ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জালিয়াতি-অনিয়মের আঁতুরঘর সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজ
সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও জাল জালিয়াতির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা সংক্রান্ত নীতিমালা পরিপন্থি অর্থনৈতিক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট নানান অনিয়মের অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে চার দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের ডাক দিলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মালিবাগে দুপুর ১টার দিকে কলেজের সামনের ফটকে এ আন্দোলন চলমান রেখেছে শিক্ষার্থীরা। এই ডেন্টাল কলেজটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ঐক্যবন্ধভাবে আন্দোলন ও প্রতিবাদের ডাক দেয়। এসময় বিভিন্ন স্লোগান ও প্লেকার্ড হাতে নিয়ে অনিয়মের বিষয়গুলো তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা।
সূত্র মতে, ডেন্টাল কলেজের একই ভবনে কলেজ ও হাসপাতাল থাকার কথা থাকলেও সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজে রয়েছে রড-সিমেন্টের দোকান। যা বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২২ (২০২২ সালের ১৬নং আইন) এর ধারা ৩৯ এবং স্থাপন ও পরিচালন বিধিমালা, ২০২৩ এর পরিপস্থি। এভাবেই একের পর এক অনিয়ম ও জালিয়াতি করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে ২০১৭ সালে পরিচালনার শর্ত পূরণ না করায় সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় তদন্ত (ইন্সপেকসন) হলেও অর্থের বিনিময়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ ধামাচাপা দেয়। ফলে কখনোই শিক্ষার মান উন্নয়ন ও জালিয়াতি বন্ধ হয়নি প্রতিষ্ঠানটির। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ একটি ডেন্টাল কলেজে যে ধরনের ল্যাব, কমন লাইব্রেরিসহ যেসব সুযোগ সুবিধা থাকার প্রয়োজন তার বিন্দু মাত্র নেই এই প্রতিষ্ঠানটিতে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত পরিমানের অতিরিক্ত ফি কমানো, কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষাগত ও ক্লিনিক্যাল অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা প্রদান এবং বিভিন্ন অনৈতিক ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বহিস্কার করা। একই সঙ্গে অসৎ ও অশালীন আচরণকারী ব্যক্তিদের অনতিবিলম্বে কলেজ থেকে অপসারণ করা।
জানা গেছে, গত ১৬ আগস্ট থেকে ২১ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ১৮ আগস্ট কলেজের কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এরপর ২৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও কোনো দাবি মানেনি কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার (৩১ আগস্ট) কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ৭ ঘণ্টা মিটিংয়ের পর কোন ধরণের সমাধান না পেয়ে কলেজে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। ওইদিন শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলে একদিন সময় চেয়ে চলে যায় কর্তৃপক্ষ। পরদিন হাসপাতালের সকল রোগী বের করে দিয়ে হাসপাতালে তালা লাগিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এসময় কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ড. সিফাতী রহমান বলেন, গত ১৫ বছর ধরে প্রতিটি শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। আজকের আন্দোলন প্রতারণার বিরুদ্ধে।
আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ধরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জালিয়াতি করে আসছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তির শুরুতে টিউশন, ভর্তি এবং ইন্টার্ন ফি নেওয়া হলেও তাদের কাগজপত্রে কেনো ধরনের সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই, থাকে না কলেজের নাম কিংবা লোগো। কোনো মানি রিসিট দেওয়া হয় না। সেমিস্টার শেষে ৫ বছর পর আবারও ইন্টার্ন ফি চাওয়া হয়।
তারা আরও বলেন, এছাড়া হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য নির্দিষ্ট রুমের ব্যবস্থা নেই। গ্রুপ স্টাডি করার মতো কেনো জায়গা নেই। কোনো বিষয়ে শিক্ষক ও অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। সময় মতো কখনোই কর্তৃপক্ষকে খুঁজে পাওয়া যায় না। এধরনের সমস্যা নিয়ে আমাদের রাস্তায় নেমে আসতে হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানকে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ফেলেছে। আমাদের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নকে পুঁজি করে আপনারা ব্যবসা কেন করবেন?
এছাড়াও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ইন্টার্ন ফি থেকে শুরু করে লাগামহীন শর্ত রয়েছে আমাদের ভর্তি ফর্মে। যেকোনো সময় শর্ত পরিবর্তন করে ফি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। অথচ আমাদের টাকা হসপাতালের কাজে ব্যবহার করা হয়। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কোনো ধরনের বেতন-ভাতা প্রদান করা হয় না। কলেজের বেতন পরিশোধ করা না হলে অনলাইন ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া ও পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয় না।
শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনাকালীন সময় শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হয়নি। ওইসময় শিক্ষার্থীরা আর্থিক সমস্যায় থাকলেও তাদের থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করা হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগেও রয়েছে ত্রুটি। অগ্রিম টাকা দিয়ে পেতে হয় নিয়োগ। এ নিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে (বিএমডিসি) অভিযোগ করা হলে কলেজ থেকে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়া এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছি কিন্তু আমরা কোনো বাস্তবায়ন দেখতে পাইনি।
কলেজ বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জনতে সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী জিয়াউল ইসলামের মুঠোফোনের মাধ্যমে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি। ফলে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবী অর্থসংবাদকে বলেন, সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজের লোকজন আমার কাছে আসছিলো, কলেজ বন্ধ রাখার জন্য আমার কাছে পরামর্শ চেয়েছে। কিন্তু আমি বলেছি কলেজ বন্ধ করে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না। এ কলেজটির অনিয়মের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তদন্ত করেছে। তদন্ত রিপোর্টটি এখনো আমি পাইনি। কলেজের বিষয়ে এর আগেও অভিযোগ পেয়ে আমরা তদন্ত করেছি এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্য নিজস্ব ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচলনার জন্য ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে সরকারিভাবে বেতন দেওয়া হয়। কিন্তু বেসরকারি মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজে ভর্তির সময় যে টাকা রাখা হয় তা থেকে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হতো। অতিরিক্ত ফি নেওয়ার মতো ক্ষমতা কোনো ডেন্টাল কলেজের নাই।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে গণরুম প্রথা বাতিল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে সব ধরনের গণরুম প্রথা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুমে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস চালুসহ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়। ক্লাস চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রভোস্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্য বিষয়গুলোর মধ্যে ২০১৭-১৮ ভর্তি সেশন ও পূর্ববর্তী সেশনের যেসব শিক্ষার্থীর স্নাতকোত্তর পরীক্ষা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে, তাঁদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হল ত্যাগ করতে বলা হয়। তা ছাড়া হলের গেমস রুমগুলোকে সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে ব্যবহার উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
তিতুমীর-ইডেনসহ ২১ সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ
রাজধানীর তিতুমীর ও ইডেনসহ ২১টি সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষকেও।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজের শিক্ষকরা বিভিন্ন কলেজে অধ্যক্ষ পদে পদায়ন পেয়েছেন।
কোন কলেজে অধ্যক্ষ হলেন কে
সরকারি বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আমিনুল হককে ওএসডি করা হয়েছে। বিএম কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন পেয়েছেন একই কলেজের অধ্যাপক ড. শেখ মো. তাজুল ইসলাম।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবু জাফর খানকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে। ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন পেয়েছেন চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যাপক মো. আবুল বাসার ভূঞা।
ঢাকার সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহেদুল খবিরকে ফেনী সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে। আর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন পেয়েছেন বগুড়ার শাহ সুলতান কলেজের উপাধ্যক্ষ কে এম আমিনুল হক।
সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে একই কলেজের অধ্যাপক শিপ্রা রানী মণ্ডল ও উপাধ্যক্ষ পদে খুলনার সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে পদায়ন করা হয়েছে।
ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পেয়েছেন ফরিদপুরের সদরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. কাকলী মুখপাধ্যায়। আর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোহসিন কবীরকে ওএসডি করা হয়েছে।
ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন একই কলেজের অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার। আর ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ফেরদৌসী বেগমকে ওএসডি করা হয়েছে।
কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমানকে পদায়ন করা হয়েছে। কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আমেনা বেগমকে ওএসডি করা হয়েছে।
ঢাকার বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পেয়েছেন টাঙ্গাইল সা’দাত কলেজের অধ্যাপক তামান্না বেগম।
ঢাকার সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ পদে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. কামরুল হাসানকে পদায়ন করা হয়েছে। সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলামকে নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজে বদলি করা হয়েছে।
ওএসডি থাকা অধ্যাপক মো. শহীদুজ্জামানকে মানিকগঞ্জের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন করা হয়েছে।
যশোরের সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সরকারি ব্রজলাল কলেজের অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির। আর এমএম কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুল হক খানকে ওএসডি করা হয়েছে।
খুলনা আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ওএসডি থাকা অধ্যাপক ড. মো. শাহিদুর রহমান। আর আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ কার্তিক চন্দ্র মন্ডলকে মুন্সিগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজের বদলি করা হয়েছে।
খুলনার ব্রজলাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে সাতক্ষীরা তালা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সেখ মো. হুমায়ুন কবীরকে পদায়ন করা হয়েছে।
সরকারি সা’দাত কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন একই কলেজের অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান মিয়া। আর সা’দাত কলেজের অধ্যক্ষ সুব্রত নন্দীকে টাঙ্গাইলের আশেক মাহমুদ কলেজে বদলি করা হয়েছে।
রাজশাহীর শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে ড. খান মো. মাইনুল হককে পদায়ন করা হয়েছে। রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আনারুল হক প্রাং। রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ মোহা. আব্দুল খালেককে রংপুর কারমাইকেল কলেজে বদলি করা হয়েছে।
দিনাজপুর কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন একই কলেজের অধ্যাপক আবুল কালাম মো. আল আবদুল্লাহ। আর দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবু বকর সিদ্দিককে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে বদলি করা হয়েছে।
রংপুর কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান। কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ চিন্ময় বাড়ৈকে ঝিনাইদহের কেশবচন্দ্র সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে।
রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ রমা সাহাকে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজে বদলি করা হয়েছে। আর রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পেয়েছেন একই কলেজের উপাধ্যক্ষ এস এম আবদুল হালিম।
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে একই কলেজের অধ্যাপক মো. আমিনুল ইসলামকে পদায়ন করা হয়েছে। আর সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ টি এম সোহেলকে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যাপক মুহাম্মদ মঞ্জুরুর রহমান। আর লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাহাবুবুল করিমকে কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজে বদলি করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ বিমল চন্দ্র দাসকে চাঁদপুর সরকারি কলেজে, মুন্সিগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র হীরাকে ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজে, পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুব সরফরাজকে জয়পুরহাট সরকারি কলেজে, মাদারীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. জামান মিয়াকে ওএসডি, নেত্রকোনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরুল বাসেতকে গুরুদয়াল কলেজে এবং তোলারাম কলেজের উপাধ্যক্ষ জীবন কৃষ্ণকে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে।
নতুন অধ্যক্ষদের তালিকা দেখতে ক্লিক করুন এখানে
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ব্র্যাক ব্যাংকে চাকরির সুযোগ
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি স্পেশাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগ অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার, সিনিয়র ম্যানেজার পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে।
আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিতরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
একনজরে ব্র্যাক ব্যাংকে চাকরির বিজ্ঞপ্তি
প্রতিষ্ঠানের নাম: ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি
পদের নাম: অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার, সিনিয়র ম্যানেজার
বিভাগ: স্পেশাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ফাইন্যান্স, অ্যাকাউন্টিং, মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট, অর্থনীতি বা আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি
অন্যান্য যোগ্যতা: ইংরেজিতে ভালো লিখিত এবং মৌখিক যোগাযোগ দক্ষতা। ডিজিটাল মাধ্যম এমএস অফিস এবং অ্যান্ড্রয়েড/অ্যাপল প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে পারদর্শী।
অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ৪ থেকে ১০ বছর
চাকরির ধরন: ফুলটাইম
কর্মক্ষেত্র: অফিসে
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)
বয়সসীমা: উল্লেখ নেই
কর্মস্থল: দেশের যেকোনো জায়গায়
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
অন্যান্য সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
গতকাল ০৮ সেপ্টেম্বর থেকেই আবেদন নেয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ফ্রেশারদের চাকরি দেবে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির কাস্টমার সার্ভিস/ক্যাশ বিভাগ অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। ০৮ সেপ্টেম্বর থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
এক নজরে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তি
প্রতিষ্ঠানের নাম: আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড
পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার
বিভাগ: কাস্টমার সার্ভিস/ক্যাশ
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ব্যাংকিংয়ে এমবিএ/মার্কেটিংয়ে বিবিএ/বিএসসি
অন্যান্য যোগ্যতা: কম্পিউটার ভালো দক্ষতা থাকতে হবে।
অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ২ বছর, তবে অভিজ্ঞতা ছাড়াও আবেদন করতে পারবেন।
চাকরির ধরন: ফুলটাইম
কর্মক্ষেত্র: অফিসে
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)
বয়সসীমা: উল্লেখ নেই
কর্মস্থল: দেশের যেকোনো জায়গায়
বেতন: ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী
অন্যান্য সুবিধা: টি/এ, চিকিৎসা ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, সাপ্তাহিক ২দিন ছুটি, বীমা, গ্রাচুইটি, বছরে ২টি উৎসব বোনাস।
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম বাতিল ঘোষণা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ আবাসিক হলের গণরুম বাতিল ঘোষণা করেছে হল প্রশাসন। এছাড়াও, মাস্টার্স শেষ হওয়ার শিক্ষার্থীদের হাল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়াসহ আরো ৪টি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেনের স্বাক্ষরিত এক জরুরী নোটিশে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, লালন শাহ হলে অবস্থানরত সকল ছাত্রদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে অন্য হল সংশ্লিষ্ট ছাত্র এই হলে অবস্থান করতে পারবে না। প্রতি রুমে সিটের অতিরিক্ত ছাত্র অবস্থান করতে পারবে না এবং আবাসিকতা ব্যতীত কোন ছাত্রও হলে অবস্থান করতে পারবে না। লালন শাহ হলের গণরুম সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হলো। যে সকল ছাত্রের মাস্টার্স পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে তাদের কক্ষ ত্যাগ করার জন্য বলা হলো।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হলের প্রভোস্ট বলেন, গণরুম বলতে কোনো রুমের আলাদা বৈধতা ছিল না। যেহেতু গণরুমের হিসেব আমাদের কাছে থাকে না, সুতরাং বহিরাগত শিক্ষার্থীরাও অবস্থান করার সুযোগ থাকতো। গণরুম থেকে অবৈধভাবে প্রশাসনকে অবহিত না করে খালি হওয়া রুমে ওঠে যেত। এখন সংস্কারের সময় যেহেতু এসেছে, সম্পূর্ণ বাতিল করলাম। এছাড়াও মাস্টার্স শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের জন্য বলেছি।
যে কোন সময় হল প্রশাসন কক্ষে অভিযান চালাবে উল্লেখ করে অভিযান চলাকালে অনাবাসিক ছাত্রদের কেও হলে অবস্থান করলে তার বিরুদ্ধে হল প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও নোটিশে বলা হয়েছে।
এমআই