শিল্প-বাণিজ্য
সাফল্য আসেনি ইএফডি প্রকল্পে, বিকল্প ভাবছে এনবিআর

ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইসের (ইএফডি) বিকল্প খোঁজার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। জুনের মধ্যে ৩০ হাজার মেশিন বসানোর কথা থাকলেও তাতে ব্যর্থ হয়েছে পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান জেনেক্স ইনফোসিস। এতে এক বছরেও প্রত্যাশিত সাফল্য না পাওয়ায় ইএফডি ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে এনবিআর।
একই সঙ্গে এনবিআর স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী মেশিন আমদানিতে নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সাফল্য না আসায় ইএফডির বিকল্প ভাবছে এনবিআরএনবিআর বলছে, জেনেক্স ইনফোসিসের শর্ত লঙ্ঘন, মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অসহযোগিতা ও প্রয়োজনীয়সংখ্যক ইএফডি চালু না করায় ইএফডি প্রকল্পে সাফল্য আসেনি। এই পরিস্থিতিতে ইএফডি ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সেই সঙ্গে ইএফডি মেশিনের বিকল্প খুঁজে বের করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠকে কার্যকর ও সমন্বিত অটোমেশন নিশ্চিতের তাগিদ দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে উপস্থিত এনবিআরের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা বলেন, ইএফডি ব্যবস্থা পরিচালনার দায়িত্ব পায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেনেক্স। কিন্তু তারা সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। গত জুনের মধ্যে ৩০ হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ইএফডি বসানোর কথা থাকলেও মাত্র ১৫ হাজার ৯৯৫টি বসাতে পেরেছে তারা। এর মধ্যে আট হাজার মেশিনের ক্ষেত্রে এনবিআরের স্পেসিফিকেশন না মেনে আমদানির নীতিমালাও লঙ্ঘন করা হয়েছে। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে শিগগিরই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। আরো কিছু কারণ আছে। যার ফলে এই ব্যবস্থা আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করেনি। এ অবস্থায় বিকল্প ভাবছি আমরা।
বিকল্প কী হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে এনবিআরের মধ্যকার উইংগুলোর মধ্যে ডিজিটাল ইন্টিগ্রেশন, এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইন্টিগ্রেশন তৈরি করার পর তা ঠিক করা হবে।
পাঁচ বছর ধরে আলোচনার পর গত বছর চালু করা হয় ইএফডি ব্যবস্থা। লক্ষ্য ছিল, ২৫ ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের লেনদেনের তথ্য ট্র্যাক ও সঠিকভাবে ভ্যাট আদায় করা। কিন্তু এ ব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায়নি এনবিআর।
ইএফডি মেশিন
২০১৮ সালের আগ পর্যন্ত কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রারের (ইসিআর) মাধ্যমে ভ্যাট আদায় করা হতো। তবে ২০১৮ সালে ২৫ ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে এসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ইএফডির মাধ্যমে ভ্যাট আদায়ের উদ্যোগ নেয় এনবিআর। ব্যবস্থাটি এনবিআরের সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত রাখার কথা ছিল। কোনো পণ্য বিক্রির তথ্য এতে ইনপুট দিলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনবিআরে রক্ষিত সার্ভারে যুক্ত হবে এবং ভ্যাটের পরিমাণ দেখা যাবে এমনটাই ছিল পরিকল্পনা।
তবে ভ্যাট ফাঁকি রোধের জন্য এই ব্যবস্থা চালু করতে পাঁচ বছর দেরি হয়। শুরুতে প্রায় এক বছর পরীক্ষামূলকভাবে কিছু প্রতিষ্ঠানে চালু হওয়ার পর গত বছরের আগস্টে জেনেক্স ইনফোসিসের মাধ্যমে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দেয় এনবিআর। বছরে ৬০ হাজার এবং পরের পাঁচ বছরে তিন লাখ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এই মেশিন স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও মাত্র ১৫ হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এসেছে ইএফডির আওতায়।
শুরুর আগে থেকেই ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জেনেক্স ইনফোসিসের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে আপত্তি ছিল। তাঁরা জানান, শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি না করে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করলে এনবিআর উপকৃত হতো। একটি প্রতিষ্ঠান কাজ পেলে সেখানে কোনো জবাবদিহি থাকে না এবং স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগ থাকে। এ ছাড়া চুক্তির প্রক্রিয়া নিয়েও কথা বলেছেন অনেকে।
ইএফডি মেশিনের মাধ্যমে ভ্যাট আদায়ের দায়িত্ব পাওয়ার আগে থেকেই ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ ছিল জেনেক্স ইনফোসিসের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আদনান ইমাম ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কোটি টাকা লেনদেন করলেও রিটার্ন জমা না দেওয়ার অভিযোগ আছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিল্প-বাণিজ্য
বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপালে গেলো আরও ২৫২ টন আলু

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে গেল আরও ২৫২ মেট্রিক টন এস্টারিক্স আলু। বুধবার (২৬ মার্চ) উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকার একদিন পর বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ১২টি ট্রাকে আলুগুলো নেপালে পাঠানো হয়।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন এতথ্য নিশ্চিত করেন ।
জানা গেছে, থিংকস টু সাপ্লাই, ফাস্ট ডেলিভারি, হোসেন এন্টার প্রাইজ ও প্রসেস অ্যাগ্রো নামে চারটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও নীলফামারী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আলুগুলো সংগ্রহ করে নেপালে রপ্তানি করে। এ নিয়ে বন্দরটি দিয়ে এ বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি মার্চ মাসের বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) পর্যন্ত কয়েক ধাপে বাংলাদেশ থেকে ২ হাজার ৩৩১ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি করা হয়েছে নেপালে।
উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেনর বলেন, রপ্তানি করা আলুগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পাঠানোর ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বন্দরটি দিয়ে নেপালে ২৩১ মেট্রিক টন আলু পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত নতুন করে পাঠানো আলুসহ গত তিন মাসে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ২ হাজার ৩৩১ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি ছুটিসহ আগামী শনিবার (২৯ মার্চ) থেকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বন্দরে ছুটি থাকায় আগামী ৬ এপ্রিল থেকে পুনরায় বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে এবং রপ্তানিকারকদের মাধ্যমে আবারও আলু নেপালে পাঠানো হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
ভোমরা বন্দর দিয়ে ৯ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে টানা ৯ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে, দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা জানান, ২৯ মার্চ (শনিবার) থেকে ৫ এপ্রিল (শনিবার) পর্যন্ত বন্দর দিয়ে কোনো আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে না। তবে ৬ এপ্রিল (রোববার) থেকে পুনরায় বন্দর সচল হবে।
তিনি জানান, ২৮ মার্চ বিকেল থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঘোজাডাঙা স্থলবন্দর ও ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। ঈদ উদযাপনের জন্য বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ এলাকায় চলে যাবেন। একইভাবে, আমদানিকারকরা ছুটিতে থাকবেন, ফলে এই সময়ে কোনো পণ্য খালাস করা হবে না।
ভোমরা স্থলবন্দর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ত বন্দর। এই বন্দর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঘোজাডাঙা স্থলবন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত। এখান দিয়ে কাঁচামাল, খাদ্যপণ্য, পেঁয়াজ, চাল, ফলমূল, কয়লা, মশলা ও বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে।
এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩৫০-৪০০ ট্রাক পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়।
ভোমরা চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদের ছুটিতে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে। অর্থাৎ, যাত্রীরা পূর্বের মতোই নির্বিঘ্নে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
নেপালে গেলো আরও ২১০ মেট্রিক টন আলু

আলু রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে দেশের চারদেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা। বন্দরটি দিয়ে নিয়মিত আলু রপ্তানি হচ্ছে নেপালে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে স্থলবন্দরটি দিয়ে ২৩১ মেট্রিক টন আলু নেপালে যাওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টাইন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন।
উজ্জ্বল হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ১১টি ট্রাকে বন্দরটি দিয়ে ২৩১ মেট্রিক টন আলু নেপালে গেছে। আলুগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ২০৭৯ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানিকারকরা প্রয়োজনীয় ডুকুমেন্ট অনলাইনে আবেদন করে উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রে ল্যাবে পরীক্ষা করার পর ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়।
তিনি আরও জানান, আজ বন্দরটি দিয়ে থিংকস টু সাপ্লাই, আমিন ট্রেডার্স, ফাস্ট ডেলিভারি ও সুফলা মাল্টি প্রোডাক্ট লিমিটেড নামে চারটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আলুগুলো রপ্তানি করেছে। এছাড়াও হুসেন এন্টারপ্রাইজ, ক্রসেস এগ্রো, লোয়েড বন্ড লজেস্টিক নামে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো নেপালে আলু রপ্তানি করছে। জাতগুলো হলো স্টারিজ এবং লেডিও রোজেটা।
বন্দরটি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। অপরদিকে মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক দানা, রেললাইনের স্লিপার, খৈল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
চীনের সঙ্গে মোংলা বন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের অ্যাগ্রিমেন্ট সই

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে জি টু জি ভিত্তিক সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) কার্য ও পণ্য কার্যক্রম সম্পাদনের নিমিত্ত চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) এবং মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে কমার্শিয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, মোংলা বন্দর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর। এ বন্দরটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মোংলা বন্দরকে আঞ্চলিক বাণিজ্যিক কেন্দ্রতে পরিণত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতায় চীনের চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশনের (সিসিইসিসি) সঙ্গে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের কমার্শিয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর সম্পন্ন হলো। নিঃসন্দেহে এ প্রকল্পটি মোংলা বন্দরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য এক অনন্য মাইলফলক। আমি বিশ্বাস করি এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মোংলা বন্দর একটি আধুনিক, স্বয়ংক্রিয় (অটোমেশন) ও গ্রিন পোর্টে রূপান্তরিত হবে। মোংলা বন্দরকে কোল্ড পোর্টেও রূপান্তরের আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা দ্রুততম সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি এ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সবাইকে বিশেষ করে অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টাদ্বয়ের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এসময় নৌপরিবহন উপদেষ্টা চীন সরকার এবং চীনের জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করবেন মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা মোংলা বন্দর ব্যবহার করে অত্যন্ত সহজভাবে বাংলাদেশ থেকে আমসহ বিভিন্ন ফল-মূল, সবজি ও চিংড়ি মাছসহ অন্যান্য মাছ আমদানির জন্য চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
চীনা রাষ্ট্রদূত উপদেষ্টার এ আহ্বানকে স্বাগত জানিয়ে আসন্ন আমের মৌসুমে মোংলা বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে চীনে আম ও আমজাত দ্রব্য আমদানি করা হবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার চীনে আসন্ন সফরকে ঐতিহাসিক ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, নিঃসন্দেহে বন্ধু প্রতীম দুই দেশের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক ঘটনা। এটি দুই দেশের মধ্যেকার বিদ্যমান বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। গুরুত্বপূর্ণ এ সফরের মধ্য দিয়ে উভয় দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে বলে আমরা আশা করি।
প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪,০৬,৮২২.৭২ লক্ষ টাকা (জিওবি ৪৭,৫৩২.৯৭ লক্ষ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ ৩৫৯২৮৯.৭৫ লক্ষ টাকা) এবং প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি, ২০২৫ হতে ডিসেম্বর, ২০২৮ পর্যন্ত। প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য আধুনিক বন্দর সুবিধাসহ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। প্রকল্পের প্রধান প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে ৩৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যের দুইটি কন্টেইনার জেটি নির্মাণ, লোডেড এবং খালি কন্টেইনারের জন্য ইয়ার্ড নির্মাণ, জেটি এবং কন্টেইনার মজুদ ও ইকুইপমেন্ট পরিচালন অটোমেশনসহ অন্যান্য সুবিধাদি। উল্লেখ্য, প্রকল্পটি যথাক্রমে একনেক এবং উপদেষ্টা পরিষদের ক্রয়সংক্রান্ত কমিটিতে ২০২৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি এবং ১১ মার্চ অনুমোদিত হয়।
চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশনের (সিসিইসিসি) পক্ষে কে চেংলিএং এবং মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান কমার্শিয়াল অ্যাগ্রিমেন্টে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ মন্ত্রণালয় এবং চীনা দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
ঈদের ছুটিতে শুল্ক স্টেশনে চালু থাকবে আমদানি-রপ্তানি সেবা

ঈদুল ফিতরের ছুটি চলাকালীন আগামী ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত কাস্টম হাউস বা স্টেশনগুলোর আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব রোর্ড (এনবিআর)। তবে শুধু ঈদের দিন শুল্ক স্টেশনগুলো বন্ধ থাকবে।
বুধবার (১৯ মার্চ) এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস: নীতি) মুকিতুল হাসানের সই করা চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত (ঈদের দিন ব্যতীত) সাপ্তাহিক ছুটি ও ঈদের ছুটির দিনগুলোতে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম সীমিত আকারে চলমান রাখার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, বেনাপোল, আইসিডি, কমলাপুর, মোংলা, পানগাঁও কাস্টম হাউসের কমিশনারদের কাছে এ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা (উত্তর), ঢাকা (পশ্চিম), ঢাকা (পূর্ব), ঢাকা (দক্ষিণ), চট্টগ্রাম, রাজশাহী, যশোর, খুলনা, সিলেট, রংপুর, কুমিল্লা কাস্টমসের এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনারকেও এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
তৈরি পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমইএর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১৩ মার্চ এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর সংগঠনটির পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছিল।