অর্থনীতি
ক্রেডিট কার্ডসহ বাড়বে সব ধরনের সুদহার
দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আরেক দফা নীতি সুদহার বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে। নীতি সুদহার বাড়লে ক্রেডিট কার্ডসহ অন্যান্য সুহারও বেড়ে যাবে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকার্স সভায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের এমন আভাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। বৈঠকে থাকা একাধিক ব্যাংকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠকে গভর্নর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল রাখতে ১২০ টাকার বেশি ডলার বিক্রি না করার পরামর্শ দেন।
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গত মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এই মাসেও যদি বাড়ে, তাহলে চলতি সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে মুদ্রানীতির বৈঠক করে নীতি সুদ হার আরও বাড়ানো হবে। সেক্ষেত্রে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হতে পারে। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত নীতি সুদহার বাড়াতে থাকবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের এমন সতর্ক বার্তা দিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
বৈঠক শেষে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমাদের মুদ্রা বাজার এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। তবে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এখনো সম্ভব হয়নি। যতদিন মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকতে, নীতি সুদ হারও বাড়তে থাকবে।
এর আগে সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের আমলে সার্কুলারের বাইরে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো এখন আর কার্যকর থাকবে না। সেক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো নিজেদের মতো করে সুদের হার নিয়ে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ পাবে। অর্থাৎ মৌখিকভাবে বেঁধে দেওয়া ঋণের সুদ হার এখন আর ১৪ শতাংশে আটকে রাখা হবে না। মার্কেট অনুযায়ী ঋণের সুদ হার ঠিক হবে। তবে, এই প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে কেউ যাতে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় বা অনৈতিকতার আশ্রয় না নেয়, সে বিষয়ে শতর্ক করা হয়েছে।
একই সঙ্গে সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সময় ক্রেডিট কার্ডের সুদ হার ১৮ শতাংশের বেশি যাতে অতিক্রম না করে সেটি মৌখিক নির্দেশনা ছিল। তা বাতিল করে সাকুর্লার অনুযায়ী সুদ হার নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে বাড়বে ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার।
সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রা বাজার নিয়ন্ত্রণে ক্রলিং পেগের ব্যান্ড ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো এখন ১২০ টাকার মধ্যেই ডলার ক্রয় বিক্রি করতে পারছেন। এই ডলার ক্রয় বিক্রয় যেন কোনোভাবেই ১২০ টাকার উপরে না যায়, সে বিষয়ে ব্যাংকারদের অনুরোধ করেছেন গভর্নর। যদি দর আরও বৃদ্ধির দরকার হয়, মার্কেট বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকই নির্দেশনা দেবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
সার্বিক বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ব্যাংকার্স মিটিংয়ে অনেক বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে সুদের হারের যেসব মৌখিক ক্যাব ছিল, সেগুলো আর থাকবে না। আর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত নীতি সুদ হার বাড়তে থাকবে বলেও উল্লেখ করেছেন গভর্নর। এছাড়া, ব্যাংকগুলোকে ১২০ টাকার মধ্যে ডলার কেনাবেচা করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড পেলো ১৬ প্রতিষ্ঠান
শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএলসহ ১৬টি প্রতিষ্ঠান এবার ‘এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে। প্রাণ-আরএফএল ‘এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন ইন ডিসেন্ট ওয়ার্ক অ্যান্ড ইকোনোমকি গ্রোথ’ ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার অর্জন করে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর লা মেরিডিয়ন হোটেলে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়। প্রাণ-আরএফএলের পক্ষ থেকে গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী এ সম্মাননা গ্রহণ করেন।
৯টি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের মধ্যে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, বিকাশ লিমিটেড ও পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের দুটি করে উদ্যোগ পুরস্কৃত হয়েছে। বিজয়ী কোম্পানির পক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।
বিজয়ী বাকি ৮টি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান হলো-গ্রিন ডেল্টা ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিডেট, ব্র্যাক-আড়ং, জিপিএস ইসপাত লিমিটেড, মেঘনা গ্রুপ ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই), গ্রামীণফোন লিমিটেড, এটেক, ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ, বার্জার পেইন্টস লিমিটেড।
এছাড়া আরও ২৩টি অনারেবল মেনশন-প্রাপ্ত ব্র্যান্ডকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভের উদ্যোগে আয়োজিত এ সম্মাননার মূল লক্ষ্য টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া। দ্বিতীয়বারের মতো এ পুরস্কার দেওয়া হলো।
উদ্যোক্তরা জানিয়েছেন, ‘এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডের দ্বিতীয় সংস্করণের ঘোষণার পর থেকে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। এ বছর ৪৫০ জনেরও অধিক অতিথির উপস্থিতিতে এ আয়োজন হয়।
চলতি বছরের ১২ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেওয়া হয়। এ সময়ে মোটি ৩৫৭টি মনোনয়ন জমা পড়ে। যেখান থেকে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়।
গত ৯-১৩ জুলাই পর্যন্ত ৮টি গ্র্যান্ড জুরি প্যানেলে ৩৭ জন ক্যাটেগরি বিশেষজ্ঞ একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজয়ী ব্র্যান্ডগুলো বাছাই করে।
জুরি সেশনে উল্লেখযোগ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ছিলেন রুবাইয়াত সারোয়ার, তৌফিকুজ্জামান চৌধুরী, নাজরা সাবেত, ড. রুবিনা হুসাইন, নাজনীন আক্তার, দিলরুবা এস খান, আসিফ ইকবাল, সাইফ ময়নুল ইসলাম প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে বাজেট সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক
আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে এক সভায় তিনি এমন আশা প্রকাশ করেন।
সভায় জ্বালানি উপদেষ্টা দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পরিস্থিতি তুলে ধরে এ খাতে বিশ্বব্যাংকের বাজেট সহায়তা প্রাপ্তির ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এসময় গেইল মার্টিন জানান, বিশ্বব্যাংক বর্তমান সরকারের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করতে আগ্রহী। এরইমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বাজেট সহায়তার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে বাজেট সহায়তা দেয়া হতে পারে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পাচার হওয়া অর্থ-সম্পদ ফেরতে যুক্তরাষ্ট্রকে যৌথ চিঠি
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অবৈধ সম্পদ জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ ও অর্থ ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-ইউএস ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এজন্য দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেনের কাছে যৌথ উদ্যোগে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থা দুটির প্রধানরা।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে টিআইবি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেনের উদ্দেশ্যে প্রেরিত চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দেশের সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অবৈধ অর্থ-সম্পদের মালিকদের জবাবদিহি নিশ্চিত এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে বাংলাদেশ সরকারকে সক্রিয় সহযোগিতার আহ্বান জানান হয়েছে।
এর আগে, ৩০ আগস্ট যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশিদের অবৈধ সম্পদ ফ্রিজ ও অর্থ দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল টিআইবি ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক চারটি দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা।
এছাড়া সুইজারল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সবকটি দেশ, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ-সম্পদ ফেরত আনার উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়েছিল টিআইবি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আইসিএবি অ্যাওয়ার্ড পেল ২২ প্রতিষ্ঠান
উপস্থাপিত সেরা বার্ষিক প্রতিবেদন, সমন্বিত প্রতিবেদন এবং কর্পোরেট সুশাসনে ১৩ খাতে আইসিএবি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ২২ প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনাগাঁও হোটেলে দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘২৪তম আইসিএবি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, উপদেষ্টা, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দীন। এছাড়া সেরা প্রতিবেদন নির্বাচন প্রক্রিয়া তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন আইসিএবি’র রিভিউ কমিটি ফর পাবলিশড একাউন্টস এন্ড রিপোর্টস (আরসিপিএআর) এর চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির এফসিএ ও কো-চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জান।
২৪তম আইসিএবি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় ব্যাংক এশিয়া পিএসি ওভারঅল উনার নির্বাচিত হয়েছে। সেরা উপস্থাপিত বার্ষিক প্রতিবেদন, সমন্বিত প্রতিবেদন এবং করপোরেট সুশাসন ডিসক্লোজারস এই তিন খাতে মোট ২২ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও ৮ প্রতিষ্ঠানকে ‘মেরিট’ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
জানা যায়, প্রতিযোগিতায় মনোনয়নের জন্য ৭৬ প্রতিষ্ঠান তাদের আর্থিক প্রতিবেদন ২০২৩ আইসিএবিতে জমা দেয়। বিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে প্রতিটি খাতে তিনটি সেরা প্রতিবেদন সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব একাউন্ট্যান্টসের (সাফা) প্রতিযোগিতায় মনোনয়নের জন্য প্রেরণ করা হবে।
আইসিএবি-বিপিএ পুরস্কারের বিজয়ী যারা
প্রাইভেট সেক্টর ব্যাংকস: ব্যাংক এশিয়া পিএলসি এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি যৌথভাবে গোল্ড পুরস্কার বিজয়ী এবং সিটি ব্যাংক পিএলসি সিলভার এবং ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি যৌথভাবে ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস সেক্টর: আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড গোল্ড এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
ম্যানুফ্যাকচারিং: ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড গোল্ড, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি সিলভার এবং রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসি ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী।
পাওয়ার এন্ড এনার্জি সেক্টর: ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড সিলভার পুরস্কার বিজয়ী।
ডাউভার্সিফাইড হোল্ডিংস: অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড/এসিআই লিমিটেড ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী।
ইন্স্যুরেন্স (জেনারেল): গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড গোল্ড, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড সিলভার এবং সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
ইন্স্যুরেন্স (লাইফ): ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
এনজিও/এনপিও: সাজিদা ফাউন্ডেশন সিলভার এবং শক্তি ফাউন্ডেশন ফর ডিসঅ্যাডভান্টেজড উইমেন ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
কমিউনিকেশন এন্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি: রবি আজিয়াটা লিমিটেড গোল্ড, গ্রামীণফোন লিমিটেড সিলভার এবং জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
সার্ভিস সেক্টর: ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসি ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী।
করপোরেট গভর্ন্যান্স ক্যাটাগরি: ব্যাংক এশিয়া পিএলসি গোল্ড, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি সিলভার এবং ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি।
ইনটিগ্রেটে রিপোটিং ক্যাটাগরি: ব্যাংক এশিয়া পিএলসি এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি যৌথভাবে গোল্ড পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে, আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি সিলভার এবং ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
উল্লেখ্য, এবছর নির্ধারিত নম্বর না পাওয়ায় পাবলিক সেক্টর ব্যাংক, ইনফ্রাস্ট্রাকচার এন্ড কনস্ট্রাকশন সেক্টর ও এগ্রিকালচার খাতে কোন পুরস্কার প্রদান করা হয়নি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ড. ইউনূসকে প্রধান করে অর্থনৈতিক পরিষদ গঠন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চেয়ারপারসন করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) গঠন করা হয়েছে। এ পরিষদে সদস্য হিসেবে থাকছেন উপদেষ্টা পরিষদের সব সদস্য। এ পরিষদ গঠন করে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, পরিষদকে সহায়তাদানকারী কর্মকর্তা হিসেবে থাকছেন-মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব/সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবরা।
পরিষদের কার্যপরিধিতে বলা হয়, সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত নীতি ও কৌশল গ্রহণে দিক-নির্দেশনা দেওয়া; দীর্ঘমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ও কর্মপন্থা চূড়ান্তকরণ এবং অনুমোদন প্রদান; দীর্ঘমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা; আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও দিক-নির্দেশনা প্রদান এবং জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের দায়িত্ব পালনে সহায়ক বিবেচিত যে কোনো কমিটি গঠন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিষদের বৈঠক প্রয়োজনানুসারে অনুষ্ঠিত হবে। পরিকল্পনা বিভাগ পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
এমআই