অর্থনীতি
ডলার এনডোর্সমেন্টের সীমা বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক
মানি এক্সচেঞ্জ হাউজের ডলার এনডোর্সমেন্টের সীমা ১ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার ডলার করার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশর সভাপতি এম এস জামান।
এম এস জামান জানান, মিটিংয়ে আমাদের মৌলিক অধিকারগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সেগুলো আমরা পেয়েছি। গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টে নির্দেশনাও দিয়ে দিয়েছেন।
এখন থেকে মানি এক্সচেঞ্জগুলোকে পাসপোর্ট ছাড়া এনআইডি দিয়েও বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকে রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে আমরা এনআইডির তথ্য দেখাতে পারবো বলে জানিয়েছেন এম এস জামান।
এছাড়া ডলার বিক্রয়ের দরের বিষয়েও গভর্নরের সঙ্গে আলাপ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশর সভাপতি। তিনি বলেন, আগের মতোই ব্যাংক যে দরে ডলার বিক্রি করবে তার সঙ্গে এক টাকা যোগ করে মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো বিক্রি করতে পারবে।
এছাড়াও তিনি বলেন, এখন আর মানি চেঞ্জারে অভিযান নেই। অভিযান থাকলে হয়তো সেবষয়েও কথা হতো। আর এখন আমরা কোনো হয়রানির শিকার হচ্ছি না। তবে আমাদের বিষয়ে অনেক সময়ে অপবাদ দেওয়া হয়, সেটি যেনো না দেওয়া হয় সেবিষয়ে কথা বলেছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের দুই ডিএমডির পদত্যাগ
এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল) ছাড়লেন ব্যাংকটির দুই ডিএমডি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) তারা পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
দুই ডিএমডি পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলেও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর আলমের পদত্যাগের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এসআইবিএলের চেয়ারম্যান ছিলেন এস আলমের জামাতা বেলাল আহমেদ। নামে–বেনামে ব্যাংকটিতে এস আলমের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট শেয়ার রয়েছে ৪৭ শতাংশ। বিপুল অংকের ঋণ বের করে নিয়েছে গ্রুপটি।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২৫ আগস্ট ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে ৫ সদস্যের পর্ষদ পুনর্গঠন করে দিয়েছে। পরিচালনা পর্ষদ বসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলামকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে। আর পরিচালক হিসেবে আছেন– ব্যাংকটির অন্যতম উদ্যোক্তা ও সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) ডা. রেজাউল করিম, স্বতন্ত্র পরিচালক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাকসুদা বেগম, রূপালী ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মো. মোরশেদ আলম খন্দকার ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মো. আনোয়ার হোসেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
খেলাপি ঋণ দুই লাখ ১১ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
খেলাপি ঋণ গোপন করার সংস্কৃতি থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধিতে আগের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ প্রায় ৬৬ হাজার কোটি টাকা বেড়ে প্রথমবারের মতো দুই লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। গত জুন শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, জুন শেষে ব্যাংকগুলোর মোট ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। এর মানে মোট ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ ঋণখেলাপি। তিন মাস আগে গত মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা যা ছিল ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। এপ্রিল–জুন সময়ে তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৯ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। আর গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। এর মানে বছরের প্রথম তিন মাসে বেড়েছিল ৩৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকার পতনের আগেই আইএমএফের শর্ত মেনে গত মার্চ থেকে কৌশলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর সুযোগ কমে এসেছে। আবার তদারকি শিথিলতার কারণে এতদিন জালিয়াতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণ আর ফেরত আসছে না। সরকার পতনের পর এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ ঘরনার ব্যবসায়ীদের অনেকেই পালিয়েছেন। এতে করে খেলাপি ঋণ আগামীতে আরও বাড়তে পারে বলে ব্যাংকাররা জানিয়েছেন।
আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের জন্য বিভিন্ন শর্ত দিয়েছে সংস্থাটি। তাদের শর্ত মেনে ২০২৬ সালের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের নিচে এবং সরকারি ব্যাংকের ১০ শতাংশের নিচে নামানোর কথা। তবে খেলাপি ঋণ কম দেখাতে এখনকার মতো নীতি সহায়তা রাখা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ফ্রিজ করার আহ্বান ৫ সংস্থার
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ-সম্পদ ফেরত আনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে জরুরি ভিত্তিতে তা ফ্রিজ করার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক চারটি দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিবৃতিতে এমন আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে টিআই-ইউকে, ইউকে অ্যান্টি করাপশন কোয়ালিশন, ইন্টারন্যাশনাল লইয়ারস প্রজেক্ট, স্পটলাইট অন করাপশন ও টিআইবি কর্তৃক যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রীর সমীপে প্রেরিত যৌথ চিঠিতে “নতুন বাংলাদেশ”-এর দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্মাণে অবৈধ অর্থ-সম্পদের মালিকদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে সক্রিয় সহযোগিতার আহ্বান জানান সংস্থাগুলোর প্রধানরা।
এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ থেকে যে সকল দেশে অর্থ ও সম্পদ পাচার করা হয়েছে, তাদের সকলেই আমাদের উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার এবং তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ প্রতিশ্রুতির কার্যকর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ সকল দেশকে তাদের এখতিয়ারে থাকা সকল বাংলাদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অবৈধ সম্পদ ফ্রিজ করার জন্য অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানাই। পাচারকৃত সম্পদ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ ও অর্থ পাচারকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের জন্য বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর পাশাপাশি সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকং এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।
স্পটলাইট অন করাপশনের নির্বাহী পরিচালক সুসান হোলে বলেন, যুক্তরাজ্যে পাচারকৃত সম্পদ খুঁজে বের করতে এবং আশ্রিত দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে যুক্তরাজ্যকে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সহায়তা করতে হবে। বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টা জোরদার করার মাধ্যমে যুক্তরাজ্য দেশটির প্রতিশ্রুত গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
অন্যদিকে টিআই-ইউকে-এর ডিরেক্টর অফ পলিসি ডানকান হেম্জ বলেন, আমরা জানি, অপ্রদর্শিত সম্পদের অধিকারী বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ এবং দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত অভিজাত ব্যবসায়ী মহলের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশে। ব্রিটিশ সরকারের সারাবিশ্বে মিত্ররাষ্ট্রসমূহ এবং বাংলাদেশের সুশীল সমাজের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করা উচিত, যাতে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি এবং তাদের সহায়তাকারীদের বিদেশে পাচারকৃত সম্পদ ফ্রিজ করা উচিত; যাতে তাদের অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ তারা ভোগ করতে না পারে।
গত ৩০ আগস্ট যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা উক্ত চিঠিতে বলা হয়, ক্রান্তিলগ্নে থাকা বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে থাকা সুবিধাভোগীদের বিপুল দুর্নীতি উদ্ঘাটিত হচ্ছে। এ সকল সুবিধাভোগীদের পাচারকৃত অর্থ-সম্পত্তি বাংলাদেশের নাগরিকদের সম্পদ। ‘নতুন বাংলাদেশ’ এর পুনর্গঠনের পাশাপাশি দেশকে আরো স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তুলতে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচার হওয়া এই জাতীয় সম্পদ অতি দ্রুত চিহ্নিত ও পুনরুদ্ধার করা জরুরি।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যুক্তরাজ্য সরকারের সহায়তার প্রতিশ্রুতি এবং সমর্থনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে চিঠিতে তিনটি বিষয় অতি জরুরিভাবে কার্যকর করার আহ্বান জানানো হয়।
প্রথমত, কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তি বা কোম্পানির দ্বারা পাচারকৃত সম্পদ যুক্তরাজ্যে রয়েছে কি-না এবং তা পুনরুদ্ধারযোগ্য কি না, এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সিকে সক্রিয় হয়ে পাচারকৃত অর্থ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে উক্ত সম্পদ ফ্রিজ করাসহ সকল পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেন পাঁচটি দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার প্রধান।
দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যেমন— দুর্নীতি দমন কমিশন, আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ, অপরাধ তদন্ত বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংস্কারের পাশাপাশি ফরেনসিক হিসাবরক্ষক ও আইনজীবীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি সহায়তার আহ্বান জানানো হয়। যাতে এই সংস্থাগুলো পাচার হওয়া অর্থ-সম্পদ শনাক্ত ও পুনরুদ্ধারে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে পারে।
তৃতীয়ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকং এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (বিশেষ করে দুবাই) সহ যে সকল দেশে বাংলাদেশের অর্থ-সম্পদ পাচার হয়েছে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের এ সব সম্পদ দেশে ফেরত আনা এবং পাচারের সঙ্গে জড়িত সকলের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের পথ ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানানো হয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
শিল্প কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি ব্যবসায়ীদের
দেশের শিল্প কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুর রহমান।
মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ড ও ভাঙচুরের বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার নজরে আনেন তারা।
শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয় বৈঠকে। শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে ব্যবসায়ী নেতাদের জানান প্রধান উপদেষ্টা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সাত ব্যাংকের তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
সম্প্রতি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৭ ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব ব্যাংকের চলমান সংকট কাটানোর পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)। এর মধ্যে প্রথম ছয়টি এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন। তবে পর্ষদ পুনর্গঠন করে গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা হয়েছে এসব ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, অনিয়ম ও দুর্নীতি ঠেকাতে যেসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে, ওই ব্যাংকগুলোর কী পরিমাণ টাকা প্রভাবশালীদের কাছে আটকে রয়েছে, তা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি এসব ব্যাংকে যে তারল্য সংকট চলছে, তা থেকে উত্তরণে কী পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আজ এসব তথ্য নিয়ে পুনর্গঠন করা ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর নিরুদ্দেশ হয়ে যান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে যোগ দেন আহসান এইচ মনসুর।
সম্প্রতি গভর্নর সাংবাদিকদের বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা নিয়ে ফেরত দেননি, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্বল ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হবে।
২০ আগস্ট ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ বিলুপ্তের মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এখন পুনর্গঠিত পর্ষদের মাধ্যমে কীভাবে ব্যাংকগুলোর উন্নতি করা যায়, তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কাফি