সারাদেশ
ফারাক্কার সব গেট খুললে থাকছে না বন্যার আশঙ্কা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহীসহ ফারাক্কার ভাটি এলাকায় আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর। এমনকি ফারাক্কার ১০৯টি গেট আগে থেকেই খোলা ছিল বলে জানান তিনি।
সোমবার (২৬ আগষ্ট) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে তিনি এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, বর্ষার শুরু থেকেই ফারাক্কার গেট খোলাই ছিল। এখন পদ্মায় পানির যে স্তর, গত ১৫ দিন আগে যা ছিল তার চেয়ে কম। যে হারে পানি বাড়ছে, এতে আগামি দুই-তিন দিনে অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা নেই। এখনো পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচে রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীতে গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পাংখা পয়েন্টে পানি বেড়েছে ৩ সেন্টিমিটার। পদ্মায় বিপৎসীমা ২২ দশমিক ৫ মিটার। বর্তমানে পানির স্তর রয়েছে ২০ দশমিক ৪৮ মিটার। পদ্মা নদী ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জে অন্য দুই নদী মহানন্দা ও পুর্নভবায় পানি বাড়ার হার একই।
মহানন্দায় বিপৎসীমা ২০ দশমিক ৫৫ মিটার। বর্তমানে মহানন্দা নদীতে পানির স্তর রয়েছে ১৮ দশমিক ৪৯ মিটার। পুর্নভবায় বিপৎসীমা ২১ দশমিক ৫৫ মিটার। বর্তমানে এই নদীতে পানির স্তর রয়েছে ১৮ দশমিক ৫৫ মিটার।
এমআই

সারাদেশ
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ ৩৪ ভারতীয় জেলে আটক

বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় দুটি ফিশিং ট্রলারসহ ৩৪ জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী।
সোমবার (১৪ জুলাই) ভোরে মোংলা বন্দরের অদূরে ফেয়ারওয়ে বয়া থেকে এ ট্রলার দুটি জব্দ করে বানৌজা খালিদ বিন ওয়ালিদ। পরে আটক ওই ট্রলার দুটি নিয়ে মোংলার দিগরাজের নৌঘাঁটির উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, ট্রলার দুটিতে থাকা বিপুল পরিমাণ মাছ নিলামে বিক্রি করা হবে। পরে তাদের মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান বলেন, ভারতীয় ট্রলার ও জেলে আটকের খবর পেয়েছি। থানায় হস্তান্তর করার পর বিস্তারিত জানানো হবে।
সারাদেশ
মিটফোর্ডে হত্যার শিকার সোহাগের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিলো বিএনপি

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে পৈশাচিকভাবে হত্যার শিকার বরগুনার সন্তান ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে সোহাগের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে বরগুনায় শোকসভা ও মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সোহাগের পরিবারের পাশে দাঁড়ান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মনি।
রবিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শোকসভার মাধ্যমে সোহাগের পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।
এসময় নূরুল ইসলাম মনি বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের কাছে সমবেদনা জানাতে এসেছেন।
তিনি আরও বলেন, সোহাগ বিএনপির রাজনীতি করতেন। সোহাগ হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনীতি করে লাভ হবে না। একইসঙ্গে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন নূরুল ইসলাম।
শোকসভায় জেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাদেশ
টানা বৃষ্টিতে ২১ জেলায় ৭২ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে রাজধানীসহ সারাদেশে ২১ জেলায় ৭২ হাজার ৭৬ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যের ভিত্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা এবং উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের অনেক জায়গায় অস্থায়ী জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
ফসলহানির শিকার জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে: কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়ি, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালি, বরগুনা, ভোলা ও শরীয়তপুর।
ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মধ্যে রয়েছে: আউশ: ৪৪ হাজার ৬৬২ হেক্টর, আমন বীজতলা: ১৪ হাজার ৩৯৩ হেক্টর, শাকসবজি: ৯ হাজার ৬৭৩ হেক্টর, বোনা আমন: ২৯৭ হেক্টর, পাট, কলা, পেঁপে, পান, মরিচ ও গ্রীষ্মকালীন তরমুজ: প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে।
জেলা অনুযায়ী ক্ষতির চিত্র: কুমিল্লা: ১১ হাজার ৫৯০ হেক্টর, নোয়াখালী: ৭ হাজার ৮০৬ হেক্টর, ফেনী: ১ হাজার ৬৫৫ হেক্টর।
তবে বৃষ্টিপাত কমে আসায় জমিতে জমে থাকা পানির পরিমাণও কমছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে। এছাড়া গোপালগঞ্জে ৮০, রাজশাহীর বাঘাবাড়িতে ৭৩ এবং আরিচায় ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে মৌসুমি বায়ুর অক্ষের সঙ্গে মিশে গেছে। এতে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমছে এবং শুক্রবার থেকে আরও কমে আসবে।
তবে শুক্রবারও ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহে কিছু কিছু জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা না থাকায় চারটি সমুদ্রবন্দরকে সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সারাদেশ
গোমতী নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে, কুমিল্লায় বন্যার শঙ্কা

টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হু হু করে বাড়ছে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি। ফলে জেলার কয়েকটি উপজেলায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বুধবার (৯ জুলাই) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে গোমতী নদীর পানি ৮ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। যা বিপৎসীমার ৩ মিটার নিচে। গোমতী নদীর বিপৎসীমা ১১ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আকস্মিক ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে গত ২৪ ঘণ্টায় গোমতীর পানি ৫ মিটারের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। কুমিল্লা অঞ্চলের পাশাপাশি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যেও ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ওই রাজ্যের পানি গোমতী দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুমিল্লা অংশের দিকে নামছে।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালিউজ্জামান জানান, টানা ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে গোমতী নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টি থেমে গেলে এবং উজানের ঢল বন্ধ হলে বিপদ কাটতে পারে। নতুবা বন্যার শঙ্কা রয়ে যাবে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে কুমিল্লা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেল ৩টা থেকে আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১২৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। একটি ভারী বর্ষণের সংকেত রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
কুমিল্লা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আরিফ জানান, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। সাগরে একটি লঘুচাপ আছে, তবে সেটি অনেক দূরে ভারতের অংশে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য আবহাওয়ার একই পূর্বাভাস রয়েছে।
এদিকে গোমতীর পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যার আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে বন্যার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আমাদের ৫৮৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও জিআর চাল মজুত আছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
সারাদেশ
ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন, ৩০ গ্রাম প্লাবিত

ফেনীতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৪টি স্থান ভেঙে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো মানুষ। এছাড়া রাস্তা-ঘাট ডুবে যাওয়ায় জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পরশুরাম উপজেলা।
পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরাম উপজেলার জঙ্গলঘোনায় দুইটি, অলকায় তিনটি, শালধর এলাকায় একটি ও ফুলগাজী উপজেলার উত্তর শ্রীপুর এলাকায় একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সিলোনিয়া নদীর পরশুরামের গদানগর এলাকায় একটি ও ফুলগাজীর দেড়পড়া এলাকার দুইটি স্থানে ভেঙেছে। এছাড়া কহুয়া নদীর পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়ায় দুইটি, বেড়াবাড়িয়ায় একটি ও ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পরশুরামের মধ্যম ধনীকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা নাহিদা সুলতানা বলেন, সন্ধ্যার পর ঘরে পানি ঢুকতে শুরু করে। কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ছাদে আশ্রয় নিয়েছি। গেলো বছরের বন্যাতেও সব জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে। বছর না ঘুরতে আবার আমাদের স্বপ্ন পানিতে ডুবছে।
মির্জানগর ইউনিয়নের পূর্ব রাঙামাটিয়া এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে বল্লামুখা বাঁধের প্রবেশ মুখটি বন্ধ করা হয়নি। সময়মতো বাঁধের এ স্থানটি বন্ধ করা হলে পানি প্রবেশের সুযোগ ছিল না। প্রতিবছরই কিছু মানুষের দায়সারা কাজের কারণে বড় একটি জনগোষ্ঠীকে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান বলেন, মাঠপর্যায়ে থেকে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। মানুষজন এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে আসছে না। বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙনের ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহরিয়া ইসলাম বলেন, উপজেলায় তিনটি নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চারটি স্থানে ভাঙনের তথ্য পেয়েছি। এরইমধ্যে শতাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছে। তাদের জন্য শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বুধবার (৯ জুলাই) উপজেলার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, জেলায় টানা দুই দিন ধরে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিগত কয়েক বছরে সর্বোচ্চ। বুধ ও বৃহস্পতিবারও জেলাজুড়ে মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আরও বাঁধ ভাঙনের শঙ্কা রয়েছে।
অপরদিকে টানা ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজানের পানিতে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে দুই উপজেলায় মোট ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবারের জন্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ফুলগাজী উপজেলায় ৩২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পরশুরাম উপজেলায় ৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে শুকনো খাবার, রান্না করা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখায় ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় ৪০০ করে মোট ৮০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্গতদের মাঝে রান্না করা খাবার সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।