শিল্প-বাণিজ্য
পোশাক শিল্পের নিরাপত্তায় রাতেই যৌথ অভিযান
পোশাক শিল্পের নিরাপত্তায় সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুরে আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতেই সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বিজিএমইএ সভাপতি।
তিনি বলেন, পোশাক শিল্পের নিরাপত্তায় সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুরে আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতেই সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে। প্রয়োজনে পরবর্তীতে যৌথ অভিযানে যোগ দেবে র্যাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
রফিকুল ইসলাম বলেন, কারখানাগুলোয় যাতে করে শ্রম অসন্তোষের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যারা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় তারা কেউ পোশাক শ্রমিক না। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে শিল্প মালিকরা। পরবর্তীতে আলোচনা করে কারখানা খোলা বা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে, বিকেলে সচিবালয়ে বিজিএমইএ ও নিট শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) শ্রমিক প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশেন সাধারণ সম্পাদক শাকিল আক্তার চৌধুরী বলেন, কারখানার ক্ষতি করে কোনো আন্দোলন করা যাবে না।
আর বিএকেএমইএ সভাপতি মো. হাতেম বলেন, কারখানায় হামলা বিশৃঙ্খলা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ষড়যন্ত্র করে বহিরাগতরা অযৌক্তিক দাবি নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষের চেষ্টা করছে। সে বিষয়ে উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আইসিএবি অ্যাওয়ার্ড পেল ২২ প্রতিষ্ঠান
উপস্থাপিত সেরা বার্ষিক প্রতিবেদন, সমন্বিত প্রতিবেদন এবং কর্পোরেট সুশাসনে ১৩ খাতে আইসিএবি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ২২ প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনাগাঁও হোটেলে দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘২৪তম আইসিএবি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, উপদেষ্টা, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দীন। এছাড়া সেরা প্রতিবেদন নির্বাচন প্রক্রিয়া তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন আইসিএবি’র রিভিউ কমিটি ফর পাবলিশড একাউন্টস এন্ড রিপোর্টস (আরসিপিএআর) এর চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির এফসিএ ও কো-চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জান।
২৪তম আইসিএবি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় ব্যাংক এশিয়া পিএসি ওভারঅল উনার নির্বাচিত হয়েছে। সেরা উপস্থাপিত বার্ষিক প্রতিবেদন, সমন্বিত প্রতিবেদন এবং করপোরেট সুশাসন ডিসক্লোজারস এই তিন খাতে মোট ২২ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও ৮ প্রতিষ্ঠানকে ‘মেরিট’ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
জানা যায়, প্রতিযোগিতায় মনোনয়নের জন্য ৭৬ প্রতিষ্ঠান তাদের আর্থিক প্রতিবেদন ২০২৩ আইসিএবিতে জমা দেয়। বিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে প্রতিটি খাতে তিনটি সেরা প্রতিবেদন সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব একাউন্ট্যান্টসের (সাফা) প্রতিযোগিতায় মনোনয়নের জন্য প্রেরণ করা হবে।
আইসিএবি-বিপিএ পুরস্কারের বিজয়ী যারা
প্রাইভেট সেক্টর ব্যাংকস: ব্যাংক এশিয়া পিএলসি এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি যৌথভাবে গোল্ড পুরস্কার বিজয়ী এবং সিটি ব্যাংক পিএলসি সিলভার এবং ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি যৌথভাবে ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস সেক্টর: আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড গোল্ড এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
ম্যানুফ্যাকচারিং: ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড গোল্ড, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি সিলভার এবং রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসি ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী।
পাওয়ার এন্ড এনার্জি সেক্টর: ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড সিলভার পুরস্কার বিজয়ী।
ডাউভার্সিফাইড হোল্ডিংস: অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড/এসিআই লিমিটেড ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী।
ইন্স্যুরেন্স (জেনারেল): গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড গোল্ড, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড সিলভার এবং সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
ইন্স্যুরেন্স (লাইফ): ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
এনজিও/এনপিও: সাজিদা ফাউন্ডেশন সিলভার এবং শক্তি ফাউন্ডেশন ফর ডিসঅ্যাডভান্টেজড উইমেন ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
কমিউনিকেশন এন্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি: রবি আজিয়াটা লিমিটেড গোল্ড, গ্রামীণফোন লিমিটেড সিলভার এবং জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
সার্ভিস সেক্টর: ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসি ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী।
করপোরেট গভর্ন্যান্স ক্যাটাগরি: ব্যাংক এশিয়া পিএলসি গোল্ড, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি সিলভার এবং ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি।
ইনটিগ্রেটে রিপোটিং ক্যাটাগরি: ব্যাংক এশিয়া পিএলসি এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি যৌথভাবে গোল্ড পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে, আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি সিলভার এবং ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
উল্লেখ্য, এবছর নির্ধারিত নম্বর না পাওয়ায় পাবলিক সেক্টর ব্যাংক, ইনফ্রাস্ট্রাকচার এন্ড কনস্ট্রাকশন সেক্টর ও এগ্রিকালচার খাতে কোন পুরস্কার প্রদান করা হয়নি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
বিদ্যুতের পাওনা চেয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন গৌতম আদানি: ভারতীয় গণমাধ্যম
বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ পাওনা অর্থ চেয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি লিখেছেন ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্রুত ৮০ কোটি ডলারের বকেয়া পরিশোধের জন্য চিঠিতে সরকারপ্রধানের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ী।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ আদানি গ্রুপ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে ৮০ কোটি ডলার পায়। এই পাওনার জন্যই প্রধান উপদেষ্টার কাছে গৌতম আদানি চিঠি লিখেছেন বলে জানানো হয়েছে। আরেক ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্রে হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর দিয়েছে।
ওই চিঠিতে গৌতম আদানি বলেন, আমরা যখন বাংলাদেশকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বজায় রাখছি, সেই সময়ে ঋণদাতারা আমাদের ওপর কঠোর হচ্ছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে থেকে আমরা যে ৮০ কোটি ডলার পাই, সেই অর্থ দ্রুত পরিশোধ করার জন্য হস্তক্ষেপ করতে আপনাকে অনুরোধ করছি।
গৌতম আদানি আরও বলেন, বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ যে পাওনা হয়, তা নিয়মিত ভিত্তিতে পরিশোধ করার জন্যও তিনি অনুরোধ করছেন।
এর আগে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে বাংলাদেশে আট থেকে নয় মাস ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ আদানির ৮০ কোটি ডলার পাওনা হয়েছে। ঝাড়খান্ডের গড্ডায় অবস্থিত ১৬০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আদানি গোষ্ঠী বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। একটি নির্দিষ্ট সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে গত জুন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।
গৌতম আদানি বলেন, একটি আধুনিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও প্রয়োজনীয় সঞ্চালনব্যবস্থা তৈরি করতে আদানি পাওয়ার ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। চিঠিতে তিনি বলেন, আপনার দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতি আমি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনরায় ব্যক্ত করছি।
ভারতীয় এই শতকোটিপতি আরও বলেন, তাঁর কোম্পানি রূপচাঁদা, মেইজান ও ফরচুনের মতো জনপ্রিয় ভোজ্যতেল ও উন্নত মানের চালের ব্র্যান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তায় ভূমিকা রাখছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও অংশীজনের কাছ থেকে তাঁর কোম্পানি যে সমর্থন ও সহযোগিতা পান, তিনি তার প্রশংসা করেন।
এর আগে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনের বরাতে ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছিল যে বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ বকেয়া পরিস্থিতি ‘টেকসই নয়’ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে আদানি গোষ্ঠী মনে করে। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে আদানি পাওয়ার বলেছে, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি এবং তাদের জানিয়েছি যে পরিস্থিতি আর টেকসই পর্যায়ে নেই। কারণ, আমরা একদিকে যেমন বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি বজায় রাখছি, অন্যদিকে তেমনই আমাদের ঋণদাতা ও সরবরাহকারীদের কাছে দেওয়া অঙ্গীকারও রয়েছে।’
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থ পরিশোধের দায় বাংলাদেশের সার্বিক জ্বালানিসংকটেরই একটি অংশ। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ–সংক্রান্ত দায়ের পরিমাণ ৩৭০ কোটি ডলারে উঠেছে। জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, আদানি বাংলাদেশের কাছে ৮০ কোটি ডলার পায়, তার মধ্যে ৪৯ কোটি ২০ লাখ ডলার পরিশোধ বিলম্বিত হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
অর্ধেক দামে পণ্য কেনা যাবে যেসব দোকানে
অনেক সময় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাক কিনতে না পারার আক্ষেপ থেকে যায় অনেকেরই। কারণ শখ থাকলেও তা পূরণের সাধ্য থাকে না। তবে বছরে দুই-তিনবার বিভিন্ন ব্র্যান্ড মূল্যছাড় দেয়, যেমনটা এখন চলছে। এখনই সুযোগ, দেরি না করে পছন্দের ব্র্যান্ড ঘুরে জিনিস কিনতে পারেন। থাকল সেসবেরই খোঁজখবর।
রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত স্কয়ার, বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সসহ নানা শপিং মল ঘুরে দেশীয় ব্র্যান্ডের নানা পণ্যে বিশাল ছাড় দেখা গেছে। বহুজাতিক কিছু ব্র্যান্ডেও চলছে মূল্যছাড়। ফ্যাশন হাউসগুলোয় ব্র্যান্ডভেদে পোশাকে ১০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় চলছে। পোশাক ছাড়া গয়না, ব্যাগ, জুতা, প্রসাধনসামগ্রীর ওপরও রয়েছে মূল্যছাড়। যদিও এ ধরনের সামগ্রীর সংখ্যা সীমিত। মূল্যছাড় দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বেশির ভাগ দোকান থেকে জানানো হয়, গ্রীষ্মকালীন পোশাকের সম্ভার খালি করতেই নির্বাচিত পণ্যের ওপর মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে। রাজধানীর বনানীতে দেশীয় পোশাকের দোকান কুমুদিনী হ্যান্ডিক্র্যাফটসে চলছে গ্রীষ্মকালীন ছাড়।
নির্বাচিত বিশেষ কিছু শাড়ি, কুর্তা, সালোয়ার-কামিজ, ব্যাগ, ছেলে ও শিশুদের পাঞ্জাবি, ফতুয়াভেদে চলছে ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ মূল্যছাড়। শারদীয় দুর্গাপূজা পর্যন্ত থাকবে এ সুযোগ। সুতি ও হাফ সিল্ক শাড়ি ২৫ ও ৫০ শতাংশ কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। এই তালিকায় সুতি ও অ্যান্ডি সুতির পাঞ্জাবিও আছে। তিন থেকে চার হাজার টাকার শাড়ি আপনি অর্ধেক দামেই কিনে নিতে পারবেন। তবে এখানে অনলাইন কেনাকাটায় ছাড়ের সুযোগ নেই। আরেক ফ্যাশন হাউস দেশালেও দেওয়া হচ্ছে ছাড়। যেকোনো পাঞ্জাবি, শার্ট, শিশুদের পোশাক, জামদানি, মেয়েদের জুতায় চলছে ৩০ শতাংশ মূল্যছাড়। অন্যদিকে মেয়েদের থ্রি–পিস, কামিজ, টপ, কুর্তা, শাড়ি, টি-শার্ট, চামড়ার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ ছাড়ের সুযোগ থাকছে। আবার ছেলেদের টি-শার্ট, কো-অর্ড সেট ও ওড়না পাওয়া যাচ্ছে ২০ শতাংশ কম দামে। চলতি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ছাড়ে কেনাকাটা করা যাবে।
ধানমন্ডির অরণ্যতে সব ধরনের পোশাকের ওপর চলছে ২০ শতাংশ বর্ষাকালীন ছাড়। চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দোকানের পাশাপাশি অনলাইন কেনাকাটায়ও পাওয়া যাবে ছাড়। ঘুরতে ঘুরতে নজর কাড়ল দুই দেশীয় ব্র্যান্ড রঙ বাংলাদেশ ও অঞ্জন’সের ছাড়। যমুনা ফিউচার পার্কের দোকানগুলোয় পছন্দের পোশাকটি লুফে নিতে মানুষের ভিড়ও ছিল বেশি। নারী-পুরুষ ও শিশুদের নির্বাচিত পোশাক ছাড়া ব্যাগ, ঘরের টুকটাক জিনিসপত্র, কুশন কভার ইত্যাদির ওপর চলছে আকর্ষণীয় মূল্যছাড়।
রঙ বাংলাদেশের পাঞ্জাবি, শার্টের মূল্যের ওপর ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় চলছে। খুঁজতে গিয়ে দেখলাম, বেশ চড়া মূল্যের পাঞ্জাবি অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে। ৭ হাজার টাকার একটি পাঞ্জাবি ৩ হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তা ছাড়া ৯০০ থেকে ২ হাজার টাকার পাঞ্জাবিতেও চলছে ৫০ শতাংশ ছাড়। শাড়িতেও আছে ছাড়। ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড়ে এসব পোশাক মানুষের সাধ্যের মধ্যে চলে আসবে। অনলাইনেও তাদের কার্যক্রম চলে, তবে সবচেয়ে লাভবান হবেন সশরীর দোকানে এসে পণ্য বেছে কিনলে। অন্যদিকে অঞ্জন’সে বিভিন্ন পোশাকে চলছে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়। বাছাইকৃত সালোয়ার–কামিজ, শাড়ি, ব্লাউজের ওপর ৫০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাচ্ছে। কুর্তা, বাচ্চাদের পোশাক, ব্লেজারের মধ্যেও আছে ২০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাড়। মানভেদে পাঞ্জাবিতে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় দিচ্ছে অঞ্জন’স। চলতি মাসের ২১ তারিখে শেষ হবে সুযোগটি। দোকান ঘুরে মনে হলো, এবারের ছাড়ে পাঞ্জাবিপ্রেমীরাই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন।
নবরূপা, টুয়েলভ, ইনফিনিটি, রেড অরিজিন, ফ্রিল্যান্ড, জেন্টল পার্ক, কিউরিয়াস, রাইজ, যাত্রা, র-নেশন, ফিওনা, মাইক্লো, আমব্রেলা, টেক্সমার্ট, অকাল্টসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসের শাখায়ও আছে মূল্যছাড়। কোনো নির্দিষ্ট পোশাকে সীমাবদ্ধ নয় সুযোগটি। শাড়ি, পাঞ্জাবি, শিশুদের পোশাক, শার্ট, প্যান্ট, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তা, ফতুয়া—সবকিছুতেই শতকরা হারে ছাড় রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ। কত দিন এই মূল্যছাড় বহাল থাকবে, জিজ্ঞেস করলে গুটিকয় ফ্যাশন হাউস ছাড়া বেশির ভাগ দোকানই উল্লেখ করে, যত দিন পর্যন্ত গচ্ছিত পণ্য শেষ না হবে, তত দিন চলবে এই ছাড়। পোশাকের পাশাপাশি ফ্যাশন হাউস রাইজে দুল, মাস্ক, ব্যাগ, জুতা, ছেলেদের বেল্ট, টাই, ব্যাগ, জুতা, স্যান্ডেলের ওপরও ছাড় পাওয়া যাচ্ছে।
ছাড়ে বেশ ভালো কেনাকাটার সুযোগ রয়েছে ছেলে ও শিশুদের পোশাকে। বাহারি ব্র্যান্ড যেমন আর্টিসান, রাইজ, ফিওনা, জেন্টল পার্ক, টুয়েলভ, আমব্রেলা যেন স্টক শেষ করতেই পোশাকের ভান্ডার খুলে বসেছে। আর্টিসানেও কেনাকাটা করতে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। ছেলেদের প্রায় সব ধরনের পোশাকের ওপর ১০ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড় চলছে। একই দৃশ্য দেখা গেল রাইজের শাখায়ও। আমব্রেলায় বেশির ভাগ পোশাক ৬০ শতাংশ মূল্যছাড়ে নেওয়া যাচ্ছে। মেয়েদের পোশাকে রয়েছে ৩০ শতাংশ ছাড়। নাগালের দামে শিশুদের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। ১ হাজার ৯০০ টাকার একটি ঘাগড়া দেখলাম ৬০ শতাংশ কমে ৮৪০ টাকার মধ্যে পেয়ে গেলেন এক ক্রেতা। অন্যদিকে ফিওনায় যেকোনো পাঞ্জাবির ওপর ৫০ শতাংশ ছাড়। অনলাইনেও এই সুবিধা দিচ্ছে তারা। বসুন্ধরা শপিং মলের বেবি শপে দেখা গেল, যেকোনো পোশাকের ওপর ৫০ শতাংশ ছাড়।
তবে মূল্যছাড়ে শখের পোশাকটি কিন্তু বেশ খুঁটিয়ে দেখেশুনে নিতে হবে। কারণ, কোনো ব্র্যান্ডই সেটা আর ফেরত কিংবা বদলি করবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের প্রশাসক হলেন আনোয়ার পাশা
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসক হয়েছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বার্তায় এই নিয়োগের বিষয়ে জানানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২-এর ১৭ ধারা অনুযায়ী, প্রশাসক ১২০ দিনের মধ্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সব প্রতিষ্ঠানেই পরিবর্তন আসছে। চেম্বারের সদস্যদের দাবির মুখে ৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজসহ জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি, সহসভাপতি ও ২১ জন পরিচালকের সবাই পদত্যাগ করেন। এই বাস্তবতায় চেম্বারের কার্যক্রম সচল রাখতে প্রশাসক নিয়োগ দিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চলতি অর্থবছরে রপ্তানির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১২.৪ শতাংশ
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানির আয়ের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১২.৪ শতাংশ ধরা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, অবস্থার প্রেক্ষিতটা পরিবর্তন হয়েছে। এ কারণে এবার রপ্তানি আয় আগের থেকে কমবে না। বরং আগের থেকে বেশি হবে। আমেরিকাও সবদিক থেকে ইতিবাচক দৃষ্টি রাখবে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর ১৪৬তম বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের ৫৯তম পরিচালনা পর্ষদ সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।
আপনারা কি এই অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্র ঠিক করেছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, রপ্তানি নিয়ে কিছু কিছু তথ্যগত ইস্যু ছিল। আমরা এগুলো নিয়ে আলাপ করেছি। যারা যারা তথ্য সংগ্রহ করে, আমরা সবগুলো চালু রাখবো। আমরা সবগুলো সমন্বয় করে সত্য চিত্র দেবো। এক একজন এক এক রকম তথ্য দেবে, সেটা হবে না। কিছুটা পার্থক্য থাকে, এটা স্বীকার করতে হবে। বিরাট অসংগতি দূর করা হবে।
তিনি বলেন, রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা হবে যুক্তি সংগত। বিভিন্ন কম্পোনেন্ট আছে রপ্তানির এগুলো দেখবো। বিভিন্ন পণ্য আছে ওগুলো দেখবো। আর রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব বাধা আছে রেগুলেটরি, ট্যাক্স সংক্রান্ত সেগুলো আমরা রিভিউ করবো। রপ্তানি যেন ডাইভারসিফাইড (বহুমুখীকরণ) করা হয়, সেটা আমাদের লক্ষ্য।
রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে আপনাদের প্রজেকশন কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা রিয়েলাইজড করেছি এটা (রপ্তানি প্রবৃদ্ধি) মোটামুটি ভালো হবে। অবস্থার প্রেক্ষিতটা চেঞ্জ হয়েছে, অতএব আগের থেকে কমবে না, আগের থেকে বেশি হবে।
আপনারা কি আমেরিকায় জিএসপি সুবিধা পাবেন এবার? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, জিএসপি সুবিধার জন্য এরইমধ্যে তাদের বলা হয়েছে। আমরা আবার চেষ্টা করবো। আমরা আশা করি, আমেরিকা আমাদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টি রাখবে সবদিক থেকে। অতএব জিএসপিটা পজেটিভ। আমরা অন্যান্যদের সঙ্গে আলাপ করছি রপ্তানির বিষয়ে।
চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি কত হতে পারে? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে সাহেলউদ্দিন আহমেদ বলেন, এবার রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১২.৪ শতাংশ।