বীমা
বিআইএর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন নাসির উদ্দিন
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের (বিআইএ) প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন সংগঠনের প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল)। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেনের স্বাস্থ্যগত অবস্থা ভালো না হওয়া পর্যন্ত বিআইএ’র সংঘ বিধি অনুযায়ী তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।
বুধবার ২১ আগস্ট বিআইএর প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সংগঠনের নির্বাহী কমিটিকে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে ভাইস-প্রেসিডেন্ট এ কে এম মনিরুল হক সভাপতির কর্তব্যগুলো পালন ও সম্পাদন করবেন। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
নির্বাহী কমিটিকে পাঠানো ওই চিঠিতে শেখ কবির হোসেন লিখেছেন, বর্তমানে স্বাস্থ্যগত কারণে তার পক্ষে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের (বিআইএ) সকল কর্মকান্ডে উপস্থিত হওয়া সম্ভবপর হচ্ছে না। এমতাবস্থায় তার স্বাস্থ্যগত অবস্থা ভালো না হওয়া পর্যন্ত অনুপস্থিতকালে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের সংঘ বিধি অনুযায়ী, প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল) এবং তার অনুপস্থিতিতে ভাইস-প্রেসিডেন্ট এ কে এম মনিরুল হক সভাপতির কর্তব্যগুলো পালন ও সম্পাদন করবেন।
নাসির উদ্দিন আহমেদ মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ভাইস-চেয়ারম্যান এবং মেঘনা লাইফ সিকিউরিটিজ এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান। তিনি বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমির ‘বোর্ড অব গভর্নরস’ এর একজন সদস্য। এছাড়া তিনি নিজাম-হাসিনা ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এবং নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন হাসপাতালের অন্যতম পরিচালক। বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমিসহ দেশে-বিদেশে তিনি বীমার ওপর বিভিন্ন ট্রেনিং এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। বিগত এক দশক ধরে তিনি অর্থমন্ত্রণালয়, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের বিভিন্ন কমিটির সদস্য হিসেবে বীমা খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন।
এছাড়া তিনি বর্তমানে এফবিসিসিআইর একজন সদস্য এবং এফবিসিসিআই এর ইন্স্যুরেন্স বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। এফবিসিসিআই এর প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে তিনি জাপান, হংকং, চীন, ওমান, রাশিয়া, ইউক্রেন ও ফিলিপাইন সফর করেন। তিনি রোটারি ক্লাব অব ঢাকা মিডটাউন এর একজন রোটারিয়ান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
আকিজ তাকাফুল লাইফের সিইও পদে আলমগীর চৌধুরীর নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল
আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদে মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরীর নিয়োগ অনুমোদন প্রস্তাব না-মঞ্জুর করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং প্রতারণার মাধ্যমে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ সংগ্রহ করা প্রমাণিত হওয়ায় তার নিয়োগ আবেদন বাতিল করেছে আইডিআরএ।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ১৭৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আইডিআরএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বীমা কোম্পানি (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ ‘প্রবিধানমালা-২০১২’ এর আলোকে আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদে মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরীর নিয়োগের অনুমোদন প্রস্তাবের বিষয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ১৭৭তম সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এতে কোম্পানি কর্তৃক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে প্রস্তাবিত আলমগীর চৌধুরীর নিয়োগ অনুমোদন আবেদন, তার দাখিলকৃত শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, কর্তৃপক্ষ দ্বারা তার পূর্বের দুটি কর্মক্ষেত্র হতে তদন্তপূর্বক প্রাপ্ত প্রতিবেদনসমূহের আলোকে জালিয়াতি এবং প্রতারণার মাধ্যমে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ সংগৃহীত হয়েছে প্রতীয়মান হওয়ায় সিইও পদে নিয়োগ প্রস্তাব না-মঞ্জুর করা হয়।
এমতাবস্থায়, বীমা আইন, ২০১০ এর ৮০ (৪) ধারা মোতাবেক কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদ একাধারে ০৩ (তিন) মাসের অধিক সময়ের জন্য শূন্য রাখা যাবে না। বিধায় ৩ মাস পূর্তির ১৫দিন পূর্বে ‘বীমা কোম্পানি (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ) প্রবিধানমালা-২০১২’ অনুযায়ী যোগ্য মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার নিয়োগ প্রস্তাব এবং মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার অব্যবহিত নিম্নপদের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন কর্মকর্তাকে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করে প্রমাণসহ কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা করেছে আইডিআএ।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
নাটোরে জেনিথ ইসলামী লাইফের মৃত্যু দাবি চেক বিতরণ
জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের বাগাতিপাড়া সার্ভিস সেন্টারের আয়োজনে মৃত্যু দাবি চেক বিতরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে বাগাতিপাড়া উপজেলার তমালতলা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির সিনিয়র ডিএমডি মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন কোম্পানির ডিএমডি সাংবাদিক আব্দুল মজিদ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির বাগাতিপাড়া উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক মো. মোশাররফ হোসেন। আর
আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এসএম নূরুজ্জামান বলেন, মানবতার কল্যাণে বীমায় চাকরি করা প্রয়োজন। বীমায় কাজ করলে এতিম ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব। দারিদ্র্য বিমোচন, বেকারত্ব দূরীকরণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে জেনিথ লাইফ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জেনিথ লাইফে কোনো দাবি মুলতবি থাকে না।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর বাগাতিপাড়া ইউনিয়ন আমির মাওলানা মো. শফিউল ইসলাম, বিএনপির বাগাতিপাড়া উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হায়দার রশীদ, আব্দুর রশীদ চৌধুরী এবং বাগাতিপাড়া ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন। এছাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক সাজেদুর রহমানও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে প্রয়াত জুলফিকার আলীর নমিনি মাহফুজা বেগমের হাতে এক লক্ষ পয়তাল্লিশ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, গ্রাহক জুলফিকার আলী বার হাজার টাকার বার্ষিক একটি কিস্তি দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। অনুষ্ঠানে বীমা দাবির চেক হস্তান্তর ছাড়াও একটি বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বীমা খাতের উন্নয়ন ও মানবসেবায় বীমা কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এজিএম
দেশের অন্যতম লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের তৃতীয় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটায় রাজধানীর বাংলামোটরে নাভানা জহুরা স্কয়ারে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান কিবরিয়া গোলাম মোহামাদ। সভায় কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
সভায় ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় এবং অনুমোদিত হয়। সভায় কোম্পানির বিদ্যমান পরিচালকবৃন্দের এক-তৃতীয়াংশ অবসর গ্রহণ করেন ও পুন:নির্বাচিত হন এবং ২০২৪ সালের জন্য নিরীক্ষক নিয়োগ করা হয়।
সভায় কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ্ জামাল হাওলাদার। কোম্পানির ব্যবসা ও সার্বিক সাফল্যের জন্য শেয়ারহোল্ডারগণ সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং কোম্পানির মার্কেটিং ও ব্যবস্থাপনা টিমকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সভা শেষে কোম্পানির উত্তরোত্তর সফলতার জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চীনে ১০ দিন পর্যন্ত ভিসা ছাড়া থাকতে পারবেন পর্যটকরা
বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে চীন ভিসামুক্ত অবস্থানের সময়সীমা তিনগুণ বাড়িয়েছে। দেশটির স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব ইমিগ্রেশন জানিয়েছে, এখন থেকে পর্যটকরা চীনে ১০ দিন বা ১৪০ ঘণ্টা ভিসা ছাড়াই অবস্থান করতে পারবেন। খবর সিএনএনের।
আগে চীনে ৭২ ঘণ্টা (৩ দিন) বা ১৪৪ ঘণ্টা (৬ দিন) পর্যন্ত ভিসামুক্ত থাকার সুযোগ ছিল। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে এই সময়সীমা ১৪০ ঘণ্টায় উন্নীত করা হয়েছে। চীন আশা করছে, এ উদ্যোগ বিদেশি পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের বেশি করে দেশটিতে ভ্রমণে উৎসাহিত করবে, যা দেশটির পর্যটন খাত এবং অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করবে।
ভিসামুক্ত নীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ব্রাজিল, কানাডাসহ ৫৪টি দেশের নাগরিকরা চীনে ভ্রমণ করতে পারবেন। এ সুবিধা ব্যবহার করে তারা চীনের ২৪টি প্রদেশ এবং ৬০টি আন্তর্জাতিক বন্দর দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে শর্ত হলো, এটি কেবল তৃতীয় কোনো দেশে বা অঞ্চলে ট্রানজিটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
বেইজিং, সাংহাই, চেংডু, গুয়াংজু প্রভৃতি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলো ভিসামুক্ত নীতির আওতায় পড়ছে। তবে তিব্বত ও জিনজিয়াং-এর মতো বিশেষ অঞ্চলে প্রবেশ করতে অতিরিক্ত অনুমতি নিতে হবে।
হংকং ও ম্যাকাও বর্তমানে ২৪০ ঘণ্টা ভিসামুক্ত ট্রানজিট সুবিধা দিচ্ছে। এ দুই অঞ্চল তৃতীয় গন্তব্য হিসেবে ব্যবহৃত হলে পর্যটকরা এ সুবিধা নিতে পারবেন।
চীনের এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পর্যটন খাতের সঙ্গে দেশের সংযোগ আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ঢাকা সফর নিয়ে দিল্লিতে ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি
ঢাকা সফর থেকে ফেরার দু’দিন পর ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফ করেছেন। বুধবার নয়াদিল্লির সংসদ ভবনের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ব্রিফে দেশটির ২১ থেকে ২২ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা ইন্দো-এশীয় নিউজ সার্ভিসের (আইএএনএস) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সূত্রের বরাত দিয়ে আইএনএস বলেছে, পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া সংসদ সদস্যদের জানান, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব দেশটির সংসদ সদস্যদের বলেন, ঢাকা সফরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন প্রশাসন দিল্লির সঙ্গে স্বাক্ষরিত কোনও চুক্তি পর্যালোচনা করার কথা উল্লেখ করেনি।
অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে অংশ নেওয়া একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে আইএনএস বলেছে, ব্রিফ্রিংয়ের সময় পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির কাছে ভারতের কয়েকজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনা কোন মর্যাদায় দেশটিতে অবস্থান করছেন, সেই সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।
ব্রিফ থেকে বেরিয়ে দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা ও সংসদের পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী কমিটির প্রধান শশী থারুর সাংবাদিকদের বলেন, ‘চমৎকার’ ব্রিফিংয়ের সময় সচিবের কাছে অনেক বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল।
শশী থারুর বলেন, বাংলাদেশের বিষয়ে আমাদের চমৎকার ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকালই পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশ থেকে ফিরে এসেছেন। সফরের বিষয়ে তিনি আমাদের একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্রিফ করেছেন। কিন্তু আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো না। তবে ২১-২২ জন সংসদ সদস্য সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিবকে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন করেছেন। এ সময় তার কাছে অনেক বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। পররাষ্ট্রসচিবও বিস্তারিত ও সোজাসাপ্টা জবাব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা যেকোনও ক্ষেত্রে এই ধরনের বিষয়ে সংসদে রিপোর্ট করি। কারণ এটি একটি সংসদীয় কমিটির আনুষ্ঠানিক বিষয়; যার জন্য প্রতিবেদন প্রয়োজন। তিরুবনন্তপুরমের এই সংসদ সদস্য বলেন, আপাতত আমাদের আলোচনা চলতে থাকবে এবং এর একটি খুব ভালো সূচনা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে উৎখাত হওয়ার পর নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে প্রথম শীর্ষ পর্যায়ের কূটনৈতিক যোগাযোগের অংশ হিসেবে চলতি সপ্তাহে ঢাকা সফর করেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব। সফরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পাশাপাশি ঢাকায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গেও বৈঠক করেন।