পুঁজিবাজার
মিউচুয়াল ফান্ডের ৭০০ কোটি টাকা কারসাজি হাসান ইমামের
দেশের পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত শীর্ষ সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রেস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হাসান ইমামের বিরুদ্ধে ৭০০ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। গত পাঁচ বছরে রেস পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবহার করে তার নিজস্ব কোম্পানি, সংস্থা, তহবিলের সুবিধার্থে আইন বর্হিভূত এসব লেনদেন করেছেন। এতে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা।
বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ থেকে করা এক অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জানা যায়, পুঁজিবাজার থেকে যোগসাজশের মাধ্যমে অর্থ পাচার ও ফায়দা হাসিলের লক্ষ্যে একটি চক্র গড়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশ রেস ম্যানেজমেন্টের সিইও এবং এমডি হাসান ইমাম। তিনি নিজেই এ চক্রের নেতৃত্ব দিতেন। তাকে এ কাজে সহযোগিতা করছেন তারই প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন কোম্পানির শীর্ষ পদে থাকে তিন ব্যক্তি। ওই তিন ব্যক্তিই আবার রেস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ট্রাস্ট্রি প্রতিষ্ঠান বিজিআইসির মনোনীত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্টরা।
অভিযোগ রয়েছে, রেস পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ডের ট্রাস্ট্রি বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানির (বিজিআইসি) বোর্ডে সদস্য হিসেবে ছিলেন হাসান ইমামের বড় বোন (পিমা ইমাম) এবং তার দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু কায়সার ও মুনজুর। মোহাম্মদ মুনজুর মাহমুদ ডাটাসফট সিস্টেমস বাংলাদেশ লিমিটেড ঢাকার প্রেসিডেন্ট ও কায়সার ইসলাম ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট স্টেপস লিমিটেড ঢাকার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা যায়, ডাটাসফট সিস্টেমস ও ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট স্টেপসের মালিকানায় প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে রয়েছেন হাসান ইমাম। অর্থাৎ বাংলাদেশ রেস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ট্রাস্ট্রি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্সকেও হাসান ইমাম সুপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। যা বিএসইসির মিউচুয়াল ফান্ডের বিধিমালা ও আইন বহির্ভূত কাজ।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা অনুযায়ী, ২০০১ এর বিধি ১৯(১)(ঘ) উল্লেখ রয়েছে-‘নিবন্ধন মঞ্জুরীর জন্য অযোগ্যতা- কোন কোম্পানি, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা ট্রাস্টি হিসাবে নিবন্ধন মঞ্জুরীর জন্য যোগ্য হইবে না যদি- উহা বা উহার কোন পরিচালক কোন মিউচুয়াল ফান্ডের উদ্যোক্তা বা সম্পদ ব্যবস্থাপক, স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার হন বা উহার বা উহাদের অধীন কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের কোন পরিচালক হন বা উহার সহিত কোন ভাবে সম্পর্কিত হন।’
অভিযোগ রয়েছে, মাল্টি সিকিউরিটিজে অতিরিক্ত তহবিল সংরক্ষণ এবং বাজার কারসাজি করার জন্য তৃতীয় পক্ষকে অর্থ ঋণস্বরূপ প্রদান করতেন হাসান ইমাম। যাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারী। এছাড়া ব্রোকারেজ হাউজকে ১৮-২৫ পয়সা এর পরিবর্তে ৪৫-৫০ পয়সা কমিশন প্রদান এবং অতিরিক্ত কমিশন ব্যক্তিগতভাবে নগদ ফেরত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছে তদন্তকারী সিআইডি কর্মকর্তা। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রেস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান ইমাম গত ৫ বছরে রেস ফান্ড ট্রেড অপারেশনে প্রায় ৭০০ কোটি মূল্যের অনৈতিক ও আইনবিরুদ্ধ লেনদেন করেছেন। যাতে পাবলিক ফান্ডগুলো এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া তিনি মাল্টি সিকিউরিটিজ নিয়ন্ত্রণ করছেন এবং এর সুবিধা গ্রহণ করছেন। তার পরিচালিত রেস অ্যাসেটের মাধ্যমে অল্প সময়ে প্রচুর অর্থ জালিয়াতি করেছেন।
বিজআইসিতে হাসান ইমামের ইচ্ছাকৃত এবং অসৎ উদ্দেশ্যে তার বড় বোন, স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সিআইডি। সংস্থাটি জানায়, ব্যক্তিগত লাভের জন্য স্বার্থের সংঘাতের সুযোগ নিয়ে হাসান ইমাম ব্যক্তি স্বার্থ নিশ্চিত করেছেন। যা অনৈতিক কর্মের চূড়ান্ত শিকার।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দেশের মিউচুয়াল ফান্ড খাত বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারছে না। সুশাসন ও স্বচ্ছতার ঘাটতি থাকায় খাতটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমেছে। সম্প্রতি এক সম্পদ ব্যবস্থাপক অর্থ আত্মসাৎ করে দুবাইয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় আবারো সামনে এসেছে এ খাতের দুর্দশার চিত্র।
মিউচুয়াল ফান্ড খাতের এ দুর্দশা নিয়ে গতকাল (২৫ আগস্ট) কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএসইসির কমিশনার ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, পুঁজিবাজারে মিউচুয়াল ফান্ডে কিছু কিছু অনিয়ম হয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ড সংক্রান্ত আইন বা বিধি-বিধানের ক্ষেত্রের বৈষম্যতা ছিল। আগামীতে সেই বৈষম্য আমরা দূর করার চেষ্টা করব। সেই বৈষম্যমূলক আইন ও বিধি-বিধানগুলো রিভিউ করা হবে। মিউচুয়াল ফান্ডে যেসব বৈষমতা হয়েছে আমরা তা চিহ্নিত করে সমাধান করব।
তিনি বলেন, সবার জন্য আইন সমান। এটা বাস্তবায়নে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এখন থেকে শেয়ারবাজারে আর দুর্নীতি চলবে না। অনিয়ম আর চলবে না।
এদিকে গত ১৩ জুন সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান রেস ও তার অধীনে পরিচালিত ফান্ডগুলোর ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বিএফআইইউর নির্দেশনায় বলা হয়, আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক জানানো যাচ্ছে, আপনাদের প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ রেস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট এবং এর অধীনে পরিচালিত ফান্ডসমূহের সব ব্যাংক হিসাব, এফডিআর ও এমটিডিআর হিসাবসমূহের লেনদেন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ২৩(১)(গ) ধারার আওতায় আগামী ৩০ দিনের জন্য অর্থাৎ ১০ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
বাংলাদেশ রেস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের পরিচালিত ফান্ডগুলো হলো- এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ইবিএল এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড, এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ফার্স্ট বাংলাদেশ মিউচুয়াল ফান্ড, আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, রেস স্পেশাল অপরচুনিটিস ইউনিট ফান্ড, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড এবং রেস ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুসন ইউনিট ফান্ড।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
জনতা ইন্স্যুরেন্সের আয় বেড়েছে ৭৬ শতাংশ
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান জনতা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ১৭ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৭৬ শতাংশ।
হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ১ টাকা ৩১ পয়সা ছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৫ টাকা ১৯ পয়সা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সিলকো ফার্মার আয় বেড়েছে ৫৪ শতাংশ
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ১১ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৫৪ শতাংশ।
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২২ টাকা ৮৪ পয়সা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লোকসানে এনার্জিপ্যাক, দেবে না লভ্যাংশ
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দেবে না।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ১৮ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৭৫ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩৭ টাকা ৪৫ পয়সা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য অনুমোদনের জন্য আগামী ২২ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এসকে ট্রিমসের লভ্যাংশ ঘোষণা
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি পৌনে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৪ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৯৪ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৬ টাকা ৬৫ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১২ ডিসেম্বর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের ক্যাটাগরি পরিবর্তন নিয়ে ডিএসইর নয়-ছয়!
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেডের ক্যাটাগরি পরিবর্তন নিয়ে ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) বিরুদ্ধে দেরি করার অভিযোগ উঠেছে। লেনদেনের শুরুতে কোন কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তনের তথ্য জানানোর নিয়ম থাকলেও এ ক্ষেত্রে লেনদেনের সময় শেষে জানানো হয়। এতে লেনদেনের শুরুতে আগের ক্যাটাগরি বহাল থাকায় কারসাজিতে ডিএসইর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগসাজসের অভিযোগ তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেডের গতকাল (২০ নভেম্বর) পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটি।
এদিকে আজ লেনদেনের শুরুতে ডিএসই ওয়েবসাইটে কোম্পানিটির লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রকাশ করে ডিএসই। তবে লভ্যাংশ না দেওয়ায় কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের সংবাদটি ট্রেডিং আওয়ার বা লেনদেনের সময় শেষে প্রকাশ করা হয়। তাতে কোন লভ্যাংশ না ঘোষণা করেও গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালসের শেয়ার পুরো কার্যদিবস ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে লেনদেন করেছে। ডিএসইর এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডে যোগসাজস ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তবে এ ঘটনাই প্রথম নয়, সম্প্রতি আরেকটি কোম্পানির শেয়ারের ক্যাটাগরি পরিবর্তন নিয়েও বিতর্ক তৈরি করেছে ডিএসই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুর রহমান মুঠোফোনে অর্থসংবাদকে বলেন, গতকালকে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলেও এটা আমাদের আইটি সফটওয়্যারে একদিন আগে ইনপুট দিয়ে ট্রেড চালাতে হয়। অথবা এ সংবাদটা অফিস আওয়ারের পরে আসছে বিধায় এ তথ্যটা পরে প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে ডিএসই একদিন পরে আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য ট্রেডিং আওয়ারের শুরুতে জানাতে পারলেও ক্যাটাগরি পরিবর্তন নিয়ে কেন গড়িমসি করেন এবং কেন লেনদেন শেষ হওয়ার পরে কেন ক্যাটাগরি পরিবর্তনের খবর প্রকাশ করে থাকেন- তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ, লেনদেনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত না হলে সেখানে কারসাজির আশঙ্কা থাকে।
বিএসইসির সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর ১৭ ধারা অনুযায়ী, কোন কোম্পানি পরপর দুই বছর লভ্যাংশ না দিলে সেসব কোম্পানিকে দ্রুতই ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করতে হবে। কিন্তু গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেড টানা দুই বছর লভ্যাংশ না দেওয়ার পরেও তাদের ক্যাটাগরি পরিবর্তনের সংবাদ ট্রেডিং আওয়ারের পরে প্রকাশ করা হয়। এতে ডিএসইর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির এক ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা বলেন, সাধারণত কোন কোম্পানি আগের দিন ডিএসই কর্মঘণ্টার মধ্যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে ওদিন ক্যাটাগরি পরিবর্তনের তথ্য জানানো যায়। কিন্তু ট্রেডিং আওয়ারের পরে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে তা পরেরদিন লেনদেনের শেষে ক্যাটাগরি পরিবর্তনের সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রযুক্তিগত কারণে সকালে কোম্পানিটির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা যায় না। তবে এখানেও আইনের ফাঁকফোকর রয়েছে।
এদিকে বিএসইসির নিয়ম অনুযায়ী, কোন কোম্পানির বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের দিন লেনদেনের ক্ষেত্রে শেয়ারের দামে সার্কিট ব্রেকারের সীমা আরোপিত হয় না। তাতে কোম্পানিটির শেয়ারদর স্বাভাবিক নিয়মের চেয়ে বেশি বাড়তে বা কমতে পারে। দুর্বল কোম্পানির ক্ষেত্রে এ সুযোগটাই ব্যবহার করে থাকেন কারসাজি চক্র।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণায় আজ লেনদেনের শুরুতে গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের শেয়ারের দাম কমে ২০ টাকা ৪০ পয়সায় দাঁড়ায়। তবে লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টা পার হতেই এর দাম বাড়তে শুরু করে। তাতে লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৪ শতাংশ।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের আজকের দরবৃদ্ধিতেও কারসাজি চক্রের হাত থাকতে পারে। কারণ টানা লভ্যাংশ না দেওয়ার পরেও কোনো কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি অস্বাভাবিক বিষয়। তবে লেনদেনের শুরুতে কোম্পানিটির ক্যাটাগরি পরিবর্তনের সংবাদটি ডিএসই প্রকাশ করলে শেয়ারদর হয়তো এতটা বাড়তো না। একইসঙ্গে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হলে শেয়ার কেনাবেচায় কিছু সুবিধা হারাতো কারসাজি চক্র।
এমআই