রাজনীতি
আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে ছেড়ে দিলো পুলিশ
সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
ডিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, অসুস্থ ও বয়স্ক হওয়ায় সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিচারিক ক্ষমতায় আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবির একটি দল।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মো. রবিউল হোসেন ভুঁইয়া বলেছিলেন, ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির (জাপা) গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। পরে তিনি জাতীয় পার্টি (জেপি) গঠন করে এর চেয়ারম্যান হন।
তিনি রাজনীতিবিদ ছাড়াও একজন ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক। পিরোজপুর-২ আসন থেকে ছয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিন মেয়াদে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু গত নির্বাচনে হেরে যান।
আনোরয়ার হোসেন মঞ্জুর বাবা তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া একজন নামকরা রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর ১৯৭২-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক হন। এ ছাড়া পত্রিকাটির প্রকাশক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন মঞ্জু।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আযমী জামায়াতে ইসলামীর কেউ না
জাতীয় সংগীত নিয়ে সাবেক ব্রিগেডিয়ার আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর দেওয়া বক্তব্যটি তার একান্ত ব্যক্তিগত অভিমত, তিনি দলের কেউ নন বলে জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। রোববার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
এতে বলা হয়েছে, আমান আযমী জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন। জামায়াতের সঙ্গে তার সাংগঠনিক সম্পর্ক নেই। তিনি জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তিনি যে বক্তব্য রেখেছেন, তা তার একান্ত ব্যক্তিগত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তার (আমান আযমী) বক্তব্যকে জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করার সুযোগ নেই। তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জামায়াত সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অবকাশ নেই।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডিত জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে আমান আযমীকে ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নিয়ে আট বছর গোপন বন্দিশালায় রাখা হয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর মুক্তি পান।
গত ৩ সেপ্টেম্বর বন্দি জীবনের নির্যাতন তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনে করেন আমান আযমী। সেখানে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের প্রকৃত সংখ্যা ও জাতীয় সংগীতে প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সংবিধান এবং জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি জানান।
এ নিয়ে সমালোচনা মুখে বিবৃতি দিল জামায়াতে ইসলামী।
এদিকে রোববার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সহানুভূতি বিনিময় অনুষ্ঠানে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আমান আযমীর বক্তব্য ব্যাখ্যার দায় জামায়াতের নয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
৫৫ সদস্যের ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’র আত্মপ্রকাশ
ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের চলমান লড়াই সফল করার লক্ষ্যে ৫৫ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঘোষিত কমিটিতে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের ৩ জনকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। কমিটিতে আহ্বায়ক হলেন নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী, সদস্য সচিব ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, মুখপাত্র, শামান্তা শারমিন।
কমিটি গঠন বিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে কাজ শুরু করছে। অচিরেই সকল মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করবো। তৃণমূল পর্যন্ত এ কমিটির বিস্তৃতি ঘটানোর মাধ্যমে আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাব।
জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যারা আছেন
১। আহ্বায়ক : মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ২। সদস্য সচিব : আখতার হোসেন ৩। মুখপাত্র : সামান্তা শারমিন
সদস্যরা : ৪। আরিফুল ইসলাম আদীব ৫। সাইফ মোস্তাফিজ ৬। মনিরা শারমিন ৭। নাহিদা সারোয়ার চৌধুরি ৮। সারোয়ার তুষার ৯। মুতাসিম বিল্লাহ ১০। আশরাফ উদ্দিন মাহদি ১১। আলাউদ্দিন মোহাম্মদ ১২। অনিক রায় ১৩। জাবেদ রাসিন ১৪। মো. নিজাম উদ্দিন ১৫। সাবহানাজ রশীদ দিয়া ১৬। প্রাঞ্জল কস্তা ১৭। মঈনুল ইসলাম তুহিন ১৮। আব্দুল্লাহ আল আমিন ১৯। হুযাইফা ইবনে ওমর ২০। শ্রবণা শফিক দীপ্তি ২১। সায়ক চাকমা ২২। সানজিদা রহমান তুলি ২৩। আবু রায়হান খান ২৪। মাহমুদা আলম মিতু ২৫। অলিক মৃ ২৬। সাগুফতা বুশরা মিশমা ২৭। সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ ২৮। তাসনিম জারা ২৯। মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া ৩০। মো. আজহার উদ্দিন অনিক ৩১। মো. মেসবাহ কামাল ৩২। আতাউল্লাহ ৩৩। এসএম শাহরিয়ার ৩৪। মানজুর-আল-মতিন ৩৫। প্রীতম দাশ ৩৬। তাজনুভা জাবীন ৩৭। অর্পিতা শ্যামা দেব ৩৮। মাজহারুল ইসলাম ফকির ৩৯। সালেহ উদ্দিন সিফাত ৪০। মুশফিক উস সালেহীন ৪১। তাহসীন রিয়াজ ৪২। হাসান আলী খান ৪৩। মো. আব্দুল আহাদ ৪৪। ফয়সাল মাহমুদ শান্ত ৪৫। মশিউর রহমান ৪৬। আতিক মুজাহিদ ৪৭। তানজিল মাহমুদ ৪৮। আবদুল্লাহ আল মামুন ফয়সাল ৪৯। মো. ফারহাদ আলম ভূঁইয়া ৫০। এসএম সুজা ৫১। মো. আরিফুর রাহমান ৫১। কানেতা ইয়া লাম লাম ৫২। সৈয়দা আক্তার ৫৩। স্বর্ণা আক্তার ৫৪। সালমান মুহাম্মাদ মুক্তাদির ৫৫। আকরাম হুসেইন।
আহ্বায়ক কমিটির প্রাথমিক কাজ হিসেবে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়- ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হওয়া সামষ্টিক অভিপ্রায় ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখা। ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত নির্মম হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ। রাষ্ট্রের জরুরি সংস্কার ও পুনর্গঠন করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা ও তাদের জবাবদিহিতার পরিসর তৈরি করা। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগের সঙ্গে আলোচনা, মত বিনিময় ও গণমুখী কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বস্তরের জনতাকে সংহত করার লক্ষ্যে কাজ করা।
এছাড়া দেশের সর্বস্তরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্বকে সংহত করে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত করে রাখার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখা। জনস্বার্থের পক্ষে নীতি নির্ধারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক সংলাপের আয়োজন করা। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি নির্ধারণী প্রস্তাবনা তৈরি ও সেটা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক পদক্ষপে গ্রহণ করা।
পাশাপাশি গণপরিষদ গঠন করে গণভোটের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির জন্য গণআলোচনার আয়োজন করতে আহ্বায়ক কমিটি কাজ করবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
নেতাকর্মী-সমর্থকদের জরুরি নির্দেশনা দিলো আ.লীগ
দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের জন্য জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটির ফেসবুক পেজ, টেলিগ্রাম চ্যানেল, টুইটার, ইউটিউব চ্যানেল এর বাইরে অন্য কোনও সামাজিক মাধ্যমের পেজ বা মিডিয়া থেকেও যে কোন দলীয় আপডেট এলে তা অবশ্যই যাচাই করার জন্য অনুরোধ করেছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে দলটির ভেরিফাইড পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ অনুরোধ করা হয়।
পোস্টে বলা হয়, আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ, টেলিগ্রাম চ্যানেল, টুইটার (এক্স), ইউটিউব চ্যানেল এর বাইরে অন্য কোনও সামাজিক মাধ্যমের পেজ বা মিডিয়া থেকেও যে কোন দলীয় আপডেট এলে তা অবশ্যই আওয়ামী লীগের যোগাযোগ মাধ্যম থেকে যাচাই (ভেরিফাই) করার জন্য সবাইকে বিনীত অনুরোধ করছি।
দলটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো হলো :
ফেসবুক পেজ, টেলিগ্রাম চ্যানেল, টুইটার, ইউটিউব চ্যানেল, হোয়াটসঅ্যাপ; +1 (917) 569-9327
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কবর থেকে তুলে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ
বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কবর থেকে তুলে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরীর করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী।
হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরাচার সরকার তার বাবাকে নির্মম নির্যাতন করেছে। তাকে মিথ্যা মামলায় বারবার হয়রানি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। কিন্তু তাকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হয়নি। তার মৃত্যু নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা হয়েছে যা অত্যন্ত বেদনার।
লাশের ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তার বাবার মৃত্যু নিয়ে তৈরি হওয়া ধোঁয়াশা দূর করার দাবি জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরী।
২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে হারিছ চৌধুরী ইন্তেকাল করেন বলে নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ে সামীরা তানজীন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তাকে ঢাকার কাছে একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর বিষয়ে তার চাচাতো ভাই আশিক চৌধুরী সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইঙ্গিত দিলেও সরাসরি কিছু বলেননি, যা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
পরে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামীরা তানজীন চৌধুরী নিশ্চিত করেন, তার বাবা ঢাকাতেই ইন্তেকাল করেছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহীদি মার্চ’ আজ
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের এক মাস পূর্তি হলো আজ বৃহস্পতিবার। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে আজ (০৫ সেপ্টেম্বর) ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এ কর্মসূচি নিয়ে বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসও দেন সারজিস আলম। স্ট্যাটাসে তিনি জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে এ কর্মসূচি পালনের স্থান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য। এ সময় পোস্টে তিনি কর্মসূচির রুট ম্যাপও তুলে ধরেন।
তিনি জানান, রাজু ভাস্কর্য-নীলক্ষেত-সায়েন্স ল্যাব-কলাবাগান-মানিক মিয়া এভিনিউ (সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে)- ফার্মগেট-কারওয়ান বাজার-শাহবাগ-রাজু ভাস্কর্য-শহীদ মিনার রুটে কর্মসূচি পালিত হবে। ঢাকায় অবস্থান করা সকলকে রাজু ভাস্কর্য চত্বরে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
এমআই