আইন-আদালত
বিচার বিভাগের রোডম্যাপ ঘোষণা ২১ সেপ্টেম্বর

দেশের সকল অধস্তন আদালতের বিচারকদের উপস্থিতিতে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগের জন্য একটি রোডম্যাপ তুলে ঘোষণা করবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশ্যে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর অভিভাষণ প্রদান করবেন। এতে প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগের জন্য একটি রোডম্যাপ তুলে ধরবেন, যাতে তিনি গত ১২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত অভিষেক ভাষণে উল্লেখিত বিচার বিভাগ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়সহ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্বতন্ত্রীকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক পৃথকীকরণ বিষয়ে বিশদ আলোকপাত করবেন।
এদিকে, আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া সাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক পত্রে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ আগামী ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে অভিভাষণ প্রদানের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। অভিভাষণ প্রদান অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিগণসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।
এমআই

আইন-আদালত
যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দুটি স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও দেশটির স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের দুই অ্যাকাউন্ট এবং মালয়েশিয়ার সিআইএমবি ইসলামিক ব্যাংকের দুই অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত। নিউইয়র্কের লেক অ্যাভিনিউ ও লেক স্ট্রিটে থাকা এসব স্থাবর সম্পত্তির মূল্য ২ লাখ ১৫ হাজার ডলার করে।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম এসব সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, আসামি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৬৪ হাজার ৭৫১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব সম্পদ তিনি পুলিশের আইজি থাকা অবস্থায় অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত ব্যক্তি বর্তমানে তার নিজ ও আত্মীয়স্বজনের নামে থাকা সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। এতে মামলার বিচার শেষে রাষ্ট্রের অনুকূলে সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার সম্ভাবনা বিঘ্নিত হতে পারে। সে কারণে আদালতে চার্জশিট দাখিলের আগেই এসব সম্পত্তি জব্দ করা প্রয়োজন।
আইন-আদালত
জুলাই শহিদরা ‘জাতীয় বীর’ ও ড. ইউনূস ‘জাতীয় সংস্কারক’ কেন নয়, জানতে চায় হাইকোর্ট

আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, ওয়াসিম আকরামসহ জুলাই আন্দোলনের শহিদদের ‘জাতীয় বীর’ কেন ঘোষণা নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ কেন ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েও রুল জারি করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এদিন এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
রুলে বিবাদী করা হয়েছে জনপ্রশাসন সচিব, প্রতিরক্ষা সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, তথ্য সচিব ও অর্থ সচিবকে।
কাফি
আইন-আদালত
হাইকোর্টে টিউলিপ সিদ্দিকের মামলা স্থগিত, আপিল করবে দুদক

শেখ রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ফ্ল্যাট জালিয়াতি মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
গত ৮ জুলাই বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি এসকে তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ শাহ মো. খসরুজ্জামান নামে এক আসামির আবেদনে রুল জারির পাশাপাশি তিন মাসের জন্য মামলাটিতে এ স্থগিত আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের আইনজীবী এম এ আজিজ খান জানান, টিউলিপের ফ্ল্যাট জালিয়াতির মামলায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে আপিল করা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গুলশানে ইস্টার্ন হাউজিংকে অনৈতিকভাবে প্লট নির্মাণের সুযোগ করে দিয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক একই ভবনে বিনিমূল্য ফ্ল্যাট গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল এ ঘটনায় টিউলিপের সিদ্দিকের পাশাপাশি রাজউকের সাবেক দুই কর্মকর্তা শাহ খসরুজ্জামান ও সরদার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলার তদন্ত যখন একেবারে শেষ পর্যায়ে, তখনই আইনজীবীর এক চিঠিতে মামলাটি স্থগিতের বিষয়ে জানতে পারে দুদক।
চিঠিতে বলা হয়, হাইকোর্টে এই মামলার আসামি শাহ খসরুজ্জামানের রিটের প্রেক্ষিতে গত ৮ জুলাই বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মামলাটি তিন মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেছে।
আইন-আদালত
সোহাগ হত্যার তদন্তে বিচারিক কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট

রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ (৩৯) নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা তদন্তে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিচারিক কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রোববার (১৩ জুলাই) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন।
রিটে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সোমবার (১৪ জুলাই) এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
এদিকে শনিবার (১২ জুলাই) টিটন গাজী নামে এক আসামির পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ গিয়াসের আদালত।
অপরদিকে এ ঘটনায় পুলিশের করা অস্ত্র মামলায় তারেক রহমান রবিন নামে এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এদিন টিটন গাজীকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক নাসির উদ্দিন। সেই আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপরদিকে দুদিনের রিমান্ড শেষে রবিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মনির। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ১০ জুলাই হত্যা মামলায় মাহমুদুল হাসান মহিনের পাঁচদিন ও অস্ত্র মামলায় রবিনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
জানা যায়, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আর পুলিশ অস্ত্র আইনে পৃথক আরেকটি মামলা করে।
আইন-আদালত
আবু সাঈদ হত্যা ও আশুলিয়া গণহত্যার আসামিরা আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা এবং ঢাকার আশুলিয়ায় ছয় মরদেহ পোড়ানোর মামলার আসামিদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
রোববার (১৩ জুলাই) সকালে পৃথক প্রিজনভ্যানে করে আলোচিত এ দুটি মামলার আসামিদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পলাতক ২৬ আসামিকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। সবশেষ রোববার আলোচিত এ মামলার মোট ৩০ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার চার জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এই চারজন হলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হন। সেদিন সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করার মধ্যে তাকে গুলি করার ভিডিও সংবাদমাধ্যমে প্রচার হলে ছাত্র-জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সেদিন থেকেই সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন থেকে সারা দেশে ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করা হয়। এরপর একের পর এক মৃত্যু, সরকারি সম্পত্তিতে হামলা, আগুনের মধ্যে ১৯ জুলাই কারফিউ দিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি শেখ হাসিনা সরকার।
এদিকে গত ২ জুলাই আশুলিয়ায় গণহত্যা ও ৬ জনের লাশ পোড়ানোর মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে ওইদিন পলাতক সাবেক এমপি সাইফুলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।