জাতীয়
অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে: ইউএই প্রেসিডেন্ট

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রেসিডেন্ট শেখ মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
বুধবার (২৮ আগস্ট) তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, টেলিফোন আলাপে প্রেসিডেন্ট শেখ মোহামেদ আশা প্রকাশ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জন্য সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে।
আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের স্বার্থকে এগিয়ে নিতে এবং দুই দেশের জনগণের প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা পূরণে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ইউএই প্রেসিডেন্ট শেখ মোহামেদ।
মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।
আরব বিশ্বে সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার। পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানি করতে অনেক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ইউএই’র বন্দর ব্যবহার করে থাকেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে তার উদার অনুভূতির জন্য ধন্যবাদ দেন এবং সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা সংযুক্ত আরব আমিরাতের অব্যাহত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। ড. ইউনূস দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার এবং পারস্পরিক সুবিধার জন্য দৃঢ় ও স্থায়ী সম্পর্ক গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থনের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ দেন এবং তার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রেসিডেন্ট শেখ মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নেতৃত্বে উপসাগরীয় আরব দেশ ইউএই বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের খুব ভালো বন্ধু এবং লাখ লাখ মানুষ এই উপসাগরীয় দেশটিতে তাদের জীবিকার সন্ধান পেয়েছেন। এটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর রেমিট্যান্সের প্রধান উৎসে পরিণত হয়েছে।
ইউএই’র প্রশংসা করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং এটি প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য অন্যতম বড় উদার দেশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
গাজায় ইসরায়েলি হমলার প্রতিবাদে সায়েন্সল্যাবে বিক্ষোভ মিছিল

গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর সাইন্সল্যাব মোড়ে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সোমবার (৭ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সায়েন্সল্যাব এলাকায় তিনটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি মিছিল সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে শুরু হয়ে বাটা সিগন্যালে গিয়ে শেষ হয়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্টার টেকের কর্মীরা এ বিক্ষোভে অংশ নেন। প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মী বলেন, দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি। গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী যেভাবে সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংস হামলা চালাচ্ছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি আরও বলেন, শিশু, নারী ও নিরীহ মানুষদের ওপর ইসরায়েলি হামলা আজ মানবতাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। অথচ বিশ্ব আজ নিশ্চুপ। কোথায় গেল সেই মানবতা, কোথায় গেল নৈতিকতা?
বিক্ষোভকারীরা প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘স্টপ কিলিং ইন গাজা’সহ নানা স্লোগান দেন। শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচি চলাকালীন সড়কে যান চলাচলে সাময়িক কিছুটা সমস্যা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল।
অন্যদিকে বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব এলাকায় আসেন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের বিক্ষোভ মিছিলটি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়। পরে তারা মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব এলাকায় এসেছেন।
তারা বলেন, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় নির্মমভাবে মানুষকে হত্যা করছে। তাদের এই হত্যাযজ্ঞ দেখে বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ এবং ব্যথিত। তারা চান দ্রুত যেন বিশ্ববাসী এ গণহত্যা বন্ধ করে।
উল্লেখ্য, ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী মানুষ ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ

আজ ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার ও সকলকে সুষ্ঠু স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করার বিষয়টি সুনিশ্চিত করার জন্য এই দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য‘জন্ম হোক সুরক্ষিত, ভবিষ্যৎ হোক আলোকিত’।
দিবসটি উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সব স্তরের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি সুরক্ষিত ও আলোচিত জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বে দাঁড় করাতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু কমানোর লক্ষ্যে অধিকতর কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। এ জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব পর্যায় থেকে সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি।’
১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ অর্থনীতি ও সমাজ পরিষদ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়। একই বছরের জুন ও জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন গৃহীত হয়।
১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল এ সংগঠন আইন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়। এদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস বলে নির্ধারিত হয়। প্রতিবছর সংস্থাটি এমন একটি স্বাস্থ্য ইস্যু বেছে নেয়, যা বিশেষ করে সারা পৃথিবীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এদিন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয় এ দিবসটি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তিন সচিব পদে রদবদল

তিন মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে রদবদল করেছে সরকার। রোববার (০৬ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো পৃথক তিন প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামাল উদ্দিনকে বাস্তবায়ন পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে (আইএমইডি) বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. নিজাম উদ্দিনকে জনপ্রশাসন সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খানকে পদোন্নতি দিয়ে সিনিয়র সচিব করে একই মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগকে (বিআরআই) বাংলাদেশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। চীনের গণমাধ্যম সিজিটিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি। শনিবার (৫ এপ্রিল) ওই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়।
সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে চাইনিজ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর মাধ্যমে দু-দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় সম্ভব হবে।
এ সময় চীনের সঙ্গে থাকা সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা। বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ এবং শিল্প কারখানা স্থানান্তর করার আহ্বান জানান তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নির্বাচনের সব কাজ ভালোভাবে এগোচ্ছে: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও নির্বাচনী আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণসহ সব কাজ ভালোভাবে এগোচ্ছে।
আজ রবিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগদান করে এ কথা জানান তিনি।
এদিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সিইসি। এ সময় অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম সুন্দর ও অল্প সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য কর্মকর্তাদের ভূয়সী প্রশংসা করে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আপনারা অসাধ্য সাধন করেছেন। আপনারা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোটার নিবন্ধনের কাজ করেছেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, এনআইডি ও সীমানা পুনর্নির্ধারণসহ নির্বাচনের সব কাজ ভালোভাবে এগোচ্ছে। আপনারা খুবই ভালো কাজ করছেন এবং প্রতিটি পদক্ষেপ সরকারকে সময়ে সময়ে জানানো হচ্ছে।
সবশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম এখনও চলছে, যা শেষ হবে আগামী ১১ এপ্রিল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে চায় বাংলাদেশ

চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগকে (বিআরআই) বাংলাদেশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ এবং শিল্প কারখানা স্থানান্তর করার আহ্বান জানান তিনি। এতে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের ভূমি পরিবেষ্টিত দেশ উপকৃত হবে বলে মত প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
দেশটির গণমাধ্যম সিজিটিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (৫ এপ্রিল) চার মিনিটের ওই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়।
সাক্ষাৎকারে চীনের সঙ্গে থাকা সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে চাইনিজ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রস্তাব দেন প্রধান উপদেষ্টা। এর মাধ্যমে দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় সম্ভব হবে বলে মত দেন তিনি।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে আছে বাংলাদেশ, দেশকে এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি মন্তব্য করেন, শান্তিই একমাত্র সমাধান, যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধের কোনো প্রয়োজন নেই।
চীন সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর ও ফলপ্রসূ হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন ইউনূস।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার ৫০ বছরের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সাফল্যকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, চীন তার জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে বাংলাদেশের রূপান্তরে সহযোগিতা করে যাবে।
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ প্রদেশ হাইনানে ২৬ থেকে ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) ২০২৫-এর বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন ইউনূস। এরপর তিনি বেইজিং সফর করেন-যা প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তার প্রথম সফর এই শহরে।