কর্পোরেট সংবাদ
এই ঈদে কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্য বিকাশ পেমেন্টে

দেশজুড়ে প্রায় ৬০০,০০০ লাখ বিকাশ মার্চেন্টে সহজ ও নির্বিঘ্ন হবে কেনাকাটা
এলাকার মুদি দোকানে দরকারি কেনাকাটা থেকে শুরু করে বাস-ট্রেন-প্লেনের টিকেট কাটা সবই স্বাচ্ছন্দ্যে করা যাচ্ছে এখন বিকাশ পেমেন্টে। নামকরা ব্র্যান্ডশপ থেকে শুরু করে ঘরে বসে ফেসবুক পেজ বা অনলাইন শপ থেকে কিছু অর্ডার করা বা রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার আনিয়ে নেয়া সহজ হয়ে গিয়েছে বিকাশ পেমেন্টের কল্যাণে। আর উৎসবের কেনাকাটায় তো বিকাশ পেমেন্টের কোনো জুড়ি নেই। কেননা পছন্দের ফ্যাশন হাউস, জুতার দোকান, ইলেক্ট্রনিক পণ্য বা তার অ্যাকসেসরিজ কেনা – সব ক্ষেত্রেই আছে বিকাশ পেমেন্টে ডিসকাউন্ট বা ক্যাশব্যাক পাবার সুযোগ যা ঈদের কেনাকাটাকে করে তোলে আরো আনন্দময়।
বর্তমানে বিকাশ-এর ৭ কোটি ৫০ লাখ গ্রাহক দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ মার্চেন্টে কিউআর স্ক্যান করে বা *247# ডায়াল করে সহজে এবং নিরাপদে পেমেন্ট করতে পারছেন। সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা ৩ লাখ ৩০ হাজার এজেন্ট পয়েন্টে টাকা ক্যাশ ইন করার পাশাপাশি গ্রাহকরা ৪৬ টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট এবং বাংলাদেশে ইস্যুকৃত ভিসা ও মাস্টারকার্ড থেকে তাৎক্ষণিক অ্যাডমানি করে প্রয়োজনীয় সব কেনাকাটা সারতে পারছেন।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা সুহানা আফরিন সন্তানদের নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করছেন বিভিন্ন বিপণিবিতান ঘুরে ঘুরে। তিনি বলেন, “বছর জুড়ে কেনাকাটায় সবসময়ই চেষ্টা করি ডিজিটাল পেমেন্ট করার। আর রমজান জুড়ে ঈদের কেনাকাটায় বিকাশের মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে শপিংমলে গিয়ে কেনাকাটায় ক্যাশ টাকা নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে না। নেই ভাংতি বা ছেঁড়া-ফাটা টাকার ঝামেলা বা ক্যাশ টাকা হারিয়ে যাওয়ার ভয়ও। ঈদ মৌসুমে আবার ডিসকাউন্ট বা ক্যাশব্যাক পাবার সুযোগও থাকে। শুধু ঈদ সময়েই নয়, সারা বছরই বিকাশ পেমেন্টে কেনাকাটা করাটা আমার কাছে সহজ মনে হয় কেননা ছোটো বড় সব দোকানেই কমবেশি বিকাশ পেমেন্টের সুবিধা আছে এখন।”
সুহানার মতো এমন লাখো গ্রাহক এখন অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন ডিজিটাল পেমেন্টে। অনলাইন কিংবা অফলাইন সব ধরণের কেনাকাটাতেই ডিজিটাল পেমেন্টে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন অসংখ্য ক্রেতা। আবার ডিজিটাল পেমেন্টে কেনাকাটায় শুধু যে গ্রাহকই স্বাচ্ছন্দ্য পাচ্ছেন তা নয়, সহজে দৈনন্দিন বেচা-বিক্রির হিসেব রাখতে পারায় স্বস্তি মিলছে বিক্রেতাদেরও।
রাজধানীর রামপুরায় অবস্থিত মমতা স্টোরের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মান্নান বলেন, “বাজার দরের চেয়ে একটু কম মূল্যে পণ্য বিক্রি করায় দোকানে সারাদিন কাস্টমারের ভিড় লেগে থাকে। যারা ক্যাশে বসেন তাদের টাকা গুনতে গুনতেই দিনের অনেকটা সময় পার হয়ে যায়। এ কারণে বিকাশের মতো সেবার কারণে ব্যবসায়িক লেনদেন আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে। ভাংতি বা নকল টাকার ঝামেলা ছাড়া কম সময়ে পেমেন্ট নিতে পারছি। আবার বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাপে নতুন যুক্ত হওয়া ভয়েস নোটিফিকেশনের কারণে পেমেন্ট গ্রহণে বিভ্রান্তি দূর হয়েছে।”
বিকাশ-এর হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশনস এন্ড পিআর শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, “ডিজিটাল পেমেন্টের প্রকৃত সুবিধা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে আমরা ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেম তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছি। সুপারশপ বা ব্র্যান্ডশপ-এর মতো বড় মার্চেন্টরা তো আছেই, পাশাপাশি এখন একদম প্রান্তিক উদ্যোক্তারাও পারসোনাল রিটেইল অ্যাকাউন্ট পিআরএ দিয়ে বিকাশ পেমেন্ট নিতে পারছেন। একই সাথে গ্রাহকদের ডিজিটাল পেমেন্টের অভিজ্ঞতাকে আনন্দময় করে তুলতে ঈদ-পার্বণকে সামনে রেখে ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্টসহ নানা অফার দিয়ে থাকে বিকাশ।”
গ্রাহকের জন্য ডিজিটাল পেমেন্টকে আরো সহজ ও নিরাপদ করায় ভূমিকা রাখছে বিকাশের সঙ্গে ব্যাংকের দ্বিমুখী লেনদেনের শক্তিশালি নেটওয়ার্ক। বর্তমানে দেশের ৪৬টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে এবং বাংলাদেশে ইস্যুকৃত ভিসা ও মাস্টারকার্ড থেকে গ্রাহক অ্যাডমানি সেবার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়ে আসতে পারছেন। একই সঙ্গে সম্প্রতি চালু হয়েছে বিকাশ অ্যাপ থেকে সরাসরি ভিসা কার্ড দিয়ে বিকাশ পেমেন্ট যা গ্রাহককে ডিজিটাল লেনদেনে আরো সক্ষম করে তুলছে।
পুরো রমজান মাস জুড়ে অনলাইন শপ, ফেইসবুক পেজ, বিভিন্ন ব্র্যান্ডশপ, ফ্যাশন হাউজ, জুতার দোকান, ইলেক্ট্রনিকসসহ বিভিন্ন পণ্য ও সেবার উপর মিলছে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফার। এছাড়াও, অনলাইন গ্রোসারি ও সুপারস্টোরেও রমজানের প্রয়োজনীয় কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্টে মিলছে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক। পবিত্র রমজান মাস জুড়ে এবং ঈদকে সামনে রেখে বিকাশ পেমেন্টে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফারগুলো দেখে নেয়া যাবে বিকাশ-এর ওয়েবসাইট ও অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজে অথবা এই লিংকে — https://www.bkash.com/campaign/search?category=ramadan-offer।

কর্পোরেট সংবাদ
এবি ব্যাংকে এএমএল ও সিএফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম

এবি ব্যাংক পিএলসি এএমএল এবং সিএফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউর পরিচালক মো. মফিজুর রহমান খান চৌধুরী এবং অতিরিক্ত পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে এবি ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান কাইজার এ. চৌধুরী, পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্যবৃন্দ এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মিজানুর রহমানসহ সিনিয়র ম্যানেজমেন্টের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক নোয়াখালী জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি ব্যাংকের নোয়াখালী জোনাল অফিস কনফারেন্স হলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান মো. আনোয়ার হোসেন।
ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. মাকসুদুর রহমান এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আনিসুল হক।
সম্মেলনে জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কর্পোরেট সংবাদ
গ্রাহক সেবা বাড়াতে বাংলালিংক ও বিকাশের চুক্তি

উন্নত ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধিতে দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের সাথে এক কৌশলগত অংশীদারিত্ব করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক। এ অংশীদারিত্বের ফলে, গ্রাহকেরা এখন বিকাশের মাধ্যমে এসএমএস-ভিত্তিক সমাধান, ডেটা প্যাকেজ সেবা ও সহজ পেমেন্ট সুবিধা উপভোগ করবেন।
সম্প্রতি, রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয় টাইগার’স ডেন’ -এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশজুড়ে সবার কাছে ডিজিটাল সুবিধা পৌঁছে দেয়া ও ডিজিটাল প্রযুক্তির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই দুই সেবাখাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান দু’টি নিজেদের অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতা নিয়ে এগিয়ে যাবে।
এ অংশীদারিত্বের ফলে দু’টি প্রতিষ্ঠান সেবার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করা ও দ্রুত লেনদেন সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ডিজিটাল সুবিধাকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির প্রসারে সম্মিলিতভাবে কাজ করেবে, যা দেশের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে আরও বেশি গ্রাহককেন্দ্রিক, সহজ ও স্মার্ট সেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলালিংক ও বিকাশের অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
এবিষয়ে বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, দেশে ডিজিটাল উদ্ভাবনে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে, আমরা উন্নত আইসিটি সমাধান ও নিরবচ্ছিন্ন কানেক্টিভিটি সেবার মাধ্যমে ডিজিটাল রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিকাশের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব, গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য এবং দেশজুড়ে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এ যৌথ লক্ষ্যেরই প্রতিফলন। বাংলালিংকের ডিজিটাল সেবাদানে অভিজ্ঞতা এবং বিকাশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সল্যুশনে দক্ষতাকে একত্রিত করে আমরা ব্যবহারকারীদের জন্য আরও বেশি চাহিদা পূরণে এবং একটি আরও আধুনিকবাংলাদেশ গঠনে অর্থবহ অবদান রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
বিকাশের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর বলেন, একটি গ্রাহককেন্দ্রিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিকাশ বিশ্বাস করে, এই ধরণের অংশীদারিত্ব দীর্ঘমেয়াদে গ্রাহকদের জন্য ইতিবাচক অবদান রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালক করে। বাংলালিংকের মতো অংশীদারদের সাথে কাজ করার মাধ্যমে আমরা আস্থার পরিবেশ গড়ে তুলব, যেখানে গ্রাহকরা নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য সেবা উপভোগ করবেন এবং সহজ আর্থিক সমাধান উপভোগ করবেন, যা তাদের জীবনকে আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে তারা বাংলাদেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গ্রাহককেন্দ্রিক করার বিষয়ে ভবিষ্যৎ অংশীদারিত্বের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির এন্টারপ্রাইজ বিজনেস ডিরেক্টর রুবাইয়াত এ. তানজিন; হেড অব কি সেগমেন্ট সাদ মোহাম্মদ ফাইজুল করিম; হেড অব সেলস প্ল্যানিং অ্যান্ড অপারেশনস মোহাম্মদ আহাসুন হাবিব; কর্পোরেট গ্রুপ ম্যানেজার এস. এম. ফাহাদুজ্জামান এবং কর্পোরেট অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার এস. এম. রাশেদুজ্জাহান।
বিকাশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ; ইভিপি ও হেড অব সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট মোহাম্মদ রাশেদুল আলম; টেকনোলজি ও জেনারেল প্রোকিউরমেন্ট বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার ফয়সাল বিন রায়হান; এসসি গভর্নেন্স অ্যান্ড কন্ট্র্যাক্ট ম্যানেজমেন্ট ম্যানেজার মশিউর রহমান; এবং এসসি গভর্নেন্স অ্যান্ড কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট অফিসার তানজিদ হাসান ফাহিম।
কর্পোরেট সংবাদ
ইউসিবির বার্ষিক সাধারণ সভা সফলভাবে সম্পন্ন

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও আস্থাভাজন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অত্যন্ত সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল ৯টায় রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে আয়োজিত এজিএম-এ শেয়ারহোল্ডারদের উষ্ণ উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়। সভাপতিত্ব করেন ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান শরীফ জহীর।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বতন্ত্র পরিচালক ও ভাইস-চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন, পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মো. তানভীর খান, স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান, এফসিএ, স্বতন্ত্র পরিচালক ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান, মো. ইউসুফ আলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ।
উল্লেখ্য, এটি ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে গঠিত পরিচালনা পর্ষদের অধীনে প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভা- যা নতুন পথচলার এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত। শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে সভায় ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ২৫০০ কোটি থেকে টাকা থেকে দ্বিগুণ করে ৫০০০ কোটি টাকায় উন্নীত করার ব্যাপারে সর্বসিম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। পাশাপাশি, রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এবং কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন সভায় গৃহীত হয়—যা ব্যাংকের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করবে।
সভায় পরিচালনা পর্ষদকে অতিরিক্ত মূলধন সংগ্রহের জন্য কৌশলগত অংশীদার খুঁজে বের করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ জন্য তারা ব্যাংকিং, ডিজিটাল ব্যাংকিং, উন্নয়নমূলক আর্থিক প্রতিষ্ঠান (DFI) ও সংশ্লিষ্ট খাতে অভিজ্ঞ এবং প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে পারবেন। অবশ্যই এ কার্যক্রম সব নিয়মকানুন মেনে ও প্রয়োজনীয় অনুমোদন গ্রহণ সাপেক্ষে পরিচালিত হবে।
শেয়ারহোল্ডাররা সভায় সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, মাত্র ছয় মাসে ইউসিবি ৭ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকার নিট আমানত এবং ৩ লক্ষ নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে যেভাবে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছে, তা ব্যাংকের গতিশীল নেতৃত্ব ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমেরই ফসল।
সভা শেষে চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে ইউসিবির চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) ফারুক আহাম্মদ, এফসিএ, শেয়ারহোল্ডার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা (রেগুলেটর) এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ, আস্থা ও নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এরপর তিনি সভার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
কর্পোরেট সংবাদ
ব্র্যাক ব্যাংকের উদ্যোগে ১০০ নারী উদ্যোক্তার ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালা

দেশের ১০০ জন নারী উদ্যোক্তা নিয়ে ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালার আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। কর্মশালায় নারী উদ্যোক্তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে পণ্য উন্নয়ন, বিপণন এবং ডিজিটাল ব্র্যান্ডিং করা যায়, এসব প্রয়োজনীয় বিষয়ে বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৮ জুলাই ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (BdOSN) সহযোগিতা এবং গেটস ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় কর্মশালাটি আয়োজিত হয়।
‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক এই কর্মশালায় ব্যবসা উন্নয়ন, প্রতিযোগিতা মূল্যায়ন, মার্কেটিং অটোমেশন, ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরি এবং সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞ পেশাজীবীরা, যাদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সভাপতি মুনীর হাসান, প্রোগ্রাম অফিসার মোশারফ হোসেন টিপু, অপজো টেকনোলজির কো-ফাউন্ডার শাহ পরান, ভারচুয়ানিক সল্যুশনসের ফাউন্ডার আসাদ ইকবাল, কাজ৩৬০-এর ফাউন্ডার এমরাজিনা ইসলাম এবং মার্কোপলো এআই-এর এমটিও নুজহাত ফারহানা।
কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেনসহ ব্যাংকের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই আয়োজন নিয়ে সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতি যত দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের দেশের উদ্যোক্তাদেরও ঠিক তত দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত থাকতে হবে। এই কর্মশালাটি আয়োজন নিয়ে আমাদের বৃহত্তর লক্ষ্য হলো, নারী ও এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান, ডিজিটাল টুলস এবং কৌশলগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তাঁদের ব্যবসার বিকাশ ও সম্প্রসারণে সহায়তা করা। ব্র্যাক ব্যাংকে আমরা নিজেদের ‘উন্নয়নের অংশীদার’ হিসেবে দেখি, যারা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং উদ্ভাবনভিত্তিক ভবিষ্যৎ নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ব্র্যাক ব্যাংক দেশের নারী ও এসএমই উদ্যোক্তাদের ‘কমপ্লিট ফাইন্যান্সিয়াল পার্টনার’ হয়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এমন উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যাংকটির লক্ষ্য হলো, এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়নের সুযোগ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং ডিজিটাল সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাঁদের সফল ব্যবসা গড়ে তুলতে সহায়তা করা, যা জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।