পুঁজিবাজার
লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের নতুন এমডি হুমায়রা আজম

লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসির নতুন এমডি হিসেবে যোগদান করেছেন হুমায়রা আজম। আর্থিক খাতে তিনি গত ৩৪ বছর ব্যবসায়িক পুনর্গঠন ও পরিবর্ধনে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নেতৃত্বের পরিচয় দিয়ে আসছেন।
হুমায়রা আজম ব্যাংকিং ও নন-ব্যাংকিং খাতে দেশের প্রথম নারী প্রধান নির্বাহী হিসেবে ট্রাস্ট ব্যাংক ও আইপিডিসি ফাইন্যান্সে কর্মরত ছিলেন। পেশাগত জীবনে তিনি করপোরেট ব্যাংকিং, বাণিজ্যিক ব্যাংকিং, বৈদেশিক বাণিজ্য, ট্রেজারি, রিটেইল ব্যাংকিং, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, শাখা ব্যাংকিং, ইসলামিক ব্যাংকিং, ঋণ ব্যবস্থাপনা, মূলধন ব্যবস্থাপনা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সিকিউরিটিজের বিভিন্ন শাখায় কাজ করেছেন।
হুমায়রা আজম ১৯৯০ সালে এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি তিনটি বহুজাতিক ব্যাংক, একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং দুটি স্থানীয় বেসরকারি ব্যাংকের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার মেয়াদকালে এইচএসবিসি বাংলাদেশ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং আইপিডিসি ফাইন্যান্স শক্তিশালী কাঠামো গঠন থেকে শুরু করে ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং সফল কৌশল বাস্তবায়নে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।
হুমায়রা আজম সর্বশেষ ট্রাস্ট ব্যাংকে এমডি ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে ব্যাংকটি অপারেটিং মুনাফা, আমানত এবং বৈদেশিক রেমিট্যান্সে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করে। হুমায়রা আজমের মেয়াদকালে ট্রাস্ট ব্যাংক একাধিক মাইলফলক স্পর্শ করে, যার মধ্যে ভিসার প্রিন্সিপাল সদস্য হওয়া, মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করা এবং ইসলামী ব্যাংকিং বিভাগে স্বীকৃতি পাওয়া অন্যতম। তার অসামান্য নেতৃত্বে ট্রাস্ট ব্যাংক ২০২২ ও ২০২৩ সালে পরপর দুইবার সাসটেইনেবিলিটি রেটিংয়ে সেরা সাতটি ব্যাংকের মধ্যে স্থান করে নেয়।
অক্সফোর্ডের অ্যাডভান্সড লিডারশিপ প্রোগ্রাম হুমায়রা আজমকে বৈশ্বিক শীর্ষস্থানীয় নেতাদের একজন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়া তিনি ইনসিড থেকে অ্যাডভান্সড লিডারশিপ প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছেন। তিনি ক্যামব্রিজ আইএফএ কর্তৃক ওমেনআই ২০২১ ও ২০২২ প্রতিবেদনে ইসলামিক ব্যবসা ও অর্থায়নে প্রভাবশালী সাতজন নারীর মধ্যে জায়গা করে নেন।
হুমায়রা আজমের প্রাপ্ত পুরস্কারগুলোর মধ্যে জেসিআই উইমেন অব ইনস্পিরেশন অ্যাওয়ার্ড ও ব্র্যাক ব্যাংকের টপ উইমেন ব্যাংকার্স অ্যাওয়ার্ড উল্লেখযোগ্য।

পুঁজিবাজার
উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে ২৯৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে বিএটি বাংলাদেশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটি) লিমিটেড তার উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নতুন বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটি ২৯৭ কোটি টাকা (প্রায় ২০ মিলিয়ন বৃটিশ পাউন্ড) বিনিয়োগ করবে।
বুধবার (২৫ জুন) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে বিনিয়োগ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, রাজধানী ঢাকার মহাখালিতে অবস্থিত কোম্পানির সিগারেট উৎপাদন কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার প্রেক্ষিতে সাভারে অবস্থিত কারখানার উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ কারখানাতেই প্রস্তাবিত ২৯৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। কোম্পানির নিজস্ব তহবিল ও ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে বিনিয়োগের অর্থায়ন করা হবে। আর ক্যাশফ্লো পর্যালোচনা সাপেক্ষে কোথা থেকে কী পরিমাণ অর্থ যোগান দেওয়া হবে তা চূড়ান্ত করা হবে।
কাফি
পুঁজিবাজার
সংস্কার সুযোগকে কাজে লাগাতে না পারলে অনিশ্চয়তা আসবে: ড. আনিসুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, সংস্কার দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। এটি বাস্তবায়নে তাড়াহুড়োর সুযোগ নেই। প্রতিটি সংস্কারেরই অনিশ্চয়তা থাকে। সে কারণে রাজনীতিবিদদের চোখে সংস্কারকে দেখলে হবে না। বাংলাদেশীরা সৌভাগ্যবান। তাদের সামনে বারবার সুযোগ এসেছে। কিন্তু কোনো সুযোগকেই কাজে লাগাতে পারেনি। তাই সংস্কারকে অবশ্যই সময় দিতে হবে। নইলে অনিশ্চয়তা চলে আসবে। কারণ সংস্কার ব্যর্থ হলে পরিণতি ভালো হয় না।’
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে ডিএসই ব্রোকার্স আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার মনে হয়, অতীতের কোনো সরকার ক্যাপিটাল মার্কেটকে মেইন স্ট্রিমে এনে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা দরকার মনে করেনি। তবে অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ক্যাপিটাল মার্কেট নিয়ে চিন্তা করছেন।
তিনি আরও বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেটে যে নেগেটিভ ইক্যুয়িটির বিষয় রয়েছে সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে লিখিত কমিটমেন্ট নিয়ে এটা আমরা সমাধানের চেষ্টা করবো। অনেকে আলোচনা সমালোচনা করছেন সিদ্ধান্ত নিতে সময় নেই। যে কোনো পলিসির সাইড ইফেক্ট আছে, সেটা পজিটিভ বা নেগেটিভ। পলিসি মেকারকে সেই চিন্তা করতে হয়।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, অনেক সমস্যা আছে। কিন্তু এক সঙ্গে সব সমাধান করা যাবে না। একটা একটা করে সমাধান করতে হবে। রিফর্ম প্রসেসে এমন সময় লাগবে। রাজনীতিবিদরা সরকারকে প্রেসারে রাখার জন্য তাড়াহুড়া করে সংস্কার করতে বলে। বাংলাদেশে যা হচ্ছে তা একটি সেক্টরের রিফর্ম নয়। এটাকে সিস্টেমিক রিফর্ম বলে।
বলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, অনেক বাংলাদেশী যুবক-তরুণ বিদেশে বিনিয়োগ করছে। বাংলাদেশের বিষয়ে তাদের আগ্রহ রয়েছে। বাংলাদেশে তারা বিনিয়োগ করার সুযোগ খোঁজে। তাই আগামী আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসব আগ্রহী যুবক বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দেশের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে তাদের আলোচনার সুযোগ থাকবে। আলোচনার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার চেষ্টা করবে, তাতে দেশের উন্নয়ন হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, আইসিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ, ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, সিডিবিএল চেয়ারম্যান তপন চৌধুরী ও এফআইসিসিআই সভাপতি জাভেদ আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
পুঁজিবাজার
রপ্তানি আদেশ ও মুনাফা বাড়াতে চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের চুক্তি

পুঁজিবাজারে ট্যানারি খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি লিগ্যাসি ফুটওয়্যার পিএলসি রপ্তানি আদেশ ও মুনাফা বাড়াতে চীনের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান ওয়েনঝো হোনশেংডা ইন্ডাস্ট্রি কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। পাঁচ বছরের জন্য এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।
বুধবার (২৫ জুন) মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি।
জানা গেছে, এই চুক্তির আওতায় এইচএসডি প্রতিবছর ৩ লাখ জোড়া জুতা রপ্তানি আদেশ সংগ্রহ করবে, যা মাসিক প্রায় ২৫ হাজার জোড়ার সমান। পাশাপাশি চীনা এই প্রতিষ্ঠানটি লিগ্যাসি ফুটওয়্যারকে নির্ধারিত মানসম্পন্ন কাঁচামাল সংগ্রহে সহায়তা করবে এবং উৎপাদনে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও দক্ষ প্রযুক্তিবিদ সরবরাহ করবে।
কোম্পানিটি আশা করছে, এই চুক্তির মাধ্যমে বছরে প্রায় ৩৬.৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব অর্জিত হবে। এতে কোম্পানির বার্ষিক নিট মুনাফা ১২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৪ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
লিগ্যাসি ফুটওয়্যার বোর্ডের মতে, এই চুক্তি কোম্পানির রাজস্ব, মুনাফা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। কোম্পানি বলেছে, এটি প্রাসঙ্গিক প্রবিধান মেনে এবং শেয়ারহোল্ডার ও স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থে স্বচ্ছভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
লিগ্যাসি ফুটওয়্যার পিএলসি ২০০০ সালে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৪৩ কোটি টাকা। সর্বশেষ হিসাববছরে এর শেয়ার প্রতি নিট আয় (ইপিএস) ছিল ৭ পয়সা, যা তার আগের বছর ২৩ পয়সা ছিল।
কাফি
পুঁজিবাজার
বাজারের সূচক উঠানো নামানো আমাদের কাজ না: বিএসইসি চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মকসুদ বলেছেন, বিএসইসির কাজ রেগুলেট করা। বাজারের সূচক উঠানো নামানো আমাদের কাজ না। বাজারের উন্নয়নে পলিসি তৈরি করা এবং বাজারে তা কাজ করছে কিনা তা মনিটরিং করা আমাদের কাজ।
বুধবার (২৫ জুন) ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেটের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের স্তম্ভ মিউচ্যুয়াল ফান্ড। আমাদের বাজারে তার প্রভাব খুবই কম। আমরা জানি দেশের মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কি অবস্থা। কিভাবে হয়েছে কাদের জন্য হয়েছে। টাস্ক ফোর্স ইতিমধ্যে এসব বিষয়ে কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা একটা ভগ্ন প্রক্রিয়ার ইকোনোমি থেকে উঠে দাঁড়াচ্ছি। গত ৯ মাসে আমাদের কান্ডারিরা এই জাহাজ যে ঘুরিয়ে আনতে পেরেছে সেটিই একটি প্রশংসনীয় বিষয়।
রাশেদ মাকসুদ বলেন, বাজারে অনেক স্বল্প মূলধনী কোম্পানি বিরাট মূলধন দেখিয়ে ১০/২৭৫ বাজার থেকে অনেক টাকা নিয়ে গেছে। একা বিএসইসি নয় এই বাজারের জন্য ৪ টি নিয়ন্ত্রণ সংস্থার অনেক কিছু করার আছে। এখানে আইডিআরএ, এফআরসিও বাজারের বড় একটি অংশ।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের প্রধান অঙ্গিকার জবাবদিহিতা। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির যৌথ টাস্ক ফোর্স করতে যাচ্ছে। তারা কাজ করবে কোম্পানিগুলোকে ব্যাংকমুখী থেকে ফিরিয়ে শেয়ারবাজারমুখী করতে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী, অর্থ) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবেবিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, আইসিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ, ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, সিডিবিএল চেয়ারম্যান তপন চৌধুরী ও এফআইসিসিআই সভাপতি জাভেদ আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
পুঁজিবাজার
বিমা কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে বিএসইসির সেমিনার

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উদ্যোগে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা কোম্পানিসমূহের শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দের নিয়ে ‘কম্পিলিয়ান্স অফ সিকিউরিটিস মার্কেটস’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৫ জুন) সাড়ে ১০টায় বিএসইসি ভবনের মাল্টিপারপাস হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির পরিচালক মো. আবুল কালাম।
অনুষ্ঠিত সেমিনারে এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, সিটি ইন্স্যুরেন্স পিএলসি, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স পিএলসি, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স পিএলসি, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স পিএলসি, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স পিএলসি, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি, নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, সেনা ইন্স্যুরেন্স পিএলসি, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দ (ব্যবস্থাপনা পরিচালক/পরিচালক/কোম্পানি সচিব/সিইও/সিএফও) উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা কোম্পানিসমূহের কর্মকর্তাবৃন্দ জুম লিংকের মাধ্যমে উক্ত সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা কোম্পানিসমূহের কমপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ, কমপ্লায়েন্সের নিয়মাবলী, কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলির আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশনসের (আইওএসসিও) নীতি অনুসারেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক যথাসময়ে ও সঠিকভাবে ডিসক্লোজার দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানসমূহের যথাসময়ে ও সঠিকভাবে ডিসক্লোজার প্রদান করলে সেটি বিনিয়োগকারীদের ভালো বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণেও সহায়ক ভূমিকা রাখে। সেমিনারে কোম্পানিসমূহকে নিয়মাফিক ডিসক্লোজার প্রদানের বিষয়েও বলা হয়েছে। সর্বোপরি, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানীসমূহের কমপ্লায়েন্স জোরদার করে কোম্পানিসমূহের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সুশাসন নিশ্চিতের বিষয়ে উক্ত সেমিনারে আলোচনা হয়েছে। অংশগ্রহণকারী বীমা কোম্পানিসমূহের শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দও সেমিনারে কমপ্লায়েন্স সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কথা বলেন এবং অভিজ্ঞতার কথা জানান।
সর্বোপরি, রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স ও প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিতকরণ এবং পুঁজিবাজারে কর্মরত পেশাজীবীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদারে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বিএসইসি যার ধারাবাহিকতায় বিএসইসি এবছর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মোট ৩৫৯টি কোম্পানীর শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দের নিয়ে পুঁজিবাজারের কমপ্লায়েন্স বিষয়ে সফলভাবে মোট ৬টি সেমিনার কর্মশালা আয়োজন করেছে। রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স ও প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিতকরণ এবং পুঁজিবাজারে কর্মরত পেশাজীবীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিএসইসির এধরণের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। এর মধ্য দিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও কোম্পানীর শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দের সমন্বয় বৃদ্ধি এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে আগামীতে পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
কাফি