জাতীয়
প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধে এনবিআরের কড়া নির্দেশ
বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের বিমানবন্দরে অকারণে লাগেজ খোলাসহ যেকোনো হয়রানিমূলক কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সম্প্রতি দেশের সব বিমানবন্দরে কাস্টমস শাখায় এ নির্দেশনা পাঠিয়েছে এনবিআর।
এছাড়া দেশের সব বিমানবন্দরের কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রবাসীদের সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এয়ারপোর্টে আসার পর কয়েকবার লাগেজ খোলা, দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা, বেল্ট-মানিব্যাগ-জুতা-ল্যাপটপ-মোবাইলসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে চেক করার অভিযোগ আছে কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। অথচ বিদেশে স্ক্যানিং মেশিনের মাধ্যমেই যাবতীয় চেকিং শেষ করা হয়ে থাকে। এতে কোনো ভোগান্তি হয় না।
প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরে ভোগান্তিমুক্ত পরিবেশ দাবি করছিলেন তারা।
জানা গেছে, এ আদেশ জারির পরও যদি প্রবাসীদের কোনো ধরনের হয়রানি করা হয়, তাহলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে এনবিআর।
এর আগে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে প্রবাসীদের অধিকতর সেবা দিতে এনবিআরকে অনুরোধ জানায়।
চিঠিতে বলা হয়ে, বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখেন। সরকার প্রবাসী কর্মীদের বিদেশ গমন সহজ করতে এবং অধিকতর সেবা দিতে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের বিদেশ থেকে আগমন এবং বিদেশে যাওয়ার সময় দেশের সব বিমানবন্দরে অকারণে লাগেজ খোলাসহ যেকোনো হয়রানিমূলক কার্যক্রম বন্ধের অনুরোধ করা হলো।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের প্লট বাতিল চেয়ে রিট
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে নেওয়া ৬০ কাঠা প্লটের বরাদ্দ বাতিলসহ তাদের নামে রাজউকের সব অবৈধ বরাদ্দ বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী।
আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দীন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। পরে তিনি গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে জানান।
রিটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ বাতিলসহ রাজউকের সব অবৈধ বরাদ্দ বাতিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এসব অবৈধ বরাদ্দের সাথে জড়িত এবং সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার প্রার্থনা করা হয়েছে।
এছাড়া এসব বরাদ্দের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগের একজন প্রাক্তন বিচারপতিকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনকারী আইনজীবীরা হলেন— মো. রেজাউল ইসলাম, আল রেজা মো. আমির, মো. গোলাম কিবরিয়া, মোহাম্মদ হারুন, মো. বেলায়েত হোসেন সোজা, কামরুল ইসলাম রিগান, হাসান মাহমুদ খান, শাহীনুর রহমান শাহীন এবং মো. জিল্লুর রহমান।
আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, রাজউকের আলোচিত পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে স্বয়ং নিজের নামে প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্লট নিয়েছেন, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। এছাড়া প্লট বরাদ্দপ্রাপ্তদের তালিকায় আছেন হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার দুই ছেলে-মেয়ে। ২০২২ সালে তারা প্লট বুঝে পান। পরে বিষয়টি রাষ্ট্রীয় অতি গোপনীয় বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ফলে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া খোদ রাজউকেরই অনেকে এ বিষয়ে তেমন কিছুই জানেন না।
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রত্যেকে সর্বোচ্চ ১০ কাঠা আয়তনের প্লট নিয়েছেন। প্রস্তাবিত কূটনৈতিক জোনে সব প্লট একত্রে সন্নিবেশিত করার সুযোগ দেয় রাজউক। এ সংক্রান্ত সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের বিষয় উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট মিসবাহ জানান, নিজেকে অসহায় এবং নিঃস্ব বলে সভা-সমাবেশে রাজনৈতিক বক্তব্য দিলেও শেখ হাসিনা নিজের নামে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন। পূর্বাচলে প্রস্তাবিত কূটনৈতিক জোনে ২৭ নম্বর সেক্টরে ২০৩ নম্বর রোডে তার প্লট নম্বর ০০৯। ২০২২ সালের ৩ আগস্ট তার নামে বরাদ্দপত্র ইস্যু করে রাজউক। শেখ হাসিনার বাসভবন ধানমন্ডির ৫৪ সুধা সদনের ঠিকানায় বরাদ্দপত্র পাঠানো হয়।
সম্প্রতি রাজউকে গিয়ে দেখা যায়, রেকর্ডরুমে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের ফাইলগুলো বিশেষ চিহ্ন দিয়ে রাখা হয়েছে। হাসিনার প্লট বরাদ্দের ফাইলের ওপর ইংরেজি বড় হরফে লেখা রয়েছে ভি-৩, পাতা ১৪১। ফাইলে শেখ হাসিনার স্বাক্ষরযুক্ত আবেদনপত্রের কপি, বরাদ্দপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপিসহ অন্যান্য কাগজপত্র রয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী আটক
সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই এলাহী চৌধুরীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর গুলশান থেকে তাকে আটক করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ রাত পৌনে ১০টায় দিকে রাজধানীর গুলশান থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. মেহেদী হাসান চৌধুরী এবং গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য রিয়াজ মাহমুদ আয়নালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
তারা দুজন ঢাকা মহানগর পুলিশের আদাবর ও গাজীপুর মহানগর পুলিশের বাসন থানায় দায়ের পৃথক দুটি হত্যা মামলার এজারনামীয় আসামি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামী ১০ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর ভারত হয়ে ঢাকায় সফর করবেন বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে দেয়া মিডিয়া নোটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ডোনাল্ড লু তার পুরো সফরজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সমগ্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতার প্রচারে সহায়তা করার জন্য দেশটির প্রতিশ্রুতি পুনরায় জানাবেন।
ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউএস-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল আয়োজিত এক সামিটে উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং নারীদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার প্রচারে মার্কিন-ভারত সহযোগিতার কথা তুলে ধরবেন লু। আরও কিছু আলোচনায় যোগ দেয়ার কথা রয়েছে তার।
এদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গেও বৈঠক করবেন ডোনাল্ড লু। তিনি একটি প্রতিনিধি দলে যোগ দেবেন, যেখানে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ, ইউএসএআইডি এবং মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দফতরের প্রতিনিধিরা থাকবেন।
মিডিয়া নোটে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের প্রয়োজনে সহায়তা করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করবেন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপে রাজস্ব ও মুদ্রানীতির পাশাপাশি আর্থিক খাতের পরিস্থিতিও উঠে আসতে পারে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভারতের সঙ্গে কথা হবে চোখে চোখ রেখে: আসিফ মাহমুদ
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, হাসিনা সরকারের প্রতি জনগণের ম্যান্ডেন্ট ছিল না। যে কারণে ওরা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সামনে মাথা নিচু করে থাকত। একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সঙ্গে কথা হবে চোখে চোখ রেখে, মাথা নিচু করে নয়। কথা হবে মাথা উঁচু করে। ভারত এতদিন একটি দলের সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু এখন আর তা হবে না। এ দেশের জনগণ পররাষ্ট্রের নীতির ক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটি রাষ্ট্র বাস্তবায়ন করবে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা টাউনহল মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্পিরিটকে ধারণ করে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, অন্য দলগুলোকে মনে রাখতে হবে, ক্ষমতায় গিয়ে ঠিক মতো রাষ্ট্র চালাতে না পারলে ওদের মতো পরিণতি হবে। বাংলাদেশের মানুষ বেশি কিছু চায় না। মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের মতপ্রকাশ করতে চায়, বিলাসিতা নয়। যে মৌলিক অধিকার রয়েছে, সেগুলো নিশ্চিত হয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে চায়। কিন্তু আওয়ামী ফ্যাসিবাদের শাসনের যাত্রার ফলে আমরা এমনভাবে পিষ্ট হয়েছি, ফেসবুকে একটি পোস্ট দিতে গেলেও ১০ বার ভাবা লাগত। গান গেয়ে, কবিতা লিখে অনেককে জেল খাটতে হয়েছে। আজ আমরা অন্তত এতটুকু স্বস্তিতে আছি। এখন আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি।
তিনি বলেন, শুধু ১৬ বছর নয়, গত ৫৩ বছর ধরে এ দেশের ওপর শুধু জঞ্জাল জমা হয়েছে। আমরা খুব দ্রুত সেগুলো সমাধান করার চেষ্টা করছি। কিন্তু ৫৩ বছরের জঞ্জাল একদিনে বা এক মাসে কীভাবে সমাধান করা যায় তা আমাদের জানানেই। কিন্তু এরইমধ্যে আমরা কিছু পরিবর্তন দেখতে পেরেছি। আপনারা গত ৫৩ বছরে এমন কোনো বন্যা দেখাতে পারবেন না যেখানে ত্রাণ চুরির ঘটনা ঘটেনি। এবার কিন্তু এরকম একটি ঘটনাও ঘটেনি। চাল, ত্রাণ চুরি করে, খাটে লুকিয়ে রাখার ঘটনা একটিও ঘটেনি। এয়ারপোর্টে আমাদের যে প্রবাসী ভাইয়েরা আমাদের দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছেন, তাদের কীভাবে লাঞ্ছিত করা হত, তাদের লাগেজে আটকে রেখে তাদেরকে কীভাবে কষ্ট দেওয়া হত। এখন কী সেটা আছে? এখন আর সেটা নেই।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সরকারি কর্মচারীদের গাড়ি ব্যবহারে নতুন নির্দেশনা
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার কর্মচারীদের প্রাধিকার বহির্ভূত সরকারি গাড়ি ব্যবহার বন্ধ করার অনুরোধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীন সম্পদ বিভাগের সহকারী সচিব স্বাক্ষরিত এক পত্রে আজ মঙ্গলবার এ অনুরোধ করা হয়।
পত্রে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের বেশ কিছু কর্মচারী প্রচলিত বিধি ও প্রাধিকার বহির্ভূতভাবে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন। এমনকি কোনো কোনো মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর, সংস্থা, ব্যাংক-বীমা, কোম্পানি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান থেকে অধিযাচন করে (চেয়ে) গাড়ি আনা হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ ও গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা- ২০২০-এর আওতায় গাড়ির ঋণ সুবিধাপ্রাপ্ত কোনো কোনো কর্মকর্তা গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাবদ সমুদয় অর্থ (৫০ হাজার টাকা) গ্রহণ করার পরও অনৈতিক ও বিধি বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ব্যবহার করছেন। অথচ ওই নীতিমালার ১৭ অনুচ্ছেদে এ ধরনের অনিয়মের বিষয়টি বন্ধ করার পাশাপাশি সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মচারীর প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহারের এ ধরনের প্রবণতার ফলে একদিকে জনপ্রশাসনে বিশৃঙ্খলা ও আর্থিক অপচয়ের কারণ ঘটছে। অন্যদিকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের নৈতিকতার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে এবং সমাজে তাদের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে সরকারের দায়িত্ব সচেতনতা সম্পর্কেও জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ ধারণা তৈরি হচ্ছে। এসব কারণে সরকার এ বিষয়ে অনমনীয় নীতি গ্রহণ করেছে। এ অবস্থায় সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহার কঠোরভাবে বারিত করার (বন্ধ করার) অনুরোধ করেছে।
এমআই