ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এইচএসসির ফল তৈরিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং শুরু
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পরে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পর স্থগিত হওয়া এইচএসসি ও সমমানের বাকি পরীক্ষা বাতিল করা হয়। এসব পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করা হবে সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতিতে। সেজন্য পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য ও কাগজপত্র প্রয়োজন। সেই কাগজপত্র আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কলেজ অধ্যক্ষদের সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে জানান, সাবজেক্ট ম্যাপিং করতে হলে একজন শিক্ষার্থীর পূর্বের পরীক্ষা যেমন এসএসসি, জেএসসির ফলাফল প্রয়োজন। ম্যাপিং ফলাফল তৈরি করতে হলে পূর্বের বিষয়ভিত্তিক ফল দেখা হয়।
নিয়মিত শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক তথ্য থাকলেও প্রাইভেট পরীক্ষা দেয়, বা অনিয়মিত কিংবা মাদ্রাসা, উন্মুক্ত শিক্ষা বোর্ডসহ অন্যান্য জায়গা থেকে এসেছেন তাদের তথ্য বোর্ডের হাতে থাকে না। সেসব পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের সত্যায়িত ফটোকপিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সব পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অধ্যক্ষদের বোর্ডে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
বোর্ডে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যারা ১৯৯৬ সালের আগে এসএসসি পাস করেছিল তাদের প্রবেশপত্রের ফটোকপি অধ্যক্ষ কর্তৃক সত্যায়ন করে শিক্ষাবোর্ডে হাতে-হাতে জমা দিতে হবে।
এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪-এর সমতুল্য সনদধারী পরীক্ষার্থীদের জেএসসি-সমমান (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও এসএসসি-সমমান পরীক্ষার অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট-নম্বরপত্র (নম্বর/গ্রেড পদ্ধতির প্রমাণক কাগজ পত্রসহ), ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সমতুল্য সনদ এবং এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪-এর প্রবেশপত্রের ফটোকপি অধ্যক্ষের কাছ থেকে সত্যায়ন করে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে-হাতে জমা দিতে হবে।
এছাড়াও যেসব পরীক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেএসসি-সমমান ও এসএসসি-সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে তাদেরও একইভাবে তথ্য পাঠাতে হবে।
সব পরীক্ষার্থীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি, বিষয় কোড-২৭৫) বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর (শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালে প্রাপ্ত) অনলাইনে পাঠিয়ে এর প্রিন্টকপি কেন্দ্রে সংরক্ষণ করতে হবে এবং মূলকপি, বিষয়ভিত্তিক অনুপস্থিত ও বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের তালিকা ও অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক স্বাক্ষরলিপি এক কপি করে পাঠাতে বলা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবির ১১ হলে নতুন প্রভোস্ট নিয়োগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১১ হলে নতুন প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান এই নিয়োগ দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার মুন্সি শামস উদ্দিন আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হোসাইন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম, বিজয় একাত্তর হলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক স. ম. আলী রেজা, সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ফারুক শাহ, জগন্নাথ হলে মৃৎশিল্প বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দেবাশীষ পাল।
মেয়েদের শামসুন নাহার হলে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, রোকেয়া হলে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. মাহবুবা সুলতানা, কবি সুফিয়া কামাল হলে গণিত বিভাগের ড. ছালমা নাছরীন।
এ ছাড়া কবি জসীম উদ্দিন হলে অধ্যাপক ড. শাহীন খান, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ড. মুহাম্মদ জাবেদ খান, ফজলুল হক মুসলিম হলে ড. শাহ মো. মাসুম, সূর্যসেন হলে অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূইয়া, স্যার এফ রহমান হলে ড. রফিক শাহরিয়ার, পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলে ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ড. ফারহানা বেগম, অমর একুশে হলে ড. ইশতিয়াক এম সৈয়দ বহাল রয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবির নতুন উপ-উপাচার্য ড. সায়মা হক বিদিশা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) হিসেবে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশাকে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলামের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩-এর আর্টিকেল ১৩(১) অনুযায়ী প্রফেসর ড. সায়মা হক বিদিশা, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-কে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) পদে নিম্নোক্ত শর্তে নিয়োগ প্রদান করা হলো:
(ক) উপ-উপাচার্য পদে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ৪ (চার) বছর হবে;
(খ) উপর্যুক্ত পদে তিনি বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন;
(গ) তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন এবং সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন;
(ঘ) তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি ও আইন দ্বারা নির্ধারিত ও ভাইস চ্যান্সেলর কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন;
(ঙ) মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এক বছরের সিলেবাসে এসএসসি, থাকবে বিজ্ঞান-মানবিক ও বাণিজ্য
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী এ বছর থেকে নবম শ্রেণিতে বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা ইত্যাদি শাখা) বিভাজন তুলে দেয়া হয়েছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন শিক্ষাক্রমের এ বিষয়টিসহ অনেক কিছু বাদ দিয়ে আবারও মাধ্যমিকে বিভাজন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা নির্দেশনা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে সই করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচির মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা (২০২৬ সালে অনুষ্ঠিতব্য) নেওয়ার লক্ষ্যে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রেখে পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর আলোকে প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকগুলো (অর্থাৎ ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত পুস্তক) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে।
‘জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে প্রণীত বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষাভিত্তিক এ পাঠ্যপুস্তকগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে, যেন শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচিটি সম্পন্ন করতে পারে। পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে পরিচালিত হবে।’
এতে আরও বলা হয়, যেসব শিক্ষার্থী ২০২৫ সালে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে, তাদের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর আলোকে প্রণীত শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকগুলো (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত) প্রদান করা হবে। এসব শিক্ষার্থী নবম ও দশম শ্রেণি মিলিয়ে দুই শিক্ষাবর্ষে সম্পূর্ণ পাঠ্যসূচি শেষে ২০২৭ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষাবিদ, শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ, মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রশাসক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করা হবে, যা ২০২৬ সাল থেকে পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ভিসি নেই ইবিতে, প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে ড. আশ্রাফী
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাময়িকভাবে জরুরি প্রশাসনিক এবং আর্থিক বিষয়ে দায়িত্ব পালন করবেন ধর্মত্তত্ব বিভাগের ডিন ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী। ডিন’স কমিটি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন্স কমিটির আহ্বায়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
নতুন দায়িত্ব পাওয়ায় অনুভূতি ব্যক্ত করে ড.আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বলেন, ডিনস কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা অনলাইন এবং অফলাইন ক্লাসের ব্যপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অফলাইন ক্লাসের ব্যপারে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে আমরা এগবো। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ডিনবৃন্দের সম্মতিক্রমে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। আমার অনুপস্থিতিতে পরবর্তী জ্যেষ্ঠ ডিন এ দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে জরুরি আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে দিয়ে সাময়িকভাবে পরিচালনার নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
তিন মাস বিরতির পর ক্লাসে ফিরছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) দীর্ঘ তিন মাস পর আবারও শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরতে যাচ্ছে। উপাচার্য না থাকায় ডিন্স কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী মঙ্গলবার থেকে অনলাইন এবং আগামী সপ্তাহ থেকে অফলাইনে ক্লাস পরীক্ষা চালু হবে।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে ডিন্স কমিটির আহ্বায়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
এসময় থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রেজওয়ানুল ইসলাম, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন কামরুন্নাহার, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. মো. মনজুরুল হক, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনাম, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরিন উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকায় সেশনজটের আশঙ্কায় ক্লাসে ফিরতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী উপাচার্য কর্তৃক সিন্ডিকেট সভায় ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ ও খোলার নিয়ম থাকায় ক্লাসে ফিরতে পারছিলেন তারা। পরবর্তীতে ডিন’স মিটিংয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে ডিনদের আলোচনা শেষে আগামী মঙ্গলবার থেকে অনলাইনে এবং আগামী সপ্তাহ থেকে অফলাইনে ক্লাস শুরুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহ হতে ক্লাস এবং পরীক্ষা শুরু করার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি প্রদানের জন্য অনুরোধ জানানোর সর্বসম্মতির সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ডিন্স কমিটির মাধ্যমে উপরোক্ত উল্লেখিত বিষয়সমূহ কার্যক্রম পরিচালিত হবে মর্মে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়াও, সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করবেন বলে ডিন’স কমিটি সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে, ডিনদের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে থিওলজি অনুষদের ডিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে তার পরবর্তী জ্যেষ্ঠ ডিন দায়িত্ব পালন করবেন। তবে, দায়িত্ব প্রাপ্ত হিসেবে ড. আশ্রাফী এককভাবে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না, সকল সিদ্ধান্ত ডিনদের সম্মতিক্রমে নিতে হবে জানিয়েছেন নতুন প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ড. আশ্রাফী। এছাড়াও, অফলাইনে ক্লাস চালুর বিষয়ে আগামী সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ করা হবে। মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে তবেই অফলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন ইবিতে সর্বশেষ ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর থেকেই ঈদ ও গ্রীষ্মের ছুটি, শিক্ষকদের পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারে কর্মবিরতি, কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু হয়ে সরকার পতন আন্দোলনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। উপাচার্য না থাকায় সিন্ডিকেট সভা আয়োজন করতে না পারায় শুরু করা যাচ্ছে না ক্লাস পরীক্ষা। এতে সেশন জটে পড়ার আশঙ্কায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম