃহস্পতিবার কারখানা খোলা রাখেন মালিকরা।
এরই ধারাবাহিকতায় সকাল থেকে গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে বেশির ভাগ কারখানা খোলা রয়েছে। কাজে যোগ দিয়েছেন নারী-পুরুষ শ্রমিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিভিন্ন যানবাহনে ও পায়ে হেঁটে শ্রমিকরা কারখানায় এসে আইডি কার্ড দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করছেন তারা। কারখানা নিরাপত্তায় নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ কাজ করছে ।
তবে নাওজোড় এলাকায় একটি কারখানায় বেশ কিছু মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেন।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২ এর পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম জানান, গাজীপুরে বেশির কারখানা খোলা রয়েছে। সহিংসতা ও ভাঙচুর ঠেকাতে কারখানা এলাকায় অতিরিক্ত শিল্প পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা পুলিশ, মহানগর পুলিশ কাজ করছে। বিজিবি ও সেনাবাহিনী টহল জোরদার করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
চাঁদপুরে জাহাজে খুন: ‘জড়িত’ ইরফান ৭ দিনের রিমান্ডে
চাঁদপুরে মেঘনায় সারবাহী কার্গো জাহাজ এমভি আল-বাখেরার সাত স্টাফকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফানকে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অভিযুক্ত আকাশ মণ্ডলকে চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ফারহান সাদিকের আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নৌপুলিশের পরিদর্শক মো. কালাম খান। পরে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে কুমিল্লা র্যাব-১১ সিপিসি-২ কর্মকর্তারা ইরফানকে নৌ-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজের আল-বাখেরা জাহাজের মালিকদের পক্ষে মো. মাহবুব মোরশেদ বাদী হয়ে হাইমচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে খুন ও ডাকাতির অভিযোগ এনে অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুনের ঘটনায় মামলা
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে জাহাজ থেকে সাতজনের হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় খুন ও ডাকাতির অভিযোগ এনে ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে জাহাজ মালিকের পক্ষে ঢাকার দোহার এলাকার মো. মাহবুব মোরশেদ বাদী হয়ে হাইমচর থানায় মামলাটি করেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইমচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন সুমন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাটের পশ্চিমে মেঘনা নদীর পাড়ে মাঝিরচর এলাকায় থেমে থাকা একটি জাহাজ থেকে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে পাঁচজনের মরদেহ এবং তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে ২ জন মারা যান।
নিহত সাতজনের মধ্যে ছয়জনের নাম-পরিচয় জানা যায়। তারা হলেন- জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, ইঞ্জিনচালক সালাউদ্দিন, সুকানি আমিনুল মুন্সি, গ্রিজার আজিজুল ও মাজেদুল এবং লস্কর সবুজ শেখ। এদের বাড়ি নড়াইল ও ফরিদপুর জেলায়। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের পক্ষে দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
চাঁদপুরে জাহাজে দুর্বৃত্তদের হামলা, নিহত বেড়ে ৭
চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে থেমে থাকা একটি জাহাজে দুর্বৃত্তদের হামলায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় ৩ জনকে পাওয়া গেছে। আহত ৩ জনের মধ্যে হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজন মারা গেছেন। ফলে ওই জাহাজে থাকা মোট ৭ জনের মৃত্যু হলো।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে চাঁদপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আনিসুর রহমান আরও দুজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন।
এ দিকে চাঁদপুর নৌ-পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, এমভি আল-বাখেরা নামের জাহাজটিতে দুর্বৃত্তদের হামলার এ ঘটনা ঘটে। জাহাজটি নোঙর করা অবস্থায় ছিল। হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য এবং হতাহতদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকিদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
জাহাজ থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে বিকেল ৪টার দিকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে দুজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপর জনের নাম জুয়েল (২৮)। তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আনিসুল ইসলাম বলেন, আহত অবস্থায় তিনজনকে আনা হয়। দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
নৌপুলিশের চাঁদপুরের অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, পণ্যবাহী নৌযানটিতে থাকা ব্যক্তিদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সন্দেহ করছি, শত্রুতা থেকে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আমরা বিকেল তিনটার দিকে নৌযানটির কাছে যাই। সেখানে গিয়ে নৌযানের পাঁচটি কক্ষে পাঁচটি মরদেহ পাই। বাকি তিনজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
চাঁদপুরে লঞ্চ থেকে ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে থেমে থাকা লঞ্চ থেকে ৬ জনের লাশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। ডাকাতের হামলায় তাদের মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া আরও ২ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরের পর এ ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশে কোস্টগার্ডের স্টাফ অফিসার (ঢাকা জোন) লে. কর্নেল শামস গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, জাহাজটির নাম এমভি আল-বাখেরা। জাহাজটি নোঙর করা অবস্থায় ছিল। চাঁদপুর নৌ-পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ওই ছয়জনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মুমূর্ষু অবস্থায় আরও দুইজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
শ্রীপুরে কারখানায় আগুনে শ্রমিক নিহত
গাজীপুরের শ্রীপুরে বোতাম তৈরির কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। সাতটি ইউনিটের প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে, দুপুর দেড়টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি গ্রামের এম এন্ড ইউ ট্রিমস্ লিমিটেড নামের কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার দুপুরে হঠাৎ করে কারখানার কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়। কারখানার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। কারখানার আশপাশের বসতবাড়ির লোকজন তাদের আসবাবপত্রসহ ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র বাইরে নিরাপদ নিয়ে আসতে থাকেন। মুহুর্মুহু বিস্ফোরণে আশপাশ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, দুপুর ১টার ৪০মিনিটে শ্রীপুর ফায়ার স্টেশনে প্রথমে আগুন লাগার খবর দেওয়া হয়। ১টা ৫৬ মিনিটে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। যেহেতু কেমিক্যাল ড্রামে বিস্ফোরণের খবর ছিল তাই গাজীপুর চৌরাস্তা মডার্ন ফায়ার স্টেশনের তিনটি, রাজেন্দ্রপুর মডার্ন ফায়ার স্টেশনের দুটিসহ পাঁচটি ইউনিট ডাকা হয়। সবমিলিয়ে মোট সাতটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখানে প্রচুর কেমিক্যালের ড্রাম ছিল, আগুনের তাপে ড্রমগুলো ফুলে যাচ্ছিল। সেখান থেকে প্রচুর বিস্ফোরণ হচ্ছিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা আসার আগে ২/৩ জন আহত হওয়ার খবর পাই। আমরা একজনের মরদেহ পেয়েছি। দেখে মনে হচ্ছে পুরুষ। তবে নিহতের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। ডাম্পিং করতে সময় লাগবে বলে তিনি জানান।