জাতীয়
জাতিসংঘ অধিবেশনে ইউনূসের সঙ্গী ৭ জন, হাসিনার হত শতাধিক
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে অংশ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কে যাবেন। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ সফর করবেন তিনি।
দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই হবে তার প্রথম বিদেশ সফর। এতে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হবেন মাত্র ৭ জন। তবে শেখ হাসিনার আমলে সফরসঙ্গী হিসেবে দেড় থেকে দুই শতাধিক কর্মকর্তা অংশ নিতেন।
জানা যায়, ড. ইউনূসের সফরসঙ্গীদের মধ্যে আছেন মেয়ে দিনা আফরোজ ইউনূস, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও দৃক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুল আলম। বাকি তিন সফরসঙ্গী হচ্ছেন: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম, প্রধান উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব শাব্বীর আহমদ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা তিথি।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যাওয়া দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট দলগুলোর একটি নিয়ে সফর করবেন ড. ইউনূস।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে ২২৭ জনের একটি দল নিয়ে নিউইয়র্কে ৭০তম সাধারণ অধিবেশন এবং টেকসই উন্নয়নবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যান।
এছাড়া ২০১৪ সালে ৬৯তম সাধারণ অধিবেশনে এ সংখ্যা ছিল ১৭৮, আর ২০১৩ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৩৪ জন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
দুদকের নতুন চেয়ারম্যান মোমেন, নিয়োগ পেলেন দুই কমিশনারও
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান হিসেবে জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দুজন কমিশনারও নিয়োগ পেয়েছেন। নতুন দুই কমিশনার হলেন মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে চুক্তিতে কর্মরত ছিলেন। তিনি ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। আজই তাঁর এই চুক্তি বাতিল করে আলাদা একটি আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন।
এখন দুদক চেয়ারম্যান হিসেবে মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের বেতন–ভাতা, অন্যান্য সুবিধা ও পদমর্যাদা হবে আপিল বিভাগের বিচারকের সমান। আর দুই কমিশনারের বেতন–ভাতা, অন্যান্য সুবিধা ও পদমর্যাদা হবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের সমান।
মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে যুগ্ম সচিব থাকা অবস্থায় ২০১৩ সালে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চুক্তিতে তাঁকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। পরে তাঁকে জ্যেষ্ঠ সচিবের পদমর্যাদা দেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সামরিক সংলাপ বুধবার
১১তম বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সামরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ ও ১২ ডিসেম্বর। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, এই সামরিক সংলাপে বাংলাদেশ থেকে একটি সামরিক প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করবে। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের অপারেশন্স ও পরিকল্পনা পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.আলীমুল আমীন।
এই সামরিক সংলাপ দুই দেশের পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সংলাপে উভয় দেশের সামরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় আলোচিত হবে। এ ছাড়াও বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি, দুর্যোগ মোকাবিলা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ, পরিদর্শন, যৌথ অনুশীলন ও মহড়া, কর্মশালা ইত্যাদি নানাবিধ ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়টি আলোচিত হবে। প্রতিনিধি দলে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী ছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা রয়েছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
দুদক চেয়ারম্যান হচ্ছেন আবদুল মোমেন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। কয়েকদিনের মধ্যে তাকে চেয়ারম্যান করে নতুন দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করা হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইতিমধ্যেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ড. মোমেন।
৮ই ডিসেম্বর জমা দেওয়া পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেন, ব্যক্তিগত কারণে আমি জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পদত্যাগ করলাম।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক শাখা ড. আবদুল মোমেনকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়। ৩০শে সেপ্টেম্বর সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব পদে তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে আরেকটি প্রজ্ঞাপণ জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, ড. আবদুল মোমেনের লেখক নাম আন্দালিব রাশদী। কথাসাহিত্যিক, অনুবাদক, গবেষক, কলামিস্ট হিসেবে তিনি পাঠকপ্রিয় ও নন্দিত। ড. মোমেন ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান ও বিমানের এমডি ছিলেন। তার আগে নব্বইয়ের দশকে তিনি ছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস। এ ছাড়াও তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে যুগ্ম সচিব থাকা অবস্থায় তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। ৫ই আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর তাকে সিনিয়র সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে আবার ফিরিয়ে আনা হয়। পরে স্বরাষ্ট্রের দুই বিভাগের দায়িত্ব পান তিনি।
ড. মোমেনের জন্ম ৩১শে ডিসেম্বর ১৯৫৭ সালে ঢাকায়। বিজ্ঞানের ছাত্র ড. মোমেন স্নাতকোত্তর পাঠ নিয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতিতে। পরে আইনও পড়েছেন, পিএইচডি করেছেন লন্ডনে। এ পর্যন্ত তার শতাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আ. লীগ আমলে বঞ্চিত ৭৫৪ জনকে পদায়নের সুপারিশ
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার ৭৫৪ জনকে পদায়নের সুপারিশ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি।
অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের ১১৯ জনকে সচিব, ৪১ জনকে সচিব পদমর্যাদায় গ্রেড-১ পদ ও ৫২৮ জনকে অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদা দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এদিকে, ক্ষয়ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে দেয়া যায়, তা নির্ধারণে সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খানকে প্রধান করে কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। যাদের তিন মাস সময় দেয়া হয়েছিল।
পাঁচ সদস্যের এ কমিটি ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত পদোন্নতিসহ নানা হেনস্তায় শিকার কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ায় সুপারিশ করেছেন প্রতিবেদনে।
কমিটিতে অর্থ বিভাগ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে সদস্য হিসাবে কাজ করেন। এছাড়া কমিটিতে আইন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্মসচিব সদস্য ছিলেন। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস আজ
আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। বাংলাদেশে সাংবিধানিক অধিকার তথা মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
‘আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ এখনই’-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও এ দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন মানববন্ধন, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের তথ্য বলছে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শাসনামলে দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ২ হাজার ৬৯৯ জন। এ সময়ে গুম হন ৬৭৭ জন, কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন ১ হাজার ৪৮ জন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের তালিকাসহ ২০২৪ সালের ঘটনা যুক্ত করলে নিহতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
এসব বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম-খুনের ঘটনার মধ্যে নির্যাতনে হত্যা, ক্রসফায়ার, হত্যার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের গুলি, ব্যবসায়ীকে আটক করে মালামাল লুট, নাগরিকদের গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের মাধ্যমে এসব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
জাতিসংঘের ঘোষণাপত্র অনুযায়ী মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান হতে হবে। প্রতিটি মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করবে। ঘোষণাপত্রের ৩০ অনুচ্ছেদে প্রত্যেকের অধিকার ও রাষ্ট্রের দায়-দায়িত্বের বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। দিবসটিতে মানবাধিকার পরিস্থিতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে প্রতিবেদন আকারে তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে সুপারিশপত্রও দেওয়া হয় কমিশনে। প্রতিটি জেলায় মানবাধিকার কমিশনের গঠিত কমিটি ও অফিসের মাধ্যমে মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়। সব মানুষের প্রতি সব ধরনের সহিংসতা বন্ধে কার্যক্রম গ্রহণ করতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের তথ্যমতে, সামরিক শাসন, একনায়কতন্ত্র, বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া, মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা, জোরপূর্বক মিছিল ভঙ্গ করে দেওয়া, মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়া বা করা, রাজনৈতিক-সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টি করা বা পরিস্থিতির কারণে সৃষ্টি হওয়া, সবার সর্বক্ষেত্রে সমানভাবে মানবাধিকার ভোগ করার সুযোগ না পাওয়া, স্বাধীনতা, মুক্তি, অধিকারের সঙ্গে আশা-ভরসা ও মানবতা সমানভাবে গৃহীত না হওয়ার কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়।
এ ছাড়া বিয়ে, সন্তান লাভ করা, পরিবার গঠন, নিজের মতো চাওয়া পাওয়া পূরণ করা, মুক্তচিন্তা করা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকা, জনসমাবেশ করা ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করা, গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত হওয়া, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, শ্রমিকদের কাজের অধিকার দেওয়া, খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, বাসস্থানের নিশ্চয়তা প্রদান করা, সবার খেলাধুলার অধিকার নিশ্চিত করা, মতপ্রকাশ ও নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, গোত্রের মধ্যে সমতা রক্ষা করা, যার যার ধর্ম তার তার পালনের অধিকার, ছুটি কাটানোর অধিকার, শিশু শ্রম বন্ধ করা, শিক্ষার সমতা নিশ্চিত করাও মানবাধিকার মধ্যেই পড়ে।
কাফি