কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ও পাম পে’র মধ্যে চুক্তি
গ্রাহকদের কাছে প্রযুক্তি সহজলভ্য করতে নতুন ডিজিটাল ঋণ সুবিধা নিয়ে কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফাইন্যান্স এবং বহুজাতিক ফিনটেক উদ্ভাবক কোম্পানি পাম পে লিমিটেড। যার সদর দপ্তর লন্ডন ও চীনে অবস্থিত।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) তারিখে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর কার্যক্রমটি অনুষ্ঠিত হয়। এই চুক্তিটি দেশের আর্থিক খাতে বিদেশি তহবিলের উল্লেখযোগ্য প্রবাহের সূচনা করেছে যা আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
এই চুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকরা টেকনো, আইটেল, এবং ইনফিনিক্স মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য মাত্র ১০% ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণের মাধ্যমে ক্রয় করতে পারবেন। বাকি অর্থ ছয় মাসের মধ্যে সহজ শর্তে পরিশোধ করা যাবে। সম্পূর্ণ ডিজিটাল এই অর্থায়ন প্রক্রিয়ার অনুমোদনের জন্য প্রয়োজন হবে শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্রের, ফলে এখানে ক্রেডিট কার্ডের কোন প্রয়োজন নেই। তাছাড়া, গ্রাহকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে আর্থিক এই সেবাটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে তারা যেকোনো ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে ইএমআই পরিশোধ করতে পারবেন, এবং এর জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো শাখায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মানোয়ার হোসেন, ডিরেক্টর ফরকান এন হোসেন, চিফ রিস্ক অফিসার সুমন কুমার কুন্ডু, চিফ টেকনোলজি অফিসার মো. ফয়সাল হোসেন এবং গ্রুপ হেড অব অপারেশনস মো. রফিকুল আমিন। পাম পের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন হেড অব ওভারসিজ ফাইন্যান্স বিন বিন ফ্যান, হেড অব স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ অ্যান্ড বিজনেস মো. সফকাত ইসলাম এবং ডিরেক্টর ও কান্ট্রি হেড জুন জেং।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কায়সার হামিদ এই চুক্তি সম্পর্কে তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “এই চুক্তিটি আমাদের গ্রাহকদের একটি কাস্টমাইজড আর্থিক সুবিধা প্রদান করতে সহায়তা করবে যা তাদের আর্থিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করবে। পাম পে লিমিটেডের সঙ্গে এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে আমরা আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছি এবং প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগুলো গ্রাহকের আরও হাতের নাগালে এনে দিতে পারছি। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং স্থানীয় মুদ্রাস্ফীতির চাপের মধ্যে বিদেশি তহবিলের এই প্রবাহ দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি। এছাড়া, স্থানীয় অর্থনীতিতে বৈদেশিক বিনিয়োগ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স আরও বৃহত্তর গ্রাহকগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবা প্রদানের সুযোগ তৈরি করতে পারবে, যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে উদ্দীপিত করবে, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ত্বরান্বিত করবে এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। তাছাড়া, এই বাড়তি তারল্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের আর্থিক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে, যা প্রতিযোগিতামূলক ইন্টারেস্ট রেট এবং টার্মস প্রদানে সহায়ক হবে।”
পাম পে লিমিটেডের ডিরেক্টর ও কান্ট্রি হেড জুন জেং বলেন, “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের সঙ্গে এই চুক্তির মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের জন্য এই উদ্ভাবনী ক্রেডিট সুবিধা নিয়ে আসতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। এই পার্টনারশীপ আমাদের চলমান প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে, যেখানে আমরা গ্রাহকদের প্রযুক্তি চাহিদা মেটাতে সহজলভ্য এবং সুবিধাজনক সেবা প্রদান করে আর্থিক সেবা খাতে বিপ্লব ঘটাতে চাই।”
এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ডিজিটাল ঋণ সুবিধা আরও উন্নত হবে, যা গ্রাহকদের নিকট টেকনো, আইটেল, এবং ইনফিনিক্স পণ্যসমূহ আরও সহজলভ্য করে দিবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক পণ্য সরবরাহ এবং দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা শক্তিশালী করতে বিদেশি এই তহবিল বাংলাদেশ ফাইন্যান্সকে বিশেষ সহায়তা করবে। বৃহত্তর মূলধনের ভিত্তি নিয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স আরও ভালোভাবে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে এবং স্থানীয় ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে সহায়তা করতে সক্ষম হবে। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে আগ্রহী গ্রাহকরা টেকনো মোবাইল স্টোর অথবা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বরগুনায় প্রান্তিক মানুষের মাঝে প্রকাশ্যে ঋণ বিতরণ
বরগুনা জেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নিম্ন আয়ের প্রান্তিক মানুষদের মাঝে প্রকাশ্যে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পুন:অর্থায়ন তহবিল কর্মসূচির আওতায় প্রান্তিক মানুষের আর্থিক অন্তর্ভূক্তি নিয়ে মতবিনিময় সভা ও ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে ১০ টাকার হিসাবধারী ৬৯ জন গ্রাহকের নিকট এই ঋণের চেক হস্তান্তর করা হয়। এই অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বরগুনার আরডিএফ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের অতিরিক্ত পরিচালক সোহেলী আফরীন। এতে সভাপতিত্ব করেন এনআরবিসি ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিং ডিভিশন ও বরিশাল-খুলনা জোনের প্রধান এসইভিপি একেএম রবিউল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক দেবাশীষ রায়, মাইক্রো ফাইন্যান্স ডিভিশনের প্রধান মো. রমজান আলী ভূইয়াঁ, সোনালী ব্যাংকের উপ মহাব্যবস্থাপক মো. সেলিম হায়দার, এনআরবিসি ব্যাংকের বরিশাল শাখার ম্যানেজার কৃষিবিদ মো. আব্দুল হালিম, বরগুনা শাখার ম্যানেজার ও এরিয়া ইনচার্জ মো. দেলোয়ার হোসেন, বরিশাল-পিরোজপুর এরিয়া ইনচার্জ সৈয়দ জাহিদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় ও ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে ১৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের মাঝে প্রকাশ্যে বিনাজামানতের এ ঋণ বিতরণ করে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এনআরবিসি ব্যাংকের ২৩ জন গ্রাহককের ঋণের চেক তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে সোনালী ব্যাংকের ৭ জন, অগ্রণী, বাংলাদেশ কৃষি ও ইসলামী ব্যাংকের ৫ জন করে, ইউসিবি, উত্তরা, রূপালী, জনতা, আল আরাফাহ, পূবালী ও ব্র্যাক ব্যাংকের ২ জন করে গ্রাহকের হাতে চেক হস্তান্তর করা হয়। গ্রাহকদের সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ লাখ ঋণ বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক সোহেলী আফরীন বলেন, দেশের নিম্ন আয়ের মানুষদেরকে অল্প টাকায় অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ দিয়ে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের সুযোগ অবারিত করেছে। খুব সাধারণ তথ্য দিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন। জামানত লাগছে না, অতিরিক্ত কাগজপত্র লাগছে না। এর সুফল অর্থনীতি পাচ্ছে, দেশ পাচ্ছে। আমরা চাই আজকের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা একসময় বড় উদ্যোক্তা হয়ে গড়ে উঠবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক দেবাশীষ রায় বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য গ্রাহকের সমস্যা সমাধান করা। গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে আমরা চায় অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা। দেশের একটি মানুষও ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকবে না- সেই লক্ষেই আর্থিক অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এনআরবিসি ব্যাংকের একেএম রবিউল ইসলাম বলেন, দেশের গণমানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। প্রত্যন্ত গ্রামের প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক, জেলে, কামার, কুমার, অতি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মাত্র ১০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ দিয়ে তাদের মাঝে ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। এই প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক যে তহবিল গঠন করেছে সেই তহবিল থেকে এ পর্যন্ত এনআরবিসি ব্যাংক ৯৩ কোটি টাকা যা ৩ হাজার উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা ও সহযোগিতায় এনআরবিসি ব্যাংক প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাবে।
এনআরবিসি ব্যাংকের মো. রমজান আলী ভূইয়াঁ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যে সুযোগ দিয়েছে সেই সুযোগ ব্যবহার করে মানুষকে কিভাবে সহায়তা করা যায় সেই কাজ করছে ব্যাংক। আমাদের লক্ষ্য দেশের অর্থনীতিকে জাগরিত করা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে কনকর্ড আর্কিটেকচারের চুক্তি
বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রাইম ব্যাংক পিএলসির সাথে চুক্তি সই করেছে কনকর্ড আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইনটেরিয়র ডেকোর লিমিটেড। সম্প্রতি গুলশানে ব্যাংকের করপোরেট অফিসে প্রতিষ্ঠানগুলোর চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রাইম ব্যাংকের কার্ডধারীরা কনকর্ড আর্কিটেক্টস অ্যান্ড ইন্টেরিয়র ডেকর লিমিটেড থেকে ডিজাইন কনসালটেন্সি সেবা এবং এক্সিকিউশনে চমৎকার অফার উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও পরিবারসহ ফ্যান্টাসি কিংডম এবং ফয়েজ লেক রিসোর্টে থাকার জন্য পাবেন বিশেষ ছাড়।
প্রাইম ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. নাজিম এ চৌধুরী এবং কনকর্ড আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইনটেরিয়র ডেকোর লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার অনুপ কুমার সরকার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রাইম ব্যাংক পিএলসির হেড অব লায়াবিলিটি মামুর আহমেদ; হেড অফ কাস্টমার প্রোপসিশন হোসাইন মোহাম্মদ জাকারিয়া এবং কনকর্ড আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইনটেরিয়র ডেকোরের ম্যানেজার- সেলস ও মার্কেটিং মো.নাজমুল ইসলাম (তানিম); সিনিয়র এক্সিকিউটিভ- ব্র্যান্ড মার্কেটিং মো.মাজাহার আলী হিমুসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করলো সাউথইস্ট ব্যাংক
কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র- “কৃষি খাতের উৎপাদন বৃদ্ধি” “কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়” এবং “কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ”-এর জন্য এ সহায়তা প্রদান করা হয়।
সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দিন মো. ছাদেক হোসাইন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে “মৌসুমি” এনজিওর মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষকদের হাতে এই আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। বিশেষ তহবিলের মাধ্যমে প্রদত্ত এই সহায়তা প্রান্তিক কৃষকদের উন্নয়নে ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
সাউথইস্ট ব্যাংক “মৌসুমি” এনজিওর সাথে সমন্বয় করে এই সহায়তা প্রেরণ করেছে। সহায়তাপ্রাপ্ত কৃষকদের পাশাপাশি “মৌসুমি” এনজিওর চিফ এক্সিকিউটিভ মোহাম্মদ হোসেন শাহিদ ইকবাল এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাছুম উদ্দিন খান ও আবিদুর রহমান চৌধুরী এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
এভারকেয়ার হাসপাতালে ১১০০ হৃদরোগীর এনজিওপ্লাস্টি সম্পন্ন
বন্দরনগরীর সর্ববৃহৎ হাসপাতাল এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রাম ১১০০ জনেরও বেশি হৃদরোগীর এনজিওপ্লাস্টি বা স্টেন্টিং (পিটিসিএ) চিকিৎসা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এই সাফল্য চট্টগ্রামসহ আশপাশের অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে এভারকেয়ার হাসপাতালের প্রচেষ্টার প্রমাণস্বরূপ। সাফল্য উদযাপনে হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে একটি প্রেস ইভেন্ট আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রামের হৃদরোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডাঃ শেখ মোহাম্মদ হাছান মামুন; হৃদরোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ জহির উদ্দিন মাহমুদ ইলিয়াছ; হৃদরোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ তারিক বিন আব্দুর রশিদ ও এভারকেয়ার হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার সামির সিং।
অনুষ্ঠানে এনজিওপ্লাস্টি/স্টেন্টিং (পিটিসিএ) চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং হৃদরোগের চিকিৎসায় এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রামের সক্ষমতা সম্পর্কে চিকিৎসাবৃন্দ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত হৃদরোগীরা এভারকেয়ার হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন ।
এ সময় এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রামের চিফ অপারেটিং অফিসার সামির সিং বলেন, “আমরা ১১০০ জনেরও বেশি হৃদরোগীর এনজিওপ্লাস্টি/ স্টেন্টিং (পিটিসিএ) চিকিৎসা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরে গর্বিত। এই মাইলফলকটি বিশ্বমানের কার্ডিয়াক যত্ন প্রদানের জন্য আমাদের অটল প্রতিশ্রুতি এবং আমাদের অত্যন্ত দক্ষ চিকিৎসা দলের উৎসর্গকে প্রতিফলিত করে। এভারকেয়ারে রোগীর নিরাপত্তা এবং ক্লিনিকাল শ্রেষ্ঠত্ব আমরা যা কিছু করি তার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে এবং আমরা স্বাস্থ্যসেবার সর্বোচ্চ মান সহ সেবা চালিয়ে যাবো।
প্রফেসর ডাঃ শেখ মোহাম্মদ হাছান মামুন বলেন, “এই অর্জন আমাদের দক্ষতা ও ডেডিকেশনের প্রমাণস্বরূপ। ১১০০ জনেরও বেশি হৃদরোগীর জীবন পরিবর্তন করতে পেরে আমরা গর্বিত।”
ডাঃ জহির উদ্দিন মাহমুদ ইলিয়াছ বলেন, “আমাদের পেশেন্ট-ফার্স্ট কর্মপ্রক্রিয়া এবং আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসায়ও আমরা অসাধারণ সাফল্য নিশ্চিতে সক্ষম হয়েছি। এই অর্জন আমাদের প্রতি রোগীদের আস্থার প্রতিফলন বলে আমি মনে করি।”
ডাঃ মোঃ তারিক বিন আব্দুর রশিদ বলেন, “এই অর্জন আমাদের সহকর্মীদের ভবিষ্যতে আরও ভালো করার মনোবল জোগাবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা আমাদের দক্ষতা আরও বাড়াতে এবং স্বাস্থ্য চাহিদা পূরণে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছি।”
সম্প্রতি সংযুক্ত আধুনিক প্রযুক্তির আইভিইউএস ও এফইআর মেশিনের সাহায্যে ও দক্ষ মেডিকেল টিম নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রাম ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিতে ধারাবাহিকভাবে অগ্রগতি সাধন করছে এবং চট্টগ্রামের হৃদরোগ চিকিৎসায় নতুন মানদণ্ড স্থাপন করছে।
উল্লেখ্য, এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম বন্দরনগরীর সর্বপ্রথম ৪৭০ শয্যাবিশিষ্ট মাল্টি-ডিসিপ্লিনারী সুপার-স্পেশিয়ালিটি টারশিয়ারি কেয়ার হসপিটাল। এখানে আছে ২৪/৭ জরুরী বিভাগ, সর্বাধুনিক আইসিইউ সেবা এবং ২৭টি বিশেষ ও উপ-বিশেষ বিভাগ, যা গোটা অঞ্চলের ধারণক্ষমতার শূন্যস্থান পূরণে সক্ষম। প্রায় ৪ লক্ষ ৯২ হাজার বর্গফুট আয়তনের উপর নির্মিত এই হসপিটালের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ মেডিকেল সেবা ও পাঁচ শতাধিকেরও বেশি মেডিকেল প্রোফেশনাল চট্টগ্রামের সকল স্তরের রোগীদের সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
জাতীয়তাবাদী ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের নতুন কমিটি
বাংলাদেশের সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকে কর্মরত জাতীয়তাবাদী আদর্শের কর্মকর্তাদের নিয়ে ৫ সদস্যের জাতীয়তাবাদী ‘ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে জনতা ব্যাংকের মো. ইকবাল হোসেনকে আহ্বায়ক ও সোনালী ব্যাংকের মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় জাতীয়তাবাদী আদর্শের কর্মকর্তাদের নিয়ে এই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্যরা হলেন- যুগ্ম আহবায়ক মো. রফিকুল ইসলাম (রূপালী ব্যাংক), যুগ্ম আহবায়ক ইদ্রিস মিয়া (সোনালী ব্যাংক) ও যুগ্ম আহবায়ক রাশেদুল হাসান (অগ্রণী ব্যাংক)।
এমআই