ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জালিয়াতি-অনিয়মের আঁতুরঘর সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজ

সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও জাল জালিয়াতির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা সংক্রান্ত নীতিমালা পরিপন্থি অর্থনৈতিক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট নানান অনিয়মের অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে চার দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের ডাক দিলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মালিবাগে দুপুর ১টার দিকে কলেজের সামনের ফটকে এ আন্দোলন চলমান রেখেছে শিক্ষার্থীরা। এই ডেন্টাল কলেজটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ঐক্যবন্ধভাবে আন্দোলন ও প্রতিবাদের ডাক দেয়। এসময় বিভিন্ন স্লোগান ও প্লেকার্ড হাতে নিয়ে অনিয়মের বিষয়গুলো তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা।
সূত্র মতে, ডেন্টাল কলেজের একই ভবনে কলেজ ও হাসপাতাল থাকার কথা থাকলেও সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজে রয়েছে রড-সিমেন্টের দোকান। যা বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২২ (২০২২ সালের ১৬নং আইন) এর ধারা ৩৯ এবং স্থাপন ও পরিচালন বিধিমালা, ২০২৩ এর পরিপস্থি। এভাবেই একের পর এক অনিয়ম ও জালিয়াতি করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে ২০১৭ সালে পরিচালনার শর্ত পূরণ না করায় সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় তদন্ত (ইন্সপেকসন) হলেও অর্থের বিনিময়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ ধামাচাপা দেয়। ফলে কখনোই শিক্ষার মান উন্নয়ন ও জালিয়াতি বন্ধ হয়নি প্রতিষ্ঠানটির। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ একটি ডেন্টাল কলেজে যে ধরনের ল্যাব, কমন লাইব্রেরিসহ যেসব সুযোগ সুবিধা থাকার প্রয়োজন তার বিন্দু মাত্র নেই এই প্রতিষ্ঠানটিতে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত পরিমানের অতিরিক্ত ফি কমানো, কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষাগত ও ক্লিনিক্যাল অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা প্রদান এবং বিভিন্ন অনৈতিক ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বহিস্কার করা। একই সঙ্গে অসৎ ও অশালীন আচরণকারী ব্যক্তিদের অনতিবিলম্বে কলেজ থেকে অপসারণ করা।
জানা গেছে, গত ১৬ আগস্ট থেকে ২১ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ১৮ আগস্ট কলেজের কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এরপর ২৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও কোনো দাবি মানেনি কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার (৩১ আগস্ট) কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ৭ ঘণ্টা মিটিংয়ের পর কোন ধরণের সমাধান না পেয়ে কলেজে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। ওইদিন শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলে একদিন সময় চেয়ে চলে যায় কর্তৃপক্ষ। পরদিন হাসপাতালের সকল রোগী বের করে দিয়ে হাসপাতালে তালা লাগিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এসময় কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ড. সিফাতী রহমান বলেন, গত ১৫ বছর ধরে প্রতিটি শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। আজকের আন্দোলন প্রতারণার বিরুদ্ধে।
আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ধরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জালিয়াতি করে আসছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তির শুরুতে টিউশন, ভর্তি এবং ইন্টার্ন ফি নেওয়া হলেও তাদের কাগজপত্রে কেনো ধরনের সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই, থাকে না কলেজের নাম কিংবা লোগো। কোনো মানি রিসিট দেওয়া হয় না। সেমিস্টার শেষে ৫ বছর পর আবারও ইন্টার্ন ফি চাওয়া হয়।
তারা আরও বলেন, এছাড়া হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য নির্দিষ্ট রুমের ব্যবস্থা নেই। গ্রুপ স্টাডি করার মতো কেনো জায়গা নেই। কোনো বিষয়ে শিক্ষক ও অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। সময় মতো কখনোই কর্তৃপক্ষকে খুঁজে পাওয়া যায় না। এধরনের সমস্যা নিয়ে আমাদের রাস্তায় নেমে আসতে হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানকে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ফেলেছে। আমাদের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নকে পুঁজি করে আপনারা ব্যবসা কেন করবেন?
এছাড়াও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ইন্টার্ন ফি থেকে শুরু করে লাগামহীন শর্ত রয়েছে আমাদের ভর্তি ফর্মে। যেকোনো সময় শর্ত পরিবর্তন করে ফি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। অথচ আমাদের টাকা হসপাতালের কাজে ব্যবহার করা হয়। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কোনো ধরনের বেতন-ভাতা প্রদান করা হয় না। কলেজের বেতন পরিশোধ করা না হলে অনলাইন ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া ও পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয় না।
শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনাকালীন সময় শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হয়নি। ওইসময় শিক্ষার্থীরা আর্থিক সমস্যায় থাকলেও তাদের থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করা হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগেও রয়েছে ত্রুটি। অগ্রিম টাকা দিয়ে পেতে হয় নিয়োগ। এ নিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে (বিএমডিসি) অভিযোগ করা হলে কলেজ থেকে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়া এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছি কিন্তু আমরা কোনো বাস্তবায়ন দেখতে পাইনি।
কলেজ বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জনতে সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী জিয়াউল ইসলামের মুঠোফোনের মাধ্যমে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি। ফলে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবী অর্থসংবাদকে বলেন, সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজের লোকজন আমার কাছে আসছিলো, কলেজ বন্ধ রাখার জন্য আমার কাছে পরামর্শ চেয়েছে। কিন্তু আমি বলেছি কলেজ বন্ধ করে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না। এ কলেজটির অনিয়মের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তদন্ত করেছে। তদন্ত রিপোর্টটি এখনো আমি পাইনি। কলেজের বিষয়ে এর আগেও অভিযোগ পেয়ে আমরা তদন্ত করেছি এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্য নিজস্ব ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচলনার জন্য ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে সরকারিভাবে বেতন দেওয়া হয়। কিন্তু বেসরকারি মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজে ভর্তির সময় যে টাকা রাখা হয় তা থেকে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হতো। অতিরিক্ত ফি নেওয়ার মতো ক্ষমতা কোনো ডেন্টাল কলেজের নাই।
কাফি

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আমরা মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি: ইউজিসি চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজ বলেছেন, যেহেতু সামনে নির্বাচন, আগের মতো দলীয়করণ যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। দলমত নির্বিশেষে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। একজন শিক্ষক আগামী প্রজন্মের কারিগর।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠান শেষে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। এর পূর্বে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি।
এর পূর্বে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালগুলোতে এত শিক্ষক স্বল্পতা! কিছু দিনের মধ্যে আমাদের একটি মিটিং হবে। সেখানে খালি পদগুলো মঞ্জুর করার বিষয়ে ডেফিনেটলি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যতটুকু করতে পারি আমি করবো। এই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা একটা টিম কাজ করছি।
পরে ভিসি বাংলোতে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে ‘শিক্ষক সংকট, আবাসিকতা বৃদ্ধি, ফায়ারসার্ভিস স্টেশন, সেশনজট, খাবারের মান বৃদ্ধি ও ইকসু গঠন, মেডিকেল আধুনিকায়ন, জিয়া স্মৃতিকমপ্লেক্স’ ইত্যাদি বিষয় পূরণের দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের আবাসিকতার বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে ড. ফায়েজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দূরদূরান্ত থেকে স্ট্রাগল করে মেয়েরা পড়তে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে অবস্থান নেওয়ায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। আমরা মঞ্জুরী কমিশন মেয়েদের আবাসিকতাকে প্রায়োরিটি দিয়ে কাজ করছি। মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টা ফার্স্ট নজরে রয়েছে।
তিনি জানান, মেয়েদের আবাসিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতেছি। বিষয়টা এমন না ছেলেদেরকে একপাশে রেখে দেয়া হচ্ছে। এরপর দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে খাবারের মান বৃদ্ধির লক্ষে উন্নতমানের ক্যান্টিন ব্যবস্থা করা হবে। এটা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে কাজ করছে ইউজিসি।
ছাত্র সংসদ গঠনের বিষয়ে ড. ফায়েজ বলেন, আমি উপাচার্যের কাছে ব্যক্তিগতভাবে ছাত্র সংসদ গঠনের আপডেট নিয়েছি। আমাদের কাছে আসার সাথে সাথে ফার্স্ট প্রায়োরিটি দিয়ে সহযোগিতা করে যাব। মন্ত্রণালয়ের সাথে এ বিষয়ে কথা বলা আছে।
মতবিনিময়কালে গবেষণাখাত উন্নতিকরণ বিষয়ে তিনি জানান, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইউজিসি ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ইবি থেকেও পেয়েছে। যদিও প্রথমবারের মতো বেশি সংখ্যক দিতে পারিনি৷ পরবর্তীতে এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষক শিক্ষার্থী মিলে এক হয়ে গবেষণা করবে আগামী দিনে।
উল্লেখ্য, উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাফত ছাত্র মজলিস, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, জমিয়তে তালাবিয়ে আরাবিয়া, সোচ্চার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জনবল নিয়োগ দিচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, পদ ৪৩০

বাংলাদেশ নৌবাহিনী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সশস্ত্র বাহিনীটি নাবিক, মহিলা নাবিক ও এমওডিসি (নৌ) পদে ৪৩০ জনকে নিয়োগের লক্ষ্যে এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ জন পুরুষ ও ৩০ জন নারী। দেশের সব জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করা যাবে আগামী ০৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ নৌবাহিনী
পদের সংখ্যা: ১০টি
লোকবল নিয়োগ: ৪৩০ জন
পদের নাম: ডিই/ইউসি (সিম্যান, কমিউনিকেশন ও টেকনিক্যাল)
পদসংখ্যা: ২৮০ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), জোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.৫০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬৭.৫ সেন্টিমিটার
পদের নাম: রেগুলেটিং
পদসংখ্যা: ১২ (পুরুষ), ৮ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৭২.৫ (পুরুষ), ১৬০.০২ (মহিলা)।
পদের নাম: রাইটার
পদসংখ্যা: ১৮ (পুরুষ), ৪ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ), ১৫৭.৪৮ (মহিলা)।
পদের নাম: স্টোর
পদসংখ্যা: ১৪ (পুরুষ), ৪ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ), ১৫৭.৪৮ (মহিলা)।
পদের নাম: মিউজিশিয়ান
পদসংখ্যা: ৮ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ)।
পদের নাম: মেডিকেল
পদসংখ্যা: ১০ (পুরুষ), ৬ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: জীববিজ্ঞানসহ ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান, জিপিএ–৩.৫০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ), ১৫৭.৪৮ (মহিলা)
পদের নাম: কুক
পদসংখ্যা: ২৫ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি/সমমান (মাদ্রাসা, ভোকেশনালসহ), জিপিএ–২.৫০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ)
পদের নাম: স্টুয়ার্ড
পদসংখ্যা: ১০ (পুরুষ), ৮ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি/সমমান (মাদ্রাসা, ভোকেশনালসহ), জিপিএ–২.৫০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ), ১৫৭.৪৮ (মহিলা)
পদের নাম: টোপাস
পদসংখ্যা: ১৫ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাস
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ)
পদের নাম: এমওডিসি (নৌ)
পদসংখ্যা: ৮ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি/সমমান (মাদ্রাসা, ভোকেশনালসহ), জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬৭.৫ (পুরুষ)
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ০৫ অক্টোবর ২০২৫
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু

চাকরিপ্রত্যাশীদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত পরীক্ষা বিসিএস। এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দেশের বহু গ্র্যাজুয়েট প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। তাই সেই পরীক্ষা রূপ নেয় একপ্রকার যুদ্ধে। সেই ধারাবাহিক মহারণের ৪৭তম আসরের প্রথম ধাপ তথা প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় দেশের ২৫৬ কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন তিন লাখ ৭৪ হাজার ৭৪৭ চাকরিপ্রার্থী। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই কেন্দ্রে প্রবেশ করেন পরীক্ষার্থীরা। সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করেন তারা।
সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সাড়ে ৮টা বাজার পরপরই পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করা শুরু করেন। পরীক্ষা শুরুর পর বাইরে তাদের অভিভাবকরা অপেক্ষা করছেন।
পরীক্ষা শুরুর আগে বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে কথা হয়। জান্নাতুল সুলতানা নামের একজন বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করেছি অল্প কিছুদিন হয়েছে। এটাই প্রথম কোনো চাকরির পরীক্ষা। স্বাভাবিকভাবেই একটু নার্ভাস ফিল করছি। প্রস্তুতিও ততটা নিতে পারিনি। তবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করাটাকে আমি জরুরি মনে করি।
হাজারীবাগ সরকারি কলেজে পরীক্ষা দিতে আসা রাফিদ করীম নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, প্রস্তুতি ভালো। তবে পদের তুলনায় প্রতিযোগী অনেক বেশি। তবুও আশাবাদী। আশা করি ভালো কিছু হবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৭তম বিসিএসের প্রিলি আগামীকাল, মানতে হবে যেসব নিয়ম

৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হবে, চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের ২৫৬ কেন্দ্রে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে। এতে অংশ নেবেন তিন লাখ ৭৪ হাজার ৭৪৭ জন চাকরিপ্রার্থী।
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান জানান, ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি টেস্ট (এসসিকিউ টাইপ) ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ শহরের ২৫৬টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
কেন্দ্রে প্রবেশে মানতে হবে যত নিয়ম
পিএসসির পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে হবে। সাড়ে ৯টার পর কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
পরীক্ষার্থীদের হলের নাম ও কক্ষ নম্বর আগে মেসেজের মাধ্যমে তাদের মোবাইল নম্বরে পাঠানো হবে। পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
প্রবেশপত্রে উল্লিখিত তথ্য ও ছবির সঙ্গে হাজিরা তালিকার ছবি ও স্বাক্ষর যাচাই করা হবে। কোনো গরমিল পাওয়া গেলে প্রার্থিতা বাতিলসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্রে চারটি সেট থাকবে। পরীক্ষার্থী যে সেট নম্বরের উত্তরপত্র পাবেন, তাকে সেই সেট নম্বরের প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে।
কত নম্বরের পরীক্ষা, ভুল উত্তরে কাটা যাবে কত
বিসিএস প্রিলির প্রশ্নপত্রে মোট ২০০টি এমসিকিউ থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরে ১ নম্বর ও প্রতিটি ভুল উত্তরে ০ দশমকি ৫০ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষার সময়সীমা দুই ঘণ্টা। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা চলাকালে কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না। প্রবেশপত্র ছাড়া কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রবেশপত্র হারিয়ে গেলে কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নতুন করে ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে।
ঘড়ি-মোবাইল-ক্যালকুলেটর নিষিদ্ধ
বই-পুস্তক, ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ব্যাগ, গহনা ও সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা যাবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। কোনো পরীক্ষার্থী এ ধরনের নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ হলে প্রবেশ করলে কিংবা নকলের সঙ্গে জড়িত থাকলে তার প্রার্থিতা বাতিল হবে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য শ্রুতিলেখক দেওয়া হবে। তাদের জন্য প্রতি ঘণ্টায় ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে। অন্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি সময় দেওয়া হবে প্রতি ঘণ্টায় ৫ মিনিট।
ইংরেজি ভার্সনের জন্য নির্দেশনা
এদিকে, পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব পরীক্ষার্থী ইংরেজি ভার্সনে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন, তাদের জন্য আলাদা আসনবিন্যাস ও প্রশ্নপত্র ছাপানো হয়েছে। কারও জন্য ভার্সন পরিবর্তনের সুযোগ নেই। তাদের অবশ্যই নির্ধারিত কেন্দ্রে ইংরেজি ভার্সনের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
পরীক্ষায় অনিয়ম, গরমিল বা অসদাচরণের প্রমাণ পাওয়া গেলে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে ও সরকারি কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০২৪ সালের ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ৪৭তম বিসিএসে মোট শূন্য ক্যাডার পদের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৮৭। আর নন–ক্যাডার পদের সংখ্যা ২০১। এই বিসিএস থেকে মোট ৩ হাজার ৬৮৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ১০ ডিসেম্বর থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। শেষ হয় ৩১ ডিসেম্বর। ১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে যেসব প্রার্থীর বয়স ২১ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে ছিল, এমন আগ্রহী যে কোনো প্রার্থী আবেদন করতে পেরেছেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
হিজাব নন-হিজাব বা আধুনিক পোশাক, সবার সমান অধিকার: সাদিক কায়েম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)’র সদ্য নির্বাচিত সহ-সভাপতি সাদিক কায়েম, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ থেকে নির্বাচনে ২৮টি পদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কারো পোশাকের পছন্দ, ব্যক্তিগত পরিচয় বা প্রতীক নিয়ে হেয় করা, হস্তক্ষেপ করা কিংবা কোনো সিম্বলকে অপরাধী করা একেবারেই চলবে না। হিজাব পরা শিক্ষার্থীর যেমন অধিকার আছে, তেমনি নন-হিজাব বা আধুনিক পোশাক পরা শিক্ষার্থীরও সমান অধিকার থাকবে।
ডাকসু নির্বাচনে নারী শিক্ষার্থীদের ভোট বেশি পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে যে প্রপাগান্ডা চালানো হয়েছিল, তা ভেঙে গেছে। জুলাই বিপ্লবের পর আমাদের কার্যক্রম প্রমাণ করেছে, প্রতিশ্রুতি শুধু মুখের কথা নয়। নারীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলা পর্যন্ত আমরা থামব না।’
সাদিক কায়েম আরও জানান, তাদের ইশতেহারে নারীদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিয়ে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং শিগগির বাস্তবায়ন শুরু হবে। তিনি বলেন, নারী শিক্ষার্থীরা এমন নেতৃত্ব খুঁজে পেয়েছেন, যাদের প্রতি আস্থা রাখতে পারেন।
শিবিরের বিজয়ে স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি মাল্টিকালচারাল প্রতিষ্ঠান, এখানে স্বাধীনতা সীমিত করার কোনো সুযোগ নেই। হিজাব-ননহিজাব শিক্ষার্থীর সমান অধিকার নিশ্চিতে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।