জাতীয়
অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ১০ কর্মকর্তার বদলি

বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আটজন ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার দুজন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
আজ রোববার (২৫ আগস্ট) পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ বদলি করা হয়।
বদলি হওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপাররা হলেন- সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আতিকুল ইসলামকে এসবিতে, লালমনিরহাট ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের মো. খালেদ ইবনে মালেককে ডিএমপিতে, মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের মুহাম্মদ কামরুল হাসানকে পুলিশ সদর দপ্তরে, এসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মতিউর রহমানকে পুলিশ সদর দপ্তরে, এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারকে পুলিশ সদর দপ্তরে, ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমানকে র্যাবে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোমস্তাপুর সার্কেলের মো. রাকিবুল ইসলামকে ডিএমপিতে এবং রাজশাহী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে কে এইচ এম এরশাদকে ডিএমপিতে।
বাকি দুই সহকারী পুলিশ সুপার হলেন- খাগড়াছড়ির ৬ এপিবিএনের মো. ফয়েজ ইকবালকে ডিএমপিতে ও টাঙ্গাইল মির্জাপুর সার্কেলের এস এম মনসুর মূসাকে পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি করা হয়েছে।

জাতীয়
ডিবিপ্রধান হলেন শফিকুল ইসলাম

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলামকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে পদায়ন করা হয়েছে।
প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের মারধরের শিকার সাংবাদিকরা
শফিকুল ইসলাম পুলিশের ১৮তম বিসিএস ব্যাচের সদস্য। এর আগে তিনি ডিআইজি হিসেবে হাইওয়ে পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
শফিকুল ইসলামের বাড়ি বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায়। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ১৯৯৯ সালে ১৮তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে যোগদান করে পেশাগত জীবন শুরু করেন।
কর্মজীবনের শুরুতে তিনি লক্ষ্মীপুরে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) হন।
জাতীয়
নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা বৃহস্পতিবার: ইসি সচিব

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) তা ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
আসন সীমানা নির্ধারণ নিয়ে তিনি বলেন, সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব আসনগুলোর সীমানার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এর আগে, এদিন দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব এ নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে কর্মপরিকল্পনার (রোডম্যাপ) অনুমোদন দেয় কমিশন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, কর্মপরিকল্পনার সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অনুমোদন হয়েছে, এখন শুধু টাইপিং চলছে।
এদিকে, গত ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে ইসি। যেখানে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ৬টি করা হয়। সেইসঙ্গে বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটি করা প্রস্তাব করা হয়।
এরপর গত ১০ আগস্টের মধ্যে ৮৩টি সংসদীয় এলাকার সীমানা নিয়ে ১ হাজার ৭৬০টি দাবি-আপত্তির আবেদন ইসিতে জমা পড়ে। ২৪ আগস্ট এ বিষয়ে দাবি-আপত্তির শুনানি শুরু হয়, যা বুধবার শেষ হয়।
জাতীয়
কমিটি প্রত্যাখ্যান, ৫ দফা দিলেন প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা

বিএসসি-ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দাবির যৌক্তিকতা নিরীক্ষায় সরকারের গঠন করে দেওয়া কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের পর বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফার ঘোষণা দেন। এরপর তারা আবারো শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন।
সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো তুলে ধরেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি জুবায়ের আহমেদ।
তিনি বলেন, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে আন্দোলনকারীদের সামনে এসে ক্ষমা চাইতে হবে এবং জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত কমিটিকে আমাদের প্রতিনিধিত্বের অনুপযুক্ত মনে করি। আমরা সেটি প্রত্যাখ্যান করলাম। অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিসহ প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের অংশীদারদের নিয়ে কমিটি সংস্কার করতে হবে।
জুবায়ের আহমেদ বলেন, আমাদের পেশ করা তিন দফা দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এই মর্মে সংশ্লিষ্ট তিন উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান ও সৈয়দ রিজওয়ানা হাসানকে এসে এর নিশ্চয়তা দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফায় আরও রয়েছে, পুলিশের হামলায় আহত সব শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে। আন্দোলন চলাকালীন সব শিক্ষার্থীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
পুলিশ দিয়ে এই যৌক্তিক আন্দোলনে আর কোনো হামলা করা যাবে না। যে পুলিশ সদস্যরা হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং চাকরি থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
এর আগে সরকার ৮ সদস্যের একটি দাবি পর্যালোচনা কমিটি দেয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কমিটিবিষয়ক শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবিরের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে সভাপতি করা হয় মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে।
কাফি
জাতীয়
আন্দোলনের আর প্রয়োজন নেই, ন্যায্য সমাধান হবে: ফাওজুল কবির

আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বিবেচনা করে ন্যায্য সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন এ বিষয়ে গঠিত কমিটির সভাপতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান। এসময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উপস্থিত ছিলেন।
তিন দফা দাবিতে দুদিন (মঙ্গল ও বুধবার) ধরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করছেন বুয়েটসহ বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাওয়ের চেষ্টা করেন।
এর মধ্যে প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবিগুলোর যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ৮ সদস্যের এ কমিটির সভাপতি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। কমিটিতে চারজন উপদেষ্টা ছাড়াও প্রকৌশলীদের সংগঠনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
ফাওজুল কবির খান বলেন, এটার (আন্দোলন) সূত্রপাত হয় নেসকোতে (নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি) একটা ঘটনা (একজন প্রকৌশলীকে হত্যার হুমকি) ঘটেছিল, সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। শাস্তিমূলকভাবে বদলি করা হয়েছে।
ফাওজুল কবির খান বলেন, দাবি দুদিক থেকে। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি এক রকম, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি ভিন্ন। সব পক্ষের কথা শুনে ন্যায্য যে সমাধান সেটা আমরা করবো।
তিনি বলেন, এ কথাগুলো এ কারণে বললাম যে তারা দেখে বুঝতে পারে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, তাদের প্রতি আমাদের বার্তা হলো আপনারা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যান। তাদের প্রতিনিধিদের নিয়েই আমরা তো সিদ্ধান্ত নেবো। কাজেই তাদের তো আর রাস্তায় আন্দোলনের কারণ নেই, কিংবা অন্য কোথাও যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
কমিটির অন্য সদস্য উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আমরা বসে সমস্যার সমাধান করবো। আমরা হয়তো কালকেই বসে যাবো।
আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ১। নবম গ্রেডের ইঞ্জিনিয়ারিং পদ বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং প্রার্থীর কমপক্ষে বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। কোটার মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না। এমনকি বিভিন্ন নামে সমমানের পদ সৃষ্টি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
২। দশম গ্রেডের কারিগরি পদ বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষা ডিপ্লোমা এবং বিএসসি ডিগ্রিধারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
৩। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি না থাকলেও ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা ছয় মাস ধরে দাবি জানিয়ে এলেও সরকার এসব দাবি পূরণে কাজ করেনি। সরকার তাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে।
কাফি
জাতীয়
প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে কমিটি গঠন করল সরকার

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষায় আট সদস্যের কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার (২৭ আগস্ট) এক প্রজ্ঞাপনে এ কমিটি গঠনের তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এতে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে সভাপতি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সওবা) কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হককে সদস্যসচিব করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলো- উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের সভাপতি প্রকৌশলী ম. কবির হোসেন, বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশনের সভাপতি প্রফেসর ড. প্রকৌশলী তানভির মঞ্জুর।
অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার ‘প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবিগুলোর যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক সুপারিশ প্রণয়নের নিমিত্ত কমিটি’ গঠন করেছে।