আইন-আদালত
তিন হত্যা মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামি ২১৯ জন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকায় আরও তিনটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় মোট ২১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ রয়েছেন।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এসব মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলা থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শামীম হত্যা: রাজধানীর রূপনগরে শামীম হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩৯ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে ভিকটিমের চাচাতো ভাই মো. সম্রাট এ মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এ বিষয়ে কোনো জিডি বা অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে কি না, তা ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে দাখিলের জন্য রূপনগর থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- আসাদুজ্জামান খান কামাল, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাবিনা আক্তার তুহিন, শাহেদা তারেক দীপ্তি, কামাল আহমেদ মজুমদার, গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ২০ জুলাই বিকেলে মিরপুর-১০ নম্বর সংলগ্ন প্রশিকা মোড়ে উপরোক্ত আসামিদের নির্দেশে গুলিতে শামীম হাওলাদার নিহত হন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
সাদিকুল হত্যা: হাফেজ মাওলানা সাদিকুল হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে হাবিবুল্লাহ বাহারের প্রতিবেশী চাচা আশরাফ সিদ্দিকী মামলাটি করেন। আদালত এ মামলার আবেদনটি রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন।
এ মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- আব্দুর রাজ্জাক, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরে আধুনিক মেডিকেলের পাশে উপরোক্ত আসামিদের নির্দেশে অন্য আসামিরা গুলি ছোড়েন। এতে সাদিকুল গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আমির হত্যা: রাজধানীর রামপুরায় আমীর হোসেন নামে এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৪ জনের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমীর আদালতে নিহতের স্ত্রী আননী মামলাটি করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান (পলাশ) ও এবিএম সিদ্দিক।
গত ১৯ জুলাই বিটিভি ভবনের সামনে উপরোক্ত আসামিদের নির্দেশে অন্য আসামিরা আমীর হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আবু সাঈদ হত্যা, দুই পুলিশ সদস্য রিমান্ডে
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই পুলিশ সদস্যের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এরা হলেন তাজহাট মেট্রোপলিটন থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে রংপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ ওই দুই পুলিশ সদস্যকে নেওয়া হয়। সেখানে পিবিআই পুশিলের পক্ষ থেকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হলে বিচারক আসাদুজ্জামান শুনানি শেষে চার দিন মঞ্জুর করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার জাকির হোসেন।
এর আগে সোমবার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ওই দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি এএসআই মো. আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার রিকুইজিশনের ভিত্তিতে হস্তান্তর করা হয়।
গত ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন।
এ ঘটনায় গত ১৯ আগস্ট রংপুরের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজু আহমেদের আদালতে হত্যা মামলাটি করেন নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ। গত ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদ নিরস্ত্র, একা থাকা ও পুলিশের জন্য কোনো হুমকি না হওয়া সত্ত্বেও শটগান দিয়ে নির্মম ও নৃশংসভাবে গুলি করে পুলিশ। আবু সাঈদ পড়ে গিয়ে একাধিকবার দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও আসামিরা পরিকল্পিতভাবে নৃশংসভাবে গুলি করেন।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন দুপুর দুইটার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়ার নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে আবু সাঈদ পিছু না হটে দুই হাত প্রসারিত করে বুক পেতে দিয়ে এগিয়ে যান।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন যখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছিল, সেই সময় ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ। ২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নিরস্ত্র আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হাজারো মানুষ। গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের তৎকালীন কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, রংপুর মহানগর পুলিশের তৎকালীন উপকমিশনার আল মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান, আল ইমরান হোসেন, তাজহাট থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতিভূষণ রায়, এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়। এর মধ্যে আমির হোসেন ও সুজন চন্দ্র রায় সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আবদুল বাতেন ও রংপুরের সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মণ্ডল, প্রক্টর কার্যালয়ের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার রায়, দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
নাইকো দুর্নীতি মামলায় সব সাক্ষীকে হাজির হতে তলব
নাইকো দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ সব সাক্ষীকে সাক্ষ্য দিতে তলব করেছেন আদালত।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই আদেশ দেন। এ মামলায় কোনও সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির না হওয়ায় দুদকের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর ফাতেমা খানম মিলা সময়ের আবেদন করেন। অন্যদিকে মৌখিকভাবে সাক্ষী ক্লোজ করার আবেদন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবীরা।
শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, দুদক গত তিনটি ধার্য তারিখে সাক্ষী হাজির করেনি। এভাবে তারা আসামিদের হয়রানি করছেন। তাই মামলায় সাক্ষী ক্লোজ করে আসামিদের খালাস দেওয়া হোক। শুনানি শেষে বিচারক আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সব সাক্ষীকে তলব করেছেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে মামলায় বাদীসহ দুই জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে বাদীর সম্পূর্ণ সাক্ষী হওয়ার পর বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল বাকী আংশিক সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সাক্ষী হাজির না হলে আদালত খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিকে খালাস দিতে পারেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। তাদের মধ্য প্রথম তিন জন পলাতক।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা গেছেন। তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। পরের বছরের ৫ মে ওই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে: তাজুল ইসলাম
গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা অধিকাংশ মামলার প্রধান আসামি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অপরাধী বিনিময় চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তির আলোকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
এর আগে, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা ভোগ করবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
এদিকে, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) থেকে পদত্যাগ করেছেন তাজুল ইসলাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগপত্র আমাদের কাছে জমা আছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামকে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তাজুল ইসলাম ছাড়াও ট্রাইব্যুনালে আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামিম, বিএম সুলতান মাহমুদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা ভোগ করবেন। বাকি চার প্রসিকিউটরের মধ্যে মিজানুল ইসলাম অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামিম ও বিএম সুলতান মাহমুদ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও আব্দুল্লাহ আল নোমান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা পাবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সুপ্রিম কোর্টে অবকাশকালীন নতুন সূচি রবিবার থেকে
আগামীকাল রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন সূচি অনুযায়ী বিচারকাজ পরিচালনা করা হবে। বিশেষ ব্যবস্থায় এই বিচারকাজ চলবে আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত।
সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ, সরকার ঘোষিত ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি সব মিলিয়ে ৪২ দিন পর আগামী ২০ অক্টোবর থেকে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রমে ফিরবে সুপ্রিম কোর্ট।
এ সময়ের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এই সময়ের মধ্যে জরুরি মামলা সংক্রান্ত বিষয়াদি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্ট বিভাগে সুনির্দিষ্ট বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে বেশ কয়েকটি বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ভেকেশন জজ মনোনীত করার কথাও জানানো হয়।
এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘প্রধান বিচারপতি আগামীকাল ৮ সেপ্টেম্বর থেকে চলমান অবকাশকালে আপিল বিভাগের মামলা সংক্রান্ত জরুরি বিষয়াদি নিষ্পত্তির জন্য ভেকেশন জজ হিসেবে বিচারপতি মো. রেজাউল হককে মনোনীত করেছেন।’
বিচারপতি মো. রেজাউল হক সেপ্টেম্বর মাসে ৯, ১১, ১২, ১৮, ১৯, ২৩, ২৪ ও ৩০ তারিখ এবং অক্টোবর মাসে ২, ৭, ৮, ১৬ ও ১৭ তারিখ সকাল ১১ টা থেকে শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে শুনানি গ্রহণ করবেন।
প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের দীর্ঘ অবকাশকালে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত আপিল বিভাগের অফিসের সময়সূচি রোববার হতে বৃহস্পতিবার (সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি ছাড়া) নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
রবিবার হতে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকছে। এরইমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।