রাজধানী
রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ শুক্রবার
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে কেনাকাটার জন্য ঘুরতে বের হন। কিন্তু গিয়ে যদি দেখেন মার্কেট বন্ধ, তাহলে মনটাই খারাপ হয়ে যায়। তাই বাসা থেকে বের হওয়ার আগে জেনে নিন শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কোন কোন এলাকায় দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে।
বন্ধ থাকবে যেসব এলাকার দোকানপাট
বাংলাবাজার, পাটুয়াটুলী, ফরাশগঞ্জ, শ্যামবাজার, জুরাইন, করিমউল্লাহবাগ, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, মীরহাজীরবাগ, দোলাইপাড়, টিপু সুলতান রোড, ধূপখোলা, গেণ্ডারিয়া, দয়াগঞ্জ, স্বামীবাগ, ধোলাইখাল, জয়কালী মন্দির, যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, ওয়ারী, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ, কোতোয়ালি থানা, বংশাল, নবাবপুর, সদরঘাট, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, শাঁখারী বাজার, চাঁনখারপুল, গুলিস্তানের দক্ষিণ অংশ।
বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট
আজিমপুর সুপার মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, ফরাশগঞ্জ টিম্বার মার্কেট, শ্যামবাজার পাইকারি দোকান, সামাদ সুপার মার্কেট, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, ধূপখোলা মাঠ বাজার, চকবাজার, বাবুবাজার, নয়াবাজার, কাপ্তানবাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ সিটি করপোরেশন মার্কেট, ইসলামপুর কাপড়ের দোকান, ছোট কাঁটারা, বড় কাঁটারা হোলসেল মার্কেট, শারিফ ম্যানসন, ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সান্দ্রা সুপার মার্কেট।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ বৃহস্পতিবার
প্রতিদিনই মানুষের কিছু না কিছু কেনাকাটার প্রয়োজন হয়। এছাড়া মানুষ ঘুরতেও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে থাকেন। প্রয়োজনীয় কেনাকাটা কিংবা ঘুরতে গিয়ে যদি দেখেন ওই এলাকার মার্কেট বন্ধ, তাহলে মনটাই খারাপ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে নষ্ট হয় সময়ও। তাইতো বাসা থেকে বের হওয়ার আগে জেনে নিন বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কোন কোন এলাকার দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে।
বন্ধ থাকবে যেসব এলাকার দোকানপাট
মোহাম্মাদপুর, আদাবর, শ্যামলী, গাবতলী, মিরপুর-১, মিরপুর স্টেডিয়াম, চিড়িয়াখানা এলাকার দোকানপাট, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, আসাদগেট, ইস্কাটন, মগবাজার, বেইলি রোড, সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগের একাংশ, শাজাহানপুর, শান্তিনগর, শহীদবাগ, শান্তিবাগ, ফকিরারপুল, পল্টন, মতিঝিল, টিকাটুলি, আরামবাগ, কাকরাইল, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা, হাইকোর্ট ভবন এলাকা, রমনা শিশু পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।
বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট
মোহাম্মাদপুর টাউন হল মার্কেট, কৃষি মার্কেট, আড়ং, বিআরটিসি মার্কেট, শ্যামলী হল মার্কেট, মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, মাজার ক-অপরারেটিভ মার্কেট, মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্স, শাহ্ আলী সুপার মার্কেট, মিরপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, আনারকলি মার্কেট, আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স, কর্নফুলি গার্ডেন সিটি, কনকর্ড টুইন টাওয়ার, ইস্টার্ন প্লাস, সিটি হার্ট, জোনাকি সুপার মার্কেট, গাজী ভবন, পল্টন সুপার মার্কেট, স্টেডিয়াম মার্কেট-১ ও ২, গুলিস্থান কমপ্লেক্স, রমনা ভবন, খদ্দর মার্কেট, পীর ইয়ামেনি মার্কেট, বাইতুল মোকাররম মার্কেট, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট, সাকুরা মার্কেট।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জালিয়াতি-অনিয়মের আঁতুরঘর সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজ
সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও জাল জালিয়াতির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা সংক্রান্ত নীতিমালা পরিপন্থি অর্থনৈতিক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট নানান অনিয়মের অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে চার দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের ডাক দিলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মালিবাগে দুপুর ১টার দিকে কলেজের সামনের ফটকে এ আন্দোলন চলমান রেখেছে শিক্ষার্থীরা। এই ডেন্টাল কলেজটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ঐক্যবন্ধভাবে আন্দোলন ও প্রতিবাদের ডাক দেয়। এসময় বিভিন্ন স্লোগান ও প্লেকার্ড হাতে নিয়ে অনিয়মের বিষয়গুলো তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা।
সূত্র মতে, ডেন্টাল কলেজের একই ভবনে কলেজ ও হাসপাতাল থাকার কথা থাকলেও সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজে রয়েছে রড-সিমেন্টের দোকান। যা বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২২ (২০২২ সালের ১৬নং আইন) এর ধারা ৩৯ এবং স্থাপন ও পরিচালন বিধিমালা, ২০২৩ এর পরিপস্থি। এভাবেই একের পর এক অনিয়ম ও জালিয়াতি করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে ২০১৭ সালে পরিচালনার শর্ত পূরণ না করায় সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় তদন্ত (ইন্সপেকসন) হলেও অর্থের বিনিময়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ ধামাচাপা দেয়। ফলে কখনোই শিক্ষার মান উন্নয়ন ও জালিয়াতি বন্ধ হয়নি প্রতিষ্ঠানটির। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ একটি ডেন্টাল কলেজে যে ধরনের ল্যাব, কমন লাইব্রেরিসহ যেসব সুযোগ সুবিধা থাকার প্রয়োজন তার বিন্দু মাত্র নেই এই প্রতিষ্ঠানটিতে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত পরিমানের অতিরিক্ত ফি কমানো, কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষাগত ও ক্লিনিক্যাল অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা প্রদান এবং বিভিন্ন অনৈতিক ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বহিস্কার করা। একই সঙ্গে অসৎ ও অশালীন আচরণকারী ব্যক্তিদের অনতিবিলম্বে কলেজ থেকে অপসারণ করা।
জানা গেছে, গত ১৬ আগস্ট থেকে ২১ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ১৮ আগস্ট কলেজের কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এরপর ২৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও কোনো দাবি মানেনি কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার (৩১ আগস্ট) কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ৭ ঘণ্টা মিটিংয়ের পর কোন ধরণের সমাধান না পেয়ে কলেজে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। ওইদিন শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলে একদিন সময় চেয়ে চলে যায় কর্তৃপক্ষ। পরদিন হাসপাতালের সকল রোগী বের করে দিয়ে হাসপাতালে তালা লাগিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এসময় কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ড. সিফাতী রহমান বলেন, গত ১৫ বছর ধরে প্রতিটি শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। আজকের আন্দোলন প্রতারণার বিরুদ্ধে।
আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ধরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জালিয়াতি করে আসছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তির শুরুতে টিউশন, ভর্তি এবং ইন্টার্ন ফি নেওয়া হলেও তাদের কাগজপত্রে কেনো ধরনের সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই, থাকে না কলেজের নাম কিংবা লোগো। কোনো মানি রিসিট দেওয়া হয় না। সেমিস্টার শেষে ৫ বছর পর আবারও ইন্টার্ন ফি চাওয়া হয়।
তারা আরও বলেন, এছাড়া হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য নির্দিষ্ট রুমের ব্যবস্থা নেই। গ্রুপ স্টাডি করার মতো কেনো জায়গা নেই। কোনো বিষয়ে শিক্ষক ও অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। সময় মতো কখনোই কর্তৃপক্ষকে খুঁজে পাওয়া যায় না। এধরনের সমস্যা নিয়ে আমাদের রাস্তায় নেমে আসতে হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানকে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ফেলেছে। আমাদের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নকে পুঁজি করে আপনারা ব্যবসা কেন করবেন?
এছাড়াও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ইন্টার্ন ফি থেকে শুরু করে লাগামহীন শর্ত রয়েছে আমাদের ভর্তি ফর্মে। যেকোনো সময় শর্ত পরিবর্তন করে ফি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। অথচ আমাদের টাকা হসপাতালের কাজে ব্যবহার করা হয়। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কোনো ধরনের বেতন-ভাতা প্রদান করা হয় না। কলেজের বেতন পরিশোধ করা না হলে অনলাইন ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া ও পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয় না।
শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনাকালীন সময় শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হয়নি। ওইসময় শিক্ষার্থীরা আর্থিক সমস্যায় থাকলেও তাদের থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করা হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগেও রয়েছে ত্রুটি। অগ্রিম টাকা দিয়ে পেতে হয় নিয়োগ। এ নিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে (বিএমডিসি) অভিযোগ করা হলে কলেজ থেকে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়া এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছি কিন্তু আমরা কোনো বাস্তবায়ন দেখতে পাইনি।
কলেজ বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জনতে সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী জিয়াউল ইসলামের মুঠোফোনের মাধ্যমে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি। ফলে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবী অর্থসংবাদকে বলেন, সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজের লোকজন আমার কাছে আসছিলো, কলেজ বন্ধ রাখার জন্য আমার কাছে পরামর্শ চেয়েছে। কিন্তু আমি বলেছি কলেজ বন্ধ করে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না। এ কলেজটির অনিয়মের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তদন্ত করেছে। তদন্ত রিপোর্টটি এখনো আমি পাইনি। কলেজের বিষয়ে এর আগেও অভিযোগ পেয়ে আমরা তদন্ত করেছি এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্য নিজস্ব ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচলনার জন্য ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে সরকারিভাবে বেতন দেওয়া হয়। কিন্তু বেসরকারি মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজে ভর্তির সময় যে টাকা রাখা হয় তা থেকে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হতো। অতিরিক্ত ফি নেওয়ার মতো ক্ষমতা কোনো ডেন্টাল কলেজের নাই।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরের শ্রীপুরে আরএকে সিরামিকে বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধির হার ও ভারতীয় কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন কারখানার শ্রমিকরা। আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় শ্রীপুর উপজেলার ধনুয়া এলাকায় আরএকে সিরামিকের থেকে শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেন।
এদিন সকাল ৭টায় তারা কারখানার সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনী একটি দল ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলন শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দাবি পূরণে আশ্বস্ত করলে বেলা ১১টায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শ্রীপুর উপজেলার ধনুয়া এলাকায় আরএকে সিরামিক বিডি লিমিটেডের শ্রমিকরা বুধবার সকাল থেকে ১১টি দাবি জানিয়ে নিয়ে আন্দোলন করে আসছে কারখানার শ্রমিকরা। ভারতীয় কর্মকর্তাদের অপসারণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক কর্মচারী নিয়োগ, প্রতি বছর বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি নিশ্চিত করাসহ ১১টি দাবি জানানো হয়েছে।
শ্রমিকরা বলেন, কোনো বিষয়ে ভারতীয় কর্মকর্তা তাদের মূল্যায়ন করে না। ভালো কোনো প্রতিক্রিয়াও তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায় না। তারা দায়িত্বে আসার পর আমরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী শ্রমিক ও বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয় না। এছাড়া বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ী মান সম্মত বেতন ও ইনক্রিমেন্ট নিশ্চিতসহ ১১টি দাবি জানান হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে একাধিকবার কোম্পানি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো সমাধানে আসেননি।
কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় ট্রান্সকম বেভারেজে ২০ দফা দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার থেকে আন্দোলন করে আসছিল শ্রমিকরা। বুধবার সকালেও তারা ভারতীয় কর্মকর্তাদের অপসারণ, দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে নিয়োগকৃত শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণ, ৫ তারিখের মধ্যে বেতন প্রদান, নারী শ্রমিকদের নৈশকালীন ডিউটি বাতিলসহ ২০ দফা দাবি জানিয়েছেন।
অপরদিকে, গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস লিমিটেডের সামনে চাকরিপ্রত্যাশী শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।
এদিকে, শ্রমিক নিয়োগে নারী পুরুষের বৈষম্য রোধে গাজীপুর মহানগরের বাসন এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, চাকরিতে পুরুষদের চাইতে নারী শ্রমিকদের নিয়োগে অগ্রাধিকার বেশি দেওয়া হয়। আমরা এ ধরনের বৈষম্য চাই না।
গাজীপুরের রাজন্দ্রেপুর এলাকায় ইউনি হেলথ্ ফার্মাসিউটিক্যালস নামের একটি ওষুধ উৎপানদকারী প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন করছে। এ সময় তারা বেতন বৈষম্যসহ দূর করাসহ কয়েকটি দাবি জানান।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর শ্রীপুর ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আজিজুল হক বলেন, বুধবার সকাল থেকেই কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকরা আন্দোলন করছে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান। পরে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বেলা ১১টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর অংশে যান চলাচল পুরোদমেই স্বাভাবিক হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ বুধবার
জরুরি প্রয়োজনে ঢাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। আসুন জেনে নিই রাজধানীর কোন কোন এলাকার দোকানপাট ও মার্কেট বুধবার বন্ধ থাকবে।
যেসব এলাকার দোকানপাট বন্ধ
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, মধ্য ও উত্তর বাড্ডা, জগন্নাথপুর, বারিধারা, সাঁতারকুল, শাহজাদপুর, নিকুঞ্জ-১, ২, কুড়িল, খিলক্ষেত, উত্তরখান, দক্ষিণখান, জোয়ার সাহারা, আশকোনা, বিমানবন্দর সড়ক ও উত্তরা থেকে টঙ্গী সেতু।
যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে
যমুনা ফিউচার পার্ক, নুরুনবী সুপার মার্কেট, পাবলিক ওয়ার্কস সেন্টার, ইউনিটি প্লাজা, ইউনাইটেড প্লাজা, কুশল সেন্টার, এবি সুপার মার্কেট, আমির কমপ্লেক্স, মাসকট প্লাজা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
ঢাকায় ভোর থেকে ঝুম বৃষ্টি, দুর্ভোগে অফিসমুখী মানুষ
রাজধানীতে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে থেকে অঝর ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে। এরপর নগরীর একাধিক জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। দুর্ভোগ বেড়েছে শ্রমিক, দিনমজুর ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরও।
সকাল ৭টার দিকে গ্রিন রোডে সিএনজিচালিত কয়েকটি অটোরিকশা পানিতে আটকে থাকতে দেখা যায়।
এ ছাড়া মহাখালী, সাতরাস্তা, আদাবর, নূরজাহান রোড, ধানমন্ডি, কলাবাগানের বশিরউদ্দিন রোড, কাঁঠালবাগান, শেওড়াপাড়া, মালিবাগ, পশ্চিম তেজতুরী বাজার, বংশাল, বকশীবাজার, সাতরাস্তা, তেজগাঁও, তেজকুনিপাড়া, মিরপুর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমণ্ডি, গুলশান, বারিধারা, শাহবাগ, পল্টন, মতিঝিল, বিমানবন্দরসহ আশপাশের এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। এ সময় থেমে থেমে বজ্রপাতও হয়েছে।
কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউতে মূল সড়কের একাংশ পানিতে ডুবে থাকতে দেখা গেছে। ফলে গাড়িগুলোকে রাস্তার একপাশ দিয়ে চলতে দেখা গেছে। এতে যানজট হয়েছে।
এর আগে আবহাওয়া পূর্বাভাসে মঙ্গলবার সারাদেশে বৃষ্টির কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এমআই