পর্যটন
ইউরোপ ভ্রমণে আসছে বড় পরিবর্তন
ইউরোপ ভ্রমণে বড় পরিবর্তন আসছে। প্রথমবারের মতো ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফেইস রিকগনিশন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে ইইউভুক্ত দেশগুলো।
আগামী ১০ নভেম্বর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শেনজেন এলাকার ২৯টি দেশের ভ্রমণপিপাসুদের জন্য নতুন পাসপোর্টে স্ট্যাম্প ইস্যু হবে না। নতুন স্বয়ংক্রিয় আগমন এবং বহির্গমন সিস্টেম (ইইএস) কার্যকর হয়।
ইইএসের ফলে ইইউ নাগরিকদের পাসপোর্ট আগমন এবং বহির্গমনে আর স্ট্যাম্পের প্রয়োজন হবে না। মূলত অত্যাধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় দুটি পদ্ধতি চালু হচ্ছে। প্রথমটি হলো ইলেকট্রনিক এন্ট্রি অ্যান্ড এক্সিট সিস্টেম (ইইএস), যা ইইউ নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এবং নন-ইইউ নাগরিকদের জন্য ইউরোপিয়ান ট্রাভেল ইনফরমেশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সিস্টেম (ইটিআইএএস) নামে অভিহিত হবে।
আমেরিকার ইএসটিএর আদলে ইটিআইএএসের মাধ্যমে ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের ৬০টি দেশ ভিসা ওয়েভারের সুযোগ পাবে। মাত্র ৭ ইউরো বা ৬ পাউন্ড খরচ করে কয়েক মিনিটে অনলাইনে ইটিআইএএস আবেদন সম্পূর্ণ করে ইউরোপ ভ্রমণের সুযোগ পাবে। নভেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়ে ছয় মাসের ট্রানজেকশনাল সময় হিসেবে বিবেচিত হবে। এটির মেয়াদ হবে কমপক্ষে তিন বছর বা পাসপোর্টের মেয়াদ পর্যন্ত।
ইইএস একটি নতুন ইলেকট্রনিক সিস্টেম, যা আগমনের সময় পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পাস করার সময় পাসপোর্টে শারীরিক স্ট্যাম্পিং প্রতিস্থাপন করবে। উভয় ব্যবস্থার লক্ষ্য ইউরোপীয় নিরাপত্তা জোরদার করা, শেনজেন এলাকায় প্রবেশ এবং প্রস্থানকারী ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের নাগরিকদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পর্যটন
১৭৮ দেশ ভ্রমণের বিশ্ব রেকর্ড নাজমুন নাহারের
অস্ট্রেলিয়ার ঠিক উত্তরে এবং ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত পাপুয়া নিউগিনি অপূর্ব সুন্দর একটি দেশ। আমি যখন সলেমোন দ্বীপপুঞ্জ থেকে ফ্লাইটে উঠলাম পাপুয়া নিউগিনি যাওয়ার উদ্দেশ্যে ওই ফ্লাইটে মাত্র ১২ জন যাত্রী ছিলাম আমরা। আমার জীবনে কখনো এত বড় ফ্লাইটে এত ফাঁকা দেখিনি। তার মধ্যে আমি আর ইংল্যান্ডের মাথিও ছিলাম একমাত্র ট্যুরিস্ট। অনলাইনে ভিসার আবেদন করেছি, ভিসা পেতে খুব বেশি সময় লাগেনি। কিন্তু এই দেশে আসার পূর্বে পথে পথে সবাই আমাকে নিষেধ করেছে। আবার নতুন করে এখানে আসতে আমার অনেক টাকা লাগবে তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও এই যাত্রায় আমি দেশটি কম খরচে ভ্রমণ করে শেষ করতে পারব তাই ভেবে রওনা হয়েছি। আমার সহ-অভিযাত্রী মাথিও হাসতে হাসতে আমাকে বলছে জান নিয়ে ফিরে আসতে পারবো তো? কোভিড মহামারীর পর থেকে নানা ধরনের সিভিল আনরেস্ট দেখা দিয়েছে।
এছাড়া ইতোপূর্বে তাদের প্রাকৃতিক আর্থ কুইকের মত অনেক দুর্যোগ ঘটেছে। সিকিউরিটি ছাড়া কোন নির্দিষ্ট জায়গায় এখানে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা কিংবা হাঁটাচলা করা টুরিস্টদের জন্য রিস্কি। আমি ভ্রমণ করলাম অপূর্ব রহস্যময়ে এই পাপুয়া নিউগিনি। নিজ চোখে না দেখলে বুঝা যাবে না এই দেশ যে কত সুন্দর। এখানকার রেইন ফরেস্ট, তার পাশে পাহাড়ের ভ্যালি, আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ আর তার মাঝে যেতে যেতে বড় বড় ব্ল্যাক স্টোন, বাহারি রঙের গাছ, অপূর্ব সুন্দর পাখি, আর এখানকার আদিবাসীদের মুগ্ধ হওয়া কালচারাল ডান্স দেখলে মনে হবে এখানে নিরাপত্তার ঝুঁকি না থাকলে এই প্রকৃতির অনাবিল সৌন্দর্যে আরো বেশ কিছু সময় কাটানো যেত। এবং হেঁটে হেঁটে এখানকার প্রকৃতিকে আরো কাছ থেকে দেখা যেত। তবে শোনা গেছে এখানে পৃথিবীর অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা এসে ছুটি কাটায়। এখানকার সবুজ দেখলে চোখের জ্যোতি বহুবছর ঠিক থাকবে।
যা কিছুই হোক তবে এখানকার সাধারণ মানুষ কিন্তু অনেক ফ্রেন্ডলি। তারা নিজ থেকে কথা বলতে আসলে তাদেরকে ইগনোর করা যাবেনা। এখানকার মানুষ পান সুপারি খেতে খুব পছন্দ করে, এটা ওদের একটা কালচার। যেতে যেতে রাস্তার দিকে তাকালে দেখা যাবে এখানকার প্রতিটা মানুষের ঘাড় থেকে সাইডে ট্রেডিশনাল একটা ক্রস ব্যাগ ঝুলানো থাকে।
এভাবে পাপুয়া নিউগিনি ঘুরতে ঘুরতেতার প্রকৃতিকে দেখি। দক্ষিণ গোলার্ধের প্রশান্ত মহাসাগরের সীমাহীনতায় চোখ মেলি। অসাধারণ পেস্ট কালারের পানির রূপ আর তার চারপাশে ছোট্ট পাহাড়ের ভ্যালি। পাপুয়া নিউগিনির দক্ষিণ গোলার্ধের সর্ব দক্ষিণের দ্বীপ লোলোটা আমাকে মুগ্ধ করেছে বেশি। ছোট্ট একটা বোটে করে দুলতে দুলতে গিয়েছিলাম সেখানে। এভাবে আমি ছুঁয়েছি পৃথিবীর বিভিন্ন গোলার্ধের শেষ সীমানাগুলো। এটি সমুদ্রের বুকে জেগে থাকা খুবই ছোট্ট একটি দ্বীপ। দিনের বেলায় দেখা যায় চারিদিকে অপূর্ব সুন্দর পানির রং, আর কোরাল লাইফ।
সন্ধ্যা হলে এখানে ঘনিয়ে আসে নিয়ন আলোর স্নিগ্ধতা, আর সমুদ্রের ঢেউয়ের তালে জেগে ওঠা সুর। জোয়ার এলে এখানে সমুদ্রের পানিতে সব ডুবে যায় সন্ধ্যার দিকে আবার যখন ভাটা হয় তখন সমুদ্রের বুকে অনেক দূর হেঁটে চলে যাওয়া যায় সাদা বালির উপর দিয়ে।
আমাদের জীবন ছোট হলেও বিধাতার এই প্রকৃতি অসীম। ছোট্ট এই জীবনের সময়গুলো পথের সংগ্রামের মাঝে কঠিন থাকলেও যখন পৃথিবীকে এভাবে দেখি তখন মনে হয় ভ্রমণ জীবনের এক অপূর্ব প্রাণের স্পন্দন। পৃথিবীর সাথে এই আত্মার কানেকশন আমাকে নিয়ে এসেছে এই দূর দিগন্তের নীচে এমন অপরূপ মহাবিস্ময়কে কাছে পাওয়ার জন্য। এভাবেই যেতে যেতে পোর্ট মোরেসবির এলেবিচ, ডাউন টাউন, বিভিন্ন ছোট-ছোট গ্রাম, পর্বতমালা, ন্যাশনাল পার্কসহ আরো অনেক দর্শনীয় স্থান দেখেছি। পুরো দেশকে দেখার জন্য আবার কখনো আসতে হবে। এই দেশ ভ্রমণ করাও এত সহজ নয়, এখানকার এক প্রদেশ থেকে আরেক প্রদেশে যেতে কোন সড়ক পথে যানবাহন নেই, ফ্লাইটে যেতে হয়।
এক দেখায় এই দেশ শেষ হওয়ার মতো নয়। পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর দেশের মাঝে পাপুয়া নিউ গিনি। এখানকার আগ্নেয়গির, প্রকৃতি, একই দেশে হাজার রকমের আদিবাসী কালচার, ৮৫০টির বেশি ভাষা, এখানকার জাতীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার মুমু খেলে তার স্বাদ মুখে লেগে থাকবে। মাংস, ফল-মূল, সবুজ শাকসবজি, এবং নারকেল দুধের সংমিশ্রণটি সুন্দরভাবে রান্না করা হয়। সবমিলিয়ে পাপুয়া নিউগিনি পৃথিবীর মাঝে ভিন্ন কালচার এবং প্রকৃতির এক রহস্যপূর্ণ একটি দেশ। এ নিয়ে বিশ্বের মোট ১৭৮টি দেশ ভ্রমণ করা হলো আমার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এবার বান্দরবানেও পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
দীর্ঘ ২৯ দিন অপেক্ষার পর পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। ফলে পর্যটকদের বরণের অপেক্ষায় প্রস্তুত নৈসর্গিক লীলাভূমি পার্বত্য জেলাটি। তবে নানা জটিলতার কারণে রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচিসহ তিন উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে প্রশাসন।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান জেলা প্রশাসক শাহ মোহাজিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচিসহ তিন উপজেলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিবেচনা করে সব উপজেলা খুলে দেওয়া হবে।
শাহ মোহাজিদ উদ্দিন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটন খুলে দিয়েছে। পর্যটকদের আগমনে ও উৎসাহিত করতে সবার সহযোগিতার প্রয়োজন। এছাড়া তিন উপজেলা ব্যাতিত বান্দরবান সদর, লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি নিশ্চিন্তে পর্যটক ঘুরে বেড়াতে পারবে। তাছাড়া পর্যটক ভ্রমণের জন্য পর্যটন স্পটগুলো নতুন আঙ্গিকে ঢেলে সাজানো হয়েছে যাতে পর্যটকদের কাছে বিমোহিত হয়। আর পর্যটকদের নিরাপত্তা জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠ পর্যায়ে থাকবে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে খাগড়াছড়ি ও সাজেকের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। ইতোমধ্যে সেখানে পর্যটকেরা অবস্থান নিয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পর্যটন
পর্যটকদের জন্য খুললো সাজেক-খাগড়াছড়ি
নিরাপত্তা সংকটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলছে খাগড়াছড়ি ও সাজেকের দুয়ার। খাগড়াছড়িতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন এতে স্বস্তি ফিরেছে পর্যটক ও পর্যটনব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় পর্যটকরা পাহাড়ি এ জেলার সব পর্যটন স্থানের পাশাপাশি যেতে পারবেন সাজেকও।
এতে করে দীর্ঘ একমাস পর এখানকার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন ছাড়সহ নানান সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
এখানকার গাড়ি চালকরা জানান, এটাই তাদের জীবিকা। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষকে পাহাড়ি সৌন্দর্য ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখানো তাদের কাছে বিশাল আনন্দের ব্যাপার। নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ায় তারা বেশ আনন্দে আছেন।
হোটেল ও মোটেল মালিকরা বলছেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় গত একমাসে খাগড়াছড়িতে পর্যটন খাতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। এবার তা কাটিয়ে উঠতে চান তারা।
এদিকে, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক সহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, জেলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পর্যটনকে কেন্দ্র করে এখানকার জীবন-জীবিকা গড়ে ওঠেছে। নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ায় এ এলাকা আবারও পর্যটকদের উপস্থিতিতে সরব থাকবে।’
তবে সাজেক খুললেও বান্দরবান পর্যটন কেন্দ্র নিষেধাজ্ঞা থাকায় এখনও সেখানে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে ২৩ দিনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি ভ্রমণে ২৩ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে সংশ্লিষ্ট তিন জেলা প্রশাসনের জারি করা এক নির্দেশনা থেকে এ নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
অবশ্য, কী কারণে এ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, তা পুরোপুরি স্পষ্ট করা হয়নি। তবে একাধিক সূত্রের দাবি, পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে সম্প্রতি সময়ে সংগঠিত সহিংসতার ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানিয়েছেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিন পার্বত্য জেলার ক্ষেত্রেই এই নির্দেশনা জারি হয়েছে। তাছাড়া সাজেক ভ্যালিতেও অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন।
বান্দরবানের ডিসি জানান, অনিবার্য কারণবশত ৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত খাগড়াছড়ির পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণের ব্যাপারে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পর্যটন
সাজেক ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা
রাঙ্গামাটি এবং এর পাশ্ববর্তী এলকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামীকাল ৪ অক্টোবর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাজেক ভ্যালিতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত এই নির্দেশনা জারি করেছেন রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম।
জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, রাঙ্গামাটির সাজেক এবং এর পাশ্ববর্তী এলকার আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি এবং এসব এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে আগামীকাল ৪ অক্টোবর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাজেক ভ্যালিতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হলো।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বাসসকে জানান, রাঙ্গামাটির সাজেকসহ পাশ্ববর্তী এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে যাওয়ার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। আগামীকাল ৪ অক্টোবর শুক্রবার থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।
এমআই