বিনোদন
আমরা ছাত্রদের বিপক্ষে ছিলাম না: অরুণা বিশ্বাস
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তারকাদের একাংশ ছাত্রদের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে একটি প্লাটফর্ম তৈরি করে। হোয়াটসঅ্যাপে তারা গোপন গ্রুপ খুলে ছাত্রদের দমন করার পরামর্শ দেন। সেই কথোপকথন ফাঁস হয়েছে। ‘আলো আসবেই’ নামের গ্রুপে সরব ভূমিকা পালন করেন অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস। তবে তিনি দাবি করছেন, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কেউই ছাত্রদের বিপক্ষে ছিল না।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন তিনি।
অরুণা বিশ্বাস বলেন, আসলে আমরা কেউ কিন্তু ছাত্রদের বিপক্ষে ছিলাম না। আমাদের মিডিয়ার লোকজন তাদের বিপক্ষে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে। আমরা কিন্তু সন্ত্রাসীদের কথা বলেছি। ছাত্রদের কথা না।
তিনি বলেন, সত্যি কথা হলো আমি তখন অসুস্থ ছিলাম। পাঁচ দিন কোনো খবর নিতে পারিনি। ইন্টারনেট যখন বন্ধ ছিল, তখন। ওই সময় যে বাচ্চাদের এতকিছু হয়েছে জানতান না।
তিনি দাবি করেছেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এতকিছু ঘটে গেছে, সেটা তিনি জানতেন না। আর গরম জল ঢেলে দেয়ার বিষয়টিও সেভাবে বলতে চাননি, যেভাবে এখন ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
গরম পানি ঢালা প্রসঙ্গে অরুণা বলেন, বলা হচ্ছিল, হাসপাতালে আগুন লেগেছে। ওখানে কেউ ঢুকতে পারছে না। আমি বলেছি গরম জল দিলেই হয়। গরম জল তো কামান থেকে দেয়। জলকামান লিখি নাই আর কি। ওখানেই বোধ হয় মিসটেক হয়েছে। কামানে যে গরম জল থাকে সেটার কথা বলেছি।
জানা যায়, ‘আলো আসবেই’ নামের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত ছিলেন সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস, রিয়াজ আহমেদ, সাজু খাদেম, অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা এবং অরুণা বিশ্বাসসহ অনেকে।
ভাইরাল হওয়া সেই স্ক্রিনশটে দেখা যায়, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, সোহানা সাবা, সুইটি ছাত্রদের যেকোনো মূল্যে দমন করার পরামর্শ দিচ্ছেন। ওই কথোপকথনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিপক্ষে মত দেন তারা! বলেন, যেভাবেই হোক আন্দোলন থামাতে হবে। এর জন্য শিক্ষার্থীদের গায়ে গরম পানি ঢালার পরামর্শ দেন অরুণা বিশ্বাস!
তবে সরকার পতনের পরপরই গোপনে কানাডা পাড়ি জমিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা জামাল উদ্দিন
একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত অভিনয়শিল্পী জামাল উদ্দিন হোসেন মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার কানাডার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
তিন সপ্তাহ ধরে কানাডার ক্যালগেরির রকিভিউ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন জামাল উদ্দিন।
জামাল উদ্দিন হোসেনের ছেলে ক্যালগেরির মাউন্ট রয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাশফিন হোসেন তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি জামাল উদ্দিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় ছেলে তাশফিনের কাছে বেড়াতে যান। সেখানে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিলে তাকে রকিভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে জামাল উদ্দিনকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
টেলিভিশন ও মঞ্চনাটকের একসময়ের ব্যস্ত অভিনয়শিল্পী জামাল উদ্দিন সত্তরের দশকের মাঝামাঝি মঞ্চনাটকে অভিনয় শুরু করেন। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের এই সদস্য পরে টেলিভিশন নাটক এবং চলচ্চিত্রেও কাজ করেন। সাত বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
শিল্পকলা একাডেমি আইন সংস্কারের উদ্যোগ
আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সেজন্য আইন সংস্কারের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশের শিল্পকলা চর্চা ও গবেষণার একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। যা সংবিধিবদ্ধ আইন ও প্রবিধানমালার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদের তত্ত্বাবধানে একাডেমি আরও গতিশীলভাবে এগিয়ে যাবে। তাই একাডেমি কর্মকর্তা, শিল্পী ও কর্মচারীরা মনে করেন। এরই মধ্যে মহাপরিচালক ঘোষণা দিয়েছেন বিগত দিনগুলোতে যেভাবে কার্যক্রম সম্পাদিত হয়েছে তার বিষয়ে আইন ও বিধি অনুসরণ করে আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে।
এ কারণে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের নিকট বিশেষ অডিট সম্পন্ন করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। সার্বিক তথ্যাদি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এছাড়া প্রশাসনিক নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে ইনভেন্টরির মাধ্যমে কয়েকজন কর্মকর্তার কক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজন সংক্রান্ত যে অর্থ পাওয়া গেছে তা একাডেমির ফান্ডে জমা দেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে কোনো অসঙ্গতি আছে কি না তা অভ্যন্তরীণ রিভিউ কমিটির মাধ্যমে যাচাই বাছাই হচ্ছে। যেকোনো অনিয়ম দুর্নীতি প্রমাণিত হলে আইন ও প্রবিধানমালা অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন ও প্রবিধানমালার দুর্বলতার কারণে প্রতিষ্ঠান যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই বিষয়টি জরুরি বিবেচনায় এরই মধ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন সংস্কারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রবিধানমালা সংশোধনে কমিটি গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন ১৯৮৯ সংস্কার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পরিষদ পুনর্গঠন, একাডেমির কাজ ও ক্ষমতার গঠনমূলক সংশোধনের লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রের শিল্পী ও শিল্পসমালোচকদের সাথে এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে এরই মধ্যে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সবার সহযোগীতায় জনবান্ধব, বহু দল ও মতের অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গবেষণা, চর্চা ও সংরক্ষণের মাধ্যমে শেকড়ের সন্ধান করবে এবং বাংলাদেশের শিল্পকলার বৈচিত্র্যকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার প্রয়াস চালিয়ে যাবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
আমার মেয়ে জামাইয়ের দিকে চোখ দিবি না, সাবাকে শাওন
অভিনেত্রী, নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন ও সোহানা সাবা, ব্যক্তিজীবনে দুজনেই বেশ ভালো বন্ধু। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিংবা বাস্তব জীবনে, তাদের খুনসুটি নজর এড়ায় না ভক্তদের।
এবারও যেমন এড়ালো না। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের পুরোনো বিভিন্ন স্ট্যাটাস শেয়ার করছেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা। যেখানে কখনো সরকারের সমালোচনা আবার কখনো সমাজের বিভিন্ন অসংগতি নিয়ে কথা বলতে দেখা গেছে আসিফ নজরুলকে।
সেসব পোস্ট শেয়ার করে সোহানা সাবা লিখেছেন, ‘আজকাল স্যারের ফেসবুক পেজ ঘুরে দেখতে খুব ভালো লাগে। আমি তার ফ্যানগার্ল।’
সেই পোস্টের কমেন্টবক্সে এসে মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। যেখানে সোহানা সাবাকে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখেছেন, আমার মেয়ে জামাইয়ের দিকে চোখ দিবি না, খবরদার!
শাওনের সেই মন্তব্যের জবাবে সাবা লিখেছেন. ‘আপু, আমি স্যারের ফ্যানগার্ল মাত্র’। দুজনেই যে মজার ছলে মন্তব্য করেছেন সেটা বুঝতে কষ্ট হয়নি ভক্তদের।
যদিও এর আগে এক স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলকে নিয়ে নিজের আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন শাওন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়ার পরে পুরোনো একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করে অভিনেত্রী জানান, তিনি আসিফ নজরুলকে আশাবাদী।
প্রসঙ্গত, মেহের আফরোজ প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী। হুমায়ূন আহমেদের প্রথম ঘরের সন্তান অভিনেত্রী শিলা আহমেদকে বিয়ে করেছেন আসিফ নজরুল। সেই দিক থেকে সম্পর্কে শাওনের জামাতা হন এই অধ্যাপক।
যে কারণে নিজের জামাতাকে নিয়েই সোহানা সাবার পোস্টে মন্তব্য করতে দেখা গেল এই অভিনেত্রীকে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
দুই হাজার রুপি কেজিতে বাংলাদেশের ইলিশ কিনলেন তসলিমা নাসরিন
কয়েকদিন আগেই ভারতে পৌঁছেছে বাংলাদেশের রপ্তানি করা ইলিশ। পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু করে দেশটির বিভিন্ন মাছের আড়তে পাওয়া যাচ্ছে পদ্মার ইলিশ। এরই মাঝে আলোচিত এ মাছ কিনেছেন আলোচনার শীর্ষে থাকা ভারতে নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিন।
২২ কিলোমিটার দূরের গন্তব্যে পৌঁছে চড়া দাম দিয়ে কাঙ্ক্ষিত এ মাছ কিনেছেন তিনি। এ সময় উচ্ছ্বসিত চেহারায় জোড়া ইলিশ হাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিও প্রকাশ করেছেন তিনি।
ক্যাপশনে দেশের এ মাছ কেনার জন্য দূরত্ব ও চড়া দামের হিসাব দিতেও ভোলেননি আলোচিত-সমালোচিত এ লেখক। তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, ‘২২ কিলোমিটার দূরে মাছের আড়তে গিয়ে বাংলাদেশের ইলিশ কিনলাম আজ। ২০০০ রুপি পার কিলো।’
লেখকের পোস্টের মন্তব্যের ঘরে শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক। কেউ প্রশ্ন তুলছেন ইলিশের দাম নিয়ে কেউবা লেখকের দেশপ্রীতি নিয়ে।
বাংলাদেশের ইলিশ নিয়ে বরাবরই ব্যাপক আগ্রহ থাকে ভারতীয় ক্রেতাদের। তাই সেখানকার মাছের বাজারেও চড়া দামে বিক্রি হয় বাঙালিদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকা এই মাছটি। এর আগে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন রপ্তানিকারকের আবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় কয়েক ধাপে ভারতে বাংলাদেশের ইলিশ পৌঁছায়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
যৌতুক মামলায় ‘পাপ মুক্ত’ সিনেমার রাসেল গ্রেফতার
চলতি বছরের মে মাসে প্রেম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন ‘ভাইয়ারে’ সিনেমাকে ‘পাপ মুক্ত’ বলে অভিহিত করা অভিনেতা রাসেল মিয়া। বিয়ের পর চার মাস যেতে না যেতেই পারিবারিত কলহ ও ৬৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মারধর করার অভিযোগে স্ত্রী বর্ষা চৌধুরী করা মামলায় রাসেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিন আলী বলেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাসেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করার পরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে কান্নারত অবস্থায় রাসেল যে যৌতুকের দাবিতে মারধর ও শারিরিক ও মানুষিক ভাবে নির্যাতন করেছে তার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি আরও জানান, বিয়ের তিন দিন পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে তার ওপর নির্যাতন করা শুরু করে।
সবুজবাগ থানায় রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্ত্রী বর্ষা। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ‘চলতি বছরের ১৬ মার্চ ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক বিবাদী রাসেল মিয়ার সঙ্গে আমার বিবাহ হয়। বিয়ের পর আমি আমার ভবিষ্যৎ সুখের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময় বিবাদীকে প্রায় ৫ লাখ টাকা নগদ দিই। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে বিবাদীর লোভ আরও বেড়ে যায় এবং সে নতুন সিনেমা তৈরি করবে বলে প্রায়ই আমার নিকট যৌতুক বাবদ ৬৫ লাখ টাকা দাবি করে। আর যৌতুকের টাকা না দিলে দ্বিতীয় বিবাহ করবে বলে আমাকে হুমকি দেয়। এতে আমি অপারগতা প্রকাশ করলে প্রায় সময়ই যৌতুকের দাবিতে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে।’
এজাহারে আরও বলেন, আমি ভবিষ্যৎ সুখের আশায় বিবাদীর নির্যাতন সহ্য করে ঘরসংসার করতে থাকি। এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বিবাদী বাসায় আমার নিকট যৌতুক বাবদ ৬৫ লাখ টাকা দাবি করে। এতে আমি অপারগতা প্রকাশ করায় সে আমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। এ সময় আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করার পর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করায়।
এমআই