পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে মিডল্যান্ড ব্যাংক

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, রোববার (২৫ আগস্ট) মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৩৭ কোটি ৯৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে গ্রামীণফোন লিমিটেড। আজ ৩১ কোটি ৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ৩০ কোটি ৭৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি।
রোববার লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্র্যাক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, লাভেলো আইসক্রিম এবং এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড।

পুঁজিবাজার
সূচক ঊর্ধ্বমুখী, দেড় ঘণ্টায় লেনদেন ১৬৩ কোটি টাকা

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘণ্টায় ১৬৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) ডিএসইর লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা ১১টা ৩২মিনিট পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক বা ‘ডিএসইএক্স’ ১২ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৭৭ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে শরিয়াহ সূচক বা ‘ডিএসইএস’ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বেড়ে আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৬ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১০৬৬ ও ১৮২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে মোট ১৬৩ কোটি ১৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এসময় লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮২ টির, কমেছে ১৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭১ কোম্পানির শেয়ারদর।
কাফি
পুঁজিবাজার
এনসিসি ব্যাংকের ১৩ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন

ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স ব্যাংক (এনসিসি) পিএলসির ৪০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২৪ সালের জন্য ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়েছে। বুধবার (২ জুলাই) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত সভায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব মো. নূরুন নেওয়াজ সভাপতিত্বে করেন।
সভায় ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, পরিচালক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান আমজাদুল ফেরদৌস চৌধুরী, পরিচালক সৈয়দ আসিফ নিজাম উদ্দীন, প্রাক্তন ভাইস-চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চাকলাদার, পরিচালক মো. মঈনউদ্দিন, পরিচালক মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ, স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মীর সাজেদ উল বাসার এবং স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম, এফসিএস ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত হন।
এসময়, ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারগণ অনলাইনে যোগ দেন এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এছাড়া, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. খোরশেদ আলম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব আলম, মো. জাকির আনাম, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও মো. মনিরুল আলম (কোম্পানী সচিব) সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় ২০২৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত হিসাব, পরিচালনা পর্ষদের প্রতিবেদন ও বহিঃ নিরীক্ষকদের প্রতিবেদন উত্থাপিত ও সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নূরুন নেওয়াজ সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংকের ব্যবসায়িক অগ্রগতির মূল সূচকগুলো বর্ণনা দিয়ে বলেন, এনসিসি ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারস্ ইকুইটি ও মোট সম্পদ পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে যার ফলে আমাদের ক্রেডিট রেটিং ও ক্যামেলস রেটিং এ উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আগ্রাসী প্রবৃদ্ধি অর্জনের পরিবর্তে সম্পদের গুণগতমান বজায় রাখা, লো কষ্ট -নো কষ্ট তহবিল বৃদ্ধি, তহবিল খরচ হ্রাস, ফি কমিশন ভিত্তিক আয় বৃদ্ধিসহ আরও অন্যান্য বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেছি। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধির মাধ্যমে এনসিসি ব্যাংক ক্রমান্বয়ে সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিন অনলাইনে প্রদত্ত সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারবৃন্দের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং বলেন, এনসিসি ব্যাংক ৩২ বছরের পথ চলায় আজ বিভিন্ন আর্থিক মানদন্ডে একটি ভালো ব্যাংক হিসেবে স্টেকহোল্ডারদের কাছে সমাদৃত হচ্ছে এবং গ্রাহকদের কাছে আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। ভবিষ্যতেও গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ডিজিটাল সম্প্রসারণ, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং টেকসই ব্যাংকিং এর উপর আমরা গুরুত্বারোপ করবো। আমাদের মূল ফোকাস হচ্ছে এসএমই এবং রিটেইল ব্যবসার সম্প্রসারণ, শরীয়াহ-সম্মত ইসলামিক ব্যাংকিং, ফি ও কমিশনভিত্তিক আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি বাড়িয়ে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধি। এছাড়াও, এআই-চালিত সলুশোনের উন্নয়ন, নগদবিহীন লেনদেন সম্প্রসারণ, টেকসই অর্থায়ন তথা পরিবেশবান্ধব ও সবুজ প্রকল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মাইক্রোফাইন্যান্সের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি জোরদার করছি, যাতে ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে কেউ না থাকে। স্ট্র্যাটেজী, ইনোভেশন এবং কাস্টমার সেন্ট্রিক সেবার মাধ্যমে আমরা স্টেকহোল্ডারদের আস্থা অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কাফি
পুঁজিবাজার
ব্যাংক এশিয়ার ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ব্যাংক এশিয়া পিএলসির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এএ+’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-১’ রেটিং হয়েছে।
কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পরিমাণগত ও গুণগত তথ্য অনুযায়ী এ রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
কাফি
আন্তর্জাতিক
১০ টাকা ফেসভ্যালুর শেয়ার প্রথম দিনেই ৮৩৫ টাকায় লেনদেন

ভারতের শেয়ারবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে তালিকাভুক্তিতে নতুন শেয়ারে বাজিমাত দেখা গেছে। শেয়ারবাজারে পা রাখার প্রথম দিনেই বিনিয়োগকারীদের পকেট ভরাল এইচডিএফসি ব্যাংকের শাখা কোম্পানি এইচডিবি ফাইন্যান্স।
বুধবার (০২ জুলাই) বম্বে এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয় এইচডিবি ফাইন্যান্সের। এদিন প্রতিটি শেয়ারের দাম ওঠে ৮৩৫ টাকা। শেয়ারটির অভিহিত মূল্য ১০ টাকা।
ভারতের ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দাবি, এক বছরের ফরোয়ার্ড প্রাইস-টু-বুকের নিরিখে এইচডিবি ফাইন্যান্সের শেয়ারে তালিকাভুক্তির মূল্য বেড়েছে ৩.৪ গুণ। এই সূচক আর্থিক কোম্পানির সমকক্ষ বাজাজ় ফিন্যান্স এবং চোলা ইনভেস্টমেন্টের চেয়ে কিছুটা কম। কিন্তু নিফটি-৫০র অন্তর্গত অন্যান্য আর্থিক কোম্পানির চেয়ে বেশি।
তালিকাভুক্তির পরে অধিকাংশ আর্থিক বিশ্লেষক এইচডিএফসি ব্যাংকের শাখা কোম্পানিটির শেয়ারকে বাই রেটিং দিয়েছেন। তাঁদের অনুমান, অচিরেই স্টকটির দাম ৯০০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। অর্থাৎ এতে ২২ শতাংশের বৃদ্ধি দেখতে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাঁদের অনুমান, আগামী তিন বছরের মধ্যে ২০ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পাবে এইচডিবির অ্যাসেট আন্ডার ম্যানেজ়মেন্ট (এইউএম)। ফলে শেয়ারটির সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আইপিওর মূল্যসীমা (প্রাইস ব্যান্ড) ঘোষণা করে এইচডিবি ফিন্যান্স। এতে ১০ টাকা ফেসভ্যালুর স্টকে বিনিয়োগকারীদের দিতে হয়েছে ৭৩০ টাকা। আইপিওর মাধ্যমে এই কোম্পানিটি ৬৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা তুলেছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
জিকিউ বলপেনের বিএমআরই অনিশ্চিতে ডিএসইর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ!

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড দীর্ঘ ১০ বছর টানা পরিচালন লোকসান দেওয়ার পর গত বছর থেকে উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। লোকসান কমাতে এবং পণ্যের গুণমান বাড়াতে তাদের কারখানার ভারসাম্য রক্ষা, আধুনিকায়ন, পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ (বিএমআরই) করার জন্য কোম্পানিটি ১২ মাস উৎপাদন বন্ধ রাখে। তবে বিএমআরই সম্পন্নের পর বড় অংকের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া কোম্পানিটি নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বিএমআরই’র কার্যক্রমের অগ্রগতির তথ্য প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির এমন কর্মকান্ডে নির্ধারিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধিবিধান থাকলেও জিকিউ বলপেনের ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বরং প্রতিষ্ঠানটির প্রতি নমনীয় অবস্থান নিয়েছে বলে অভিযোগ এনে ডিএসইর ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী, কোনো কোম্পানি পর পর দুই বছর লভ্যাংশ দিতে বা এজিএম করতে ব্যর্থ হলে বা বিএমআরই ছাড়া টানা ছয় মাসের বেশি উৎপাদন বা ব্যবসা কার্যক্রম বন্ধ থাকলে বা পুঞ্জীভূত লোকসান পরিশোধিত মূলধনকে ছাড়িয়ে গেলে ‘জেড’ ক্যাটেগরিভুক্ত হবে। তবে এমন আইন থাকা সত্ত্বেও জিকিউ বলপেনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসই।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুর রহমান বলেন অর্থসংবাদকে বলেন, এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না। সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা বলে জানাতে পারবো।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনের (বিএসইসি) পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম অর্থসংবাদকে বলেন, বিএমআরই কার্যক্রমের অগ্রগতির তথ্য দিতে না পারলে ডিএসই তার রেগুলেশন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। কমিশন থেকেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এবিষয়ে মন্তব্য জানতে জিকিউ বলপেনের কোম্পানি সচিব কে এম এরশাদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ডিএসইকে পক্ষপাতমূলক আচরণ পরিহার করে সকল কোম্পানির প্রতি সমানভাবে নিয়ম প্রয়োগ করতে হবে। তা না হলে বাজারে আস্থা ফেরানো যাবে না।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বিএমআরই অগ্রগতির তথ্য হলো একটি কোম্পানির ভবিষ্যৎ সক্ষমতা ও প্রবৃদ্ধির বার্তা। সেটি গোপন রাখলে বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর ডিএসই যদি এ বিষয়ে কঠোর না হয়, তাহলে বাজারে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা কঠিন হবে।
এরআগে, ২৯ জুন কোম্পানিকে চিঠির মাধ্যমে বিএমআরই কার্যক্রমের অগ্রগতির তথ্য জানতে চায় ডিএসই। এর জবাবে সোমবার (৩০ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) জিকিউ বলপেনের কোম্পানি সচিব কে এম এরশাদ স্বাক্ষরিত এক চিঠি পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, বেশ কিছু অনিয়ন্ত্রিত বাহ্যিক কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা বিএমআরই উদ্যোগটি এগিয়ে নিতে পারিনি। তবে, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় বিএমআরই অর্থ ধার করার চেষ্টা করলেও তাতে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। আমাদের বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি ভারতে উৎপত্তি। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ভারত সরকার এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রদান স্থগিত করেছে। আমাদের প্ল্যান্ট ম্যানেজার ভারতীয় হাইকমিশন থেকে ভারতীয় ভিসা পাওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এই কারণে, আমরা ভারত থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং উপাদানগুলি পরিদর্শন, আলোচনা এবং সংগ্রহ করতে পারিনি, যার ফলে আমাদের বিএমআরই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য বিলম্ব হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, বিকল্প হিসেবে জার্মানি বা চীনের সরবরাহকারীদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করলে খরচের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি হবে। যা আনুমানিক বিএমআরই খরচকে ছাড়িয়ে যাবে, যার ফলে আর্থিকভাবে এই ধরনের ক্রয় আমাদের ব্যবসায় সম্ভব হবে না। এছাড়া, কোম্পানিটি ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত একটি বাণিজ্যিক ভবনের ভাড়া আয় ব্যবহার করে বিএমআরই খরচের একটি অংশ বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছিলো। তবে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপটে, বিশেষ করে চলমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কার্যক্রম সম্প্রসারণে প্রবেশ করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। ফলস্বরূপ, কোম্পানিটি ছয় তলা ভবনের মধ্যে মাত্র একতলা ভাড়া নিতে পেরেছে। যা কোম্পানিটির বিএমআরই খরচ বহন করার জন্য খুবই অপর্যাপ্ত।
চিঠিতে আরও বলা হয়, কোম্পানিটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সময়সীমা অনুযায়ী বিএমআরই সম্পন্ন করতে অক্ষম হয়েছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ অনুকূল হয়ে উঠলে কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে এবং বিএমআরই উদ্যোগ সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
এসএম